নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১২:৩০ পিএম, ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৭
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গলব্লাডারে সফল অস্ত্রপচার হয়েছে। আজ বুধবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম এ তথ্য জানিয়েছেন।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত ২৫ সেপ্টেম্বর স্থানীয় সময় রাত ৮টায় সফল অস্ত্রপ্রচার হয়েছে। এ সময় প্রধানমন্ত্রীর পাশে তার ছোট বোন শেখ রেহানা এবং পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয় উপস্থিত ছিলেন। প্রধানমন্ত্রী বর্তমানে সম্পূর্ণ সুস্থ আছেন। চিকিৎসকের পরার্মশ অনুযায়ী তিনি বিশ্রামে আছেন। প্রধানমন্ত্রী দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন এবং আগামী ৫ অক্টোবর তিনি দেশে ফিরবেন।
এদিকে গত মঙ্গলবার (২৬ সেপ্টেম্বর) রাতে জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ অসুস্থ হয়ে রংপুর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) ভর্তি হন। এরশাদের একান্ত সচিব মেজর (অব.) খালেদ আক্তার জানান, মঙ্গলবার রাতে তাঁকে রংপুরের সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। রংপুর সফররত এরশাদ ওই দিন সন্ধ্যায় সাহেবগঞ্জ এলাকায় একটি পথসভায় অংশ নেন। সেখানে অসুস্থতা অনুভব করলে রাত সাড়ে ৯টার দিকে হাসপাতালে নেওয়া হয়।
প্রতিটি রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতাদের দৈনন্দিন কর্মকাণ্ড, বিশেষ করে অসুস্থতার কথা প্রেস সচিব বা একান্ত সচিবরা সংবাদমাধ্যমকে জানান। দলের প্রধানের অসুস্থতা নিয়ে শঙ্কায় থাকেন দলটির নেতাকর্মী এবং সমর্থকরা। তাই বিশ্বের অন্য সব দেশের মতো বাংলাদেশের অধিকাংশ বড় রাজনৈতিক দলে এমন রাজনৈতিক নেতাদের অসুস্থতার খবর গণমাধ্যমকে জানানোর সংস্কৃতি দেখা যায়। তবে এর ব্যতিক্রম বিএনপি।
বাংলাদেশের অন্যতম বড় রাজনৈতিক দল বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া চিকিৎসার কথা বলে গত ১৬ জুলাই মাসের লন্ডনে গেছেন। এর পর কেটে গেল আড়াই মাস। দেশের ফেরার কোনো নামই নেই বেগম জিয়ার। সর্বশেষ তাঁর দেশে ফেরা বিলম্বের কারণ হিসেবে চিকিৎসার কথা বলা হচ্ছে। অথচ তিনি কোন হাসপাতালে, কী চিকিৎসা নিচ্ছেন, কী কী পরীক্ষা-নিরীক্ষা করিয়েছেন, সে সবের রিপোর্ট কী এসেছে, এ সব কিছুই জানানো হচ্ছে না দল থেকে।
দেশের অন্যতম বৃহৎ একটি রাজনৈতিক দলের প্রধানের অসুস্থতার বিষয়টি সব সময় গণমাধ্যম হয়ে সাধারণ মানুষকে জানানো উচিত বলেও মনে করেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। এই নিয়ে লুকোছাপা অনুচিত বলে মত তাঁদের। তবে দীর্ঘদিন ধরেই এই অনুচিত কাজটি করে আসছে বিএনপি। বিএনপির নেতাকর্মীরা তাঁদের নেত্রীর ব্যাপারে উদ্বিগ্ন। তাঁরা জানতে চায় কেমন আছেন তিনি। আর দেশবাসী উদ্বিগ্ন লন্ডনে কী করছেন বেগম জিয়া? কী অসুস্থতা তাঁর, যা বলা যায় না। বেগম জিয়ার অসুখটা কী?
বাংলা ইনসাইডার/জেডএ
মন্তব্য করুন
গাজীপুরের কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে হেফাজতে
ইসলামের সাবেক কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হকের জামিনে মুক্তি পাওয়ার
খবরে কারা ফটকে ভিড় করেন তার সমর্থক ও হেফাজতে ইসলামের নেতাকর্মীরা।
বৃহস্পতিবার (২ মে) রাতে তিনি কারাগার থেকে মুক্ত হবেন, এমন খবরে
তারা কারা ফটকে ভিড় জমান। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আইনি জটিলতায় বৃহস্পতিবার তিনি ছাড়া
পাচ্ছেন না বলে জানিয়েছে কারা সূত্র।
কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার সুব্রত
কুমার বালা জানান, মাওলানা মামুনুল হক কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারে দীর্ঘদিন
ধরে বন্দি হিসেবে আছেন। বৃহস্পতিবার বিকেলে তার জামিনের কাগজপত্র কারাগারে পৌঁছায়।
অনেক মামলা থাকায় তা যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। তবে মামুনুল হক আজ মুক্তি পেতে পারেন কিনা
বা কখন মুক্তি পাবেন তা তিনি নিশ্চিত করতে পারেননি। তবে কারাগারের একটি সূত্র নিশ্চিত
করেছে, বৃহস্পতিবার ছাড়া পাচ্ছেন না মামুনুল হক।
প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের ৩ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের রয়েল রিসোর্টে এক নারীর সঙ্গে হেফাজত নেতা মাওলানা মামুনুল হককে অবরুদ্ধ করেন স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে। খবর পেয়ে হেফাজতের স্থানীয় নেতাকর্মীরা রিসোর্টে গিয়ে ভাঙচুর চালিয়ে তাকে ছিনিয়ে নিয়ে যান। ঘটনার পর থেকে ঢাকার মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদ্রাসায় অবস্থান করেন মামুনুল হক। ১৫ দিন পর ১৮ এপ্রিল ওই মাদ্রাসা থেকে মাওলানা মামুনুল হককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
পরে ৩০ এপ্রিল সোনারগাঁ থানায় তার বিরুদ্ধে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণের মামলা করেন তার সঙ্গে রিসোর্টে অবরুদ্ধ হওয়া নারী। যদিও ওই নারীকে তার দ্বিতীয় স্ত্রী দাবি করে আসছেন মামুনুল হক। এরপর ওই মাসেই দেশের বিভিন্ন স্থানে তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহসহ অর্ধশতাধিক মামলা হয়। পরে সেসব মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখায় পুলিশ। গ্রেপ্তারের পর থেকে তিনি কারাগারে আছেন।
মন্তব্য করুন
মুন্সিগঞ্জের গজারিয়ায় আগামী ৮ মে ১ম
ধাপে ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে সেই লক্ষে কাজ শুরু করে দিয়েছে নির্বাচন
কমিশন। নির্বাচনকে সামনে রেখে এরই মধ্যে বিভিন্ন প্রার্থীর মধ্যে উত্তেজনা লক্ষ করা
গিয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২ মে) দুপুর ১২টার সময়
উপজেলার কলেজ রোড এলাকায় মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী মেহেরুন নেছা উত্তরা (কলস)
এবং খাদিজা আক্তার আঁখি(পদ্মফুল) এই দুই প্রার্থী একই সঙ্গে প্রাচারণা চলাকালে মুখোমুখি
হয়ে যায়। পরে দুই প্রার্থীসহ তাদের সমর্থকরা তর্ক বিতর্কে জড়িয়ে যায় পরিস্থিতি গোলাটে
হওয়ার মুহূর্তে গজারিয়া থানা পুলিশের একটি টিম এসে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে।
এই ঘটনায় জেলা নির্বাচন অফিসার মোহাম্মদ
বশির আহমেদের স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রচারণা কালে প্রচারণা কাজে বাঁধা প্রদান
করেন মর্মে অভিযোগ পাওয়া যায় যা উপজেলা পরিষদ (নির্বাচন আচরণ) বিধিমালা, ২০১৬ এর বিধি
১৮ এর সুস্পষ্ট লঙ্ঘন করেছেন। এক্ষণে, আপনার বিরুদ্ধে বিধি অনুযায়ী কেন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা
গ্রহণ করা হবে না, তার ব্যাখ্যা আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে নিম্নস্বাক্ষরকারীর কার্যালয়ে
লিখিত জবাব দাখিল করার জন্য নির্দেশ প্রদান করা হলো।
শোকজের বিষয়ে জানতে মেহেরুন নেছা উত্তরা
(কলস)কে মুটোফোনে কল দিলে তার ব্যবহৃত মোবাইল নম্বারটি বন্ধ পাওয়া যায়। এছাড়া আরেক
প্রার্থী খাদিজা আক্তার আঁখি (পদ্মফুল)কে কল দেওয়া হলে রিসিভ করা হয়নি।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
হেফাজতে ইসলাম মাওলানা মামুনুল হক
মন্তব্য করুন
দলীয় নির্দেশনা অমান্য করে এবার নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন দাখিল করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই ও ভাগনে। ছোট ভাই শাহদাত হোসেন প্রার্থী হয়েছেন চেয়ারম্যান পদে। আর ভাগনে মাহবুবুর রশীদ মঞ্জু প্রার্থী হয়েছেন ভাইস চেয়ারম্যান পদে।