নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৪:৫৯ পিএম, ০৪ মে, ২০২১
হেফাজতের সর্বশেষ রাজনৈতিক ইস্যু ছিলো নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরের বিরোধীতা। এই বিরোধীতা করতে গিয়ে হেফাজত ঢাকা, ব্রাক্ষণবাড়িয়া এবং চট্টগ্রামে তাণ্ডব চালায়। হেফাজতের তরফ থেকে বিভিন্ন জেলায় জেলায় নির্দেশনা দেয়া হয়েছিলো যে সব এলাকায় যেন তারা অবস্থান করে, প্রতিবাদ এবং ভাঙচুর করে আর এজন্য তাদের টাকাপয়সাও পাঠানো হয়েছিলো। এই আন্দোলনের বিজয়ের পর হেফাজতের নতুন ইস্যু আনার কথা ছিলো সেই ইস্যু ছিলো বাংলাদেশে নারী নেতৃত্ব নিষিদ্ধ করতে হবে এবং নারীদেরকে বাধ্যতামূলক বোরখা পরিধান করতে হবে। হেফাজতের গ্রেফতারকৃত বিভিন্ন নেতৃবৃন্দের সাথে আলাপ করে এবং বিভিন্ন নেতৃবৃন্দের কাছ থেকে নানা নথি জব্দ করে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা এই তথ্যগুলো পেয়েছে।
দায়িত্বশীল সূত্রগুলো বলছে, ২০১০ সালে হেফাজত আবির্ভূত হয়েছিলো নারী নীতির বিরোধীতা করে। সেসময় হেফাজত ১৩ দফা দাবিতে নিজেদেরকে সংগঠিত করেছিলো। ২০১৩ সালে হেফাজতের আন্দোলনের মূল ইস্যু ছিলো গণজাগরণ মঞ্চের বিরোধীতা করা। এরপর হেফাজত সরকারের সঙ্গে একটি সমঝোতা আদায় করে এবং সরকারের কাছ থেকে নানারকম সুযোগ সুবিধা আদায় করে। তবে সরকারের কাছ থেকে সুযোগ সুবিধা আদায় করলেও হেফাজত তার ১৩ দফা থেকে সরে আসেনি। তারা পর্যায়ক্রমে বিভিন্ন ইস্যুতে সরকারকে চাপ দেয়ার কৌশল অবলম্বন করে আর এই চাপের কৌশলেই সরকার বাধ্য হয়ে পাঠ্যপুস্তক পরিবর্তন করে, নারী নীতি স্থগিত রাখে এবং ঢাকার শহরের বিভিন্ন স্থান থেকে ভাস্কর্য সরিয়ে নেয়। তবে জুনায়েদ বাবুনগরী হেফাজতের আমির হওয়ার পর সংগঠনটি আরও কঠোর অবস্থানে যায়। তখন তারা বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যের বিরোধীতা করে আন্দোলনের ঘোষণা দেয়। এই আন্দোলনের পরপরই হেফাজতের পক্ষ থেকে নরেন্দ্র মেদির বাংলাদেশ সফরের বিরোধীতা করা হয়।
হেফাজতের আটক নেতাদের বিভিন্ন কাগজপত্র থেকে দেখা যায় তাদের পরবর্তী কর্মসূচি ছিলো বাধ্যতামূলক বোরখা চালু এবং সকল নারী যেন বাধ্যতামূলকভাবে বোরখা ব্যবহার করেন সেজন্য হেফাজত একটি আন্দোলনের কর্মসূচির পরিকল্পনা নিয়েছিলো। রোজার মধ্যেই এই কর্মসূচি শুরু হতো এবং যারা বোরখা পরিধান করেনি তাদের বিরুদ্ধে কঠোর অর্থাৎ এক ধরনের নারী নিপীড়নের পরিকল্পনা ছিলো বলে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সূত্রগুলো জানিয়েছে। অবশ্য হেফাজত ২০১৩ সালের ৫ মে অনেক নারীকে লাঞ্ছিত এবং অপমানিত করেছিলো এই একই অভিযোগে। অন্যদিকে হেফাজতের একটি বড় ইস্যু ছিলো নারী নেতৃত্ব নিষিদ্ধ করা। অর্থাৎ কোনো রাজনৈতিক সংগঠন, সরকারে বা রাষ্ট্রে নারী নেতৃত্বে থাকবে না পুরুষের নেতৃত্ব থাকবে কিন্তু নারীরা কাজ করতে পারবে। এরকম একটি ইস্যুতে তারা আন্দোলন করতে চেয়েছিলো।
হেফাজতের একটি সূত্র স্বীকার করেছে, প্রথমে তারা বোরখা ইস্যুতে আন্দোলন জমিয়ে তুলে তারপর নারী নেতৃত্ব নিষিদ্ধ করার ইস্যুটিকে সামনে আনবে। উল্লেখ্য যে, হেফাজতের প্রয়াত আমির আল্লামা শফীও জীবিতকালে নারী শিক্ষার বিরোধীতা করেছিলেন এবং নারীদেরকে তেঁতুলের সঙ্গে তুলনা করার মতো কুরুচিকর মন্তব্য করেছিলেন। এই বাস্তবতায় হেফাজতের সামনের দিনগুলোতে প্রধান বিষয় ছিলো নারী নেতৃত্ব এবং বোরখা চালু করা। অর্থাৎ হেফাজত প্রধান দুটি রাজনৈতিক দলকে নাকচ করে দিয়ে বাংলাদেশে একটি ইসলামী শাসন কায়েমের লক্ষ্যেই এই বোরখার নিষিদ্ধ এবং নারী নেতৃত্ব নিষিদ্ধের দাবি সামনে আনতে চেয়েছিলো বলে দায়িত্বশীল সূত্রগুলো নিশ্চিত করেছে।
মন্তব্য করুন
হিট স্ট্রোক তীব্র তাপদাহ স্বাস্থ্য অধিদপ্তর
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচন আওয়ামী লীগ শিল্পমন্ত্রী
মন্তব্য করুন
প্রায় ১৩ বছর পর লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়ন পরিষদে নির্বাচনে তিনটিতে চেয়ারম্যান পদে নতুন জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হয়েছেন। আর দক্ষিণ হামছাদী ও তেওয়ারীগঞ্জ এ দুইটি ইউনিয়নে এ পদে পুরাতনেই আস্থা রেখেছেন ভোটাররা। তবে পাঁচটি ইউনিয়নে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদেরকে পেয়ে উল্লাস প্রকাশ করছে পুরো নেট দুনিয়া।