নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৫:৫৯ পিএম, ০৪ এপ্রিল, ২০২১
আজ সরকার ৫ এপ্রিল থেকে ১১ এপ্রিল রাত ১২টা পর্যন্ত লকডাউনের ঘোষণা দিয়েছে। যদিও মন্ত্রীপরিষদ বিভাগ থেকে জারি করা প্রজ্ঞাপনে লকডাউন বলা হয় নি। বলা হয়েছে চলাচলে নিষেধাজ্ঞা আরোপ। করোনা মোকাবেলার জন্য যেভাবে অন্যান্য দেশে লকডাউন করা হয়, এই লকডাউনের সঙ্গে তার বিস্তর পার্থক্য রয়েছে। সবচেয়ে মজার ব্যাপার হলো লকডাউনে সত্ত্বেও বইমেলা খোলা রাখা হয়েছে। দুপুর ১২ টা থেকে ৫টা পর্যন্ত এ বইমেলা খোলা রাখা হবে বলে বইমেলা আয়োজকরা জানিয়েছেন।
সারাদেশে যখন করোনার জন্য সবকিছু সীমিতকরণ করা হচ্ছে তখন বইমেলা খোলা রাখা কতটা যৌক্তিক সে প্রশ্ন উঠেছে। শুধু তাই নয়, কাঁচাবাজার খোলা রাখা হয়েছে। সরকারি-বেসরকারি অফিস সীমিত আকারে খোলা রাখা হয়েছে। প্রজ্ঞাপনের ২ এর গ তে বলা হয়েছে যে, সকল সরকারি/আধাসরকারি/স্বয়ত্তশাসিত অফিস ও আদালত এবং বেসরকারি অফিসে কেবল জরুরি কাজ সম্পাদনের জন্য সীমিত পরিসরে প্রয়োজনীয় জনবলকে স্ব স্ব প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব পরিবহন ব্যবস্থায় অফিসে আনা-নেওয়া করতে পারবে। শিল্প-কারখানা ও নির্মাণ কার্যাদি চালু থাকবে। শিল্প-কারখানার শ্রমিকদের স্ব স্ব প্রতিষ্ঠান কর্তৃক নিজস্ব পরিবহন ব্যবস্থাপনায় আনা-নেওয়া করতে হবে। বিজিএমইএ ও বিকেএমইএ কর্তৃক শিল্প-কারখানা এলাকায় নিকটবর্তী সুবিধাজনক স্থানে তাদের শ্রমিকদের জন্য ফিল্ড হাসপাতাল/চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে।
এমনকি শিল্প-কারখানাও চালু রয়েছে। শুধুমাত্র গণপরিবহন বন্ধ রাখা হয়েছে। এই গণপরিবহন বন্ধ রাখা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। একদিকে শিল্প-কারখানা চালু থাকবে, তাহলে শ্রমিক এবং নিম্ন আয়ের মানুষরা শিল্প প্রতিষ্ঠানে যাবে কিভাবে সেটিও একটি প্রশ্ন হিসেবে দেখা দিয়েছে। তারপরও বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, যেভাবে মানুষ লাগামহীনভাবে ঘোরাফেরা করছিলো, বাজার-ঘাটে উপচে পড়া ভীড় ছিলো, সেটি কিছুটা হলেও বন্ধ হবে। এই পদ্ধতিতে এটি বৈজ্ঞানিকভিত্তিক লকডাউন নয় বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন।
এই লকডাউনের যে সমস্ত বিষয়গুলো সম্পূর্ণ বন্ধ করা হয়েছে, তার মধ্যে রয়েছে, সকল গণপরিবহন, সড়ক, নৌ, রেলপথ। সন্ধ্যা ৬টা থেকে ভোড় ৬টা পর্যন্ত সমস্ত কার্যক্রম বন্ধ রাখা হয়েছে। খাবার হোটেলগুলোতে আসন ব্যবস্থা বন্ধ করা হয়েছে। শুধুমাত্র টেক অ্যাওয়ে ব্যবস্থা করা হয়েছে। শপিংমলও বন্ধ করা হয়েছে। কিন্তু এর মাধ্যমে আসলে করোনা সংক্রমণ ঠেকানো যাবে কিনা সেটি নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে বিশেষজ্ঞ মহলে।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
বিমানবন্দর বিমান ও পর্যটন মন্ত্রী জাতীয় সংসদ
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
অতিরিক্ত গরমে মাথা ঘোরানো, দুশ্চিন্তা, স্ট্রোক, মুখের ভেতর শুকিয়ে যাওয়া, অ্যাজমা, মাংসপেশিতে খিঁচুনি, চামড়ায় ফুসকুড়ি, কিডনি অকার্যকর হওয়ার মতো অসুস্থতা দেখা দিতে পারে। এ ধরনের গরমে বয়স্ক, শিশু, অন্তঃসত্ত্বা নারী, শ্রমজীবী মানুষেরা সবচেয়ে বেশি ঝুঁকির মধ্যে রয়েছেন। তাই তাপপ্রবাহ থেকে সুরক্ষার জন্য কী কী করতে হবে, তা জানিয়ে প্রথমবারের মতো জাতীয় গাইডলাইন বা নির্দেশিকা প্রকাশ করেছে সরকার।