ইনসাইড বাংলাদেশ

প্রধান বিচারপতি কি পদত্যাগ করবেন?

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৭:৫৯ পিএম, ২০ অগাস্ট, ২০১৭


Thumbnail

ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের রায় নিয়ে সৃষ্ট বিতর্কের মুখে কি পদত্যাগ করবেন প্রধান বিচারপতি? সব বিতর্ক ছাপিয়ে এ প্রশ্নই এখন বড় হয়ে উঠেছে। আজ রোববার এই বিতর্ক নতুন মাত্রা পেয়েছে প্রধান বিচারপতির নতুন একটি মন্তব্যে। অধ:স্তন আদালতের বিচারকদের চাকরির শৃঙ্খলা বিধি নিয়ে আদালতে অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট মাহবুবে আলম আবার সময় প্রার্থনা করেন। তখন সময় প্রার্থনার সঙ্গে ষোড়শ সংশোধনী নিয়েও কথা বলেন বিচারপতি সিনহা। প্রধান বিচারপতি এ সময় মন্তব্য করেন, ‘ আমরা বিচার বিভাগ ধৈর্য ধরছি। আজকে একজনের কলামিস্টের লেখা পড়েছি… সেখানে ধৈর্য ধরার কথাই বলা হলো। পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্ট প্রধামন্ত্রীকে ইয়ে… করল। সেখানে কিছুই (আলোচনা-সমালোচনা) হয়নি। আমাদের আরও পরিপক্কতা দরকার।’ প্রধান বিচারপতি এই বক্তব্য তাঁর বিরুদ্ধে চলমান সমালোচনা আরও তীব্র করেছে। পাকিস্তানের সঙ্গে তিনি বাংলাদেশে তুলনা করলেন কীভাবে? পাকিস্তান সুপ্রিম কোর্ট চলে সেনাবাহিনীর নির্দেশিত পথে। গণতন্ত্রকে বিপন্ন করতে পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্ট বার বার ব্যবহার করা হয়েছে।

একজন সিনিয়র আইনজীবী প্রশ্ন করেছেন, প্রধান বিচারপতি কী বাংলাদেশকে পাকিস্তান বানাতে চান?  এই প্রশ্ন অনেকের। রোববারের এই মন্তব্যের পর, আওয়ামী লীগ সহ প্রগতিশীল রাজনৈতিক দলগুলো, প্রধান বিচারপতির ব্যাপারে অনঢ় অবস্থান গ্রহণ করছে। আওয়ামী লীগের একজন শীর্ষ নেতা বলেছেন, ‘প্রধান বিচারপতিকে সরে যেতেই হবে। তিনি যদি স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করেন তো ভালো, না হলে অবিলম্বে রাষ্ট্রপতিকে তাঁকে অপসারন করার প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে।

সুপ্রিম কোর্টের অন্য একজন আইনজীবী বলেছেন, কী উদ্দেশ্যে ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের রায়ে অগ্রাসঙ্গিক বিষয় উপস্থাপিত হয়েছে, তা স্পষ্ট হয়ে গেছে প্রধান বিচারপতির রোববারের বক্তব্যে। তাঁর মতে ‘এই বক্তব্যের পর প্রধান বিচারপতি পদে থাকার সব যোগ্যতা তিনি হারিয়েছেন।’ জাতীয় সংসদের সদস্য এবং বিশিষ্ট আইনজীবী ব্যারিস্টার ফজলে নূর তাপস বলেছেন, ‘এই রায় যে বিদ্বেষ প্রসূত তা প্রধান বিচারপতি আরেকবার প্রমাণ করলেন। এই রায় তিনি নিজে দেননি, তাঁকে দিয়ে দেওয়ানো হয়েছে।’ বার কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল বাসেত মজুমদার বলেছেন, ‘প্রধান বিচারপতি তার শপথ ভঙ্গ করেছেন। তিনি কি বাংলাদেশকে পাকিস্তান বানাতে চান? নাকি পাকিস্তানি ফরমায়েসে এই রায় প্রদান করেছেন?‘

ক্ষমতাশীন দল যতই তাঁর পদত্যাগ দাবি করুন না কেন। বিচার বিভাগের এই সর্বোচ্চ এই পদে অপসারণ খুব সহজ সাধ্য কাজ না, যদি না তিনি স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করেন। কিন্তু তিনি যে পদত্যাগ করতে মোটেই আগ্রহী না, রোববার তাঁর বক্তব্যে সেটা স্পষ্ট হয়েছে। বঙ্গভবনের একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে, রাষ্ট্রপতি প্রধান বিচারপতিকে চায়ের দাওয়াতের আমন্ত্রণ জানানোর প্রস্তুতি নিচ্ছেন। ঈদের ছুটি শুরু হবার আগে বঙ্গভবনে প্রধান বিচারপতির সঙ্গে রাষ্ট্রপতির বৈঠকটি  অনুষ্ঠিত হতে পারে। এই বৈঠকে কী হতে পারে? রাষ্ট্রপতি কি প্রধান বিচারপতিকে পদত্যাগের জন্য অনুরোধ করবেন, নাকি রাষ্ট্রপতি তাঁর ক্ষমতা প্রয়োগ করে প্রধান বিচারপতির বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ গুলো তদন্ত করার জন্য সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলকে নির্দেশ দিবেন? রাষ্ট্রপতি কি করবেন, তা একান্তই তাঁর অভিপ্রায়। তবে আওয়ামী লীগ সরকার এখন কেবল আর রায়ের কিছু মন্তব্য সংশোধনের দাবির মধ্যে নেই। তাঁরা প্রধান বিচারপতির পদত্যাগ চাইছে। এখন এই দাবির প্রতিক্রিয়া কোথায় নিয়ে গড়ায় সেটাই দেখার বিষয়।

বাংলা ইনসাইডার/জেডএ

 



মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

মুন্সীগঞ্জে ওসিসহ ৯ পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা

প্রকাশ: ০৮:২৮ এএম, ০৬ মে, ২০২৪


Thumbnail

মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান থানার ওসি মো. মুজাহিদুল ইসলামসহ ৯ পুলিশের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

রোববার (৫ মে) দুপুরে মুন্সীগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালতে পুলিশের হেফাজতে নির্যাতনের অভিযোগ এনে মামলাটি দায়ের করেন নির্যাতনের শিকার আব্দুল বারেক।

মামলা দায়ের করা আব্দুল বারেক সিরাজদিখান উপজেলার বড়বর্তা গ্রামের বাসিন্দা ও স্থানীয় কেয়াইন ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান। আদালতের বেঞ্চ সহকারী মো. হোসেন মামলা দায়েরের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, মুন্সীগঞ্জ সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ কাজী আব্দুল হান্নান মামলার ঘটনার সত্যতা যাচাই-পূর্বক তদন্ত করে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য পিবিআই পুলিশ সুপারকে নির্দেশ দিয়েছেন।

একইসঙ্গে বাদী তথা ভুক্তভোগীদের জখমের বিষয়ে সিভিল সার্জনকে প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

মামলায় বাদী পক্ষের আইনজীবী মো. জামাল হোসাইন জানান, গত ১৮ এপ্রিল জেলার সিরাজদিখান থানায় একটি মামলা রুজু করা হয়। ২৪ এপ্রিল ওই মামলায় এজাহার নামীয় আসামি দেখিয়ে উপজেলার কুচিয়ামোড়া গ্রামের আব্দুল বারেকসহ ১১ জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

এরপর ওই দিন রাতে গ্রেপ্তারকৃতদের থানা পুলিশের হেফাজতে নির্যাতন করা হয়। পরদিন গ্রেপ্তারকৃতদের আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়।

তিনি আরও বলেন, জেল হাজতে থেকে আব্দুল বারেক বাদী হয়ে সিরাজদীখান থানার ওসি ও অন্যান্য আরো ৮ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে পুলিশের হেফাজতে নির্যাতনের অভিযোগ দায়ের করেছেন আদালতে।

এ ব্যাপারে সহকারী পুলিশ সুপার (সিরাজদিখান সার্কেল) মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, শুনেছি আদালতে একটি পিটিশন মামলা হয়েছে। তবে ওই ঘটনার সময় আমি ট্রেনিংয়ে ছিলাম।


পুলিশ   মামলা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

রাজধানীতে বজ্রসহ শিলা-বৃষ্টি

প্রকাশ: ১০:৪১ পিএম, ০৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

রাজধানীতে শুরু হয়েছে বজ্রসহ বৃষ্টি। সঙ্গে শিলা। আজ রোববার (৫ মে) রাত সাড়ে ১০টার দিকে শুরু হয় এ শিলা-বৃষ্টি। এর আগে রাত ৯টার দিকে শুরু হয় ঝোড়ো হাওয়া।

শনিবার সকালে আবহাওয়া অধিদপ্তর পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়া পরিস্থিতির পূর্বাভাস দেয়। পূর্বাভাসে বলা হয়, সোমবার থেকে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছয় দিন ধরে হতে পারে ঝড়বৃষ্টি। কয়েক দিনের বৃষ্টির পর কমে যেতে পারে তাপপ্রবাহ।

আবহাওয়াবিদ শাহীনুল ইসলাম বলেন, রোববার বিকেল ৪টা থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে দেশের ওপর দিয়ে বজ্রপাত ও বিচ্ছিন্নভাবে শিলাবৃষ্টিসহ কালবৈশাখী ঝড় বয়ে যেতে পারে। সেজন্য সতর্কতা জারি করা হয়েছে। এ ছাড়া কাল সোমবার থেকে সারা দেশে বৃষ্টির পরিমাণ বাড়বে। এতে করে যেসব জায়গায় তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছিল সেগুলো ধীরে ধীরে প্রশমিত হবে। 

রাজধানী   শিলা-বৃষ্টি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

বন্ধ বিমানবন্দর চালুর পরিকল্পনা আপাতত নেই: বিমান ও পর্যটন মন্ত্রী

প্রকাশ: ০৯:৪৩ পিএম, ০৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী মুহাম্মদ ফারুক খান জানিয়েছেন, বন্ধ থাকা বিমানবন্দরগুলো চালুর পরিকল্পনা আপাতত সরকারের নেই।

রোববার (৫ মে) বিকালে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে জাতীয় সংসদের অধিবেশনে আওয়ামী লীগের সদস্য আলী আজমের এক লিখিত প্রশ্নের উত্তরে তিনি এ কথা জানান।
 
ফারুক খান বলেন, বর্তমানে দেশে তিনটি আন্তর্জাতিক, সাতটি অভ্যন্তরীণ ও পাঁচটি স্টল বিমানবন্দর রয়েছে। এর মধ্যে তিনটি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এবং পাঁচটি অভ্যন্তরীণ বিমানবন্দর চালু রয়েছে। এসব বিমানবন্দর দিয়ে আন্তর্জাতিক এবং অভ্যন্তরীণ রুটে ফ্লাইট পরিচালিত হচ্ছে।

মন্ত্রী বলেন, বন্ধ থাকা বিমানবন্দরগুলো চালু করার পরিকল্পনা সরকার তথা বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের আপাতত নেই। তবে বর্তমান বৈশ্বিক অর্থনৈতিক অবস্থার উন্নয়ন, যাত্রী চাহিদা এবং এয়ারলাইনসগুলোর আগ্রহের পরিপ্রেক্ষিতে সরকারের সিদ্ধান্ত সাপেক্ষে বন্ধ বিমানবন্দরগুলো চালুর উদ্যোগ নেওয়া যেতে পারে।

বিমানবন্দর   বিমান ও পর্যটন মন্ত্রী   জাতীয় সংসদ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

গ্রামে ৮ থেকে ১২ ঘণ্টা লোডশেডিং, বিদ্যুৎ গেল কোথায়: সংসদে চুন্নু

প্রকাশ: ০৯:৩৪ পিএম, ০৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

লোডশেডিং নিয়ে সংসদে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বিরোধী দলের চিফ হুইপ মুজিবুল হক চুন্নু। তিনি চ্যালেঞ্জ করে বলেন, গ্রামে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কোথাও ১২ ঘণ্টা, কোথাও ৮ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকে। সরকার বলেছে ২৮ হাজার বিদ্যুৎ উৎপাদনের ক্যাপাসিটি রয়েছে। তাহলে এই বিদ্যুৎ গেল কোথায়?

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে জাতীয় সংসদ অধিবেশনে তিনি এ প্রশ্ন করেন। এ সময় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন।

মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, এই মুহূর্তে সারাদেশের মানুষ অনেক সমস্যায় আছে। তার মধ্যে দুটি সমস্যায় মানুষ খুব আক্রান্ত। একটি হলো বিদ্যুৎ। এই মৌসুমে সারাদেশে গ্রামে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কোথাও ১২ ঘণ্টা, কোথাও ৮ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকে। আর সরকার বলেছে ২৮ হাজার বিদ্যুৎ উৎপাদনের ক্যাপাসিটির কথা, তাহলে এই বিদ্যুৎ গেল কোথায়? বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রীকে আমার এলাকার মানুষ দাওয়াত দিয়েছে, লোডশেডিং হয় কিনা দেখার জন্য।

তিনি আরও বলেন, যে সব বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র ভাড়ায়, তাদের সক্ষমতার ৪১ শতাংশ সক্ষমতা থাকার পরেও বসে আছে এবং ২২-২৩ আর্থিক বছরে বসে থেকে ভাড়া বাবদ ২৬ হাজার কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে। আগের পার্লামেন্টে আমি বলেছিলাম, আমার এলাকায় প্রায় বিদ্যুৎ চলে যায়। বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী আমাকে চ্যালেঞ্জ করেছিলেন, আমি আজকে চ্যালেঞ্জ চাই না। আমি চাই সশরীরে উনি আমার এলাকায় একটু যাবেন, যে কয় ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকে।

চুন্নু বলেন, দায়মুক্তি দিয়ে যেসব চুক্তি আমরা করেছি, সেগুলো দয়া করে প্রত্যাহার করুন। বিদ্যুৎ উৎপাদন না করে বসে বসে জরিমানা দেওয়া হবে, এ চুক্তি বাতিল করুন। সেসব কোম্পানি বিদ্যুৎ দিলে বিল পরিশোধ করবেন। বসিয়ে রেখে এভাবে এক বছরে ২৬ হাজার কোটি টাকা দেবেন, তারপর আবার লোডশেডিংও থাকবে! ঢাকায় থেকে অসহনীয় অবস্থা আপনারা বুঝবেন না।

তিনি বলেন, বিদ্যুতের অপচয় বন্ধ করুন। বিদ্যুতের দাম বাড়াচ্ছেন। মন্ত্রী একটি সুন্দর কথা বলেন, সমন্বয়। সমন্বয়ের মানে মূল্যবৃদ্ধি। এ সমন্বয় আগামী তিন বছর বারবার করবেন। ভর্তুকি তুলে নিলে বিদ্যুতের দাম দ্বিগুণ হয়ে যাবে দুই-তিন বছর পর। মানুষ কিনতে পারবে কি না, আমি জানি না। আমি বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রীকে বলব, শুধুমাত্র দাম না বাড়িয়ে এমন কিছু পদক্ষেপ নিন, যাতে জনগণের ওপর চাপ না পড়ে, একটি সহনীয় অবস্থায় আপনারা সরকারেও থাকতে পারেন, আর বিদ্যুৎও যাতে পাওয়া যায়।

লোডশেডিং   মুজিবুল হক চুন্নু  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

লক্ষ্মীপুরে রাতের অন্ধকারে হামলা চালিয়ে সংখ্যালঘুর জমি দখল, ঘর নির্মাণ


Thumbnail

লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে রাতের অন্ধকারে হামলা চালিয়ে বিরোধপূর্ণ জমিতে একটি টিনসেট ঘর স্থাপন করেছে তাজল ইসলাম নামে এক ভূমি পরিমাপক। 

রোববার (৫ মে) ভোর রাতে উপজেলার হাজিরহাট ইউনিয়নের চরজাঙ্গালিয়া গ্রামের করুনানগর বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় জাতীয় জরুরী সেবা ৯৯৯ নম্বরে কল দিলেও যথা সময়ে পুলিশ আসেনি বলে অভিযোগ ভূক্তভোগীদের। 

বিকেলে ভূক্তভোগী টিংকু রানী দাস, বিপন রানী দাস, শোভন দাস ও অনিক চন্দ্র দাসসহ কয়েকজন এ অভিযোগ করেন। তারা জানায়, লোক মারফত তারা জানতে পারেন তাজল ইসলাম বিরোধীয় জমিতে ঘর তুলবেন। এতে শনিবার (৪ মে) দিবাগত সারারাত তারা পাহারারত ছিলেন। কেউই ঘুমাননি। রোববার ফজরের আযান দিলে তারা ঘুমাতে যায়। ঠিক সেই মুহুর্তে তাজল ইসলাম প্রায় শতাধিক নারী-পুরুষকে নিয়ে এসে বিরোধীয় জমিতে থাকা টিনের বেড়া ভেঙে ফেলে। ঘটনাটি আঁচ করতে পেরে সবাই এসে বাধা দিলে তাজল ইসলামসহ তার লোকজন লাঠিসোটা নিয়ে তাদের (ভূক্তভোগী) ওপর হামলা চালায়। এ ঘটনা থেকে রক্ষা পেতে ভূক্তভোগীরা জাতীয় জরুরী সেবা ৯৯৯ নম্বরে কল দেয়। সেখান থেকে বিষয়টি কমলনগর থানাকে জানানো হয়। কিন্তু পুলিশ ঘটনাস্থল পৌঁছতে ২ ঘণ্টা সময় লাগিয়েছে। এর মধ্যে অন্যত্র তৈরিকৃত একটি নতুন ঘর এনে তাজল ইসলামরা বিরোধীয় জমিতে স্থাপন করে। এসময় টিংকু, বিপন, শোভন ও অনিকসহ কয়েকজনকে মারধর করা হয়েছে বলেও অভিযোগ আনা হয়। 

ভূক্তভোগীরা আরও জানায়, পুলিশ এসে ঘর দেখে তারা থানায় লিখিত অভিযোগ দিতে বলে। যদি পুলিশ সময়মতো আসতো তাহলে তাজল ইসলামরা ঘর স্থাপন করার সুযোগ পেতো না। আদালতে মামলা চলমান থাকলেও হামলা চালিয়ে ঘর স্থাপনের ঘটনায় তাজল ইসলামের বিচার চেয়েছেন ভূক্তভোগীরা।

হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের লক্ষ্মীপুর জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মিলন মন্ডল বলেন, ডালিম কুমার দাস নামে এক ব্যক্তি তাজল ইসলামের কাছে জমি বিক্রি করে। ডালিম ও তাজলসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে প্রাক্তন স্কুল শিক্ষক রাম কৃষ্ণ দাসসহ ভূক্তভোগীরা অগ্রক্রয় অধিকার আইনে রামগতি সহকারী জজ আদালতে মামলা করেন। মামলাটি এখনো চলমান। এরমধ্যে তাজল ইসলাম হামলা চালিয়ে ঘর স্থাপন করে আইন অমান্য করেছে। আমরা তার বিচার দাবি করছি। 

তবে অভিযুক্ত তাজল ইসলামের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করেও সম্ভব হয়নি। তিনি রামগতি উপজেলার চরবাদাম ইউনিয়নের চরসীতা গ্রামের বাসিন্দা। 

কমলনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তহিদুল ইসলাম বলেন, ঘটনাটি শুনেছি। পুলিশও পাঠানো হয়েছে। হামলার ঘটনায় কেউ কোন অভিযোগ দেয়নি। কেউ আটকও নেই। জায়গা জমি নিয়ে সমস্যা রয়েছে। ক্রেতা তার জমি দখল করতে এসেছে। এটি উভয়পক্ষ বসে মীমাংসা করতে পারতো।

লক্ষ্মীপুর   সংখ্যালঘু   জমি দখল  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন