নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:০০ পিএম, ১০ জানুয়ারী, ২০২১
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার মন্ত্রীসভার সদস্যদের সম্পর্কে ৫ ধরনের তথ্য সংগ্রহ করেছেন। দুই বছরে মন্ত্রীদের কাজের মূল্যায়নের অংশ হিসেবেই এই তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে বলে জানা গেছে। সরকারের একাধিক সূত্র মনে করছে, প্রধানমন্ত্রীর এই তথ্য সংগ্রহ মন্ত্রীসভার রদবদলের ইঙ্গিত। অযোগ্য এবং দায়িত্ব পালনে ব্যর্থদের বাদ দেয়ার জন্যই প্রধানমন্ত্রী এই তথ্য সংগ্রহ করেছেন। অন্য একটি সূত্র বলছে, রদবল নয় বরং মন্ত্রীদের ভুলত্রুটি গুলো শুধরে দিতেই প্রধানমন্ত্রী এই তথ্য সংগ্রহ করেছেন।
সরকারের একাধিক সূত্র বলছে, বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা, মন্ত্রণালয় এবং প্রধানমন্ত্রীর নিজস্ব টিমের উদ্যোগে বর্তমান মন্ত্রীসভার সদস্যদের ব্যাপারে ৫ রকম তথ্য সংগ্রহ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। যেসব বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে সেগুলো হলো:
১. মন্ত্রণালয়ে উপস্থিতি : গত দুবছর মন্ত্রী/প্রতিমন্ত্রী/উপমন্ত্রীরা মন্ত্রণালয়ে কতক্ষন ছিলেন। দপ্তরে নিয়মিত যেতেন কিনা। করোনা পরিস্থিতির সময়ে দাপ্তরিক দায়িত্ব কিভাবে পালন করেছেন।
২. ফাইল নিস্পত্তি : মন্ত্রীরা কিভাবে ফাইল নিস্পত্তি করেছেন। ফাইল কি দ্রুত নিস্পত্তি করেছেন, না তা যৌক্তিক সময়ের চেয়ে বেশী আটকে রেখেছেন। সিদ্ধান্ত কিভাবে দিয়েছেন।
৩. বিতর্কিত কর্মকান্ডে : মন্ত্রী হিসেবে গত দুই বছরে কোন বিতর্কিত কর্মকান্ডে জড়িত হয়ে পরেছিলেন কিনা।
৪. আর্থিক দুর্নীতি : বিগত দুই বছর মন্ত্রীর বিরুদ্ধে আর্থিক দুর্নীতির কোন অভিযোগ উত্থাপিত হয়েছে কিনা। এরকম অভিযোগ থাকলে, তার সত্যতা কতটুক।
৫. মন্ত্রণালয়ের সংগে সম্পর্ক : মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সাথে মন্ত্রী/প্রতিমন্ত্রী/উপমন্ত্রীদের সম্পর্ক কেমন। মন্ত্রী কি মন্ত্রণালয়ে সকলকে নিয়ে কাজ করেন নাকি, সবার সংগে তার দূরত্ব আছে।
জানা গেছে, প্রত্যেক মন্ত্রী সম্পর্কে এই পাঁচ তথ্য ছক আকারে প্রধানমন্ত্রীর কাছে প্রেরিত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী তথ্যগুলো বিচার বিশ্লেষন করছেন। এর ভিত্তিতে তিনি কি করবেন, সে সম্পর্কে কেউ নিশ্চিত নয়। অনেক দিন ধরেই মন্ত্রীসভায় বড় ধরনের রদবদলের গুঞ্জন চলছে। কিন্তু মন্ত্রীসভা রদবদলের নানা মুখী আলোচনার পর গত দুবছরে ছোট খাট কিছু পরিবর্তন ছাড়া বড় ধরনের রদবদল হয়নি। সংবিধান অনুযায়ী মন্ত্রীসভার রদবদল প্রধানমন্ত্রীর একক এখতিয়ার। সংশ্লিষ্ট মহল মনে করেন, একজন মন্ত্রীর পারফরমেন্স মূল্যায়নে দুবছর যথেষ্ট সময়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী কি করবেন, তা একান্তই তার সিদ্ধান্তের বিষয়।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
বিমানবন্দর বিমান ও পর্যটন মন্ত্রী জাতীয় সংসদ
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
অতিরিক্ত গরমে মাথা ঘোরানো, দুশ্চিন্তা, স্ট্রোক, মুখের ভেতর শুকিয়ে যাওয়া, অ্যাজমা, মাংসপেশিতে খিঁচুনি, চামড়ায় ফুসকুড়ি, কিডনি অকার্যকর হওয়ার মতো অসুস্থতা দেখা দিতে পারে। এ ধরনের গরমে বয়স্ক, শিশু, অন্তঃসত্ত্বা নারী, শ্রমজীবী মানুষেরা সবচেয়ে বেশি ঝুঁকির মধ্যে রয়েছেন। তাই তাপপ্রবাহ থেকে সুরক্ষার জন্য কী কী করতে হবে, তা জানিয়ে প্রথমবারের মতো জাতীয় গাইডলাইন বা নির্দেশিকা প্রকাশ করেছে সরকার।