নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১১:২৮ এএম, ২১ অক্টোবর, ২০২০
কলারোয়ায় চাঞ্চল্যকর চার জনকে (স্বামী-স্ত্রী ও দুই সন্তান) গলা কেটে হত্যা মামলায় আরো তিন জনকে গ্রেফতার করেছে সিআইডি। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়। এনিয়ে নৃশংস এই হত্যা মামলায় নিহত শাহিনুর রহমানের ভাই রায়হানুল ইসলামসহ চার জনকে গ্রেফতার করা হলো।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, কলারোয়া উপজেলার খলসি গ্রামের আব্দুস সামাদের ছেলে আব্দুর রাজ্জাক (২৮), আবুল কাশেমের ছেলে আব্দুল মালেক (৩৫) ও একই গ্রামের আসাদুল ইসলাম (২৭)। তাদের মধ্যে রাজ্জাক ও মালেক নিহত শাহিনুরের নিকট প্রতিবেশী এবং আসাদুল ইসলাম নিহত শাহিনুরের হ্যাচারির কর্মচারী বলে জানা গেছে। সাতক্ষীরা সিআইডি’র এসপি আনিছুর রহমান গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
উল্লেখ্য, গত ১৫ অক্টোবর ভোর রাতে কলারোয়া উপজেলার হেলাতলা ইউনিয়নের খলিসা গ্রামের শাহাজান আলীর ছেলে মৎস্য হ্যাচারি মালিক শাহিনুর, তার স্ত্রী সাবিনা খাতুন, ছেলে সিয়াম হোসেন মাহী ও মেয়ে তাসনিম সুলতানাকে গলা কেটে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। এ সময় নারকীয় এই হত্যাকাণ্ডের মধ্যে ঘাতকদের হাত থেকে বেঁচে যায় তাদের চার মাসের শিশু কন্যা মারিয়া সুলতানা। যার দায়িত্বভার নিয়েছেন সাতক্ষীরার জেলা প্রশাসক এস.এম মোস্তফা কামাল। তিনি ওই শিশুর চিকিৎসা ও বেড়ে ওঠার সব ব্যয়ভার বহন করবেন বলে ঘোষণা দিয়েছেন। শিশুটি বর্তমানে হেলাতলা ইউনিয়ন পরিষদের সংরক্ষিত মহিলা ইউপি সদস্য নাসিমা খাতুনের হেফাজতে রয়েছে।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচনের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে প্রথম পর্যায়ের উপজেলা নির্বাচনের প্রস্তুতি চূড়ান্ত। ১৫০টি উপজেলায় এখন জনগণ ভোটের অপেক্ষায়। দ্বিতীয় পর্যায়ে ১৫৯টি উপজেলায় মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের দিন গতকাল শেষ হয়েছে। সেখানেও এখন নির্বাচনী প্রচারণার ডামাডোল শুরু হয়েছে। কিন্তু উপজেলা নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ হবে কি না, উপজেলা নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি বাড়বে কি না এবং উপজেলা নির্বাচন শান্তিপূর্ণ হবে কি না তা নিয়ে একদিকে যেমন জনগণের সংকট রয়েছে তেমনই নির্বাচন কমিশনও এই বিষয়টি নিয়ে চিন্তিত।
লক্ষ্মীপুর সদরের তেওয়ারীগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন ২৮ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পরপরই হামলার শিকার হয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, নেপথ্যে নির্বাচনে কারচুপি ও অনিয়মের অভিযোগ। এঘটনায় চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্ধিতাকারী দুই প্রার্থীকে পুলিশ হেফাজতে নিয়ে ১১ জনের নাম উল্লেখসহ ৯১১ জনের বিরুদ্ধে দুইটি মামলাও দায়ের করেন। ফলে নির্বাচনের পর আনন্দের বদলে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে ওই ইউনিয়নে।