নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৪:০৬ পিএম, ০৪ মার্চ, ২০২১
লক্ষ্মীপুর-২ (রায়পুর) আসনে উপ-নির্বাচনে মনোনয়ন প্রত্যাশী এডভোকেট নুর উদ্দিন চৌধুরী নয়ন। তিনি লক্ষ্মীপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।
এর আগে ২২ ফেব্রুয়ারি সংসদ সচিবালয় পাপুলের সংসদ সদস্য পদ বাতিল সংক্রানত প্রজ্ঞাপন জারি করে। এতে গত ২৮ জানুয়ারি থেকে তার পদ শূন্য দেখানো হয়েছে।
এ আসনের উপ-নির্বাচন ১১ এপ্রিল। মনোয়নপত্র দাখিলের শেষ তারিখ ১৮ মার্চ। মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের তারিখ ১৯ মার্চ। প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ২৪ মার্চ।
বুধবার (৩ মার্চ) নির্বাচন কমিশন ভবনে কমিশন বৈঠক শেষ এ কথা জানান ইসি সচিব হুমায়ুন কবির খোন্দকার।
সিনিয়র সচিব ড. জাফর আহমেদ খান স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ‘কুয়েতে ফৌজদারি অপরাধে চার বছর সশ্রম কারাদণ্ডে দন্ডিত হওয়ায় লক্ষ্মীপুর-২ আসন থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য শহিদ ইসলাম বাংলাদেশের সংবিধানের ৬৬ (২) (ঘ) অনুচ্ছেদের বিধান অনুযায়ী সংসদ সদস্য পদে থাকার যোগ্য নয়। সেই কারণে সংবিধানের ৬৭ (১) (ঘ) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী রায় ঘোষণার তারিখ ২৮ জানুয়ারি হতে তার আসন শূন্য হয়েছে।’
এদিকে নির্বাচনের খবরে দলীয় নেতাকর্মীরা এডভোকেট নুর উদ্দিন চৌধুরী নয়নকে নৌকা প্রতীক এ আসনের সংসদ সদস্য প্রার্থী পেতে কেন্দ্রীয় নেতাদেরক নিকট দাবি জানান।
দলের মধ্যে বিভাজন দূরীকরণে এডভোকেট নয়নের দক্ষতা অতুলনীয়। তিনি জেলার প্রত্যক নেতাকর্মীদের
সুসংগঠিত করে রেখেছেন। এডভোকেট নয়ন জেলার রামগঞ্জ, রামগতি ও রায়পুর পৌরসভার নির্বাচনে নেতাকর্মীদের নিয়ে সক্রিয়ভাবে নৌকা প্রতীককে বিজয় করতে নিরলসভাবে কাজ করেছিলেন। এসব পৌরসভায় নৌকার প্রার্থী বিজয় হয়েছে।
এছাড়াও বিশ্ব মহামারী করোনা কালীন সময় জেলার প্রায় ১০ হাজার ঘরবন্দি মানুষকে খাদ্য সামগ্রী দিয়ে সহযোগীতা করেছেন এ নেতা। দলীয় নেতাকর্মীদেরকে ব্যক্তিগতভাবে নগদ অর্থ প্রদানের মাধ্যমে সহযোগীতা করেছেন। উপকূলীয় এ জেলায় যখন শীতের তীব্রতা দেখা দেয় তখন তিনি ব্যক্তিগত অর্থায়নে কম্বল বিতরণ করেন। তিনি একাধিক মসজিদ ,মাদ্রাসা ও স্কুল-কলেজের দায়িত্বে রয়েছে। এসব ধর্মীয় ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অবকাঠামো উন্নয়নে তার ভুমিকা লক্ষ্যনীয়। তিনি শতাধিক নেতাকর্মীদের চিকিৎসার জন্য কয়েক লক্ষ টাকা দিয়ে সহযোগীতা করেছেন। এজন্য এ আসনের উপনির্বাচনে এমপি পদে এভোকেট নুর উদ্দিন চৌধুরী নয়নকে পেতে চায় সর্বদলীয় লোক।
এডভোকেট নুর উদ্দিন চৌধুরী নয়ন ছাড়াও এ আসনে প্রার্থী রয়েছে সাবেক এমপি হারুনুর রশিদ, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মিয়া গোলাম ফারুক পিংকু, জেলা আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক এহসানুল কবির জগলুল, কেন্দ্রীয় যুবলীগের সাবেক প্রেসিডিয়াম সদস্য মোহাম্মদ আলী খোকন, বর্তমান কমিটির উপ-পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক সামছুল ইসলাম পাটওয়ারী, জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান, রায়পুর উপজেলা আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক হারুনুর রশীদ, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ও সমর্থকরা তাদের পক্ষে আলাদা ও বিক্ষিপ্তভাবে প্রচারণা চালাচ্ছেন। ফেসবুক স্ট্যাটাসের পাশাপাশি ইতিমধ্যে ওই নেতাদের পোস্টার-পেস্টুনও বিভিন্ন এলাকায় সাঁটিয়েছেন।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান তাপদাহ শিক্ষা মন্ত্রণালয়
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
ভারতের লোকসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সাত ধাপে অনুষ্ঠিতব্য এই নির্বাচনের প্রথম পর্যায়ের ভোট হয় ১৯ এপ্রিল এবং সেখানে ১০২টি নির্বাচনী এলাকায় ভোট অনুষ্ঠিত হয়। দ্বিতীয় দফায় ২৬ এপ্রিল ৮৯টি নির্বাচনী এলাকায় ভোট অনুষ্ঠিত হয়েছে। চতুর্থ দফায় ভোট হবে ৭ মে। সেখানে ৯৪টি আসনে ভোটগ্রহণ হবে এবং সপ্তম দফায় ভোট অনুষ্ঠিত হবে পয়লা জুন। আর ৪ জুন নির্বাচনের ফলাফল জানা যাবে।
প্রথম দুই দফা ভোটের যে হার, তাতে বিজেপির মধ্যে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। বিজেপির নেতারা ভোটে যে ভূমিধস বিজয় আশা করছিলেন সেটি হবে না। ভারতের কোন কোন গণমাধ্যমগুলো ভোটের ফলাফলে নাটকীয় ঘটনা ঘটারও ইঙ্গিত দিচ্ছে। বিশেষ করে ২০০৪ সালের নির্বাচনে যেভাবে কংগ্রেস অটলবিহারী বাজপেয়ীর নেতৃত্বে বিজেপিকে ধরাশায়ী করেছিল সেরকম কোন ঘটনা ঘটতেও পারে বলে মনে আশঙ্কা করছেন অনেকে। অবশ্য এখনও আরও পাঁচ দফা ভোট বাকি আছে এবং বিজেপি আশা করছে যে, পরবর্তী ধাপগুলোতে ভোটার উপস্থিতি বাড়বে এবং বিজেপি তাদের জয়ের ধারা অক্ষুণ্ণ রাখবে। নরেন্দ্র মোদি ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে দেওয়ার জন্য বারবার আহ্বান জানাচ্ছেন।
ভারতের নির্বাচনের ফলাফল কী হবে তা বোঝা যাবে আগামী ৪ জুন। কিন্তু এখন পর্যন্ত যে ভোটের হাওয়া লক্ষ্য করা যাচ্ছে তাতে এটা স্পষ্ট যে, ভোটের আগে নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন বিজেপি জোটের যে নিরঙ্কুশ বিজয়ের ধারণা করা হয়েছিল, সেটি বাস্তবতা নাও পেতে পারে। আর এ কারণেই মোদী যদি শেষ পর্যন্ত পরাজিত হন, তাহলে সেটি হবে ভারতের রাজনৈতিক ইতিহাসে একটি বড় ব্যতিক্রমী ঘটনা এবং এটি হবে ভারতের নির্বাচনের সবচেয়ে বড় চমক।
এখন যখন ভারতের নির্বাচনে একটি হাড্ডাহাড্ডি লড়াই বা অনিশ্চয়তার ফলাফলের শঙ্কা জেগেছে তখন প্রশ্ন উঠছে যে, বিজেপি যদি এই নির্বাচনে পরাজিত হয় তাহলে বাংলাদেশে কী হবে? গত দুটি নির্বাচনে ভারতের বিজেপি সরকার বাংলাদেশকে নিরঙ্কুশভাবে সমর্থন দিয়েছে। ২০১৮ এবং ২০২৪ এর নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সরকারের প্রতি অকুণ্ঠ সমর্থন জানিয়েছে বিজেপি সরকার।
বিশেষ করে ২০২৪ এর নির্বাচনে ভারতীয় সরকারের পরিপূর্ণ সমর্থন ছাড়া মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এই নির্বাচনে ব্যাপক প্রভাব বিস্তার করত এবং এই নির্বাচনকে অস্বীকৃতি জানাত বলেও অনেকে মনে করেন। মার্কিন মনোভাব পাল্টানোর ক্ষেত্রে ভারত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। আর নির্বাচনের পর বিএনপি থেকে শুরু করে জাতীয় পার্টি প্রত্যেকেই বলছে যে, ভারত বর্তমান সরকারকে ক্ষমতায় রেখেছে। যদিও এরকম অভিযোগকে আওয়ামী লীগ অস্বীকার করে এবং আওয়ামী লীগ মনে করে যে, জনগণের ভোটে তারা নির্বাচিত হয়েছে। কিন্তু ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়টি আওয়ামী লীগ বা বিজেপি কেউই অস্বীকার করে না।
এখন প্রশ্ন হল, যদি বিজেপি পরাজিত হয়, ইন্ডিয়া জোট ক্ষমতায় আসে তাহলে বাংলাদেশের সমীকরণ কী হবে? কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন যে, বর্তমান সরকারের জন্য সমীকরণের কোন পরিবর্তন হবে না। কারণ ইন্ডিয়া জোটের সঙ্গেও আওয়ামী লীগ সরকারের একটি সুসম্পর্ক রয়েছে। ইতোমধ্যে ইন্ডিয়া জোটের প্রধান দল কংগ্রেস তাদের নির্বাচনী ইশতেহারে বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের বার্তা দিয়েছে।
অনেকে মনে করেন যে, এখন ভারতে কট্টর হিন্দুত্ববাদী মনোভাবের কারণে সীমান্তে অস্থিরতা তৈরি হচ্ছে। মুসলিম বিদ্বেষী বক্তব্য রাখা হচ্ছে। যার ফলে বাংলাদেশের মধ্যে একটা ভারতবিরোধী মনোভাব তৈরি হচ্ছে। শেষ পর্যন্ত যদি নরেন্দ্র মোদি তাহলে এই অবস্থানের পরিবর্তন হবে। দুই দেশের সম্পর্ক আরও বিকশিত হবে বলেও মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
ভারত লোকসভা নির্বাচন মল্লিকার্জুন খাড়গে নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ
মন্তব্য করুন
ভারতের লোকসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সাত ধাপে অনুষ্ঠিতব্য এই নির্বাচনের প্রথম পর্যায়ের ভোট হয় ১৯ এপ্রিল এবং সেখানে ১০২টি নির্বাচনী এলাকায় ভোট অনুষ্ঠিত হয়। দ্বিতীয় দফায় ২৬ এপ্রিল ৮৯টি নির্বাচনী এলাকায় ভোট অনুষ্ঠিত হয়েছে। চতুর্থ দফায় ভোট হবে ৭ মে। সেখানে ৯৪টি আসনে ভোটগ্রহণ হবে এবং সপ্তম দফায় ভোট অনুষ্ঠিত হবে পয়লা জুন। আর ৪ জুন নির্বাচনের ফলাফল জানা যাবে।