ইনসাইড বাংলাদেশ

বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিচ্ছুদের জন্য পরামর্শ

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১০:০০ এএম, ১৭ অগাস্ট, ২০১৭


Thumbnail

এই বছর এইচএসসি পরীক্ষায় পিয়াল ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগ থেকে জিপিএ ৫ পেয়েছে। এসএসসিতেও তাঁর ভালো রেজাল্ট ছিল। তাঁর স্বপ্ন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিবিএ করবে। সেজন্য উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা দেওয়ার পর থেকেই সে পড়াশুনায় ব্যস্ত। কারণ পিয়াল জানে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পাওয়া অনেক কঠিন।
 
আসছে ঈদ। ঈদ আনন্দের উপলক্ষ হলেও এ নিয়ে মাতামাতির সুযোগ নেই পিয়ালের। তাঁর এই ঈদ কাটবে পড়াশোনা করে। কারণ ঈদের পরেই  বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ভর্তি পরীক্ষা শুরু হবে।
 
বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে হলে বিভিন্ন ইউনিটের সব বিষয়ে পারদর্শী হতে হয় একজন শিক্ষার্থীকে। তাই পিয়ালের মতো বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি ইচ্ছুক অন্যান্য শিক্ষার্থীদের  এখন  দম ফেলার ফুরসত নেই।
 
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি যুদ্ধ দিনের দিন দিন আরও কঠিন হচ্ছে। বাংলাদেশের প্রায় সবগুলো বিশ্ববিদ্যালয়েই দেখা যায় একটি আসনের বিপরীতে প্রায় ৫০-১৫০ জন প্রতিযোগিতা করে। তাই পরীক্ষা প্রস্তুতি ভালো না থাকলে টিকে থাকা সম্ভব নয়। প্রতিযোগী বেশি থাকায় ভালো প্রস্তুতি থাকার পরও অনেকে বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি যুদ্ধে টিকে থাকতে পারে না।
 
পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষাগুলো আলাদা আলাদা হয়। এসময়  শিক্ষার্থীরা যাতায়াতের ওপরই থাকবে। তাই পছন্দ অনুযায়ী কোন কোন  বিশ্ববিদ্যালয়ে ও বিভাগে একজন শিক্ষার্থী পরীক্ষা দিতে চায় তা আগেই ঠিক করতে হবে। অনেক সময় বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা একসঙ্গে পড়ে যায়। সেক্ষেত্রে দ্বিধা-দ্বন্দ্বে না পড়ে একজন শিক্ষার্থী যে বিষয়ে দক্ষ সে বিষয়ে পরীক্ষা দেয়ার সিদ্ধান্ত নিতে পারে।
 
একজন শিক্ষার্থীর উচিৎ যেকোনো একটি ইউনিট ভর্তি হওয়ার জন্য টার্গেট করা। কিন্তু তাঁকে অবশ্যই একের অধিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ফরম কিনতে হবে। কারণ বেশিরভাগ বিশ্ববিদ্যালয়েই দ্বিতীয়বার পরীক্ষা দেওয়া যায় না। তাই বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ লাভের স্বপ্ন বাঁচিয়ে রাখতে একজন শিক্ষার্থী একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ফরম কিনতে পারে।
 
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার আর বেশি দেরি নেই। তাই এসময় একজন শিক্ষার্থীকে যতটা সম্ভব বাইরে সময় নষ্ট না করে পড়াশোনায় মনোযোগী হতে হবে। যে বিষয়ে সে দক্ষ নয় তাকে সেই বিষয় বেশি বেশি পড়তে হবে। কারণ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার ক্ষেত্রে সবগুলো বিষয়ই সমান গুরুত্বপূর্ণ।
 
বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিচ্ছু প্রায় সব ছাত্রই ভর্তি পরীক্ষার আগে কোচিং করে থাকে। শেষ সময়ের প্রস্তুতির জন্য কোচিংয়ের শিটগুলো অনেক সময় কাজে লাগে। কারণ শিটগুলো সাজেশন্স আকারে থাকে। এগুলো পড়ে মনে রাখা শিক্ষার্থীদের জন্য সহজ হয়।
 
এছাড়া মডেল টেস্ট গুলোতে শিক্ষার্থীকে অবশ্যই অংশগ্রহণ করতে হবে। কারণ নিজের পরীক্ষা প্রস্তুতি যাচাইয়ের জন্য মডেল টেস্ট সহায়তা করে। যারা কোচিং করছে না তাদের উচিৎ নিজে নিজেই পরীক্ষা দেওয়া। বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষার দিন একজন শিক্ষার্থী সাধারণত একঘণ্টা সময়ে পেয়ে থাকে। এই এক ঘণ্টা সময় কীভাবে কাজে লাগাবে সেই কৌশল ঠিক রাখার জন্যই বেশি বেশি পরীক্ষা দেওয়া প্রয়োজন। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় পরীক্ষাতে নেগেটিভ মার্কিং থাকে। বেশি বেশি পরীক্ষা দেওয়ায় এই ব্যাপারটিও খেয়াল থাকবে।

একজন শিক্ষার্থী ভালো রেজাল্ট করলেই ভালো কলেজে পড়তে পারে। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে হলে তাকে ভর্তিযুদ্ধ পার হতে হবে। তাই মাধ্যমিক বা উচ্চমাধ্যমিকে রেজাল্ট একটু খারাপ হলেও হতাশ হওয়ার কিছু নেই। খারাপ রেজাল্ট নিয়েও অনেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হবার সুযোগ লাভ করে।
 
একজন ছাত্রের জন্য উচ্চমাধ্যমিক পাশ করার পরের সময়টি অনেক গুরুত্বপূর্ণ। কারণ ভালো প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হওয়ার উপর তাঁর জীবনে এগিয়ে যাওয়া অনেকাংশে নির্ভর করে। তাই বিশ্ববিদ্যালয় প্রস্তুতি সেভাবেই গ্রহণ করতে হবে একজন শিক্ষার্থীকে।
 
বাংলা ইনসাইডার/এসএম/জেডএ




মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

১০ টাকায় টিকিট কেটে চোখ পরীক্ষা করালেন প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশ: ০১:৪৭ পিএম, ০৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

রাজধানীর শেরে বাংলা নগরে জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে সাধারণ রোগীদের মতো ১০ টাকার টিকিট কেটে নিজের চোখ পরীক্ষা করিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

শুক্রবার (৩ মে) সকালে প্রধানমন্ত্রী ওই হাসপাতালে যান প্রধানমন্ত্রী। তারপর লাইনে দাঁড়িয়ে নিজেই টিকিট সংগ্রহ করেন।

এরপর প্রধানমন্ত্রী সাধারণ রোগীদের মতোই নিজের চোখ পরীক্ষা করান। সরকারি হাসপাতালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এ ঘটনা দেখে উপস্থিত অনেকেই উচ্ছ্বাস ও আনন্দ প্রকাশ করেন।


প্রধানমন্ত্রী   শেরে বাংলা নগরে জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

১০ টাকায় টিকিট কেটে চোখ পরীক্ষা করালেন প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশ: ০১:২১ পিএম, ০৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

সাধারণ রোগীদের মতো ১০ টাকার টিকিট কেটে রাজধানীর শেরে বাংলা নগরে জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে নিজের চোখ পরীক্ষা করিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

শুক্রবার (৩ মে) সকালে প্রধানমন্ত্রী ওই হাসপাতালে যান প্রধানমন্ত্রী। তারপর লাইনে দাঁড়িয়ে নিজেই টিকিট সংগ্রহ করেন।

এরপর প্রধানমন্ত্রী সাধারণ রোগীদের মতোই নিজের চোখ পরীক্ষা করান। সরকারি হাসপাতালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এ ঘটনা দেখে উপস্থিত অনেকেই উচ্ছ্বাস ও আনন্দ প্রকাশ করেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা   জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

কারামুক্ত হলেন মাওলানা মামুনুল হক

প্রকাশ: ১২:১৯ পিএম, ০৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

জামিনে মুক্তি পেয়েছেন হেফাজতে ইসলামের সাবেক কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক। শুক্রবার (০৩ মে) সকাল ১০টার দিকে তাকে গাজীপুরের কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি দেয়া হয়।

পরে রিজার্ভ গার্ডে তাকে বসিয়ে রাখা হয় এবং বেলা ১১টার দিকে কারাগারের মূল ফটক থেকে তিনি বের হয়ে যান। গাজীপুরের কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার সুব্রত কুমার বালা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, গতকাল বৃহস্পতিবার মামুনুল হকের জামিনের কাগজপত্র কারাগারে এসে পৌঁছায়। পরে তা যাচাই-বাছাই শেষে আজ শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে মাওলানা মামুনুল হককে কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়।

জানা গেছে, মামুনুল হকের জিম্মাদার অধ্যক্ষ মিজানুর রহমান চৌধুরী আসতে দেরি হওয়ায় তাকে প্রায় এক ঘণ্টা রিজার্ভ গার্ডে বসিয়ে রাখা হয়। পরে বেলা ১১ টার দিকে সাদা রঙের একটি গাড়িতে করে তিনি কারাগারের মূল ফটো থেকে বের হয়ে যান।

এ সময় মামুনুল হকের সঙ্গে ছিলেন তার ছেলে জিসান ও ভাগিনাসহ আরো কয়েকজন। এর আগে, বৃহস্পতিবার রাতে মামুনুল হক কারাগার থেকে মুক্ত পাবেন, এমন খবরে আলেম-ওলামারা কারা ফটকে ভিড় করেন। সন্ধ্যার পর থেকেই কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারের সামনে ভিড় করতে শুরু করেন মামুনুল হকের সমর্থকরা।  


মাওলানা মামুনুল হক  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

উপজেলা নির্বাচন: উঠান বৈঠকে বদির বিরুদ্ধে ফাঁকা গুলি ছোড়ার অভিযোগ

প্রকাশ: ১২:১৪ পিএম, ০৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

কক্সবাজারের টেকনাফের বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান ও আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী নুরুল আলমের উঠান বৈঠকে তার সমর্থকদের ভয়ভীতি প্রদর্শন করার জন্য সাবেক এমপি আব্দুর রহমান বদির বিরুদ্ধে ফাঁকা গুলি ছোড়ার অভিযোগ উঠেছে।

বৃহস্পতিবার (২ মে) রাত ১০টার দিকে উপজেলার হোয়াইক্ষং পশ্চিম মহেশখালীয়া পাড়া এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। 

উপজেলা চেয়ারম্যান নুরুল আলম বলেন, আমি বৃহস্পতিবার মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছি। আমার নির্বাচনী এলাকার হোয়াইক্ষং পশ্চিম মহেশখালীয়া পাড়ায় আমার একটি উঠান বৈঠক ও আলোচনা সভা ছিল। সেখানে হঠাৎ সাবেক এমপি বদি (আব্দুর রহমান বদি) চেয়ারম্যান প্রার্থী জাফর আলমকে সঙ্গে নিয়ে আমার অনুষ্ঠানস্থলে এসে দুই রাউন্ড ফাঁকা গুলি করেন।

তখন ভয়ে আমার সমর্থকরা পালিয়ে যায়। আমি জরুরি সেবা ৯৯৯-এ কল দিয়েছি। পরে সেখান থেকে বের হয়ে থানায় অভিযোগ করেছি। সাবেক এমপি বদি আমার সমর্থকদের ভয়ভীতি প্রদর্শন করছেন। যাতে কেউ আমার বিরুদ্ধে কাজ না করে। আমার জনপ্রিয়তা বদি সাহেব মেনে নিতে পারছেন না।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে চেয়ারম্যান প্রার্থী জাফর আলম বলেন, গুলি ছোড়ার ঘটনা পুরাপুরি মিথ্যা। উল্টো নুরুল আলম আমার এক সমর্থককে ধরে নেওয়ার খবর শুনে আমি আর বদি ভাই (সাবেক এমপি আব্দুর রহমান বদি) সেখানে যাই।

টেকনাফ মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওসমান গনী ঢাকা পোস্টকে বলেন, বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান নুরুল আলমের একটি অনুষ্ঠানে ফাঁকা গুলি ছোড়ার ঘটনা শুনেছি। খবর পেয়ে আমাদের পুলিশের টিম সেখানে গিয়েছে। এ ঘটনায় নুরুল আলম একটি অভিযোগ করেছেন। এ বিষয়ে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ বিষয়ে কথা বলতে সাবেক এমপি আব্দুর রহমান বদির মুঠোফোনে একাধিকবার কল দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।


উপজেলা নির্বাচন   উঠান বৈঠক   অভিযোগ   সাবেক এমপি   আব্দুর রহমান বদি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

গাজীপুরে মালবাহী ট্রেনের সঙ্গে যাত্রীবাহী ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষ, আহত বহু

প্রকাশ: ১১:২৩ এএম, ০৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

গাজীপুরের জয়দেবপুরে মালবাহী ট্রেনের সঙ্গে যাত্রীবাহী ট্রেনের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে ৫টি বগি লাইনচ্যুত হয়ে অন্তত অর্ধশতাধিক যাত্রী আহত হয়েছেন।

শুক্রবার (৩ মে) সকালে জয়দেবপুর স্টেশনে এ ঘটনা ঘটে। তবে টাঙ্গাইল কমিউটারে খুব বেশি যাত্রী ছিলেন না বলে জানা গেছে। জয়দেবপুর স্টেশনমাস্টার হানিফ মিয়া এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, টাঙ্গাইল কমিউটার ট্রেনটি উত্তরবঙ্গ থেকে ছেড়ে এসে গাজীপুর হয়ে ঢাকার দিকে যাচ্ছিল। ট্রেনটি জয়দেবপুর স্টেশনের আউটার সিগনালে পৌঁছালে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা তেলবাহী ট্রেনের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। তবে টাঙ্গাইল কমিউটারে খুব বেশি যাত্রী ছিল না।


দুই ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষ  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন