নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১২:০৪ পিএম, ২৭ ডিসেম্বর, ২০২০
দেশের বিমান বহরে যোগ হল আরও একটি অত্যাধুনিক ড্যাশ কিউ-৮-৪০০ সিরিজের বিমান। রোববার গণভবন থেকে ভার্চুয়্যাল কনফারেন্সের মাধ্যমে ‘ধ্রুবতারা’ নামের বিমানটি উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেসময় তিনি উল্লেখ করে জানান, বিমান খাতে দেশের যোগাযোগ বৃদ্ধির জন্যই অত্যাধুনিক বিমান নিজেদের বহরে যোগ করছে সরকার যা বিগত কোন সরকার করে নাই।
রোববার বেলা ১১টার দিকে সর্বাধুনিক প্রযুক্তি সংবলিত ড্যাশ ৮-৪০০ মডেলের নতুন প্লেন ধ্রুবতারার উদ্বোধন করেন তিনি। এটি নিয়ে বিমানের বহরে উড়োজাহাজের সংখ্যা এখন বেড়ে দাঁড়াল ১৯টি। গণভবন থেকে ভার্চুয়্যাল কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত হয়ে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ভিভিআইপি টার্মিনালে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অংশ নেন প্রধানমন্ত্রী। একই অনুষ্ঠানে আরও বেশ কিছু উন্নয়ন প্রকল্প উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। প্রকল্পগুলো হলো- ২০টি ফায়ার স্টেশন, ৬টি আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস, ১টি কেন্দ্রীয় নারী কারাগার ও একটি এলপিজি স্টেশন।
দেশের আভ্যন্তরীণ ও আর্ন্তজাতিক যোগাযোগের উন্নয়নে বিমান খাতে সরকার সবসময় গুরাত্বারোপ করে আসছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২১ বছর স্বাধীনতা বিরোধীরা ক্ষমতায় ছিল অথচ বিমান খাতে তারা কোন উন্নয়ন করেনি। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর অত্যাধুনিক ড্রিমলাইনারসহ বেশ কয়েকটি আধুনিক বিমান আমাদের বহরে যুক্ত হয়েছে।
বিমানবন্দরের আধুনিকায়নেও কাজ করছে সরকার বলে জানান তিনি। উল্লেখ করেন কক্সবাজার, রাহশাহী বিমানবন্দরসহ শাহজালাল বিমান বন্দরের ৩য় টার্মিনালের উন্নয়ন কার্যক্রমের।
উল্লেখ্য যে, ধ্রুবতারাসহ বিমানের উড়োজাহাজ বহরে ইতোমধ্যে যুক্ত হওয়া প্রতিটি উড়োজাহাজের নামকরণ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তর থেকে, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরের ভিআইপি লাউন্জ থেকে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী ভিডিও কনফারেন্সে বক্তব্য দেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন প্রধানমন্ত্রীর মূখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস।
৭৪ আসনবিশিষ্ট কানাডার প্রখ্যাত নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ডি হ্যাভিল্যান্ড নির্মিত ড্যাশ ৮-৪০০ উড়োজাহাজটি পরিবেশবান্ধব ও অত্যাধুনিক সুযোগ-সুবিধা সমৃদ্ধ। এ উড়োজাহাজের এইইপিএ (হাই-ইফিশিয়েন্সি পার্টিকুলেট এয়ার) ফিল্টার প্রযুক্তি মাত্র ৪ মিনিটেই ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাসসহ অন্য জীবাণু ধ্বংসের মাধ্যমে উড়োজাহাজের অভ্যন্তরের বাতাসকে করে সম্পূর্ণ বিশুদ্ধ, যা যাত্রীদের করবে অধিকতর সতেজ ও নিরাপদ। এ ছাড়া এ উড়োজাহাজে রয়েছে পর্যাপ্ত লেগস্পেস, এলইডি লাইটিং ও প্রশস্ত জানালা, যে কারণে ভ্রমণ হয়ে উঠবে অধিক আরামদায়ক।
বাংলাদেশ ও কানাডা সরকারের মধ্যে জি-টু-জি ভিত্তিতে কেনা ৩টি উড়োজাহাজের মধ্যে দ্বিতীয় ও তৃতীয় ড্যাশ ৮-৪০০ উড়োজাহাজ দুটি যথাক্রমে আগামী জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারিতে বিমান বহরে যুক্ত হবে। নতুন উড়োজাহাজ বহরে সংযোজনের মাধ্যমে অভ্যন্তরীণ ও স্বল্প দূরত্বের আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক গন্তব্যসমূহে বিমানের সাপ্তাহিক ফ্রিকোয়েন্সি বৃদ্ধি করা হবে।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান তাপদাহ শিক্ষা মন্ত্রণালয়
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
ভারতের লোকসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সাত ধাপে অনুষ্ঠিতব্য এই নির্বাচনের প্রথম পর্যায়ের ভোট হয় ১৯ এপ্রিল এবং সেখানে ১০২টি নির্বাচনী এলাকায় ভোট অনুষ্ঠিত হয়। দ্বিতীয় দফায় ২৬ এপ্রিল ৮৯টি নির্বাচনী এলাকায় ভোট অনুষ্ঠিত হয়েছে। চতুর্থ দফায় ভোট হবে ৭ মে। সেখানে ৯৪টি আসনে ভোটগ্রহণ হবে এবং সপ্তম দফায় ভোট অনুষ্ঠিত হবে পয়লা জুন। আর ৪ জুন নির্বাচনের ফলাফল জানা যাবে।
প্রথম দুই দফা ভোটের যে হার, তাতে বিজেপির মধ্যে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। বিজেপির নেতারা ভোটে যে ভূমিধস বিজয় আশা করছিলেন সেটি হবে না। ভারতের কোন কোন গণমাধ্যমগুলো ভোটের ফলাফলে নাটকীয় ঘটনা ঘটারও ইঙ্গিত দিচ্ছে। বিশেষ করে ২০০৪ সালের নির্বাচনে যেভাবে কংগ্রেস অটলবিহারী বাজপেয়ীর নেতৃত্বে বিজেপিকে ধরাশায়ী করেছিল সেরকম কোন ঘটনা ঘটতেও পারে বলে মনে আশঙ্কা করছেন অনেকে। অবশ্য এখনও আরও পাঁচ দফা ভোট বাকি আছে এবং বিজেপি আশা করছে যে, পরবর্তী ধাপগুলোতে ভোটার উপস্থিতি বাড়বে এবং বিজেপি তাদের জয়ের ধারা অক্ষুণ্ণ রাখবে। নরেন্দ্র মোদি ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে দেওয়ার জন্য বারবার আহ্বান জানাচ্ছেন।
ভারতের নির্বাচনের ফলাফল কী হবে তা বোঝা যাবে আগামী ৪ জুন। কিন্তু এখন পর্যন্ত যে ভোটের হাওয়া লক্ষ্য করা যাচ্ছে তাতে এটা স্পষ্ট যে, ভোটের আগে নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন বিজেপি জোটের যে নিরঙ্কুশ বিজয়ের ধারণা করা হয়েছিল, সেটি বাস্তবতা নাও পেতে পারে। আর এ কারণেই মোদী যদি শেষ পর্যন্ত পরাজিত হন, তাহলে সেটি হবে ভারতের রাজনৈতিক ইতিহাসে একটি বড় ব্যতিক্রমী ঘটনা এবং এটি হবে ভারতের নির্বাচনের সবচেয়ে বড় চমক।
এখন যখন ভারতের নির্বাচনে একটি হাড্ডাহাড্ডি লড়াই বা অনিশ্চয়তার ফলাফলের শঙ্কা জেগেছে তখন প্রশ্ন উঠছে যে, বিজেপি যদি এই নির্বাচনে পরাজিত হয় তাহলে বাংলাদেশে কী হবে? গত দুটি নির্বাচনে ভারতের বিজেপি সরকার বাংলাদেশকে নিরঙ্কুশভাবে সমর্থন দিয়েছে। ২০১৮ এবং ২০২৪ এর নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সরকারের প্রতি অকুণ্ঠ সমর্থন জানিয়েছে বিজেপি সরকার।
বিশেষ করে ২০২৪ এর নির্বাচনে ভারতীয় সরকারের পরিপূর্ণ সমর্থন ছাড়া মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এই নির্বাচনে ব্যাপক প্রভাব বিস্তার করত এবং এই নির্বাচনকে অস্বীকৃতি জানাত বলেও অনেকে মনে করেন। মার্কিন মনোভাব পাল্টানোর ক্ষেত্রে ভারত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। আর নির্বাচনের পর বিএনপি থেকে শুরু করে জাতীয় পার্টি প্রত্যেকেই বলছে যে, ভারত বর্তমান সরকারকে ক্ষমতায় রেখেছে। যদিও এরকম অভিযোগকে আওয়ামী লীগ অস্বীকার করে এবং আওয়ামী লীগ মনে করে যে, জনগণের ভোটে তারা নির্বাচিত হয়েছে। কিন্তু ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়টি আওয়ামী লীগ বা বিজেপি কেউই অস্বীকার করে না।
এখন প্রশ্ন হল, যদি বিজেপি পরাজিত হয়, ইন্ডিয়া জোট ক্ষমতায় আসে তাহলে বাংলাদেশের সমীকরণ কী হবে? কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন যে, বর্তমান সরকারের জন্য সমীকরণের কোন পরিবর্তন হবে না। কারণ ইন্ডিয়া জোটের সঙ্গেও আওয়ামী লীগ সরকারের একটি সুসম্পর্ক রয়েছে। ইতোমধ্যে ইন্ডিয়া জোটের প্রধান দল কংগ্রেস তাদের নির্বাচনী ইশতেহারে বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের বার্তা দিয়েছে।
অনেকে মনে করেন যে, এখন ভারতে কট্টর হিন্দুত্ববাদী মনোভাবের কারণে সীমান্তে অস্থিরতা তৈরি হচ্ছে। মুসলিম বিদ্বেষী বক্তব্য রাখা হচ্ছে। যার ফলে বাংলাদেশের মধ্যে একটা ভারতবিরোধী মনোভাব তৈরি হচ্ছে। শেষ পর্যন্ত যদি নরেন্দ্র মোদি তাহলে এই অবস্থানের পরিবর্তন হবে। দুই দেশের সম্পর্ক আরও বিকশিত হবে বলেও মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
ভারত লোকসভা নির্বাচন মল্লিকার্জুন খাড়গে নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ
মন্তব্য করুন
ভারতের লোকসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সাত ধাপে অনুষ্ঠিতব্য এই নির্বাচনের প্রথম পর্যায়ের ভোট হয় ১৯ এপ্রিল এবং সেখানে ১০২টি নির্বাচনী এলাকায় ভোট অনুষ্ঠিত হয়। দ্বিতীয় দফায় ২৬ এপ্রিল ৮৯টি নির্বাচনী এলাকায় ভোট অনুষ্ঠিত হয়েছে। চতুর্থ দফায় ভোট হবে ৭ মে। সেখানে ৯৪টি আসনে ভোটগ্রহণ হবে এবং সপ্তম দফায় ভোট অনুষ্ঠিত হবে পয়লা জুন। আর ৪ জুন নির্বাচনের ফলাফল জানা যাবে।