নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৭:০০ পিএম, ০১ মার্চ, ২০২১
দেশের খবর
বীমা গ্রাহকদের স্বার্থকে অগ্রাধিকার দিতে হবে বললেন প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বীমা গ্রাহকদের স্বার্থকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। বীমার টাকা যেনাে গ্রাহকরা ঠিকভাবে পায়, সেজন্য বীমা কোম্পানীগুলোকে কাজ করতে হবে। জাতীয় বিমা দিবস-২০২১-এর অনুষ্ঠানে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত হয়ে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
পুলিশি বাধার মুখে পণ্ড প্রগতিশীল ছাত্রজোটের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ঘেরাও কর্মসূচি
কারাগারে লেখক মুশতাক আহমেদের মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে ও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের দাবিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ঘেরাও কর্মসূচি পালন করেছে প্রগতিশীল ছাত্রজোটের নেতাকর্মীরা। সোমবার ১২টায় টিএসসি চত্বর থেকে মিছিল বের করেন তারা। পরে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উদ্দেশে রওনা হন নেতাকর্মীরা। পরে পুলিশের বাধার মুখে পড়েন তারা।
ছাত্রদল-পুলিশ সংঘর্ষের ঘটনায় আড়াইশো জনের বিরুদ্ধে মামলা
রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে রোববার পুলিশ ও ছাত্রদলের সংঘর্ষের ঘটনায় বিএনপির ৪৭ নেতাকর্মীকে আসামি করে একটি মামলা করেছে পুলিশ। পুলিশ বাদী হয়ে শাহবাগ থানায় এই মামলা করে। এতে আরও অজ্ঞাত ২৫০জনকে আসামি করে হয়েছে। গ্রেফতার হয়েছে ১২ জন।.
আন্তর্জাতিক
বিক্ষোভে উত্তাল মিয়ানমার; সেনাবিরোধী আন্দোলনে দেশটিতে এ পর্যন্ত নিহত ২৪
মিয়ানমারের জান্তা সরকার বিরোধী আন্দোলন এবার কঠোরভাবে দমন শুরু করেছে। রোববার আন্দোলনকারীদের ওপর পুলিশের হামলায় আরও ১৮ জন নিহত হয়েছেন। এরআগে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান ৬ জন। এ পর্যন্ত আন্দোলনে ২৪ জনের প্রাণহানির ঘটনা ঘটলো দেশটিতে।
এদিকে, আজও আন্দোলন অব্যাহত রয়েছে দেশটিতে। সোমবার বিচারের জন্য আদালতে হাজির করা হয় ক্ষমতাচ্যুত নেত্রী অং সান সু চিকে। সশরীরে নয়, তাঁকে আদালতে হাজির করা হয়েছে ভিডিও লিংকের মাধ্যমে। ৭৫ বছর বয়সী এ নেত্রীকে এ সময় মোটামুটি সুস্থ বলেই মনে হয়েছে জানান তার আইনজীবী। গত ১ ফেব্রুয়ারি সামরিক অভ্যুত্থান ঘটার পর সু চিকে আর প্রকাশ্যে দেখা যায়নি।
গত ৩ ফেব্রুয়ারি সু চির বিরুদ্ধে মামলা করে জান্তা সরকার। অভিযোগ করা হয়, তিনি আমদানি-রপ্তানি আইন ভঙ্গ করেছেন। তাঁর বাড়ি থেকে ওয়াকিটকি পাওয়া গেছে, যা তিনি বেআইনিভাবে আমদানি করে ব্যবহার করছিলেন। এ ছাড়া, সাধারণ মানুষকে উস্কানি দেয়ার অভিযোগও আনা হয়েছে।
২০২৪ সালেও লড়াইয়ের আভাস দিলেন ট্রাম্প
সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সরাসরি ঘোষণা না দিলেও ২০২৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে লড়াইয়ের আভাস দিয়েছেন।
ফ্লোরিডার অরল্যান্ডোতে রক্ষণশীলদের সম্মেলনের শেষ দিনে বক্তব্য রাখেন ট্রাম্প। তিনি বলেন, তিনি নিজে নতুন কোনো দল গঠন করবেন না। বলেন, ২০২৪ সালে হোয়াইট হাউসও নিয়ন্ত্রণে আসবে রিপাবলিকানদের।
অনুমান করুন, ২০২৪ সালে কে প্রেসিডেন্ট হবেন? এমন প্রশ্ন সম্মেলনে বারবার করতে থাকেন ট্রাম্প। উপস্থিত সমর্থকেরা জবাবে ‘ট্রাম্প, ট্রাম্প’ বলে স্লোগানও দেন।
করোনার টিকা নিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি
করোনা ভাইরাসের টিকা নিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। রাজধানী নয়া দিল্লির অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অব মেডিকেল সায়েন্সেস-এ (এআইআই এমএস) টিকা নেন তিনি। সোমবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক ও টুইটারে ছবি পোস্ট করে নিজের টিকা নেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন নরেন্দ্র মোদি।
পরমাণু চুক্তি নিয়ে বসতে রাজি নয় ইরান
২০১৫ সালের পরমাণু চুক্তি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও তাদের মিত্রদের সঙ্গে অনানুষ্ঠানিক বৈঠকে বসবে না ইরান। রোববার সাফ জানিয়ে দিয়েছে দেশটি যতক্ষণ পর্যন্ত নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে না নেয় ওয়াশিংটন। বৈঠকে বসতে রাজি না হওয়ায় হতাশা প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। ওয়াশিংটন বলেছে, তারা বিষয়টি নিয়ে অর্থবহ কূটনৈতিক তৎপরতা চালাতে প্রস্তুত রয়েছে।
`গোল্ডেন গ্লোব` জিতে দক্ষিণ এশিয়ায় ইতিহাস গড়লেন ক্লোই ঝাও
সেরা নারী পরিচালক হিসেবে এই `গোল্ডেন গ্লোব` পুরস্কার জিতে ইতিহাস গড়লেন চীনের ক্লো ঝাও। তিনিই প্রথমবারের মতো দক্ষিণ এশিয়ার নারী পরিচালক হিসেবে পুরস্কার জিতলেন।
৩৮ বছর বয়সী পরিচালক ক্লোই ঝাও পরিচালিত তৃতীয় ছবি `টিয়ারস`। আর এই ছবির জন্যই তিনি এ পুরস্কার পেলেন। চীনের বেইজিংয়ে জন্ম নেওয়া ক্লোই ঝাও বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে বাস করছেন।
খেলাধুলা
লা লিগায় রাত ২ টায় মাঠে নামবে রিয়াল মাদ্রিদ ও সোসিয়েদাদ
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
৭ জানুয়ারি নির্বাচনের পর আওয়ামী লীগ সরকার একটা স্বস্তিদায়ক অবস্থায় ছিল রাজনৈতিক দিক থেকে। রাজনৈতিকভাবে যারা নির্বাচন বর্জনের ডাক দিয়েছিল, নির্বাচন প্রতিহত করতে বলেছিল তারা ব্যর্থ হয়েছে। নির্বাচনের পর তারা সঙ্কুচিত, কোণঠাসা এবং হতাশাগ্রস্ত। আওয়ামী লীগের সামনে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ নেই বললেই চলে। না সংসদে, না রাজপথে।
বিএনপি এখন হতাশাগ্রস্ত একটি রাজনৈতিক দল। তাদের ভিতর অবিশ্বাস-কোন্দল প্রচণ্ড আকার ধারণ করেছে। যার ফলে দলটি এখন নতুন আন্দোলনের কর্মসূচি নিয়ে সরকারের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর মতো অবস্থায় নেই। অন্য রাজনৈতিক দলগুলো অস্তিত্বের সংকটে আছে। তাদের কর্মী সমর্থক নেই। কাজেই রাজনীতিতে তারা সরকারের বিরুদ্ধে তেমন কোন প্রভাব বিস্তারের সুযোগই পাচ্ছে না।
আন্তর্জাতিকভাবে নির্বাচনের আগে মনে করা হয়েছিল সরকার বড় ধরনের সংকটে পড়বে। বিশেষ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলো নির্বাচনের আগে যেভাবে সরকারকে সতর্ক করেছিল, হুঁশিয়ারি দিয়েছিল; অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচন না হলে নিষেধাজ্ঞার মত ব্যবস্থা গ্রহণের হুমকি দিয়েছিল- নির্বাচনের পর সেই অবস্থা পাল্টে গেছে।
বিভিন্ন দেশ বাংলাদেশের নির্বাচনকে ত্রুটিপূর্ণ বলা সত্ত্বেও নতুন সরকারের সাথে সম্পর্ক এগিয়ে নেওয়ার বিষয়টিকে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিয়েছে। বিশেষ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এখন বাংলাদেশের সাথে সম্পর্ক এগিয়ে নেওয়ার জন্যই বেশি চেষ্টা করছে। অন্যান্য দেশগুলো যেমন- ইউরোপীয় ইউনিয়ন, যুক্তরাজ্য; তারাও বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ককে এখন গুরুত্ব দিচ্ছে। বর্তমানে নির্বাচনের বিষয় তারা তেমন সামনে আনতে রাজি নন। এরকম একটি পরিস্থিতিতে সরকারের জন্য একটি স্বস্তিদায়ক অবস্থায় থাকার কথা।
কিন্তু বাস্তবতা হল সরকার স্বস্তিতে নেই। বরং আস্তে আস্তে সরকারের উপর চাপ বাড়ছে। আর সরকারের এই চাপের প্রধান কারণ হল অর্থনীতি। বিগত মেয়াদেই অর্থনীতিতে বিবর্ণ চেহারাটা সামনে উঠেছিল। এটি আস্তে আস্তে ক্রমশ চ্যালেঞ্জিং হয়ে যাচ্ছে এবং সরকারের জন্য অর্থনৈতিক সংকটগুলো মোকাবেলা করা অত্যন্ত দুরূহ হয়ে পড়ছে বলেই অর্থনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করেন।
অর্থনৈতিক সংকট মোকাবেলার জন্য সরকার বেশ কিছু দৃশ্যমান উদ্যোগ গ্রহণ করছে। কিন্তু সেই উদ্যোগগুলো নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। যেমন অর্থনৈতিক সংকটের একটি প্রধান বিষয় হল মুদ্রাস্ফীতি। মুদ্রাস্ফীতি বেড়েই চলেছে, মুদ্রাস্ফীতি কমানোর জন্য সরকার যত ব্যবস্থাই নেক, সেই ব্যবস্থাগুলো এখন পর্যন্ত ফলপ্রসূ বলে বিবেচিত হয়নি।
অর্থনৈতিক সঙ্কটের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ দিক ছিল, ব্যাংকিং ব্যবস্থাপনায় অনিয়ম-বিশৃঙ্খলতা। আর এটি দূর করার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক একীভূতকরণের একটি উদ্যোগ গ্রহণ করে। দুর্বল ব্যাংকগুলোকে সবল ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। সেই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কয়েকটি ব্যাংক একীভূত হয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশ ব্যাংকের এই কৌশল এখন ব্যাপক সমালোচিত হচ্ছে। এর ফলে ব্যাংকিং সেক্টরে বিশৃঙ্খল অবস্থারও একটা উন্নতি হয়নি।
ব্যাংকিং সেক্টরের বিশৃঙ্খলার হওয়ার প্রধান কারণ হল খেলাপি ঋণ এবং অর্থপাচার। ঋণ খেলাপিদের আইনের আওতায় আনতে কঠোর অবস্থান গ্রহণের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে বিভিন্ন পরিকল্পনার কথা শোনা যাচ্ছে বটে। কিন্তু বাস্তবে এই পরিকল্পনাগুলো কতটুকু বাস্তবায়িত হবে সে নিয়েও বিভিন্ন মহলের সন্দেহ রয়েছে। কারণ অতীতেও দেখা যে, ঋণ খেলাপিদের বিরুদ্ধে সরকার কঠোর হতে পারছে না।
বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের সঙ্কট বাড়ছে, বিশেষ করে এখন বাংলাদেশকে ঋণের দায় মেটাতে হচ্ছে। ঋণের দায় মেটানোর চাপ সামলাতে গিয়ে বৈদেশিক মুদ্রায় টান পড়ছে। আর বৈদেশিক মুদ্রার প্রধান যে উৎস প্রবাসী আয় এবং রপ্তানী আয়- সে দুটোতেও কোনওরকম ইতিবাচক ব্যবস্থা নেই। সামনে বাজেট, আর এই বাজেটে অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের একটি মহাপরিকল্পনা সরকারকে করতেই হবে। অর্থনৈতিক সংকট যদি সরকার নিয়ন্ত্রণ না করতে পারে, তাহলে সরকারের জন্য সামনের দিনগুলো আরও কঠিন, চ্যালেঞ্জিং এবং সংকটাপন্ন হবে বলেই মনে করে অর্থনৈতিক বিশ্লেষকরা।
অর্থনীতি হাসান মাহমুদ আলী আয়শা খান আওয়ামী লীগ সরকার
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
৭ জানুয়ারি নির্বাচনের পর আওয়ামী লীগ সরকার একটা স্বস্তিদায়ক অবস্থায় ছিল রাজনৈতিক দিক থেকে। রাজনৈতিকভাবে যারা নির্বাচন বর্জনের ডাক দিয়েছিল, নির্বাচন প্রতিহত করতে বলেছিল তারা ব্যর্থ হয়েছে। নির্বাচনের পর তারা সঙ্কুচিত, কোণঠাসা এবং হতাশাগ্রস্ত। আওয়ামী লীগের সামনে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ নেই বললেই চলে। না সংসদে, না রাজপথে।