ইনসাইড বাংলাদেশ

প্রধানমন্ত্রী ছাড়া কিছুই হয় না

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৭:৫৯ পিএম, ২২ অক্টোবর, ২০২০


Thumbnail

আওয়ামী লীগের এবারের মন্ত্রীসভা অপেক্ষাকৃত তরুণ এবং নবীনদের দিয়ে তৈরি। কিন্তু এই মন্ত্রীসভায় আওয়ামী লীগের কিছু গুরুত্বপূর্ণ নেতারা আছেন। আছেন কয়েকজন সিনিয়র নেতা। অনেকেই মনে করছেন যে, দলের নবীন মন্ত্রীদের হয়তো অনেক কিছু শেখার বাকি আছে। তারা অনেক চাপ মোকাবেলা করতে পারেন না, চাপের মুখে তারা নার্ভাস হয়ে পড়েন। সেজন্যই তাদেরকে সব গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তের জন্য প্রধানমন্ত্রীর ওপর নির্ভর করতে হয়। কিন্তু আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে যারা বড় নেতা, যারা মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছেন তারাও চাপে বেসামাল হয়ে পড়েছেন এবং সংকট সমাধানে কোন সাহসী, দৃঢ় এবং উদ্ভাবনী সিদ্ধান্ত নিতে পারছেন না। শেষ পর্যন্ত ওই সমস্ত বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ করতে হচ্ছে এবং প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ এর মাধ্যমেই সংকটের সমাধান হচ্ছে। ফলে মন্ত্রীসভার অবস্থা এমন একটা পর্যায়ে দাঁড়িয়েছে যে, প্রধানমন্ত্রী ছাড়া আসলে কোন কিছুই হচ্ছেনা ।

কোন মন্ত্রনালয়ে নীতিনির্ধারণী তো দূরের কথা ছোটখাটো সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রেও প্রধানমন্ত্রীর মুখোমুখি হতে হচ্ছে, প্রধানমন্ত্রীর ওপর নির্ভর করছেন মন্ত্রীরা। সাম্প্রতিক সময়ে আলু সংকটের কথাই ধরা হোক। আলু নিয়ে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, সেটির দায়দায়িত্ব কৃষি মন্ত্রণালয় অস্মীকার করেননি। কৃষিমন্ত্রী নিজেই স্বীকার করেছেন যে, আলুর দাম বাড়ানোর পরিণতি এরকম ভাবে হবে সেটা তিনি ভাবতেও পারেনি এবং এখন আলুর মূল্য নিয়ে যে অস্থিরতা চলছে সেই অস্থিরতাতেও নার্ভাস হয়ে পড়েছেন কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক। অথচ তিনি আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য এবং আওয়ামী লীগের একজন পুরানো নেতা। শুধু তাই নয় তিনি দ্বিতীয়বারের মতো মন্ত্রীসভায় স্থান পেয়েছেন। এর আগে তিনি খাদ্যমন্ত্রী হিসেবে সফল ছিলেন। কিন্তু আলু নিয়ে তিনি এখন বিপদগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন, এই বিপদ গ্রস্থ অবস্থায় প্রধানমন্ত্রী হস্তক্ষেপ করেছেন এবং প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী এখন আলু সংকট নিরশনে অনেক কাজ চলছে।

প্রধানমন্ত্রী কার্যালয় সুত্রগুলো বলে যে, এই সংকট শুরু হওয়ার সাথে সাথেই প্রধানমন্ত্রী টিসিবিকে নির্দেশ দেন আলু বিক্রির জন্য। একই সঙ্গে তিনি সারা দেশের আলুর পরিস্থিতি যাচাই করা এবং সরবরাহ নিশ্চিত করাসহ কেউ যাতে মজুদ করতে না পারে এ ব্যাপারে নির্দেশনা দেন।

অথচ আওয়ামী লীগের একজন সিনিয়র মন্ত্রী এরকম সংকটে সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগবেন, এটা অনেকের কাছেই অবিশ্বস্য লেগেছে। শুধু কৃষিমন্ত্রীই নয়, সাম্প্রতিক সময়ে এরকম সব বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীকেই সিদ্ধান্ত দিতে হচ্ছে এবং প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্ত ছাড়া কিছুই হচ্ছে না ।

 

যেমন ধরা যাক পেঁয়াজ সংকট নিয়েই। পিঁয়াজ সংকটের সূচনা হয় যখন ভারত পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ করে দেয়। অথচ বাণিজ্য মন্ত্রণালয় প্রথম থেকেই প্রাক্কোলণ করা উচিত ছিল যে, ভারত এরক ঘটনা  ঘটাতে পারে। কারণ বাংলাদেশে পেঁয়াজ রপ্তানী বন্ধ করার আগে ভারতে পেঁয়াজের বাজার অস্থিতিশীল হয়ে উঠেছিল। তাছাড়া গত বছর ভারত পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে দিয়েছিল । সেই অভিজ্ঞতা থেকেই প্রধানমন্ত্রী আগে থেকেই সতর্ক করেছিলেন এবং অন্যান্য উৎস থেকে যেন পেঁয়াজ আমদানি করা যায় সেটি নিশ্চিত করতে বলেছিলেন । আর প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ এর কারণেই এই পেঁয়াজ নিয়ে গত বছরের মতো এবার নৈরাজ্য তৈরি হয়নি। এই বিষয়টি বাণিজ্য মন্ত্রণালয় কিন্তু আশায় বসে থাকলে বাংলাদেশ হয়তো গত বছরের মতো আরেকটি পেঁয়াজ দুর্ঘটনা ঘটতে পারত।

আমরা যদি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় দেখি, সেখানেও ছোটখাটো বিষয় গুলো নিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সিদ্ধান্ত দিতে পারে না এবং সেখানে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় হস্তক্ষেপ করতে হয় এবং প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা ম্যাজিকের মতো সমস্যার সমাধান হয়। সাম্প্রতিক সময়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় পেশাজীবী প্রশাসনের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলছে। এ দ্বন্দ্ব নিরসনের ব্যাপারেও প্রধানমন্ত্রীর সুনির্দিষ্ট কিছু সুপারিশ করেছেন। আর এই সুপারিশগুলোর বাস্তবায়নের মাধ্যমে সংকট সমাধানের চেষ্টা চলছে বলে জানা গেছে । মন্ত্রী সভার মন্ত্রীরা মন্ত্রনালয়ের ছোটখাটো বিষয়গুলোকে সিদ্ধান্ত দিতে পারে না। আর এই সিদ্ধান্তহীনতার কারণেই সরকারের মধ্যে অনকে ধরনের সমস্যা তৈরি হয়, জনগণের মধ্যে অস্বস্তি তৈরি হয়। সবকিছুর জন্য প্রধানমন্ত্রীর দিকে তাকিয়ে থাকার ফলে একদিকে যেমন সিদ্ধান্তহীনতা তৈরি হয় অন্যদিকে প্রধানমন্ত্রীর ওপর চাপ বাড়ে। আর এর ফলে প্রধানমন্ত্রী অন্যন্য নীতিনির্ধারনিী বিষয়গুলোর দিকেও মন দিতে পারেন না। তাই মন্ত্রীদের স্ব স্ব মন্ত্রণালয়ের কার্যক্রমগুলোর দিকে আরো বেশি মনযোগ এবং যত্নবান হওয়া উচিত বলে নেতারা মনে করেন।



মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

সারাদেশে হিট স্ট্রোকে আরও ৩ জনের মৃত্যু

প্রকাশ: ১০:৩২ পিএম, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

সারা দেশে তীব্র তাপপ্রবাহের ফলে নতুন করে হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে আরও ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে দেশে এখন পর্যন্ত হিট স্ট্রোকে ১০ জন মারা গেছেন বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) রাতে সারা দেশে হিট স্ট্রোকে নতুন মৃত্যুর বিষয়টি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কন্ট্রোল রুম থেকে নিশ্চিত করা হয়েছে।

অধিদপ্তর জানিয়েছে, হিট স্ট্রোকে নতুন মারা যাওয়া তিনজনের মধ্যে দুইজনেরই মৃত্যু হয়েছে মাদারীপুর জেলায়। আরেকজনের মৃত্যু হয়েছে চট্টগ্রাম জেলায়। তবে গত একদিনে হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে নতুন করে কাউকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়নি।

সবমিলিয়ে বর্তমানে সারা দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত ৫ জন রোগী চিকিৎসাধীন আছেন বলেও জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

হিট স্ট্রোক   তীব্র তাপদাহ   স্বাস্থ্য অধিদপ্তর  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

লক্ষ্মীপুরে ছাত্রলীগ নেতা হত্যার ঘটনায় অস্ত্র ও গুলিসহ গ্রেপ্তার ১


Thumbnail

লক্ষ্মীপুরের চন্দ্রগঞ্জে ছাত্রলীগ নেতা এম সজীব হত্যা মামলায় আনোয়ার হোসেন দুলালকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। পরে দুলালের দেয়া তথ্যমতে একটি দেশীয় তৈরি এলজি ও দুটি কার্তুজ উদ্ধার করা হয়। সোমবার দুপুরে প্রেস ব্রিফিংয়ের মাধ্যমে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ তারেক বিন রশিদ বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

গ্রেপ্তার দুলাল সদর উপজেলার চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়নের পাঁচপাড়া গ্রামের মান্দারের দিঘির পাড়া এলাকার আবদুল আজিজের ছেলে। 

প্রেস ব্রিফিংয়ে পুলিশ সুপার জানান, ঘটনার পর থেকে দুলাল আত্মগোপনে চলে যায়। পরে তাকে গ্রেপ্তার করতে ঝিনাইদহ এবং খুলনার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালানো হয়। পরে তাঁকে খুলনার ডুমুরিয়ার শরাপুর বাজার এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে লক্ষ্মীপুরে নিয়ে আসা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে দুলাল ঘটনার সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন। দুলালের দেওয়া স্বীকারোক্তিতে সোমবার ভোরে তার বসতবাড়ি থেকে হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত একটি এলজি ও দুই রাউন্ড কার্তুজ উদ্ধার করা হয়।

এসপি আরও বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে দুলাল এঘটনার সাথে জড়িত অন্য আসামিদের নামও জানায়। মামলার প্রধান আসামি কাজী মামুনুর রশিদ বাবলুসহ এঘটনার সাথে জড়িতদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান জেলা পুলিশের উর্দ্ধতন এই কর্মকর্তা।

এর আগে গত ১২ এপ্রিল রাতে চন্দ্রগঞ্জ থানার পাঁচপাড়া গ্রামের যৈদের পুকুরপাড় এলাকায় ছাত্রলীগ নেতা সজীব, সাইফুল পাটোয়ারী, মো. রাফি ও সাইফুল ইসলাম জয়ের ওপর অতর্কিত হামলা চালায় অভিযুক্তরা। ১৬ এপ্রিল রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান সজিব। এর আগে এ মামলায় স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা তাজু ভূঁইয়াসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

লক্ষ্মীপুর  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

লক্ষ্মীপুরে ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান হলেন নতুন তিন মুখ


Thumbnail

প্রায় ১৩ বছর পর লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়ন পরিষদে নির্বাচনে তিনটিতে চেয়ারম্যান পদে নতুন জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হয়েছেন। আর দক্ষিণ হামছাদী ও তেওয়ারীগঞ্জ এ দুইটি ইউনিয়নে এ পদে পুরাতনেই আস্থা রেখেছেন ভোটাররা। তবে পাঁচটি ইউনিয়নে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদেরকে পেয়ে উল্লাস প্রকাশ করছে পুরো নেট দুনিয়া। 

এর আগে রোববার (২৮ এপ্রিল) সকাল থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত সদর উপজেলার দক্ষিণ হামছাদী, দালাল বাজার, বাঙ্গাখাঁ, লাহারকান্দি ও তেওয়ারীগঞ্জ ইউনিয়নে ভোট গ্রহণ শেষে ফলাফল ঘোষণা করা হয়। 

এতে চেয়ারম্যান হিসেবে দক্ষিণ হামছাদী ইউনিয়নের আওয়ামীলীগ সভাপতি মীর শাহ আলম (ঘোড়া) প্রতীকে ছয় হাজার ২৪৪, দালাল বাজার ইউনিয়নে এডভোকেট নজরুল ইসলাম (চশমা) ছয় হাজার ৩৫৫ ভোট, বাঙ্গাখাঁ ইউনিয়নে জেলা কৃষকলীগের সদস্য সচিব মিজানুর রহমান ভূঁইয়া (চশমা) প্রতীকে  ছয় হাজার ৪০১ ভোট, লাহারকান্দি ইউনিয়নে জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি আশরাফুল আলম (টেলিফোন) প্রতীকে পাঁচ হাজার ৫৮৩ ভোট ও তেওয়ারীগঞ্জ ইউনিয়নে জেলা কৃষক লীগের সাবেক সভাপতি ওমর ফারুক ইবনে হুছাইন ভুলু (আনারস) প্রতীকে সাত হাজার ৫৪২ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। 

এসব ইউনিয়নে সাধারণ সদস্য ও সংরক্ষিত নারী সদস্য হিসেবে নতুন মুখ রয়েছেন অনেকেই, আবার অনেকে আস্থা রেখেছেন পুরোনোদের প্রতিই। তবে শান্তিপূর্ণ পরিবেমে ভোট দিতে পারায় সন্তোষ প্রকাশ করেছেন অধিকাংশ ভোটাররা। নতুন ও পুরোনোদের শুভেচ্ছা জানান ভোটাররা।

লক্ষ্মীপুর  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

এবার ঝিনাইদহ উপনির্বাচনে প্রার্থী হচ্ছেন হিরো আলম

প্রকাশ: ০৮:৪৬ পিএম, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

আলোচিত-সমালোচিত ইউটিউবার আশরাফুল হোসেন আলম ওরফে হিরো আলম এবার ঝিনাইদহ-১ আসনের উপনির্বাচনে প্রার্থী হতে যাচ্ছেন।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) নিজেই বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

নির্বাচনে প্রার্থী হওয়া প্রসঙ্গে হিরো আলম বলেন, আমি সৎ এবং সাহসী। সবাই চায় আমি যেন সংসদ সদস্য হয়ে কথা বলি, সবার পাশে থাকি। তাই ঝিনাইদহ-১ আসনের উপনির্বাচনে অংশগ্রহণ করব। সেভাবে প্রস্তুতি চলছে আমার।

হিরো আলাম আরও বলেন, আমার এক বন্ধু কুমিল্লার একটি উপজেলা নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন। আমি সেখানে প্রচারণা চালাতে যাচ্ছি। ঝিনাইদহ-১ আসনের লোকজনের সঙ্গে কথা বলেছি, তখন তারা বলেছেন সবাই আমাকে চেনেন। আমি তাদের কাছে প্রিয় এবং পরিচিত মুখ। তারাও চায় আমি এই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করি। সেখানকার জনসাধারণ আরও বলেন- নির্বাচনে তারা সাহায্য-সহযোগিতা করবেন। আমার প্রতি তাদের ভালোবাসা দেখে সেখানে উপনির্বাচনে অংশ নিতে রাজি হয়েছি। আমিও আশ্বাস দিয়েছি তাদের পাশে সবসময় থাকব।

আগামী ৫ জুন অনুষ্ঠিত হবে ঝিনাইদহ-১ আসনের উপনির্বাচন। ব্যালট পেপারে হবে এ নির্বাচন। গত মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) নির্বাচন কমিশন এই আসনের উপনির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে।

ঝিনাইদহ উপনির্বাচন   হিরো আলম  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

দলীয় সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করে উপজেলা নির্বাচনে মন্ত্রীর ছোট ভাই

প্রকাশ: ০৮:৩৮ পিএম, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

আওয়ামী লীগের দলীয় সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করে নরসিংদীর মনোহরদী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী হয়েছেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূনের ছোট ভাই নজরুল মজিদ মাহমুদ স্বপন। 

নজরুল মজিদ মাহমুদ স্বপন জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্মসাধারণ সম্পাদক ও মনোহরদী উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যকরী সদস্য। তিনি শিল্পমন্ত্রীর মেজভাই।

দলীয় সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে নির্বাচনের মাঠে মন্ত্রীর ভাইয়ের থেকে যাওয়ার বিষয়টি সুষ্ঠু নির্বাচনের ক্ষেত্রে বড় বাধা হিসেবে দেখছেন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা। 

নজরুল মজিদ মাহমুদ স্বপন ছাড়াও মনোহরদী উপজেলা পরিষদের এ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়েছেন আরও চারজন। তারা হলেন- উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. ফজলুল হক, সাধারণ সম্পাদক প্রিয়াশীষ কুমার রায়, সাবেক সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান রঙ্গু ও রাজধানী ঢাকায় আইন পেশায় যুক্ত মো. মাসুদুর রহমান।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মনোহরদী উপজেলায় টানা পাঁচবার উপজেলা চেয়ারম্যান ছিলেন সাইফুল ইসলাম খান। গত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে তার নাম বাদ দিয়ে শিল্পমন্ত্রীর ভাই নজরুল মজিদ মাহমুদের নাম একক প্রার্থী হিসেবে কেন্দ্রে পাঠিয়েছিল উপজেলা আওয়ামী লীগ। কিন্তু কেন্দ্র থেকে তাকে না দিয়ে সাইফুল ইসলাম খানকেই দলীয় মনোনয়ন দেওয়া হয়। সম্প্রতি অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে উপজেলা চেয়ারম্যানের পদ থেকে পদত্যাগ করে শিল্পমন্ত্রীর সঙ্গে ভোটের মাঠে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন সাইফুল ইসলাম খান। সাত হাজার ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হন তিনি। এবার আর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থী হননি তিনি।

চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা বলছেন, মন্ত্রী-এমপির স্বজনদের নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর দলীয় সিদ্ধান্ত হওয়ার পর আশায় বুক বেঁধেছিলেন অন্য প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা। কিন্তু শিল্পমন্ত্রীর ভাই নজরুল মজিদ মাহমুদ এখনো সরে না দাঁড়ানোয় স্থানীয় আওয়ামী লীগের সব নেতাকর্মীর মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে। দলীয় সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন না করায় দ্বিধা-বিভক্ত হয়ে পড়ছেন সবাই। শিল্পমন্ত্রী নীরব থাকা সত্ত্বেও তার ভাই নির্বাচনে প্রভাব বিস্তার করছেন। মন্ত্রীর পরিবারেই যদি উপজেলা চেয়ারম্যানের পদও চলে যায়, তাহলে আর অন্যদের রাজনীতি করে লাভ কী? শেষ পর্যন্ত নজরুল মজিদ মাহমুদ যদি ভোটের মাঠে থেকেই যান, তবে জোর করেই ভোট নিয়ে নেবেন তিনি, এমন ভীতি কাজ করছে ভোটারদের মধ্যে।

উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. ফজলুল হক জানান, শিল্পমন্ত্রীর সঙ্গে পরামর্শ করেই উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়েছি। শিল্পমন্ত্রীর ছোটভাই নজরুল মজিদ মাহমুদ দলীয় সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে এখনো ভোটের মাঠে আছেন। আশা করছি, সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে কেন্দ্রের সিদ্ধান্ত মেনে তিনি দ্রুতই সরে দাঁড়াবেন।

এ বিষয়ে শিল্পমন্ত্রীর ভাই নজরুল মজিদ মাহমুদ স্বপন সাংবাদিকদের বলেন, নির্বাচন করব বলেই মনোনয়নপত্র সংগ্রহ ও জমা দিয়েছি। মন্ত্রীর ভাই হিসেবে নয়, নরসিংদী জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্মসাধারণ সম্পাদক হিসেবে রাজনীতি করে আসছি। আমি আমার অবস্থান থেকেই উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে দাঁড়িয়েছি। তাছাড়া নির্বাচন না করার ব্যাপারে দলীয় কোনো লিখিত নির্দেশনা পাইনি। সে কারণে আমার নির্বাচন করতে কোনো সমস্যা নেই বলে দাবি করেন তিনি।


উপজেলা নির্বাচন   আওয়ামী লীগ   শিল্পমন্ত্রী  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন