নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১০:০০ পিএম, ১২ ফেব্রুয়ারী, ২০২১
বাংলাদেশ বিরোধী অপপ্রচারে নেমেছে একটি সংঘবদ্ধ চক্র। আল জাজিরা যেমন বাংলাদেশকে উদ্দেশ্য করে এবং বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী সহ দেশের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের উদ্দেশ্য করে ‘অল দ্যা প্রাইম মিনিস্টারস ম্যান’ নামক তথ্যচিত্র প্রকাশ করেছিল ঠিক তেমনি বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনী এবং প্রধানমন্ত্রীকে জড়িয়ে অসত্য এবং বানোয়াট তথ্য দিয়ে আরো একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে দ্য ইকোনমিস্ট। দ্য ইকোনমিস্টের ১৩ ফেব্রুয়ারির সংখ্যায় এ প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়। এই সংঘবদ্ধ চক্রটি দেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি ও সংগঠনকে টার্গেট করে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ধরনের অসত্য সংবাদ প্রকাশ করে যাচ্ছে যা একেবারেই ভিত্তিহীন। এর সঙ্গে জড়িত রয়েছে দেশি বিদেশি ষড়যন্ত্রকারীরা। যারা দেশের ভাবমূর্তি বিশ্বের দরবারে ক্ষুন্ন করার পায়তারায় নেমেছে। আর সেই ষড়যন্ত্রেরই আর একটি অংশ হলো বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনীকে জড়িয়ে ইকোনমিস্টের এই প্রতিবেদন।
প্রতিবেদনে তারা কাতারভিত্তিক টেলিভিশন চ্যানেল আল জাজিরার প্রতিবেদনের উদ্ধৃতি দিয়ে উল্লেখ করেছে, হত্যার দায়ে সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদের পলাতক দুই ভাইকে সেনাপ্রধান শুধু লুকিয়ে থাকতে সহযোগীতাই করেনি বরং তাদের বিভিন্নভাবে সহযোগীতা করেছে, আর এ ঘটনার কোনো তদন্ত বাংলাদেশ সরকার করে নি। এমনকি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেনাপ্রধানের এই দুই পলাতক ভাইদের সম্পর্কে অবহিত ছিলেন এবং এ বিষয়ে তিনি কোনো গুরুত্ব দেননি।
এই বানোয়াট প্রতিবেদনে তারা আরও উল্লেখ করেছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সশস্ত্র বাহিনীর সঙ্গে এক অদ্ভুত সম্পর্ক রয়েছে। ১৯৭৫ সালে একটি অভ্যুত্থানের মাধ্যমে তার পিতা বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমানসহ তার পরিবারের বেশিরভাগ মানুষকে হত্যা করা হয়েছিল, সেই সেনারাই তাকে প্রথম রাজনীতিতে নিয়ে এসেছিল। সেই থেকে এই হত্যাকাণ্ডের প্রতিশোধ নিতে তিনি সেনাবাহিনীর সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তোলার জন্য দু`টি পরস্পরবিরোধী প্রান্তকে অনুসরণ করেছিলেন, যাতে তাকে কেউ পরাজিত করতে না পারে।
এছাড়াও প্রতাবেদনটিতে বলা হয়, শেখ হাসিনার দল আওয়ামী লীগ তার প্রধান বিরোধী দল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) এর চেয়ে সশস্ত্র বাহিনীর মধ্যে কম জনপ্রিয় ছিল। কারণ সেনা অফিসার এবং যুদ্ধের নায়ক জিয়াউর রহমান বিএনপি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন এবং এখন তার নেতৃত্বে রয়েছেন তারই স্ত্রী খালেদা জিয়া। তবুও শেখ হাসিনা ২০০৯ সালে দ্বিতীয়বারে মতো ক্ষমতায় আসেন এবং তিনি ধীরে ধীরে সশস্ত্র বাহিনীতে বিএনপির সমর্থনকে মুছে ফেলেন এবং বর্তমান সেনাপ্রধান এবং আল জাজিরার প্রধান অভিযুক্ত আজিজ আহমেদের মতো অনুগতদের পদোন্নতি দিয়েছেন। একই সাথে, তিনি সশস্ত্র বাহিনীর বেতনও অনেকগুণে বৃদ্ধি করেছেন। সৈন্যদের নিকটাত্মীয়রা এখন সামরিক হাসপাতালে স্বাস্থ্যসেবা গ্রহণ করতে পারেন, যা দেশের সেরা হিসাবে বিবেচিত হয়। ২০১৫ সালে তিনি সশস্ত্র বাহিনীর পাশাপাশি সিভিল সার্ভিসের কর্মকর্তাদেরও দ্বিগুণ বেতন প্রদান করেছিলেন।
স্টকহোম ইন্টারন্যাশনাল পিস রিসার্চ ইনস্টিটিউটের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রতিরক্ষা ব্যয় নিয়ে সরকারের ব্যয় ২০০৮ থেকে ২০১৭ সালের মধ্যে ১২৩ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে, যদিও কোনও স্পষ্ট সামরিক হুমকি ছিল না। সেনাবাহিনী চাইনিজ ফাইটার জেট এবং ট্যাঙ্ক কিনেছে এবং বেশ কয়েকটি বড় নতুন ঘাঁটি তৈরি করেছে, যেমন দক্ষিণাঞ্চলীয় জেলা পটুয়াখালীতে ৬২০ হেক্টর জায়গার উপরে একটি, যেটি প্রধানমন্ত্রী ২০১৮ সালে উদ্বোধন করে বলে জানানো হয় প্রতিবেদনটিতে।
বানোয়াট এই প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকার প্রথম দশ বছরে সশস্ত্র বাহিনী তাদের ব্যবসায়িক স্বার্থও ব্যাপকভাবে প্রসারিত করেছে, এরমধ্যে রয়েছে বাংলাদেশ সেনা কল্যাণ ট্রাস্ট (এডাব্লিউটি) ও সেনা কল্যাণ সংস্থা (এসকেএস)। সৈন্য ও প্রবীণদের কল্যাণের জন্য এই দুটি প্রতিষ্ঠান সেনাবাহিনী থেকে প্রযুক্তিগতভাবে স্বতন্ত্র, তবে দায়িত্ব পালনকারী কর্মকর্তাদের দ্বারা পরিচালিত হয়। এর ওয়েবসাইট অনুসারে, একা এসকেএস এর ৬০ বিলিয়ন টাকার বেশি (৭০০ মিলিয়ন ডলার) এর সম্পদ রয়েছে। এডাব্লিউটি এর এ সম্পদের মধ্যে রয়েছে, বেশ কয়েকটি বিলাসবহুল হোটেল এবং একটি ফার্ম যারা জাতীয় নির্বাচনে যে ভোটদানের মেশিন ব্যবহার করা হয় সেগুলো তৈরি করে। চুক্তির জন্য কোনও দরপত্র ছিল না; পরিদর্শক দলগুলি এবং বিরোধী রাজনীতিকরা অভিযোগ করেছেন মেশিনগুলির নকশাই ভোট-কারচুপিকে সহজ করে তুলেছে।
সশস্ত্র বাহিনী সরকারের বিভিন্ন অবকাঠামো প্রকল্প পরিচালনা করে যাকে আল জাজিরার পক্ষ থেকে উদ্বেগজনক হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে প্রতিবেদনটিতে। উদাহরণস্বরূপ, প্রত্যন্ত দ্বীপে শরণার্থী শিবির তৈরি করতে নৌবাহিনী ৩০০ মিলিয়ন ডলার ব্যয় করেছিল। রাজধানী ঢাকার মূল বিমানবন্দর সম্প্রসারণের দায়িত্বে রয়েছে বিমান বাহিনী। সেনাবাহিনী হাইওয়ে নির্মাণ পরিচালনা করছে বলে এ প্রতিবেদনে প্রকাশ করা হয়।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, সিনিয়র অফিসারদের স্ব-সমৃদ্ধ করার জন্য স্পষ্ট সুযোগও দেওয়া হয়েছে, ঢাকায় জমি দেওয়া হয়েছে। তারা সকলেই এমন প্লট পান যার উপরে তারা সাত তলা পর্যন্ত একটি বিল্ডিং নির্মাণ করেন। তত্ত্বগতভাবে, এটি আবাসন ভাতার একটি রূপ; এর মাধ্যমে অফিসাররা কমপক্ষে কয়েকটি ফ্ল্যাট বিপুল টাকায় বিক্রি করে। অনেক চাকরিজীবী বা অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে ভালো সরকারি চাকরি দেওয়া হয়: উদাহরণস্বরূপ, জাতীয় বন্দর কর্তৃপক্ষের নেতৃত্বদানকারী সংস্থা বা চা চাষ নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা। এমনকি নিম্ন স্তরের কর্মচারিরা ভালো পারিশ্রমিক উপভোগ করে: সরকার তাদের শান্তিরক্ষা মিশনে মোতায়েন করে প্রতিটি বাংলাদেশি সৈন্যের জন্য প্রায় ১০,০০০ ডলার পাচ্ছে।
এই অসত্য প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়, এই প্রশ্রয় দেওয়া কাজ করেছে। যদিও সেনাবাহিনী তিনবার ক্ষমতা দখল করেছে এবং স্বাধীনতার পর থেকে ৫০ বছরের মধ্যে ১৫ বছর দেশ চালিয়েছে, কিন্তু এরা শেখ হাসিনাকে থাকতে দিয়েছে।
এই বানোয়াট প্রতিবেদনের ফলে এটি প্রমাণ হয় যে, দ্য ইকোনমিস্টের মতো আন্তর্জাতিক মানের গণমাধ্যমগুলো টাকার বিনিময়ে এবং সংঘবদ্ধ চক্রের এজেন্ডা বাস্তাবায়নের কাজে নেমেছে। তাদের প্রধান কাজই এখন হয়ে উঠেছে বাংলাদেশকে যেকোনােভাবে খাটো করা। কিন্তু বাংলাদেশের মানুষ এই ষড়যন্ত্রের ঘাের বিরোধী তা আল জাজিরার প্রতিবেদন প্রকাশের পরে মানুষের প্রতিক্রিয়াতেই বোঝা গিয়েছে। ফলে দ্য ইকোনমিস্টের এই দূরভিসন্ধিমূলক প্রতিবেদন মানুষ প্রত্যাখ্যান করবে।
মন্তব্য করুন
জয়পুরহাটের
আক্কেলপুরে তীব্র দাবদাহে হিট স্ট্রোকে বাবলু খন্দকার (৪৫) নামে এক ভ্যানচালকের মৃত্যু
হয়েছে। আজ সোমবার (২৯ এপ্রিল) সকালে উপজেলার গোপীনাথপুর বাজারে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত
ভ্যান চালক জেলার ক্ষেতলাল উপজেলার বড়াইল সরকারপাড়া গ্রামের শুকুর মাহমুদ খন্দকারের
ছেলে বলে জানা গেছে।
পুলিশ
ও স্থানীয়রা জানান, বিক্রির জন্য বাবলু খন্দকার ভ্যান যোগে কয়েক বস্তা আলু নিয়ে গোপীনাথপুর
হাটে যান। সেখানে আলুর বস্তা নামিয়ে রেখে চা খেতে দোকানে বসেন তিনি। এসময় হঠাৎ করে
বুকে ব্যাথা উঠলে ঘটনাস্থলেই মৃত্যুবরণ করেন তিনি।
আক্কেলপুর থানার ভারপ্রাপ্তে কর্মকর্তা নয়ন হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
মন্তব্য করুন
নওগাঁ সদর উপজেলায় কৃষি কাজে ব্যবহৃত একটি গভীর নলকূপ বন্ধ রাখা হয়েছে। পানির অভাবে এই সেচযন্ত্রের আশ পাশের প্রায় ১০০ বিঘা জমি অনাবাদি পড়ে আছে। সেচ সংকটের কারণে কিছু কৃষক ধানের আবাদ না করে জমিতে তিলের চাষ করেছেন। অনাবৃষ্টির কারণে তিলের গাছও মরে যেতে বসেছে।
সেচ নিয়ে কৃষকদের এমন দুরাবস্থা নওগাঁ পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের হাজীপাড়া, মাদ্রাসা পাড়া, সরদার পাড়া, শেখপুরা ও মন্ডলপাড়া এলাকায়।
কৃষকদের দাবি, পৌরসভার হাজীপাড়া মহল্লা সংলগ্ন মাঠে একটি গভীর নলকূপ রয়েছে। গভীর নলকূপটি মকবুল হোসেন ওরফে গ্যাদো নামের এক ব্যক্তি পরিচালনা করে থাকেন। ওই এলাকায় প্রায় ২০০ বিঘা জমি রয়েছে। চলতি বোরো মৌসুমের শুরুতে নলকূপটির মালিক মকবুল হোসেন কৃষকদের কাছ থেকে বোরো ধান আবাদের জন্য প্রতি বিঘা জমিতে সেচের জন্য ২ হাজার টাকা করে দাবি করেন। আশপাশের অন্যান্য নলকূপের সেচ খরচের তুলনায় বেশি টাকা দাবি করায় কৃষকেরা ওই পরিমান টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানায়। চাহিদা অনুযায়ী সেচ খরচ দিতে রাজি না হওয়ায় সেচযন্ত্রটি বন্ধ রেখেছেন গভীর নলকূপের মালিক মকবুল হোসেন। এ নিয়ে জেলা প্রশাসন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও), উপজেলা কৃষি কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরে অভিযোগ দাখিল করেও কৃষকেরা কোনো প্রতিকার পাচ্ছেন না।
গত ১৯ মার্চ ৬০ জন কৃষক স্বাক্ষরিত ওই লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, নওগাঁ পৌরসভার হাজীপাড়া, সরদারপাড়া ও মাদ্রাসাপাড়া মহল্লার মধ্যবর্তী মাঠে প্রায় ৩০০ বিঘা ফসলি জমি আছে। এসব জমিতে প্রতি মৌসুমে কয়েক হাজার মণ ধান হয়। বোরো মৌসুমে ওই এলাকার কৃষকদের কথা মাথায় রেখে বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ ওই মাঠে দুটি গভীর নলকূপ স্থাপন করে দিয়েছে। ওই দুটি সেচ যন্ত্রের মধ্যে মকবুল হোসেন পরিচালিত গভীর নলকূপের অধীনে প্রায় ১৫০ বিঘা জমিতে চাষাবাদ হয়ে থাকে। বিগত তিন বছর ধরে মকবুল হোসেনের ছেলে সবুজ কৃষকদের জিম্মি করে সেচ বাবদ বেশি টাকা আদায় করছে।
পার্শ্ববর্তী বোয়ালিয়া, শেখপুরা এলাকায় গভীর নলকূপ থেকে প্রতি বিঘা জমিতে সেচ খরচ বাবদ যেখানে ১ হাজার ৪০০ থেকে ১ হাজার ৬০০ টাকা করে আদায় করা হচ্ছে, সেখানে সবুজ তার সেচযন্ত্র থেকে সেচ খরচ দাবি করে ২ হাজার টাকা।
অধিকাংশ কৃষক এই পরিমাণ টাকা দিতে রাজি না হওয়ায় মকবুল হোসেনের ছেলে সবুজ সেচ যন্ত্রটি থেকে পানি তোলা বন্ধ করে দেন। ধানের বীজ তলায় সেচ দিতে না পারায় কৃষকদের চারা নষ্ট হয়ে যায়। জমিতে ধান লাগাতে না পেরে অনেক কৃষক জমিতে তিলের চাষ করেছেন। কিন্তু দীর্ঘ অনাবৃষ্টির কারণে এবং সেচ যন্ত্র বন্ধ থাকায় অধিকাংশ তিল গাছ মরে যেতে বসেছে। এই দূরাবস্থা নিরসনে জেলা ও উপজেলা সেচ কমিটিসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন কৃষকেরা।
সোমবার (২৯ এপ্রিল) পৌরসভার হাজীপাড়া সংলগ্ন ওই ফসলি মাঠে গিয়ে দেখা যায়, ওই মাঠে অনেক জমি অনাবাদি পড়ে আছে। কিছু জমিতে তিলের চাষ করা হয়েছে। কিন্তু পানির অভাবে অনাবাদি জমি ও তিলের খেতের জমি শুকিয়ে আছে। পানির অভাবে শুকনো মাটিতে বপন করা তিল বীজ থেকে চারা গজায়নি। আবার কিছু কিছু জমিতে চারা গজালেও পানির অভাবে তিলের গাছগুলোর পাতা শুকিয়ে লালচে হয়ে মরতে বসেছে।
কৃষকদের অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে সেচ যন্ত্রের মালিক মকবুল হোসেন ওরফে গ্যাদো বলেন, ‘একটা মৌসুমে একটা ডিপ টিউবওয়েল চালালে তিন থেকে চার লাখ টাকা বিদ্যুৎ বিল আসে। এছাড়া ট্রান্সফরমার বা সেচ যন্ত্রের অন্য কোনো অংশ নষ্ট হয়ে গেলেও বাড়তি খরচ হয়ে যায়। মেশিন চালাতে যে খরচ হবে, সেটা তুলতে না পারলে লোকসান গুনতে হবে। তাই পানি তোলা বন্ধ রেখেছি।’
সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা সেচ কমিটির সভাপতি এস এম রবিন শীষ বলেন, ‘বেশ কিছু দিন আগে এ ধরণের একটি অভিযোগ পেয়েছিলাম। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তাকে সম্ভবত এ বিষয়ে তদন্ত করতে বলেছিলাম। কৃষকদের ক্ষতির হাত থেকে বাঁচাতে সেচ যন্ত্রটি চালু করার জন্য দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরের বাসিন্দা ইতালি প্রবাসী বাচ্চু শেখ অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে পড়ে মারা যান ৩ বছর আগে। সেই মামলার রহস্যের জট খুলেছে ৩ বছর পর। আসামী আমির হোসেন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে ঘটনার সত্যতা প্রকাশ করেছে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পিবিআই-এর এসআই ফিরোজ আহমেদ জানান, বিগত ২০২১ সালের ৯ মার্চ ইতালি প্রবাসী বাচ্চু শেখ হানিফ এন্টারপ্রাইজের একটি বাসে করে তার গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার তপারকান্দি গ্রামে আসছিলেন। পথিমধ্যে অজ্ঞান পার্টির সদস্য আমির হোসেন ও তার দলবল কায়দা করে ভিকটিমের সাথে ভাব জমিয়ে তাকে বিস্কুটের সাথে নেশাজাতীয় দ্রব্য মিশিয়ে খ্ইায়ে দেয় এবং তার কাছে থাকা মালামাল নিয়ে যায়। এতে সে মারাত্মক অসুস্থ হয়ে পড়লে বাসের হেলপার তার স্ত্রীকে ফোন দিয়ে ছাগলছিড়া এলাকায় তাকে বুঝে দিয়ে বরিশালের দিকে বাস চলে যায়।
পরে
মারাত্মক অসুস্থ অবস্থায় বাচ্চু শেখকে প্রথমে মাদারীপুরের রাজৈর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় মৃত বাচ্চু শেখের স্ত্রী মুকসুদপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। দীর্ঘ তদন্ত শেষে গোপালগঞ্জ পিবিআই মূল অভিযুক্ত আমির হোসেনকে গ্রেপ্তার করে জিজ্ঞাসাবাদে প্রকৃত ঘটনা বেরিয়ে আসে এবং সে আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে বলে গোপালগঞ্জের পিবিআই-এর পুলিশ সুপার আবুল কালাম আজাদ এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছেন।
মন্তব্য করুন
নওগাঁয় ২০২৩-২৪ অর্থ বছরে খরিপ মৌসুমে উফশী আউশ, পাট ও গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রান্তিক ও ক্ষুদ্র কৃষকের মাঝে বিনামূল্যে বীজ ও সার বিতরণ করা হয়েছে।
এসময় নওগাঁ সদর উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী কর্মকর্তা শওকত মেহেদী সেতু’র সভাপতিত্বে সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মনিরুল ইসলাম বক্তব্য রাখেন। এসময় নওগাঁ সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা মাহবুবুল হক কমল ও সাধারণ সম্পাদক মুক্তিযোদ্ধা রেজাউল করিম এবং পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নাসিম আহমেদ সহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রণোদনার অংশ হিসেবে মোট ৭ হাজার ১৫০ জন কৃষকের মাঝে বীজ ও সার বিতরণ করা হয়। এর মধ্যে প্রতি বিঘা ফসলের জন্য উফশী আউশ ৬ হাজার ৬৭০ জনকে ৫ কেজি বীজ, ডিএপি ১০ কেজি ও এমওপি ১০ কেজি। এছাড়া ২৩০ জনের প্রত্যেককে এক কেজি করে পাট বীজ এবং গ্রীষ্মকালিন ২৫০ জন কৃষককে পেয়াঁজ চাষে এক কেজি বীজ, ডিএপি ২০ কেজি এবং এমওপি ২০ কেজি দেয়া হয়।
মন্তব্য করুন