নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:০২ পিএম, ১১ সেপ্টেম্বর, ২০১৭
রোহিঙ্গা ইস্যুতে মানবিকতা এবং শান্তির অনন্য নজির স্থাপনের জন্য বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নোবেল শান্তি পুরস্কারে ভূষিত করার প্রস্তাব করেছেন বিশ্বের খ্যাতিমান চিন্তাবিদ এবং শিক্ষাবিদরা। প্রতি বছর অক্টোবর মাসে শান্তিতে অবদানের জন্য নোবেল শান্তি পুরস্কার ঘোষণা হয়। ১০ ডিসেম্বর নরওয়ের ওসলোতে এক অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানের মাধ্যমে পুরস্কার প্রদান করা হয়।
অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির রাজনীতি এবং আর্ন্তজাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধীনে পরিচালিত হয় ‘অক্সফোর্ড নেটওয়ার্ক অব পিস স্টাডিজ’, সংক্ষেপে এটাকে বলা হয় অক্সপিস। অক্সপিসের দুজন শিক্ষাবিদ ড. লিজ কারমাইকেল এবং ড. অ্যান্ড্রু গোসলার মনে করেন, বাংলাদেশের প্রধাণমন্ত্রী যেভাবে নির্যাতিত রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়েছে, তা সারা বিশ্বের জন্য এক অনুকরণীয় বার্তা। তাঁদের মতে, ইউরোপ ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মতো দেশগুলো যখন শরণার্থী নিয়ে নানা সমস্যায় জর্জরিত, তখন বাংলাদেশ দেখাল কীভাবে এই সমস্যার মোকাবেলা করতে হয়। এরা দুজনই শেখ হাসিনাকে ‘মানবিক বিশ্বের প্রধান নেতা’ হিসেবে চিহ্নিত করেছেন।
কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের পিস স্ট্যাডিজ বিভাগের তিন অধ্যাপক যৌথভাবে শেখ হাসিনাকে বিশ্ব শান্তির দূত হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। ড. অলডো সিভিকো, ড. দীপালী মুখোপাধ্যায় এবং ড. জুডিথ ম্যাটলফ যৌথভাবে বলেছেন, ‘নোবেল শান্তি জয়ী অংসান সুচি আর বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কার্যক্রম পাশপাশি মূল্যায়ন করলেই বোঝা যায় বিশ্ব শান্তির নেতা কে।’
তাঁদের মতে, ‘সুচি মানবতার চরম সীমা লঙ্গনকারী বার্মার সামরিক জান্তাদের রোহিঙ্গাদের ওপর চালানো পৈশাচিকতাকে প্রশ্রয় দিচ্ছেন। অন্যদিকে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের অর্থনীতি এবং নিরপাত্তার চরম ঝুঁকি নিয়েও তাদের আশ্রয় দিচ্ছেন।’ তাঁরা মনে করেন, ‘শেখ হাসিনা শান্তির নতুন বার্তা দিয়েছেন গোটা বিশ্বকে।’হাভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের হাভার্ড ডিভাইনিটি স্কুলের ডিন ডেভিড এন হেম্পটন মনে করেন, ‘রোহিঙ্গা ইস্যুতে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ শান্তির নতুন মাত্রা দিয়েছে। কেবল শান্তির স্বার্থে দেশটি চরম অর্থনৈতিক ঝুঁকি নিয়েছে।’ তাঁর মতে, ‘এতগুলো শরণার্থীকে আশ্রয় দেওয়ার জন্য মানবিক হৃদয় লাগে। জার্মানি যা করতে পারেনি, শেখ হাসিনা তা করে দেখিয়েছেন।’
অষ্ট্রেলিয়ান ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি ইন ক্যানবেরার অধীনে পরিচালিত ‘পিস অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউট‘। এই ইনস্টিটিউটের প্রধান ড. হেনরিক উরডাল মনে করেন, ‘বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় অবদানের জন্য শেখ হাসিনাকেই বিশ্ব শান্তির নেতার মর্যাদা দেওয়া উচিত। সত্যিকার অর্থেই যদি শান্তিতে অবদানের জন্য কোনো পুরস্কার থাকে তাহলে সে পুরস্কার পাবার একমাত্র যোগ্য ব্যক্তি হলেন শেখ হাসিনা।‘
রোহিঙ্গা মুসলমানদের ওপর নিপীড়নের প্রেক্ষাপটে গত এক সপ্তাহে স্ব স্ব দেশে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সেমিনার এবং সভায় তাঁরা এই সব মন্তব্য করেছেন। এরা প্রত্যেকে নোবেল শান্তিতে পুরস্কার মনোনয়নের ক্ষেত্রে প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষ ভাবে ভূমিকা রাখেন।
উল্লেখ্য, ১৯০১ সাল থেকে বিশ্ব শান্তিতে অবদানের জন্য আলফ্রেড নোবেলের উইল অনুযায়ী নোবেল শান্তি পুরস্কার প্রদান করা হয়। প্রতিবছর আই পি ইউ (ইন্টার পার্লামেন্টারি ইউনিয়ন) এর সদস্য, হেগের আন্তর্জাতিক আদালতের সদস্য, বিশ্ব স্বীকৃত শিক্ষাবিদ প্রাক্তন নোবেল জয়ী এবং নোবেল কমিটির প্রাক্তন সদস্য প্রতিনিধিদের মধ্যে থেকে মনোনীতরা নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য নাম প্রস্তাব করেন। প্রতিবছর ২০০ থেকে ২৫০ ব্যক্তির নাম আসে নোবেল কমিটির কাছে। কমিটির এক গোপন বৈঠকে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়ে, অক্টোবরে নাম ঘোষণা করে। তবে অনেক সময়ই যোগ্যতার বদলে মার্কিন লবিং এবং রাজনৈতিক বিবেচনা নোবেল শান্তি পুরস্কারের ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখে বলে অভিযোগ রয়েছে।
পার্বত্য শান্তি চুক্তির জন্য ১৯৯৯ সালে শেখ হাসিনার নাম নোবেল শান্তি পুরস্কারের সংক্ষিপ্ত তালিকায় এসেছিল বলে জানা যায়। ২০১২ সালে শেখ হাসিনা বিশ্ব শান্তির দর্শন ‘ জনগণের ক্ষমতায়ন’ জাতিসংঘে সর্বসম্মত ভাবে গৃহীত হলে, নোবেল শাান্তি পুরস্কারের জন্য তাঁর নাম বিবেচনায় আসে।
শেখ হাসিনা ২০০৯ সালে এশিয়ার নোবেল হিসেবে স্বীকৃত ইন্দিরা গান্ধী পদকে ভূষিত হন। এছাড়াও তিনি প্লানেট ফিফটি ফিফটি, ‘এজেন্ট অব চেঞ্জ’ সাউথ সাউথ অ্যাওয়ার্ড সহ অসংখ্য জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন। বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় তাঁর ‘জনগণের ক্ষমতায়ন’ সারা বিশ্বে প্রশংসিত হয়েছে।
বাংলা ইনসাইডার/জেডএ
মন্তব্য করুন
লক্ষ্মীপুরের সদর উপজেলায় প্রায় ১৩
বছর পর ৫ টি ইউনিয়ন পরিষদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল রবিবার (২৮ এপ্রিল)
সকাল থেকে বিকাল ৪ টা পর্যন্ত দক্ষিণ
হামছাদী, দালাল বাজার, বাঙ্গাখাঁ, লাহারকান্দি ও
তেওয়ারীগঞ্জ ইউনিয়নে এ ভোটগ্রহণ চলে। ভোটগ্রহণ
শেষে রাতে ফলাফল ঘোষিত হলে দেখা যায়, এই ৫ টি ইউপি’র ৩ টিতেই নতুন মুখ এবং অপর
দু’টি তে পুরোনোতেই আস্থা রেখেছে জনগণ। ফলাফল
ঘোষণা
করেছেন
দায়িত্বপ্রাপ্ত স্ব
স্ব
রিটার্নিং কর্মকর্তা।
চেয়ারম্যান হিসেবে দালাল বাজার,
বাঙ্গাখাঁত ও লাহারকান্দি ইউপিতে নতুন মুখ নির্বাচিত হয়েছে। অপর দুই ইউপি
তেওয়ারীগঞ্জ ও দক্ষিণ হামছাদিতে আবারও নির্বাচিত হয়েছে পুরোনোরা।
দক্ষিণ
হামছাদী ইউনিয়নে মীর
শাহ
আলম
(ঘোড়া)
৬২৪৪
ভোট
পেয়ে
চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার
নিকটতম
প্রতিদ্বন্দ্বী কামাল
উদ্দিন
চৌধুরী
(চশমা)
পেয়েছেন ২৬৯৮
ভোট।
দালাল বাজার ইউনিয়নে নজরুল
ইসলাম
(চশমা)
৬৩৫৫
ভোট
পেয়ে
চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার
নিকটতম
প্রতিদ্বন্দ্বী নুর
নবী
চৌধুরী
(অটোরিকশা) পেয়েছেন ৪৭৬০
ভোট।
বাঙ্গাখাঁ ইউনিয়নে মিজানুর রহমান
(চশমা)
৬৪০১
ভোট
পেয়ে
চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার
নিকটতম
প্রতিদ্বন্দ্বী শেখ
জামাল
রিপন
(মোটরসাইকেল) পেয়েছেন ৩৩৯০
ভোট।
লাহারকান্দি ইউনিয়নে আশরাফুল আলম
(টেলিফোন) ৫৫৮৩
ভোট
পেয়ে
চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার
নিকটতম
প্রতিদ্বন্দ্বী খোরশেদ
আলম
শাহীন
(অটোরিকশা) পেয়েছেন ৩৭৭৩
ভোট।
আশরাফুল জেলা
ছাত্রলীগের সাবেক
সহ-সভাপতি।
তেওয়ারীগঞ্জ ইউনিয়নে ওমর
ফারুক
ইবনে
হুছাইন
ভুলু
(আনারস)
৭৫৪২
ভোট
পেয়ে
পুনরায়
চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার
নিকটতম
প্রতিদ্বন্দ্বী বোরহান
চৌধুরী
(অটোরিকশা) পেয়েছেন ৬২৩৯
ভোট।
দক্ষিণ
হামছাদী, দালাল বাজার এবং তেওয়ারীগঞ্জ ইউনিয়নের রিটার্নিং অফিসার
রামগঞ্জ উপজেলা
নির্বাচন কর্মকর্তা স্বপন
কুমার
ভৌমিক
ও
বাঙ্গাখাঁ এবং
লাহারকান্দি ইউনিয়নের রিটার্নিং অফিসার
সদর
উপজেলা
নির্বাচন কর্মকর্তা আতিকুল
ইসলাম
চৌধুরী
ফলাফলের তথ্য
নিশ্চিত করেছেন।
ইউপি নির্বাচন ভোটগ্রহণ নতুন মুখ চেয়ারম্যান
মন্তব্য করুন
ডেঙ্গুত আক্রান্ত হয়ে বিশ্বে প্রতি বছর ১০ হাজার কোটি মানুষ মারা যাচ্ছে। বাংলাদেশেও এই ডেঙ্গুর প্রকপ দিনদিন বাড়ছে। ডেঙ্গুতে মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে। দেখা যায় ২০২৩ সালে বাংলাদেশে ১ হাজার ৭০৫ জন মানুষ ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। ঠিক ওই বছরি বিশ্বে এই সংখ্যা দাড়ায় ৫ হাজার ৫০০ জনের বেশি।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুয়ায়ী, ২০০০ সালে প্রায় বিশ হাজার মানুষ ডেঙ্গুতে মারা যায়। তবে এই অবস্থার আরও অবনতি ঘটছে। চলতি বছর বিশ্বে ৪০ হাজার মানুষ এ রোগে মারা যেতে পারে বলে আশঙ্কা করছে যুক্তরাষ্ট্রের স্টেটস সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন।
সবচেয়ে বেশি ডেঙ্গু আক্রান্ত অঞ্চল লাতিন আমেরিকা। ২০০০ থেকে ২০০৫ সালে সেখানে বছরে গড়ে পাঁচ লাখ মানুষ ডেঙ্গু আক্রান্ত হন। কিন্তু ২০২৩ সালে অঞ্চলটিতে ৪৬ লাখ মানুষ ডেঙ্গু আক্রান্ত হন। এদিকে ২০২৪ সালে এরই মধ্যে সেখানে প্রায় ৬০ লাখ ডেঙ্গু আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছে। সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত ব্রাজিলের মানুষ।
একদিকে যেমন ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে তেমনি অঞ্চল ছাপিয়ে তা ছড়িয়ে পড়ছে বিশ্বের সর্বত্র। এডিস মশা তাপমাত্রার পরিবর্তনের সঙ্গে সংবেদনশীল এবং বিশ্ব উষ্ণ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তাদের পরিসরও বাড়ছে।
বাংলাদেশে সর্বপ্রথম ডেঙ্গুর সংক্রমণ হয় ১৯৬০ সালের দিকে। ২০০০ সালের জুন মাসে ডেঙ্গু সর্বপ্রথম মহামারি আকারে দেখা দেয় বাংলাদেশে। সে বছর মোট ৫ হাজার ৫৫১ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়, যার মাঝে মারা যায় ৯৩ জন। এরপর কম-বেশি প্রতিবছরই মানুষ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছে, মারা গেছে। কিন্তু সেই সংখ্যা কখনোই ২০২৩ সালের মতো এত প্রকট আকার ধারণ করেনি।
২০২৩ সালে ৩ লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন রোগী ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়। এই বছরে আক্রান্তের হার যেমন বেড়েছে, তেমনি মৃত্যুর সংখ্যা সর্বোচ্চ ছুঁয়েছে।
আগের ২৩ বছরে দেশে ডেঙ্গুতে মোট মারা গেছেন ৮৬৮ জন। কিন্তু শুধু ২০২৩ সালে ১ হাজার ৭০৫ জন মানুষ ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মারা যান। অর্থাৎ বাংলাদেশে ডেঙ্গু পরিস্থিতি বছরে বছরে আরও ভয়াবহ হচ্ছে।
অ্যানেফিলিস মশা ম্যালেরিয়া ছড়ায়, যা এখন সারা বিশ্বেই পাওয়া যায়। কিন্তু এডিস মশা এখনো সব অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েনি। কিন্তু জলবায়ুর বর্তমান প্রবণতা অনুযায়ী, এডিস মশা দক্ষিণ ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্রের বিশাল অংশে ছড়িয়ে পড়তে পারে। এতে আরও দুইশ কোটি মানুষ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে।
নগরায়ন এই মশার বংশবিস্তার বৃদ্ধিতে সাহায্য করছে। একটি ডেঙ্গু মশা তার দুই সপ্তাহের জীবনে একাধিক ব্যক্তিকে কামড়াতে পারে। কিছু স্থানে এই রোগ আগে ছিল না কিন্তু এখন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। এই প্রবণতা এখন বাংলাদেশ ও ভারতে দেখা যাচ্ছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ক্যালিফোর্নিয়া, দক্ষিণ ইউরোপ, আফ্রিকায় ডেঙ্গু আক্রান্তে সংখ্যা বেড়েছে।
ডেঙ্গু জ্বরের জন্য বিশ্বকে অবশ্যই প্রস্তুতি নিতে হবে। যদিও ধনী উত্তর গোলার্ধ ক্রমবর্ধমান ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে, তবে এতে বিশ্বের দরিদ্র অংশ বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
মন্তব্য করুন
সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় এনজিওর টাকা তুলতে গিয়ে সড়ক দুর্ঘটনায় এক গৃহবধূ নিহত হয়েছেন। এঘটনায় নিহত গৃহবধূ আকলিমা সলঙ্গা কুমাজপুর গ্রামের শরীফুল ইসলামের স্ত্রী৷
রবিবার (২৮ এপ্রিল) বিকাল ৪ টার সময় উপজেলার হাটিকুমরুল পাবনা মহাসড়কে চড়িয়া শিকার উত্তর পাড়া খেজুর তলা নামক স্থানে অজ্ঞাত ট্রাকের ধাক্কায় ২ সন্তানের জননী আকলিমা (৩২) নামের এক গৃহবধূ নিহত হয়েছেন।
জানা যায় শরিফুল ইসলাম ও তার স্ত্রী আকলিমা গাক এনজিও থেকে টাকা নিয়ে সাইকেলে করে ফেরার সময় ট্রাকের ধাক্কায় আকলিমা খাতুন পড়ে গেলে চাকায় পিষ্ট হয়ে ঘটনা স্থলেই মারা যান৷
হাটিকুমরুল হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত (ওসি) এম এ ওয়াদুদ বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ঘাতক ট্রাকটি চাপা দিয়েই ঘটনাস্থলে থেকে পালিয়ে যায়৷
মন্তব্য করুন
রাজশাহীর পবা উপজেলার কাটাখালী পৌরসভার মেয়র পদে উপ-নির্বাচনের মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন একমাত্র নারী প্রার্থী মোসা. রাবেয়া সুলতানা মিতু। হেঙ্গার প্রতীক নিয়ে তিনি পেয়েছেন ৬ হাজার ৩০৮ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র আবু শামা নারিকেল গাছ প্রতীকে পেয়েছেন ৩ হাজার ৪৮৭ ভোট। আর মিজানুর রহমান চামচ প্রতীকে ২ হাজার ৯১৭ ভোট পেয়ে তৃতীয় হয়েছেন।
রবিবার (২৮ এপ্রিল) সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ৯টি কেন্দ্রে বিরতিহীনভাবে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম)-এর মাধ্যমে ভোটগ্রহণ চলে। ভোটগ্রহণ শেষে কেন্দ্র থেকেই ফল ঘোষণা করেন সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তারা। ৯টি কেন্দ্র থেকে পাওয়া তথ্যমতে ভোটের এই ফল জানা গেছে।
এই নির্বাচনে মেয়র নির্বাচিত হওয়া মোসা. রাবেয়া সুলতানা মিতু কাটাখালী পৌরসভার সাবেক মেয়র আব্বাস আলীর স্ত্রী।
নির্বাচনে মেয়র পদে মোট সাতজন প্রার্থী অংশ নেন। অন্য স্বতন্ত্র প্রার্থী জহুরুল ইসলাম রিপন মোবাইল ফোন প্রতীকে ১ হাজার ৩৩৯ ভোট, মোতাহার হোসেন রেল ইঞ্জিন প্রতীকে ১ হাজার ৮৮ ভোট, সিরাজুল ইসলাম জগ প্রতীকে ৩৮৪ ভোট এবং জিয়ারুল ইসলাম ক্যারাম বোর্ড প্রতীকে ১২৭ ভোট পেয়েছেন।
উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট দেন ভোটাররা। তাছাড়া নির্বাচনের ভোটগ্রহণ চলাকালে কোথাও কোন গোলযোগের খবর পাওয়া যায়নি। এই নির্বাচনে মেয়র পদে সাতজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। নির্বাচনে ১৫ হাজার ৬৫০ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন। এই পৌর সভায় ভোটার ছিলেন ২৩ হাজার ৫৪১ জন। যার মধ্যে নারী ভোটার ১১ হাজার ৭৭৬ এবং পুরুষ ভোটার ১১ হাজার ৮৮৬ জন।
মন্তব্য করুন
তীব্র গরমে টাঙ্গাইলের গোপালপুর উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান
প্রার্থী মরিয়ম আক্তার মুক্তা মারা গেছেন। শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।
রবিবার (২৮ এপ্রিল) নির্বাচন কমিশন গোপালপুর উপজেলা পরিষদের সকল
পদের নির্বাচন স্থগিত ঘোষণা করেছে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীর মৃত্যুতে।
মরিয়ম আক্তার মুক্তার স্বামী মো. আরিফুল ইসলাম আরিফ বলেন, মরিয়ম
তীব্র গরমে অসুস্থ হয়ে পড়লে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে সেখানে
চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় সে।
নির্বাচন কমিশনের নির্বাচন পরিচালনা-২ এর উপসচিব মো. আতিয়ার রহমান
স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে নির্বাচন স্থগিতের তথ্য জানানো হয়।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের প্রথম ধাপে ৮ মে টাঙ্গাইলের
গোপালপুর উপজেলা পরিষদের নির্বাচন হওয়ার কথা। কিন্তু ভোটগ্রহণের পূর্বে মহিলা ভাইস
চেয়ারম্যান পদে একজন বৈধ প্রার্থীর মৃত্যু হওয়ায় সকল পদের নির্বাচন স্থগিত করা হলো।
প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়েছে, পুনঃতফসিল ঘোষণার মাধ্যমে চতুর্থ ধাপে
৫ জুন এ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন সম্পন্ন করার জন্য নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত প্রদান
করেছেন। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ইতোপূর্বে যারা মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন তাদেরকে
নতুন করে মনোনয়ন দাখিলের প্রয়োজন হবে না।
তবে পূর্বে মনোনয়নপত্র দাখিলকারীদের প্রত্যাহারের সুযোগ দেওয়া যাবে।
চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান পদে পূর্বের মনোনয়ন বহাল থাকবে এবং উক্ত পদের বিদ্যমান
প্রার্থীদের মধ্যেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। শুধু মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে নতুনভাবে
মনোনয়নপত্র দাখিল করা যাবে।
মরিয়ম আক্তার টানা দুবারের নির্বাচিত মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ছিলেন। আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য, বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহচর এবং সাবেক সংসদ সদস্য হাতেম আলী তালুকদারের নাতনি মরিয়ম আক্তার মুক্তা এবারও একই পদে প্রার্থী ছিলেন।
তীব্র দবদাহ মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী মৃত্যু
মন্তব্য করুন
লক্ষ্মীপুরের সদর উপজেলায় প্রায় ১৩ বছর পর ৫ টি ইউনিয়ন পরিষদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল রবিবার (২৮ এপ্রিল) সকাল থেকে বিকাল ৪ টা পর্যন্ত দক্ষিণ হামছাদী, দালাল বাজার, বাঙ্গাখাঁ, লাহারকান্দি ও তেওয়ারীগঞ্জ ইউনিয়নে এ ভোটগ্রহণ চলে। ভোটগ্রহণ শেষে রাতে ফলাফল ঘোষিত হলে দেখা যায়, এই ৫ টি ইউপি’র ৩ টিতেই নতুন মুখ এবং অপর দু’টি তে পুরোনোতেই আস্থা রেখেছে জনগণ। ফলাফল ঘোষণা করেছেন দায়িত্বপ্রাপ্ত স্ব স্ব রিটার্নিং কর্মকর্তা।
রাজশাহীর পবা উপজেলার কাটাখালী পৌরসভার মেয়র পদে উপ-নির্বাচনের মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন একমাত্র নারী প্রার্থী মোসা. রাবেয়া সুলতানা মিতু। হেঙ্গার প্রতীক নিয়ে তিনি পেয়েছেন ৬ হাজার ৩০৮ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র আবু শামা নারিকেল গাছ প্রতীকে পেয়েছেন ৩ হাজার ৪৮৭ ভোট। আর মিজানুর রহমান চামচ প্রতীকে ২ হাজার ৯১৭ ভোট পেয়ে তৃতীয় হয়েছেন।