নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:০০ পিএম, ২৭ অগাস্ট, ২০১৭
প্রধান বিচারপতি হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের কিছুদিন পরের ঘটনা। প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা ব্যক্তিগত সফরে লন্ডনে যাবেন। প্রধান বিচারপতির ছুটি অনুমোদন দেন মহামান্য রাষ্ট্রপতি। ছুটির ফাইল সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্টারের কাছ থেকে আইন মন্ত্রণালয় হয়ে যায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে। সেখান থেকে বঙ্গভবনে ফাইল যায় রাষ্ট্রপতির চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে ফাইল যেতেই গোয়েন্দা সংস্থা রিপোর্ট পাঠাল। ব্যক্তিগত সফর হলেও এই সফরে প্রধান বিচারপতির কিছু স্পর্শকাতর বৈঠক হতে পারে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ফাইল আটকে রাখল। এর মধ্যে প্রধান বিচারপতি সিনহা যোগাযোগ করলেন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে। গোয়েন্দা রিপোর্ট উপেক্ষা করে ছুটি অনুমোদন দিলেন প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শে রাষ্ট্রপতি ছুটি মঞ্জুর করলেন। লন্ডনে গেলেন প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা।
প্রধান বিচারপতির লন্ডনে যাবার আগেই সেখানে ছিলেন আপিল বিভাগের আরেক বিচারপতি শামসুদ্দিন মানিক। বিচারপতি মানিক লন্ডনে পরিচিত মুখ। সেখানে আইন পেশাতেও যুক্ত। বিচারপতি মানিকই প্রথম খবর পেলেন যুদ্ধাপরাধী সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর পরিবারের সঙ্গে বিচারপতি সিন্হার বৈঠকের। বিচারপতি মানিক ফোন করলেন প্রধান বিচারপতি সিনহাকে। নানা আলাপে সাকা চৌধুরীর আত্মীয়দের সঙ্গে প্রধান বিচারপতির বৈঠকের প্রসঙ্গটিও এলো। প্রধান বিচারপতি স্বীকারও করলেন। এখান থেকেই দুজনের সম্পর্কের টানাপোড়েন শুরু হলো।
এর ক’দিন পরই সা. কা. চৌধুরীর ‘ডেথ রেফারেন্স’ এলো আপিল বিভাগে শুনানির জন্য। প্রধান বিচারপতি বেঞ্চ গঠন করলেন বিচারপতি মানিককে বাদ দিয়েই। এই নিয়ে অনেক বিতর্ক হয়েছে। একটি দৈনিক পত্রিকার বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ পর্যন্ত উঠেছে। পরে গোটা দেশ এ সময় উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। শেষ পর্যন্ত আপিল বিভাগ সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর মৃত্যুদণ্ডের আদেশ বহাল রাখে।
ঘটনা এখানেই শেষ হতে পারতো। কিন্তু সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী রায়ের পর প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার সঙ্গে যুদ্ধপরাধীদের যোগসূত্রের বিষয়টি আবার সামনে চলে এসেছে। তখন জনমতে সা.কা. পরিবারের কাছে দেওয়া অঙ্গীকার রক্ষা করতে পারেননি বলেই কি, এখন যুদ্ধপরাধীদের খুশি করতেই ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের রায়? যে রায়ের মাধ্যমে এই সংসদ এবং সরকারের বৈধতা নিয়েই প্রশ্ন তোলা হয়েছে?
আর এই প্রশ্নটি বড় করে এসেছে এ কারণে যে, রায়ের পরপরই বিএনপি এবং জামাত বক্তব্য দেয়। বিএনপি-জামাত কি আগে থেকেই জানতো রায়ে কী হতে যাচ্ছে?
বাংলা ইনসাইডার/জেডএ
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান তাপদাহ শিক্ষা মন্ত্রণালয়
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
ভারতের লোকসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সাত ধাপে অনুষ্ঠিতব্য এই নির্বাচনের প্রথম পর্যায়ের ভোট হয় ১৯ এপ্রিল এবং সেখানে ১০২টি নির্বাচনী এলাকায় ভোট অনুষ্ঠিত হয়। দ্বিতীয় দফায় ২৬ এপ্রিল ৮৯টি নির্বাচনী এলাকায় ভোট অনুষ্ঠিত হয়েছে। চতুর্থ দফায় ভোট হবে ৭ মে। সেখানে ৯৪টি আসনে ভোটগ্রহণ হবে এবং সপ্তম দফায় ভোট অনুষ্ঠিত হবে পয়লা জুন। আর ৪ জুন নির্বাচনের ফলাফল জানা যাবে।
প্রথম দুই দফা ভোটের যে হার, তাতে বিজেপির মধ্যে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। বিজেপির নেতারা ভোটে যে ভূমিধস বিজয় আশা করছিলেন সেটি হবে না। ভারতের কোন কোন গণমাধ্যমগুলো ভোটের ফলাফলে নাটকীয় ঘটনা ঘটারও ইঙ্গিত দিচ্ছে। বিশেষ করে ২০০৪ সালের নির্বাচনে যেভাবে কংগ্রেস অটলবিহারী বাজপেয়ীর নেতৃত্বে বিজেপিকে ধরাশায়ী করেছিল সেরকম কোন ঘটনা ঘটতেও পারে বলে মনে আশঙ্কা করছেন অনেকে। অবশ্য এখনও আরও পাঁচ দফা ভোট বাকি আছে এবং বিজেপি আশা করছে যে, পরবর্তী ধাপগুলোতে ভোটার উপস্থিতি বাড়বে এবং বিজেপি তাদের জয়ের ধারা অক্ষুণ্ণ রাখবে। নরেন্দ্র মোদি ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে দেওয়ার জন্য বারবার আহ্বান জানাচ্ছেন।
ভারতের নির্বাচনের ফলাফল কী হবে তা বোঝা যাবে আগামী ৪ জুন। কিন্তু এখন পর্যন্ত যে ভোটের হাওয়া লক্ষ্য করা যাচ্ছে তাতে এটা স্পষ্ট যে, ভোটের আগে নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন বিজেপি জোটের যে নিরঙ্কুশ বিজয়ের ধারণা করা হয়েছিল, সেটি বাস্তবতা নাও পেতে পারে। আর এ কারণেই মোদী যদি শেষ পর্যন্ত পরাজিত হন, তাহলে সেটি হবে ভারতের রাজনৈতিক ইতিহাসে একটি বড় ব্যতিক্রমী ঘটনা এবং এটি হবে ভারতের নির্বাচনের সবচেয়ে বড় চমক।
এখন যখন ভারতের নির্বাচনে একটি হাড্ডাহাড্ডি লড়াই বা অনিশ্চয়তার ফলাফলের শঙ্কা জেগেছে তখন প্রশ্ন উঠছে যে, বিজেপি যদি এই নির্বাচনে পরাজিত হয় তাহলে বাংলাদেশে কী হবে? গত দুটি নির্বাচনে ভারতের বিজেপি সরকার বাংলাদেশকে নিরঙ্কুশভাবে সমর্থন দিয়েছে। ২০১৮ এবং ২০২৪ এর নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সরকারের প্রতি অকুণ্ঠ সমর্থন জানিয়েছে বিজেপি সরকার।
বিশেষ করে ২০২৪ এর নির্বাচনে ভারতীয় সরকারের পরিপূর্ণ সমর্থন ছাড়া মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এই নির্বাচনে ব্যাপক প্রভাব বিস্তার করত এবং এই নির্বাচনকে অস্বীকৃতি জানাত বলেও অনেকে মনে করেন। মার্কিন মনোভাব পাল্টানোর ক্ষেত্রে ভারত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। আর নির্বাচনের পর বিএনপি থেকে শুরু করে জাতীয় পার্টি প্রত্যেকেই বলছে যে, ভারত বর্তমান সরকারকে ক্ষমতায় রেখেছে। যদিও এরকম অভিযোগকে আওয়ামী লীগ অস্বীকার করে এবং আওয়ামী লীগ মনে করে যে, জনগণের ভোটে তারা নির্বাচিত হয়েছে। কিন্তু ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়টি আওয়ামী লীগ বা বিজেপি কেউই অস্বীকার করে না।
এখন প্রশ্ন হল, যদি বিজেপি পরাজিত হয়, ইন্ডিয়া জোট ক্ষমতায় আসে তাহলে বাংলাদেশের সমীকরণ কী হবে? কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন যে, বর্তমান সরকারের জন্য সমীকরণের কোন পরিবর্তন হবে না। কারণ ইন্ডিয়া জোটের সঙ্গেও আওয়ামী লীগ সরকারের একটি সুসম্পর্ক রয়েছে। ইতোমধ্যে ইন্ডিয়া জোটের প্রধান দল কংগ্রেস তাদের নির্বাচনী ইশতেহারে বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের বার্তা দিয়েছে।
অনেকে মনে করেন যে, এখন ভারতে কট্টর হিন্দুত্ববাদী মনোভাবের কারণে সীমান্তে অস্থিরতা তৈরি হচ্ছে। মুসলিম বিদ্বেষী বক্তব্য রাখা হচ্ছে। যার ফলে বাংলাদেশের মধ্যে একটা ভারতবিরোধী মনোভাব তৈরি হচ্ছে। শেষ পর্যন্ত যদি নরেন্দ্র মোদি তাহলে এই অবস্থানের পরিবর্তন হবে। দুই দেশের সম্পর্ক আরও বিকশিত হবে বলেও মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
ভারত লোকসভা নির্বাচন মল্লিকার্জুন খাড়গে নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ
মন্তব্য করুন
ভারতের লোকসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সাত ধাপে অনুষ্ঠিতব্য এই নির্বাচনের প্রথম পর্যায়ের ভোট হয় ১৯ এপ্রিল এবং সেখানে ১০২টি নির্বাচনী এলাকায় ভোট অনুষ্ঠিত হয়। দ্বিতীয় দফায় ২৬ এপ্রিল ৮৯টি নির্বাচনী এলাকায় ভোট অনুষ্ঠিত হয়েছে। চতুর্থ দফায় ভোট হবে ৭ মে। সেখানে ৯৪টি আসনে ভোটগ্রহণ হবে এবং সপ্তম দফায় ভোট অনুষ্ঠিত হবে পয়লা জুন। আর ৪ জুন নির্বাচনের ফলাফল জানা যাবে।