নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:১৮ এএম, ১৪ ফেব্রুয়ারী, ২০২১
আজ রোববার (১৪ ফেব্রুয়ারি) চতুর্থ ধাপে দেশের ৫৬টি পৌরসভার ভোটগ্রহণ চলছে। সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়ে বিরতিহীনভাবে ভোটগ্রহণ চলবে বিকাল ৪টা পর্যন্ত। এই দফায় ২৫ পৌরসভায় ইভিএমে ভোট নেওয়া হবে। বাকি পৌরসভায় ভোটগ্রহণ হবে ব্যালটের মাধ্যমে। ইতিমধ্যে নির্বাচন অবাধ ও নিরপেক্ষ করার লক্ষ্যে নির্বাচন কমিশনের তরফ থেকে সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। এ ছাড়া আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের রাখতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে আগেই প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে।
৫৬ পৌরসভা হলো- পটুয়াখালীর কলাপাড়া (ইভিএম), চুয়াডাঙ্গার জীবননগর (ব্যালট), আলমডাঙ্গা (ইভিএম), ফেনীর পরশুরাম (ইভিএম), চাঁদপুরের কচুয়া (ইভিএম), ফরিদগঞ্জ (ব্যালট), মাদারীপুরের কালকিনি (ইভিএম), নেত্রকোনা সদর (ইভিএম), যশোরের চৌগাছা (ইভিএম), বাঘারপাড়া (ব্যালট), রাঙ্গামাটি সদর (ইভিএম), মুন্সীগঞ্জের মিরকাদিম (ইভিএম), শরীয়তপুর ডামুড্যা (ব্যালট), জামালপুরের মেলান্দহ (ব্যালট), ময়মনসিংহের ফুলপুর (ইভিএম) জয়পুরহাটের আক্কেলপুর (ইভিএম), কালাই (ব্যালট), নোয়াখালীর চাটখিল (ইভিএম), ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া (ইভিএম), লক্ষ্মীপুরের রামগতি (ইভিএম)।
ঠাকুরগাঁও সদর (ইভিএম), রাণীশংকৈল (ব্যালট), রাজশাহীর নওহাটা (ব্যালট), গোদাগাড়ী (ইভিএম), তাহেরপুর (ব্যালট), লালমনিরহাট সদর (ইভিএম), পাটগ্রাম (ব্যালট), নরসিংদী সদর (ব্যালট), মাধবদী (ইভিএম), রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ (ব্যালট), রাজবাড়ী সদর (ইভিএম), বরিশালের মুলাদী (ইভিএম), বানারীপাড়া (ব্যালট), শেরপুর সদর (ইভিএম) শ্রীবরদী (ব্যালট), চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ (ইভিএম), নাটোরের বড়াইগ্রাম (ব্যালট) ও সদর (ব্যালট)।
খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গা (ব্যালট), বান্দরবান সদর ( ইভিএম), বাগেরহাট সদর (ইভিএম), সাতক্ষীরা সদর (ইভিএম), হবিগঞ্জের চুনারুঘাট (ইভিএম), কুমিল্লার হোমনা (ইভিএম) ও দাউদকান্দি (ইভিএম), চট্টগ্রামের সাতকানিয়া ( ইভিএম), পটিয়া (ইভিএম) ও চন্দনাইশ (ব্যালট), কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর (ইভিএম), হোসেনপুর (ব্যালট), করিমগঞ্জ (ব্যালট), টাঙ্গাইলের গোপালপুর (ইভিএম), কালিহাতী (ব্যালট),ফরিদপুরের নগরকান্দা (ব্যালট) এবং সিলেটের কানাইঘাট (ব্যালট)।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
৭ জানুয়ারি নির্বাচনের পর আওয়ামী লীগ সরকার একটা স্বস্তিদায়ক অবস্থায় ছিল রাজনৈতিক দিক থেকে। রাজনৈতিকভাবে যারা নির্বাচন বর্জনের ডাক দিয়েছিল, নির্বাচন প্রতিহত করতে বলেছিল তারা ব্যর্থ হয়েছে। নির্বাচনের পর তারা সঙ্কুচিত, কোণঠাসা এবং হতাশাগ্রস্ত। আওয়ামী লীগের সামনে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ নেই বললেই চলে। না সংসদে, না রাজপথে।
বিএনপি এখন হতাশাগ্রস্ত একটি রাজনৈতিক দল। তাদের ভিতর অবিশ্বাস-কোন্দল প্রচণ্ড আকার ধারণ করেছে। যার ফলে দলটি এখন নতুন আন্দোলনের কর্মসূচি নিয়ে সরকারের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর মতো অবস্থায় নেই। অন্য রাজনৈতিক দলগুলো অস্তিত্বের সংকটে আছে। তাদের কর্মী সমর্থক নেই। কাজেই রাজনীতিতে তারা সরকারের বিরুদ্ধে তেমন কোন প্রভাব বিস্তারের সুযোগই পাচ্ছে না।
আন্তর্জাতিকভাবে নির্বাচনের আগে মনে করা হয়েছিল সরকার বড় ধরনের সংকটে পড়বে। বিশেষ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলো নির্বাচনের আগে যেভাবে সরকারকে সতর্ক করেছিল, হুঁশিয়ারি দিয়েছিল; অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচন না হলে নিষেধাজ্ঞার মত ব্যবস্থা গ্রহণের হুমকি দিয়েছিল- নির্বাচনের পর সেই অবস্থা পাল্টে গেছে।
বিভিন্ন দেশ বাংলাদেশের নির্বাচনকে ত্রুটিপূর্ণ বলা সত্ত্বেও নতুন সরকারের সাথে সম্পর্ক এগিয়ে নেওয়ার বিষয়টিকে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিয়েছে। বিশেষ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এখন বাংলাদেশের সাথে সম্পর্ক এগিয়ে নেওয়ার জন্যই বেশি চেষ্টা করছে। অন্যান্য দেশগুলো যেমন- ইউরোপীয় ইউনিয়ন, যুক্তরাজ্য; তারাও বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ককে এখন গুরুত্ব দিচ্ছে। বর্তমানে নির্বাচনের বিষয় তারা তেমন সামনে আনতে রাজি নন। এরকম একটি পরিস্থিতিতে সরকারের জন্য একটি স্বস্তিদায়ক অবস্থায় থাকার কথা।
কিন্তু বাস্তবতা হল সরকার স্বস্তিতে নেই। বরং আস্তে আস্তে সরকারের উপর চাপ বাড়ছে। আর সরকারের এই চাপের প্রধান কারণ হল অর্থনীতি। বিগত মেয়াদেই অর্থনীতিতে বিবর্ণ চেহারাটা সামনে উঠেছিল। এটি আস্তে আস্তে ক্রমশ চ্যালেঞ্জিং হয়ে যাচ্ছে এবং সরকারের জন্য অর্থনৈতিক সংকটগুলো মোকাবেলা করা অত্যন্ত দুরূহ হয়ে পড়ছে বলেই অর্থনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করেন।
অর্থনৈতিক সংকট মোকাবেলার জন্য সরকার বেশ কিছু দৃশ্যমান উদ্যোগ গ্রহণ করছে। কিন্তু সেই উদ্যোগগুলো নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। যেমন অর্থনৈতিক সংকটের একটি প্রধান বিষয় হল মুদ্রাস্ফীতি। মুদ্রাস্ফীতি বেড়েই চলেছে, মুদ্রাস্ফীতি কমানোর জন্য সরকার যত ব্যবস্থাই নেক, সেই ব্যবস্থাগুলো এখন পর্যন্ত ফলপ্রসূ বলে বিবেচিত হয়নি।
অর্থনৈতিক সঙ্কটের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ দিক ছিল, ব্যাংকিং ব্যবস্থাপনায় অনিয়ম-বিশৃঙ্খলতা। আর এটি দূর করার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক একীভূতকরণের একটি উদ্যোগ গ্রহণ করে। দুর্বল ব্যাংকগুলোকে সবল ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। সেই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কয়েকটি ব্যাংক একীভূত হয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশ ব্যাংকের এই কৌশল এখন ব্যাপক সমালোচিত হচ্ছে। এর ফলে ব্যাংকিং সেক্টরে বিশৃঙ্খল অবস্থারও একটা উন্নতি হয়নি।
ব্যাংকিং সেক্টরের বিশৃঙ্খলার হওয়ার প্রধান কারণ হল খেলাপি ঋণ এবং অর্থপাচার। ঋণ খেলাপিদের আইনের আওতায় আনতে কঠোর অবস্থান গ্রহণের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে বিভিন্ন পরিকল্পনার কথা শোনা যাচ্ছে বটে। কিন্তু বাস্তবে এই পরিকল্পনাগুলো কতটুকু বাস্তবায়িত হবে সে নিয়েও বিভিন্ন মহলের সন্দেহ রয়েছে। কারণ অতীতেও দেখা যে, ঋণ খেলাপিদের বিরুদ্ধে সরকার কঠোর হতে পারছে না।
বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের সঙ্কট বাড়ছে, বিশেষ করে এখন বাংলাদেশকে ঋণের দায় মেটাতে হচ্ছে। ঋণের দায় মেটানোর চাপ সামলাতে গিয়ে বৈদেশিক মুদ্রায় টান পড়ছে। আর বৈদেশিক মুদ্রার প্রধান যে উৎস প্রবাসী আয় এবং রপ্তানী আয়- সে দুটোতেও কোনওরকম ইতিবাচক ব্যবস্থা নেই। সামনে বাজেট, আর এই বাজেটে অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের একটি মহাপরিকল্পনা সরকারকে করতেই হবে। অর্থনৈতিক সংকট যদি সরকার নিয়ন্ত্রণ না করতে পারে, তাহলে সরকারের জন্য সামনের দিনগুলো আরও কঠিন, চ্যালেঞ্জিং এবং সংকটাপন্ন হবে বলেই মনে করে অর্থনৈতিক বিশ্লেষকরা।
অর্থনীতি হাসান মাহমুদ আলী আয়শা খান আওয়ামী লীগ সরকার
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
৭ জানুয়ারি নির্বাচনের পর আওয়ামী লীগ সরকার একটা স্বস্তিদায়ক অবস্থায় ছিল রাজনৈতিক দিক থেকে। রাজনৈতিকভাবে যারা নির্বাচন বর্জনের ডাক দিয়েছিল, নির্বাচন প্রতিহত করতে বলেছিল তারা ব্যর্থ হয়েছে। নির্বাচনের পর তারা সঙ্কুচিত, কোণঠাসা এবং হতাশাগ্রস্ত। আওয়ামী লীগের সামনে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ নেই বললেই চলে। না সংসদে, না রাজপথে।