নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:৫৮ পিএম, ২০ জানুয়ারী, ২০২১
বেগম খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে প্রয়াত আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী সৈয়দা শর্মিলা রহমান সিঁথি ফের বিয়ের পিঁড়িতে বসতে যাচ্ছেন। লন্ডনে বিএনপির একাধিক শীর্ষ নেতা এই তথ্য জানিয়ে বলেছেন, ‘ডিসেম্বরেই বিয়ে হবার কথা ছিলো, কিন্তু লন্ডন জুড়ে করোনার প্রকোপ তীব্র হওয়ার প্রেক্ষিতে বিয়ে পিছিয়ে গেছে।’ স্বামী আরাফাত রহমান কোকোর মৃত্যুর পর মালয়েশিয়া থেকে যুক্তরাজ্যে পাড়ি জমান সিঁথি। সেখানে দুই সন্তানকে নিয়ে বসবাস করছেন। প্রথমে তারেক জিয়ার কাছাকাছি বসবাস করলেও এখন পশ্চিম লন্ডনে চলে গেছেন। সিঁথি যাকে বিয়ে করছেন, তিনি লন্ডনে রেস্টুরেন্ট ব্যবসায়ী বাংলাদেশী। বিএনপির একজন ডোনার। বেগম জিয়ার সঙ্গেও তার ঘনিষ্ঠতা রয়েছে। গত বছরের শুরুতে সিঁথির সাথে ঐ ব্যবসায়ীর পরিচয় হয়। সিঁথিকে নিয়মিত আর্থিক সহায়তা করেন ঐ ব্যবসায়ী।
আরাফাত রহমান কোকো বাংলাদেশে দুটি মামলায় দণ্ডিত হয়ে মালয়েশিয়ায় স্বপরিবারে আশ্রয় নিয়েছিলেন। সেখানে রহস্যজনক ভাবে তার মৃত্যু হয়। এরপর সিঁথি আর মালয়েশিয়া থাকেন নি। লন্ডনে পাড়ি জমান। জানা গেছে, প্রথম দিকে বেগম জিয়াই লন্ডনে সিঁথির যাবতীয় খরচ বহন করতেন। কিন্তু বেগম জিয়া গ্রেপ্তার হবার পর এই অর্থ সহায়তা বন্ধ হয়ে যায়। এসময় কোকোর বড় ভাই তারেক জিয়া কিছুদিন কোকোর পরিবারের দেখভাল করতেন। কিন্তু তাও বন্ধ হয়ে যায়। সৌদী আরবে অবস্থানরত বেগম জিয়ার ঘনিষ্ঠ এক সাবেক বিএনপি নেতা নিয়মিত কোকোকে টাকা পাঠান। কিন্তু নানা জটিলতায় সেটিও অনিয়মিত হয়ে গেছে।
সৈয়দা শর্মিলা রহমান সবচেয়ে বেশী আলোচনায় আসেন বেগম জিয়া গ্রেপ্তার হবার পর। এসময় তিনি একাধিকবার ঢাকায় আসেন। কারাগারে বেগম জিয়াকে দেখতে যান। এরফলে বিএনপির রাজনীতিতে তার প্রভাব বাড়ে। আর এর অনিবার্য পরিণতি হিসেবে তারেকের সঙ্গে দ্বন্দ্ব শুরু হয় সিঁথির। এসময় বেগম জিয়া সিঁথির পক্ষ নিয়েছিলেন বলেও জানা যায়। লন্ডনের বিএনপির অন্তত দুজন নেতা বলেছেন, সাম্প্রতিক সময়ে অর্থকষ্টে ভুগছিলেন শর্মিলা রহমান সিঁথি। আর এই সূত্রেই ঐ ব্যবসায়ী এগিয়ে আসেন। একটি সূত্র বলছে, সিঁথির বিয়েতে বেগম জিয়ার সম্মতি রয়েছে। কিন্তু এ সম্পর্কে নিশ্চিত তথ্য পাওয়া যায়নি।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচনের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে প্রথম পর্যায়ের উপজেলা নির্বাচনের প্রস্তুতি চূড়ান্ত। ১৫০টি উপজেলায় এখন জনগণ ভোটের অপেক্ষায়। দ্বিতীয় পর্যায়ে ১৫৯টি উপজেলায় মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের দিন গতকাল শেষ হয়েছে। সেখানেও এখন নির্বাচনী প্রচারণার ডামাডোল শুরু হয়েছে। কিন্তু উপজেলা নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ হবে কি না, উপজেলা নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি বাড়বে কি না এবং উপজেলা নির্বাচন শান্তিপূর্ণ হবে কি না তা নিয়ে একদিকে যেমন জনগণের সংকট রয়েছে তেমনই নির্বাচন কমিশনও এই বিষয়টি নিয়ে চিন্তিত।
লক্ষ্মীপুর সদরের তেওয়ারীগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন ২৮ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পরপরই হামলার শিকার হয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, নেপথ্যে নির্বাচনে কারচুপি ও অনিয়মের অভিযোগ। এঘটনায় চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্ধিতাকারী দুই প্রার্থীকে পুলিশ হেফাজতে নিয়ে ১১ জনের নাম উল্লেখসহ ৯১১ জনের বিরুদ্ধে দুইটি মামলাও দায়ের করেন। ফলে নির্বাচনের পর আনন্দের বদলে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে ওই ইউনিয়নে।