নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৭:০৪ পিএম, ২৩ ফেব্রুয়ারী, ২০২১
দেশের খবর
অশান্ত হয়ে উঠেছে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো
দেশব্যাপী করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার পর গত বছরের মার্চ থেকে বন্ধ হয়ে যায় দেশের সবগুলো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এরপরে স্বাস্থ্যবিধি মেনে জীবন ও জীবিকা অনেকটাই স্বাভাবিক হয়ে উঠলেও খোলেনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো। কিন্তু গত কয়েকদিন ধরেই অশান্ত হয়ে উঠতে শুরু করে দেশের বেশ কয়েকটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়। হল খোলার দাবিতে ইতিমধ্যেই দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্দোলন কর্মসূচি এবং অবস্থান ধর্মঘটের মতো কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে শিক্ষার্থীরা। হল খোলার দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া বিশ্ববিদ্যালয় এবং শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে হল খোলার আল্টিমেটাম দেয়া হয়েছে। গতকালের শিক্ষামন্ত্রীর সংবাদ সম্মেলনের পরেও, শিক্ষামন্ত্রীর সিদ্ধান্তকে তোয়াক্কা না করে আজও হলে অবস্থান করে জাহাঙ্গীরনগর বিসববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। আবাসিক হল না ছাড়ার সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের হল ছাড়ার বিজ্ঞপ্তি প্রত্যাহারসহ পাঁচ দফা দাবি জানিয়েছেন তারা। তবে সরকার গভীর পর্যবেক্ষণে রেখেছে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে।
থমথমে নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ
নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে সাংবাদিক বোরহান উদ্দিন মুজাক্কির হত্যাকান্ডের পরে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। এদিকে নোয়াখালীর ঘটনা তদন্তে আওয়ামী লীগ সভাপতির একটি বিশেষ টীম সরেজমিনে নোয়াখালী সফরে যাচ্ছে বলে একটি সূত্র জানিয়েছে।
এসকে সুর ও শাহ আলমের ব্যাংক হিসাব তলব
বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর এসকে সুর চৌধুরী ও বর্তমান নির্বাহী পরিচালক মো. শাহ আলমসহ পাঁচজনের ব্যাংক হিসাব তলব করা হয়েছে। এনবিআরের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা-সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স সেল (সিআইসি) থেকে ব্যাংকগুলোতে পাঠানো এক চিঠিতে সম্প্রতি এই হিসাব তলব করা হয়। দায়িত্বে থাকাকালীন এই প্রথম বাংলাদেশ ব্যাংকের বড় কোনো কর্মকর্তার হিসাব তলব করা হলো। ইতোমধ্যেই এসকে সুর ও শাহ আলমের দেশ ত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে বিভিন্ন সংস্থা।
আন্তর্জাতিক
রাশিয়া ও মিয়ানমারের ওপর নিষেধাজ্ঞায় সম্মত ইইউ
রাশিয়া ও মিয়ানমারের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক নিষেধাজ্ঞা আরোপে সম্মত হয়েছেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা। রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সমালোচক ও বিরোধী দলের নেতা অ্যালেক্সেই নাভালনির ওপর দমন নীতি এবং মিয়ানমারের সামরিক অভ্যুত্থানের কারণে এই নিষেধাজ্ঞা আরোপের সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে ইইউ।
ঘরে-বাইরে চাপের মুখে মিয়ানমারের জান্তা
ঘরে-বাইরে চাপের মুখে পড়েছে মিয়ানমারের জান্তা সরকার। দেশটির সেনাবাহিনীর আরও দুই নেতার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপের ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। ইউরোপীয় ইউনিয়নও (ইইউ) নিষেধাজ্ঞা দিতে যাচ্ছে।
খেলাধুলা
সবকিছুর আগে দেশ বললেন মুস্তাফিজ
সাকিব আল হাসান তাঁর সিদ্ধান্তটা আগেই জানিয়ে দিয়েছেন। আগামী এপ্রিলে শ্রীলঙ্কা সফরে না গিয়ে তিনি খেলবেন আইপিএল। বাকি ছিলেন মোস্তাফিজুর রহমান। আজ জানা গেল আইপিএল প্রসঙ্গে তাঁর সিদ্ধান্ত। সাকিবের মতো শ্রীলঙ্কা সফরের সময় আইপিএল খেলতে চান না মোস্তাফিজ, খেলতে চান দেশের হয়ে।
নিউজিল্যান্ডের উদ্দেশ্যে দেশ ছেড়েছে টাইগাররা
সিঙ্গাপুর এয়ারওয়েজে চড়ে নিউজিল্যান্ডের উদ্দেশ্যে দেশ ছেড়েছে জাতীয় ক্রিকেট দল। সফরে তিনটি করে ওয়ানডে আর তিনটি টি-টোয়েন্টি খেলবে টাইগাররা ।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
৭ জানুয়ারি নির্বাচনের পর আওয়ামী লীগ সরকার একটা স্বস্তিদায়ক অবস্থায় ছিল রাজনৈতিক দিক থেকে। রাজনৈতিকভাবে যারা নির্বাচন বর্জনের ডাক দিয়েছিল, নির্বাচন প্রতিহত করতে বলেছিল তারা ব্যর্থ হয়েছে। নির্বাচনের পর তারা সঙ্কুচিত, কোণঠাসা এবং হতাশাগ্রস্ত। আওয়ামী লীগের সামনে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ নেই বললেই চলে। না সংসদে, না রাজপথে।
বিএনপি এখন হতাশাগ্রস্ত একটি রাজনৈতিক দল। তাদের ভিতর অবিশ্বাস-কোন্দল প্রচণ্ড আকার ধারণ করেছে। যার ফলে দলটি এখন নতুন আন্দোলনের কর্মসূচি নিয়ে সরকারের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর মতো অবস্থায় নেই। অন্য রাজনৈতিক দলগুলো অস্তিত্বের সংকটে আছে। তাদের কর্মী সমর্থক নেই। কাজেই রাজনীতিতে তারা সরকারের বিরুদ্ধে তেমন কোন প্রভাব বিস্তারের সুযোগই পাচ্ছে না।
আন্তর্জাতিকভাবে নির্বাচনের আগে মনে করা হয়েছিল সরকার বড় ধরনের সংকটে পড়বে। বিশেষ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলো নির্বাচনের আগে যেভাবে সরকারকে সতর্ক করেছিল, হুঁশিয়ারি দিয়েছিল; অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচন না হলে নিষেধাজ্ঞার মত ব্যবস্থা গ্রহণের হুমকি দিয়েছিল- নির্বাচনের পর সেই অবস্থা পাল্টে গেছে।
বিভিন্ন দেশ বাংলাদেশের নির্বাচনকে ত্রুটিপূর্ণ বলা সত্ত্বেও নতুন সরকারের সাথে সম্পর্ক এগিয়ে নেওয়ার বিষয়টিকে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিয়েছে। বিশেষ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এখন বাংলাদেশের সাথে সম্পর্ক এগিয়ে নেওয়ার জন্যই বেশি চেষ্টা করছে। অন্যান্য দেশগুলো যেমন- ইউরোপীয় ইউনিয়ন, যুক্তরাজ্য; তারাও বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ককে এখন গুরুত্ব দিচ্ছে। বর্তমানে নির্বাচনের বিষয় তারা তেমন সামনে আনতে রাজি নন। এরকম একটি পরিস্থিতিতে সরকারের জন্য একটি স্বস্তিদায়ক অবস্থায় থাকার কথা।
কিন্তু বাস্তবতা হল সরকার স্বস্তিতে নেই। বরং আস্তে আস্তে সরকারের উপর চাপ বাড়ছে। আর সরকারের এই চাপের প্রধান কারণ হল অর্থনীতি। বিগত মেয়াদেই অর্থনীতিতে বিবর্ণ চেহারাটা সামনে উঠেছিল। এটি আস্তে আস্তে ক্রমশ চ্যালেঞ্জিং হয়ে যাচ্ছে এবং সরকারের জন্য অর্থনৈতিক সংকটগুলো মোকাবেলা করা অত্যন্ত দুরূহ হয়ে পড়ছে বলেই অর্থনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করেন।
অর্থনৈতিক সংকট মোকাবেলার জন্য সরকার বেশ কিছু দৃশ্যমান উদ্যোগ গ্রহণ করছে। কিন্তু সেই উদ্যোগগুলো নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। যেমন অর্থনৈতিক সংকটের একটি প্রধান বিষয় হল মুদ্রাস্ফীতি। মুদ্রাস্ফীতি বেড়েই চলেছে, মুদ্রাস্ফীতি কমানোর জন্য সরকার যত ব্যবস্থাই নেক, সেই ব্যবস্থাগুলো এখন পর্যন্ত ফলপ্রসূ বলে বিবেচিত হয়নি।
অর্থনৈতিক সঙ্কটের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ দিক ছিল, ব্যাংকিং ব্যবস্থাপনায় অনিয়ম-বিশৃঙ্খলতা। আর এটি দূর করার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক একীভূতকরণের একটি উদ্যোগ গ্রহণ করে। দুর্বল ব্যাংকগুলোকে সবল ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। সেই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কয়েকটি ব্যাংক একীভূত হয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশ ব্যাংকের এই কৌশল এখন ব্যাপক সমালোচিত হচ্ছে। এর ফলে ব্যাংকিং সেক্টরে বিশৃঙ্খল অবস্থারও একটা উন্নতি হয়নি।
ব্যাংকিং সেক্টরের বিশৃঙ্খলার হওয়ার প্রধান কারণ হল খেলাপি ঋণ এবং অর্থপাচার। ঋণ খেলাপিদের আইনের আওতায় আনতে কঠোর অবস্থান গ্রহণের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে বিভিন্ন পরিকল্পনার কথা শোনা যাচ্ছে বটে। কিন্তু বাস্তবে এই পরিকল্পনাগুলো কতটুকু বাস্তবায়িত হবে সে নিয়েও বিভিন্ন মহলের সন্দেহ রয়েছে। কারণ অতীতেও দেখা যে, ঋণ খেলাপিদের বিরুদ্ধে সরকার কঠোর হতে পারছে না।
বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের সঙ্কট বাড়ছে, বিশেষ করে এখন বাংলাদেশকে ঋণের দায় মেটাতে হচ্ছে। ঋণের দায় মেটানোর চাপ সামলাতে গিয়ে বৈদেশিক মুদ্রায় টান পড়ছে। আর বৈদেশিক মুদ্রার প্রধান যে উৎস প্রবাসী আয় এবং রপ্তানী আয়- সে দুটোতেও কোনওরকম ইতিবাচক ব্যবস্থা নেই। সামনে বাজেট, আর এই বাজেটে অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের একটি মহাপরিকল্পনা সরকারকে করতেই হবে। অর্থনৈতিক সংকট যদি সরকার নিয়ন্ত্রণ না করতে পারে, তাহলে সরকারের জন্য সামনের দিনগুলো আরও কঠিন, চ্যালেঞ্জিং এবং সংকটাপন্ন হবে বলেই মনে করে অর্থনৈতিক বিশ্লেষকরা।
অর্থনীতি হাসান মাহমুদ আলী আয়শা খান আওয়ামী লীগ সরকার
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
৭ জানুয়ারি নির্বাচনের পর আওয়ামী লীগ সরকার একটা স্বস্তিদায়ক অবস্থায় ছিল রাজনৈতিক দিক থেকে। রাজনৈতিকভাবে যারা নির্বাচন বর্জনের ডাক দিয়েছিল, নির্বাচন প্রতিহত করতে বলেছিল তারা ব্যর্থ হয়েছে। নির্বাচনের পর তারা সঙ্কুচিত, কোণঠাসা এবং হতাশাগ্রস্ত। আওয়ামী লীগের সামনে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ নেই বললেই চলে। না সংসদে, না রাজপথে।