নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৭:১২ পিএম, ১০ এপ্রিল, ২০২১
প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন বলেছেন, বাংলাদেশ কোনো খুনির দেশ নয়। এটা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সোনার বাংলা। এটা অবশ্যই আমরা রক্ষা করবো। বিচার বিভাগ এবিষয়ে তার দায়িত্ব সম্পূর্ণ নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করবে। তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা জাগ্রত করতে হলে সকলের সামনে বঙ্গবন্ধু হত্যা ও যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের কথা তুলে ধরতে হবে।
শনিবার (১০ এপ্রিল) ভার্চুয়ালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিমের লেখা দুটি বইয়ের মোড়ক উন্মোচন উপলক্ষ্যে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন প্রধান বিচারপতি।
অনুষ্ঠানে বিচারপতি ওবায়দুল হাসান রচিত ‘বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ: একজন যুদ্ধ শিশুর গল্প ও অন্যান্য’ এবং বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম রচিত ‘বঙ্গবন্ধু: সংবিধান আইন আদালত ও অন্যান্য’ বই দুটির মোড়ক উন্মোচন করা হয়।
অনুষ্ঠানে আপিল বিভাগের জেষ্ঠ্য বিচারপতি মুহাম্মদ ইমান আলী, বিচারপতি ওবায়দুল হাসান, বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম, সাবেক সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নুর, অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন, ইতিহাসবীদ অধ্যাপক ড. মুনতাসির মামুন, মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি মফিদুল ইসলাম, একাত্তর টিভির প্রধান সম্পাদক মোজাম্মেল বাবু, লেখক আনিসুল হক ও প্রকাশনা সংস্থা মাওলা ব্রাদার্সের আহমেদ মাহমুদুল হক বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন অ্যাডভোকেট রোকসানা পারভীন কবিতা। বই দুটিতে বঙ্গবন্ধু, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, বিচার বিভাগসহ বিভিন্ন বিষয় ফুটে উঠেছে।
সুপ্রিম কোর্টের রায় বাস্তবায়ন নিয়ে অধ্যাপক মুনতাসির মামুনের বক্তব্যের জবাবে প্রধান বিচারপতি বলেন, আমাদের রায় বাস্তবায়ন হচ্ছে না বলে বলা হচ্ছে। মনে রাখতে হবে, সংবিধান অনুযায়ী নির্বাহী বিভাগসহ রাষ্ট্রের সকলের সহায়তায় সুপ্রিম কোর্ট কাজ করবে। আমাদের কেন আদালত অবমাননার রুল জারি করতে হবে? কিন্তু সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশনা বাস্তবায়নের জন্য আমরা আদালত অবমাননার আদেশ জারি করতে করতে হয়রান। যেভাবে আমাদের রায় বা নির্দেশনা বাস্তবায়ন করার কথা, সে অনুযায়ী হচ্ছে না। এটা দুঃখের বিষয়।
প্রধান বিচারপতি বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে লেখা বই দুটির ভূয়সী প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, এই বই দুটি পড়লে স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় মা-বোনদের সীমাহীন ত্যাগের কথা জানা যাবে। বই দুটি বর্তমান ও ভবিষ্যত প্রজন্মকে স্বদেশ প্রেমে উদ্বুদ্ধ করবে বলে দৃঢ় বিশ্বাস করি। বিচারক, আইনজীবী, তরুন প্রজন্মসহ সকলেই উপকৃত হবে। বই দুটি ভবিষ্যতে দলিল হিসেবে কাজ দেবে বলে মনে করি।
বিচারপতি মুহাম্মদ ইমান আলী বলেন, বঙ্গবন্ধু তার বক্তব্যে সে সময়কার বিচার ব্যবস্থা পরিবর্তনের কথা বলেছিলেন। তিনি বিচার ব্যবস্থায় যে পরিবর্তনের কথা বলেছিলেন আজও আমরা তা করতে পারিনি। আজ প্রায় ৪০ লাখ মামলার জট। এটা কমিয়ে এনে জনগণকে ন্যায়বিচার দিতে বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তির ব্যবস্থা, মধ্যস্থতার মাধ্যমে বিরোধ নিষ্পত্তির ব্যবস্থা চালু করা গেলেও তা পুরোপুরি বাস্তবায়ন করতে পারিনি।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
জেলা প্রশাসক সম্মেলন প্রধানমন্ত্রী
মন্তব্য করুন
সিরাজগঞ্জের কামারখন্দে একটি চালকলে ধান সিদ্ধ করার সময় বয়লার বিস্ফোরণে এক শ্রমিকে মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছে আরও দুই শ্রমিক। শুক্রবার (৩ মে) ভোর সাড়ে ৪টার দিকে জামতৈল পশ্চিম পাড়ার মেসার্স আজাহার চালকলে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত ফজল আলী (২৬) উপজেলার জামতৈল পশ্চিম পাড়ার রবিয়াল হোসেনের ছেলে।
আহত শ্রমিকরা হলেন, উপজেলার জামতৈল পশ্চিম পাড়ার মৃত পলান শেখের ছেলে জহুরুল শেখ (২৬) এবং কর্ণসূতি পশ্চিম পাড়ার মৃত সুরুত মন্ডলের ছেলে জিন্নাহ মন্ডল (৩০) ।
আহত শ্রমিক জহুরুল শেখ জানান, ‘ধান সিদ্ধ করার এক পর্যায়ে ভোর সাড়ে ৪ টার দিকে বিকট শব্দে বয়লার বিস্ফোরণ হয়। এতে আমি সহ ফজল ও জিন্নাহ আহত হই। আমি আর জিন্নাহ হাসপাতালে ভালো চিকিৎসা না পেয়ে বাড়িতে চলে এসেছি আর ফজলের অবস্থা খুবই খারাপ হওয়ায় তাকে ঢাকায় পাঠানো হয়।’
জহুরুল আরও জানান, ‘আমি গত এক বছরের বেশি সময় ধরে এই চালকলে কাজ করছি। এর মধ্যে বয়লারের পাইপ পরিবর্তন করা হলেও বয়লার পরিবর্তন করা হয়নি।'
মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে নিহত ফজলের ভাই আসলাম হোসেন জানান, ‘মেসার্স আজাহার চালকলে ধান সিদ্ধ করার এক পর্যায়ে বয়লার বিস্ফোরণে ফজল গুরুতর আহত হয়। প্রথমে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানকার চিকিৎসক তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর সেখানকার চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।'
মেসার্স আজাহার চালকলের স্বত্বাধিকারী আজাহার আলী রাজা দাবি করেন, ‘গত ছয় মাস আগে বয়লার ও কয়েক দিন আগে বয়লারের পাইপ পরিবর্তন করা হয়েছে। বয়লার কেন বিস্ফোরণ হলো বুঝতে পারছি না।’
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. সুমনুল হক জানান, ‘বয়লার বিস্ফোরণে আহত তিন জন শ্রমিককে হাসপাতালে আনা হয়েছিল। দুই জনকে সিরাজগঞ্জ সদর হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়ে। এদের মধ্যে ফজল নামে একজন শ্রমিকের মুখের অনেকাংশ থেঁতলে গেছে।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহীন সুলতানা জানান, ‘মেসার্স আজাহার চালকলে বয়লার বিস্ফোরণের খবর পেয়েছি। এ ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে।'
মন্তব্য করুন