নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০১:৫৭ পিএম, ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৭
তিন সপ্তাহ আগে বাংলাদেশে ঢুকেছেন রাহিম মিয়া ও তাঁর পরিবার। মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে পুলিশ, সেনাদের নির্যাতন থেকে বাঁচতে জীবনের সহায় সম্বল সব ফেলে এসেছেন। শুধু প্রাণ বাঁচিয়ে পরিবার নিয়ে বাংলাদেশে আসার পর পড়েন মহাসংকটে। স্ত্রী ও সন্তান নিয়ে তিনসদস্যের রহিম মিয়ার পরিবারের বেঁচে থাকার একমাত্র ভরসা ত্রাণ। সেই ত্রাণটাই ঠিকমতো পাচ্ছিলেন না। ঘণ্টার পর ঘণ্টা কক্সবাজারের নাক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম সড়কের পাশে বসে থাকতেন ত্রাণের জন্য। অনেকেই ত্রাণ বিলাতো। কিন্তু সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা না থাকায় রহিম মিয়া পরিবারের জন্য যথেষ্ট ত্রাণ সংগ্রহ করতে পারতেন না। তবে গত দুই দিনে পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। ট্রাক থেকে ত্রাণ ছুড়ে দেওয়ার বদলে লাইন দাঁড়িয়ে থেকে ত্রাণ সংগ্রহ করছেন রোহিঙ্গারা। ত্রাণ পাচ্ছেন নারী পুরুষ সবাই।
গত শুক্রবার থেকে রোহিঙ্গাদের মধ্যে ত্রাণ বিতরণের ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব নিয়েছে সশস্র বাহিনী। মূলত সেনাবাহিনীই মাঠপর্যায়ের দায়িত্ব গ্রহণ করেছে। এর ফলে রোহিঙ্গাদের মধ্যে ত্রাণ বিতরণ শৃঙ্খলার মধ্যে আসছে। রহিম মিয়ার মতো অনেক রোহিঙ্গ পরিবারই সুশৃঙ্খল লাইনে দাড়িয়ে ত্রাণ সংগ্রহ করছে।
এর আগে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে বাংলাদেশের আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গা শরণার্থীদের মধ্যে সুষ্ঠুভাবে ত্রাণ বিতরণের জন্য অবিলম্বে সেনাবাহিনী মোতায়েনের দাবি জানায় সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতি। এরপরই কক্সবাজারের উখিয়ার ৭১ কিলোমিটার এলাকায় ১২টি পয়েন্টে চেকপোস্ট বসানো হয়।
মানবিক কারণে বাংলাদেশের জনগণ, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থা এবং বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ত্রাণ নিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের পাশে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু সুষ্ঠু সমন্বয়ের অভাবে এত ত্রাণ কার্যক্রমের পরও রোহিঙ্গারা ত্রাণ পাচ্ছিল না। ত্রাণ বিতরণে এক বিশৃংখল পরিস্থিতি বিরাজ করছিল। এমন অবস্থার কারণেরই সেনাবাহিনী মোতায়ন করা হয়েছে।
সুষ্ঠুভাবে ত্রাণ বিতরণের পাশাপাশি সড়কে বিচ্ছিন্নভাবে ত্রাণ দেওয়া গাড়ি রোধ এবং রোহিঙ্গারা যাতে সুশৃঙ্খলভাবে ক্যাম্পে অবস্থান করে সেদিকেও নজর রাখছে সেনাবাহিনী।
প্রথমদিন উখিয়ার ৭টি পয়েন্ট এবং টেকনাফের ৫টি পয়েন্ট থেকে ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম পরিচালনা করেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। সেনাবাহিনীর রামু ১০ ডিশিনের জিওসি মেজর জেনারেল মাকসুদুর রহমানের নেতৃত্বে সেনাবাহিনী রোহিঙ্গা ক্যাম্পে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।
দেশের অভ্যন্তরে বিভিন্ন সময়ের দূর্যোগকালীন সময়ে সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা প্রতিষ্ঠা ছাড়াও বর্হিবিশ্বের বিভিন্ন দেশে শান্তি মিশনে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ভূমিকা ব্যাপকভাবে প্রশংসিত হয়েছে।
রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ত্রাণ বিতরণ ও পুনর্বাসনে সেনাবহিনীকে দায়িত্ব দেওয়ায় সরকারের সিদ্ধান্ত যেমন প্রশংসিত হয়েছে একইভাবে আশস্ত হয়েছে দেশের মানুষ এবং খুশি হয়েছে রোহিঙ্গারাও।
এখানে কাজ করতে আসা সেনাদের ক্যাম্প কমান্ডার মেজর মুহাম্মদ রাশেদ আকতার গণমাধ্যমকে জানান, পূর্ব সিদ্ধান্তমতে রোহিঙ্গা ক্যাম্প এলাকায় এসে সেনাসদস্যরা প্রথমে সড়কে যত্রতত্র ত্রাণ বিতরণ বন্ধ করে সড়কে শৃঙ্খলা আনতে কাজ শুরু করেন। অনিয়ন্ত্রিত যানবাহন দাঁড়ানো, রাস্তায় রোহিঙ্গাদের অহেতুক জটলা সরিয়ে দিয়ে সড়ক যোগাযোগ নির্বিঘ্ন করা হচ্ছে। এরপর নিয়ন্ত্রণকক্ষে জমা হওয়া দ্রুত পচনযোগ্য তাজা খাবারগুলো আলাদা করে বিতরণের জন্য নেওয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি।
সেনাবাহিনী সদস্যরা দিনব্যাপী বিভিন্ন ক্যাম্প পরিদর্শন ও পরিকল্পনা প্রণয়নের পাশাপাশি বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের দেয়া ত্রাণ-সামগ্রীও গ্রহণ করেছেন। ত্রাণ কার্যক্রমে সমন্বয়ের লক্ষ্যে উখিয়া ডিগ্রি কলেজে প্রধান কার্যালয় ও কন্ট্রোলরুম স্থাপন করা হয়েছে। এ কাজে প্রাথমিকভাবে সেনাবাহিনীর ২শ’ সদস্য নিয়োজিত রয়েছেন।
সেনাবাহিনীর ত্রাণ বিতরণ সেলের সমন্বয়কারী মেজর রাশেদ আকতার জানিয়েছেন, ত্রাণ সংগ্রহ ও বিতরণ কার্যক্রমকে একটি চেইন অব কমান্ডের মধ্যে নিয়ে আসতে সেনা সদস্যরা কাজ শুরু করেছেন। গতকাল আমরা বিভিন্ন শরণার্থী ক্যাম্পে পরিদর্শন করেছি, বিভিন্ন স্থান থেকে আসা ত্রাণও গ্রহণ করেছি। ত্রাণ সংরক্ষণের জন্য উখিয়া ডিগ্রি কলেজে প্রধান কার্যালয় স্থাপন করা হয়েছে।
সেনাবাহিনীর কার্যক্রমের পাশাপাশি কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের স্থাপিত টেকনাফের ৫টি ও উখিয়ায় ৭টি ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্র থেকেও সাময়িকভাবে কার্যক্রম পরিচালিত হবে।
বাংলা ইনসাইডার/আরএ/জেডএ
মন্তব্য করুন
দেশে চলমান তাপপ্রবাহের কারণে আজ সোমবার (২৯ এপ্রিল) ঢাকা, চুয়াডাঙ্গা,
যশোর, খুলনা ও রাজশাহী জেলার সব মাধ্যমিক স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান
বন্ধ থাকবে।
এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও আবহাওয়া অধিদপ্তরের
সঙ্গে পরামর্শক্রমে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে মন্ত্রণালয়। তবে যেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শীতাতপ
নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা আছে সেসব প্রতিষ্ঠান চাইলে খোলা রাখতে পারবে। এ বিষয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত
জানানো হবে।
প্রভাতী শাখায় ক্লাস হওয়ায় প্রাথমিক স্কুল খোলা থাকবে বলে প্রাথমিক
ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে।
মন্তব্য করুন
থাইল্যান্ডে ৬ দিনের সরকারি সফর শেষে আজ সোমবার (২৯ এপ্রিল) ব্যাংকক
থেকে দেশে ফিরবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইং সূত্র জানিয়েছে, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
সোমবার সকালে (স্থানীয় সময়) ব্যাংকক ত্যাগের কথা রয়েছে। সকাল সাড়ে ১১টায় তিনি ঢাকায়
পৌঁছাবেন।’
প্রেস উইং থেকে আরও বলা হয়েছে, শেখ হাসিনা থাই প্রধানমন্ত্রী স্রেথা
থাভিসিনের আমন্ত্রণে দুই দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোরদারে দ্বিপাক্ষিক ও বহুপাক্ষিক
উভয় সফরে ২৪ এপ্রিল বিকেলে ব্যাংককে আসেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আগমনে ডন মুয়াং
আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তাকে লালগালিচা উষ্ণ অভ্যর্থনা জানানো হয়। সেখানে তাকে গার্ড
অব অনার ও গান স্যালুট জানানো হয়।
শেখ হাসিনা এই সফরকে ‘প্রতিবেশী’ নীতির ওপর বৃহত্তর ফোকাসের অংশ
বলে বর্ণনা করেছেন, কারণ এটি দুদেশের জন্য দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের গতিকে আরও নবায়নের
চমৎকার সুযোগ দিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, এ সফর দুদেশের সম্পর্ককে আরও গভীর করার
ক্ষেত্রে অনেক দূর এগিয়ে যাবে।
থাই প্রধানমন্ত্রী আয়োজিত মধ্যাহ্নভোজ বৈঠকে শেখ হাসিনা বলেন, তিনি
দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করেন যে, এ সফর দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের পূর্ণ সম্ভাবনার বিকাশে অত্যন্ত
প্রয়োজনীয় প্রেরণা জোগাবে।
তিনি আরও বলেন, ‘সরকারি এ সফর আমাদের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে
একটি মাইলফলক হয়ে থাকবে। এটি আমাদের দুদেশের মধ্যে ফলপ্রসূ অংশীদারত্বের একটি নতুন
যুগের সূচনা করেছে। আমাদের জনগণ ও দেশের পারস্পরিক সুবিধার জন্য আগামীতেও সম্পর্কের
নবায়নের এ গতিকে আমাদের ধরে রাখতে হবে।’
সফর চলাকালীন (২৬ এপ্রিল) বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী থাই প্রধানমন্ত্রী
থাভিসিনের সঙ্গে গভর্নমেন্ট হাউসে (প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়) দ্বিপাক্ষিক আলোচনা করেন,
যেখানে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া এবং দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক
জোরদার করতে পাঁচটি দ্বিপাক্ষিক নথি স্বাক্ষরিত হয়।
নথিগুলো হচ্ছে- একটি চুক্তি, তিনটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ), একটি
লেটার অব ইনটেন্ট (এলওআই), যা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং থাইল্যান্ডের
প্রধানমন্ত্রী স্রেথা থাভিসিনের উপস্থিতিতে স্বাক্ষর হয়।
নথির মধ্যে অফিসিয়াল পাসপোর্ট হোল্ডারদের জন্য ভিসা ছাড়সংক্রান্ত
চুক্তি, জ্বালানি সহযোগিতা, শুল্ক বিষয়ে সহযোগিতা ও পারস্পরিক সহায়তা এবং পর্যটন ক্ষেত্রে
সহযোগিতাবিষয়ক সমঝোতা স্মারক এবং ২০২৪ সালের মধ্যে একটি মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ)
নিয়ে আলোচনা সংক্রান্ত লেটার অব ইনটেন্ট (এলওআই) রয়েছে।
শেখ হাসিনা গভর্নমেন্ট হাউসে থাই প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া একটি আনুষ্ঠানিক
মধ্যাহ্নভোজেও যোগ দেন। গভর্নমেন্ট হাউসে পৌঁছালে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে
থাই কুহ ফাহ ভবনের সামনের উন্মুক্ত স্থানে লালগালিচা উষ্ণ অভ্যর্থনা জানানো হয়।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২৫ এপ্রিল জাতিসংঘের এশিয়া ও প্রশান্ত
মহাসাগরীয় অর্থনৈতিক ও সামাজিক কমিশনের (ইউএনএসক্যাপ) ৮০ তম অধিবেশনে যোগ দেন। এ অধিবেশনে
দেওয়া ভাষণে তিনি সব বিশ্বনেতাকে যুদ্ধ, আক্রমণ এবং আগ্রাসন বন্ধ করার আহ্বান জানিয়ে
যুদ্ধকে ‘না’ বলার আহ্বান জানান।
জাতিসংঘের আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল ও এসক্যাপের নির্বাহী সচিব আরমিদা সালসিয়াহ আলিসজাবানা এবং ইউএনএসক্যাপ সম্মেলনস্থলে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। একই দিনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দুসিত প্রাসাদের অ্যামফোর্ন সাথার্ন থ্রোন হলে থাইল্যান্ডের রাজা ও রানি মহা ভাজিরালংকর্ন ফ্রা ভাজিরা-ক্লাওচা-উয়ুয়া এবং রানি সুথিদা বজ্রসুধা-বিমলা-লক্ষণের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
মন্তব্য করুন
ফরিদপুরের সালথায় তীব্র দাবদাহে ৩ শিক্ষক ও ১০ শিক্ষার্থী অসুস্থ
হয়ে পড়েছে। অসুস্থদের চিকিৎসা দিতে হাসপাতালে নেওয়া হয়। তাদের মধ্যে তিন শিক্ষার্থীকে
হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
রোববার (২৮ এপ্রিল) বেলা ১১টার দিকে উপজেলার রামকান্তপুর ইউনিয়নের
রামকান্তুপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা
ও সালথা থানার ওসি ঘটনাস্থল পরিবদর্শন করেন।
অসুস্থদের মধ্যে রয়েছেন রামকান্তপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের
সহকারী শিক্ষক মো. রবিউল ইসলাম। তিনি বলেন, রোজার ঈদের পর থেকে স্কুল বন্ধ ছিল। প্রধান
শিক্ষকও মাতৃত্বকালিন ছুটিতে রয়েছেন। দীর্ঘদিন পর গতকাল রোববার স্কুল খোলা হয়। সকালে
স্কুলে এসে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে নিয়ে প্রথমে বিদ্যালয়ের ক্লাস রুম ও মাঠে জমে থাকা
ময়লা-আবর্জনা পরিষ্কার করার কাজ শুরু করি।
তিনি আরও বলেন, কিছু সময় কাজ করার পর তীব্র গরমে আমরা সবাই পানির
পিপাসায় ভুগছিলাম। তখন সবারই গলা শুকিয়ে আসছিল। পরে স্কুলের টিউবওয়েল চেপে ঠান্ডা পানি
বের করে তা পান করি। কিন্তু কিছুক্ষণ পর একে একে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা বমি করতে থাকে
এবং অসুস্থ হয়ে পড়ে। এ সময় স্থানীয় এক যুবক এসে আমাকে বলেন, স্যার ওই টিউবওয়েলের পানি
খেয়েন না, পানিতে বিষ মেশানো হয়েছে। পরে অসুস্থদের দ্রুত সালথা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে
নেওয়া হয়। সেখানে সকলকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
এর মধ্যে রানিতা নামে এক শিশুর অবস্থা বেশি খারাপ হওয়ায় তাকে ফরিদপুর
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অসুস্থদের মধ্যে
শিক্ষক সুকলা রানী শীল, রেবেকা বেগম, রবিউল ইসলাম, শিক্ষার্থী সাদিহা, নাহিদ ও তৌকিয়ার
নাম পাওয়া গেছে। বাকিদের নাম পাওয়া যায়নি।
সালথা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আব্দুল
মমিন বলেন, ‘টিউবওয়েলের পানিতে কোনো ধরনের বিষক্রিয়া পাওয়া যায়নি। প্রাথমিকভাবে ধারণা
করা হচ্ছে, ওই শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা গরমে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। অসুস্থদের মধ্যে দুজনের
চিকিৎসা এখনো চলছে। বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তবে সবাই শঙ্কামুক্ত’।
সালথা থানার ওসি ফায়েজুর রহমান বলেন, ‘আমরা প্রথমে খবর পেয়েছিলাম
টিউবওয়েলের পানি খেয়ে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। পরে ঘটনাস্থলে এসে ডাক্তারের
সঙ্গে যোগাযোগ করেছি, তিনি জানিয়েছেন টিউবওয়েলের পানিতে বিষক্রিয়ার কোনো লক্ষণ পাননি’।
এ বিষয়ে সালথা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আনিছুর রহমান বালী
জানান, রোববার স্কুল খোলার পর শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা সকালে স্কুলে এসে টিউবওয়েলের পানি
খেয়ে অসুস্থ পরলে তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এখন সবাই মোটামুটি সুস্থ।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আমাদের জানিয়েছেন, তারা বিষক্রিয়ার কোনো আলামত
পাননি। গরমের কারণেও এ ঘটনা ঘটতে পারে। তারপরও টিউবওয়েলের পানি আমরা পরীক্ষা করে দেখব।
একইসঙ্গে আগামীকাল থেকেই ছাত্রছাত্রীরা যাতে নিরাপদ পানি খেতে পারে, সে ব্যবস্থা গ্রহণ
করা হবে।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন