নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯:৫৯ পিএম, ১২ এপ্রিল, ২০২১
১২ এপ্রিল প্রথম দফা লকডাউন শেষ হবার আগেই দ্বিতীয় দফা লকডাউনের প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সরকার। মন্ত্রীপরিষদ বিভাগ কর্তৃক জারীকৃত প্রজ্ঞাপনে দ্বিতীয় দফার লকডাউনে আরো কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে যে, এই সময়ে লকডাউন হবে অত্যন্ত কঠোর। আর তাই প্রথম দফার লকডাউনের তোয়াক্কা না করে মানুষ যেন বানের পানির মত রাস্তাঘাটে ভিড় জমাচ্ছে। বাসগুলোতে ঠাই নাই। ফেরিঘাট, লঞ্চঘাটে উপচে পড়া মানুষের ভিড়। স্বাস্থ্যবিধির কোন বালাই নেই। ব্যাংকগুলোতে হুড়োহুড়ি। মনে হচ্ছে যেন লটারি টিকিট বিক্রি হচ্ছে। আর বাজার হাট দেখে কে বিশ্বাস করবে বাংলাদেশে এখন লকডাউন চলছে। এই পরিস্থিতি ১২ এপ্রিলের। আগামীকাল নিশ্চিতভাবে এর চেয়েও খারাপ পরিস্থিতি হবে। কিন্তু মানুষের মধ্যে কোনো আনন্দ, উৎসব এবং আগ্রহ নেই। দুদিন পর পহেলা বৈশাখ এবং রমজান শুরু হতে যাচ্ছে। কিন্তু অন্য সময় পহেলা বৈশাখ ঘিরে যেমন একটা উৎসবের আমেজ থাকে পুরো জাতির মধ্যে এবার সেই উৎসবের আমেজ নেই। মানুষের মধ্যে এক ধরনের উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা, ভয় এবং হতাশার চিহ্ন। মানুষ কি করোনার কারণে আক্রান্ত?
একাধিক মানুষের সাথে কথা বলে দেখা গেছে, করোনা নিয়ে মানুষ মোটেও বিচলিত নয়। বরং মানুষ যে ইতস্তত, ছুটাছুটি করছে পাগলের মতো সেখানে তাদের স্বাস্থ্যবিধির কোন বালাই নেই, অনেকের মুখে মাস্ক নেই। মাস্ক থাকলেও সেটি যথাযথভাবে পরা নেই, মানুষ ঠাসাঠাসি গাদাগাদি করে ছুটে চলেছে। তাহলে কিসের আতঙ্ক মানুষের মধ্যে। অর্থনৈতিক সংকটেই মানুষ বিপন্ন হয়ে পড়েছে। সাধারণ মানুষের সাথে কথা বলে দেখা গেছে, তারা মনে করছে যে করোনা নয় অর্থনৈতিক সংকটই তাদেরকে মেরে ফেলবে। রিকশাচালক থেকে শুরু করে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে স্বল্প আয়ের চাকুরে, সবাই আতঙ্কিত। করোনার দ্বিতীয় ধাক্কার এই লকডাউনে তাদের আয়ের উপার্জনের পথ বন্ধ হয়ে যাবে। কে তাদের পাশে দাঁড়াবে? সাধারণ মানুষদের অধিকাংশই মনে করেন, করোনা হলে মানুষ বাঁচতে পারে। চিকিৎসা হলে সুস্থ হবে। অনেক সময় চিকিৎসা ছাড়াও সুস্থ হয়ে যাবে। কিন্তু অর্থনৈতিক সংকট থেকে তারা পরিত্রাণ পাবে কিভাবে? এই প্রশ্ন যেন হতাশার বলিরেখা এঁকেছে প্রায় প্রতিটি মানুষের চোখে মুখে। শুধু নিম্ন আয় বা মধ্যবিত্ত মানুষের নয়, উচ্চবিত্ত বড় বড় ব্যবসায়ীদের মধ্যেও এক ধরনের অর্থনৈতিক সংকটের আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। মানুষ দিশেহারা। কিভাবে চলবে তাদের এই রমজান, কিভাবে কাটবে ঈদের সময় এবং কিভাবে মেটাবে সংসারের যাবতীয় খরচ।
বাংলাদেশ গত বছর ৮ই মার্চ প্রথম করোনা সংক্রমণ ধরা পড়েছিল। সেই সময়ে করোনা নিয়ে মানুষের মধ্যে এক ধরনের আতঙ্ক ছিল। প্রথম দফায় যখন সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছিল তখন মানুষ ঘর থেকে বের হয়নি। সে সময় মানুষের অর্থনৈতিক অবস্থা ছিল অনেক ভালো। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির ছোঁয়া প্রায় সব মানুষের গায়েই লেগেছিল। আর সে কারণে মানুষের মধ্যে কিছু সঞ্চয় ছিল। তাছাড়া কেউ তখনো চিন্তা করেনি যে এত দীর্ঘ সময়ের জন্য অর্থনৈতিক সংগ্রাম করতে হবে তাদের। আর এ কারণেই সেই সময়ে সাধারণ ছুটি নিয়ে মানুষের মধ্যে তেমন কোনো বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি। কিন্তু করোনার দ্বিতীয় ঢেউ যখন শুরু হলো সেহ দ্বিতীয় ঢেউয়ে ৫ এপ্রিল যে লকডাউন দেওয়া হয়েছিল কার্যত সেই লকডাউন অকার্যকর হয়েছে। মানুষ লকডাউন বা এ ধরনের বিধি-নিষেধ মানেনি। সরকার একের পর এক শিথিল করেছে লকডাউন ব্যবস্থাপনা। প্রথম দফায় লকডাউনের সময় দোকানপাট, শপিংমল ইত্যাদি বন্ধ ছিল। পরে একরকম চাপে পড়েই দোকানপাট খুলে দেওয়া হয়েছিল। গণপরিবহনও চালু করতে হয়েছিল সরকারকে। এখন দ্বিতীয় দফার লকডাউনে সরকার কতটা সফল হতে পারবে সেটাই দেখার বিষয়। যদিও সরকার মনে করছে যে করোনা মোকাবেলার জন্য লকডাউনের বিকল্প নেই। কিন্তু সাধারণ মানুষ লকডাউনকে করোনা মোকাবেলার সমাধান হিসেবে মানছেন না। বরং তারা মনে করছেন যে, এখন তাদের যে জীবন-জীবিকার কষ্ট, সেই কষ্ট ভয়ঙ্কর আকার ধারণ করেছে। সেটি করোনার চেয়েও ভয়ঙ্কর। আর এ কারণেই অর্থনৈতিক সংকট নিয়ে মানুষ উদ্বিগ্ন, করোনা নিয়ে নয়।
আজ যখন একদিনে সর্বোচ্চ সংখ্যক লোক মারা গেছে, প্রতিদিন যখন প্রায় ৭ হাজারের উপর আক্রান্ত হচ্ছে তখনও মানুষের মধ্যে করোনা নিয়ে কোনো ভীতি নেই। যখন হাসপাতালগুলোতে উপচে পড়ছে করোনা রোগী, আইসিইউতে বেড খালি নেই তখনও মানুষ বিকারহীন। বরং মানুষ চিন্তিত আগামীকাল তার কিভাবে চলবে, তার বাড়ি ভাড়া কিভাবে হবে, কীভাবে তিনি বাজার-সদাই করবেন, চিকিৎসা ব্যয়ই বা কিভাবে মেটাবেন। অর্থনৈতিক সংকটই যেন করোনাকে ম্লান করে দিয়েছে বাংলাদেশে।
মন্তব্য করুন
রাজধানীর বনানীতে সড়ক অবরোধ ছেড়ে দিয়েছেন শ্রমিকরা। মালিকপক্ষের সঙ্গে সমঝোতার জন্য তারা অপেক্ষা করছেন। এর আগে বিনা নোটিশে সৈনিক ক্লাবের সামনে গার্মেন্টস বন্ধের প্রতিবাদে সড়ক অবরোধ করেন শ্রমিকরা।
পরে সকাল ১১টার পর পুলিশের মধ্যস্থতায় সড়ক ছেড়ে দেন শ্রমিকরা। তারা মালিকপক্ষের সঙ্গে সমঝোতার জন্য অপেক্ষা করছেন।
আন্দোলনরত শ্রমিকরা জানায়, বিনা নোটিশে নেপারেল গার্মেন্টস লিমিটেড বন্ধ করে দেওয়া হয়। তাদের বেতন বকেয়া রয়েছে। এ কারণে তারা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন।
এদিকে সড়ক অবরোধ ছেড়ে দিলেও এর প্রভাব পড়েছে মহাখালী থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত প্রায় সব সড়কে। এই সড়কে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়েছে।
পুলিশ বলছে, গাড়ির চাপ ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হলে সড়কে যানজট থাকবে না।
এ বিষয়ে বনানী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কাজী সাহান হক বলেন, নেপারেল গার্মেন্টস লিমিটেড নামের একটি কারখানা বন্ধের প্রতিবাদ করেন শ্রমিকরা। তাদের বুঝিয়ে সড়ক থেকে সরিয়ে আনা হয়েছে। এখন সড়ক স্বাভাবিক রয়েছে। যানবাহন স্বাভাবিকভাবে চলাচল করছে।
তিনি বলেন, আমরা গার্মেন্টসটির মালিকপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। তারা শ্রমিকদের সঙ্গে সমঝোতার জন্য আসবে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় ঘটনাস্থলে পর্যাপ্ত সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
এদিকে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বনানী সড়ক অবরোধের কারণে মহাখালী থেকে বিমানবন্দর সড়ক পর্যন্ত তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। এতে ভোগান্তিতে পড়েন সাধারণ মানুষ। বিশেষ করে যারা এয়ারপোর্টের উদ্দেশ্যে বের হয়েছেন তাদের ভোগান্তি আরও বেশি।
মন্তব্য করুন
আজ থেকে ট্রেনের ভাড়া বাড়ছে। এছাড়া বাড়ছে কনটেইনার পরিবহণ ভাড়াও। রেলওয়ে অপারেশন দপ্তর সূত্র জানিয়েছে, শনিবার থেকে ১০০ কিলোমিটারের বেশি দূরত্বে ট্রেনে ভ্রমণের জন্য আসন কিনতে হবে রেয়াত সুবিধা ছাড়াই।
২৪ এপ্রিল থেকে শনিবারের আসন বিক্রি শুরু হয়। কারণ ট্রেন ভ্রমণের ১০ দিন আগে অগ্রিম আসন বিক্রি করে থাকে বাংলাদেশ রেলওয়ে।
অতীতের নিয়ম অনুযায়ী, ১০১ থেকে ২৫০ কিলোমিটার ভ্রমণে ২০ শতাংশ, ২৫১ থেকে ৪০০ কিলোমিটার ভ্রমণে ২৫ শতাংশ এবং এর বেশি দূরত্বের জন্য ৩০ শতাংশ ছাড় পেতেন রেলের যাত্রীরা। সেই বিধান উঠে যাওয়ায় বর্তমানে গন্তব্যভেদে ২০ টাকা থেকে ১৫০ টাকা পর্যন্ত শোভন চেয়ারের টিকিটের দাম বেড়েছে। এসি চেয়ারের দাম সর্বোচ্চ ৩০০ এবং কেবিনের ভাড়া বেড়েছে ৪০০ টাকা পর্যন্ত।
রেলের মহাপরিচালক সরদার সাহাদাত আলী জানিয়েছেন, রেলের লোকসান কমাতে রেয়াতি সুবিধা প্রত্যাহার করা হয়েছে। অন্যথায় রেলসেবার মান উন্নয়ন করা সম্ভব নয়। রেয়াতি সুবিধা দেওয়ার ফলে বিপুল পরিমাণ রাজস্ব হারাতে হচ্ছে। এ সুবিধা প্রত্যাহারের মাধ্যমে রাজস্ব আয় বৃদ্ধির চেষ্টা করা হচ্ছে। এর প্রভাব সব যাত্রীর ওপর পড়বে না। ১০০ কিলোমিটারের বেশি যারা ভ্রমণ করবে তারা অতিরিক্ত টাকা দিয়ে টিকিট কাটতে হবে। রেয়াতি সুবিধা বাতিলের কারণে বছরে প্রায় ৩০০ কোটি টাকা আয় হবে রেলের।
মন্তব্য করুন
নওগাঁর পত্নীতলায় প্রথম ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে ঘোড়া মার্কার প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল খালেক চৌধুরীর নির্বাচনী প্রচারণায় অংশগ্রহণ করায় ছাত্রদলের দুই নেতাকে শোকজ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২ মে) নওগাঁ জেলা ছাত্রদলের দপ্তর সম্পাদক ফরহাদ হোসেনের স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে তাদের কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: থানায় ঢুকে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর উপর হামলা, চেয়ারম্যান প্রার্থীকে শোকজ
শোকজ দুই ছাত্রদলের নেতা হলেন, নজিপুর পৌর ছাত্রদলের যুগ্ম আহবায়ক আরিফ হোসেন সৌরভ ও নজিপুর সরকারি কলেজ ছাত্রদলের যুগ্ন আহবায়ক আবু হোরাইরা বিল্লা।
এ বিষয়ে নওগাঁ জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক মামুন বিন ইসলাম দোহা বলেন, ‘নজিপুর পৌর ছাত্রদলের যুগ্ম আহবায়ক আরিফ হোসেন সৌরভকে আমরা ভিডিওতে প্রচারণায় দেখতে পাই। এই জন্য আমরা তাকে বহিষ্কার করবো এবং নজিপুর সরকারি কলেজ ছাত্রদলের যুগ্ন আহবায়ক আবু হোরাইরা বিল্লা ফোন করে পরবর্তীতে এমন ভুল হবেনা জানিয়ে আমাদের কাছে ক্ষমা চেয়েছে ।’
উপজেলা নির্বাচন প্রচারণা ছাত্রদল শোকজ
মন্তব্য করুন
কারখানা বন্ধের প্রতিবাদ ও বকেয়া বেতনের দাবিতে রাজধানীর বনানী এলাকায় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন পোশাক শ্রমিকরা।শনিবার (৪ মে) সকাল সাড়ে ৮টা থেকে কারখানা বন্ধের প্রতিবাদে তারা বিক্ষোভ করছেন।
এ ঘটনায় সড়কে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়েছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছে সাধারণ মানুষ। বিশেষ করে যারা এয়ারপোর্টের উদ্দেশে বের হয়েছেন তাদের ভোগান্তির শেষ নেই।
এ বিষয়ে বনানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী সাহান হক বলেন, নেপারেল গার্মেন্টস লিমিটেড নামের একটি কারখানা বন্ধের প্রতিবাদ করছেন শ্রমিকরা। তারা সকাল সাড়ে ৮টা থেকে সড়ক অবরোধ করেন। পরিস্থিতি মোকাবিলায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
ওসি বলেন, আমরা গার্মেন্টসটির মালিকপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। তারা ঘটনাস্থলে এলে শ্রমিকদের সঙ্গে আলোচনা করবেন। সড়ক স্বাভাবিক করার চেষ্টা চালানো হচ্ছে।
বকেয়া বেতন দাবি পোশাক শ্রমিক সড়ক অবরোধ
মন্তব্য করুন
সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলা নির্বাচনে স্থানীয় সংসদ সদস্য আব্দুল মমিন মন্ডলের প্রভাব বিস্তার ও থানায় ঢুকে উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী বদিউজ্জামান ফকিরের উপর হামলার অভিযোগে অপর প্রার্থী আমিনুল ইসলামকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে রিটার্নিং কর্মকর্তা।
শুক্রবার (৩ মে) রাতে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা নির্বাচন অফিসার মোঃ শহিদুল ইসলাম এই নোটিশ দেন। নোটিশে আগামী দুই দিনের মধ্যে লিখিত জবাব দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: উপজেলায় বেপরোয়া মন্ত্রী-এমপিরা
নোটিশে উল্লেখ করা হয়, উপজেলা পরিষদ (নির্বাচন আচরণ) বিধিমালা অনুযায়ী, নির্বাচনি প্রচারণার ক্ষেত্রে যে কোন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী, নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী কোন রাজনৈতিক দল কিংবা উহার মনোনীত প্রার্থী বা স্বতন্ত্র প্রার্থী কিংবা তাহাদের পক্ষে অন্য কোন ব্যক্তির সমান অধিকার থাকিবে। সরকারি সুবিধাভোগী অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি এবং কোন সরকারি কর্মকর্তা বা কর্মচারী নির্বাচনপূর্ব সময়ে নির্বাচনি এলাকায় প্রচারণায় বা নির্বাচনি কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করিতে পারিবেন না” এবং প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী বা তাহার পক্ষে অর্থ, অস্ত্র ও পেশী শক্তি কিংবা স্থানীয় ক্ষমতা দ্বারা নির্বাচন প্রভাবিত করা যাইবে না।
আরও পড়ুন: এসিতে সব সময় থাকলে যে সমস্যা গুলো দেখা দিতে পারে
কিন্তু আমিনুল ইসলাম সরকারের পক্ষে সিরাজগঞ্জ-৫ (বেলকুচি-চৌহালী) আসনের সংসদ সদস্য প্রভাব বিস্তার করছেন মর্মে বিভিন্ন পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। এছাড়াও গত ১ মে আমিনুল ইসলাম বেলকুচি থানার ভিতরে ঢুকে অপর চেয়ারম্যান প্রার্থী জনাব মোঃ বদিউজ্জামান ফকিররের উপর আক্রমণ করেন। এ বিষয়ে বদিউজ্জামান ফকির লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। এসব কর্মকান্ড উপজেলা পরিষদ (নির্বাচন আচরণ) বিধিমালা, ২০১৬ এর বিধি ৩, বিধি ২২ এর (১) এবং বিধি ৩১ এর পরিপন্থী। এমতাবস্থায়, আচরণ বিধি লঙ্ঘনের কারণে কেন বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে না তা ২ দিনের মধ্যে লিখিতভাবে জবাব দাখিল করার জন্য বলা হলো।
আরও পড়ুন: আদর্শবানরা ক্ষমতায় বিনয়ী হন, অযোগ্যরা বদলে যায়
রিটার্নিং কর্মকর্তা মোঃ শহিদুল ইসলাম কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রেরণের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
উপজেলা নির্বাচন চেয়ারম্যান প্রার্থী নির্বাচনী আচরণবিধি শোকজ
মন্তব্য করুন
নওগাঁর পত্নীতলায় প্রথম ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে ঘোড়া মার্কার প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল খালেক চৌধুরীর নির্বাচনী প্রচারণায় অংশগ্রহণ করায় ছাত্রদলের দুই নেতাকে শোকজ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২ মে) নওগাঁ জেলা ছাত্রদলের দপ্তর সম্পাদক ফরহাদ হোসেনের স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে তাদের কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়।