ইনসাইড বাংলাদেশ

করোনা অর্থনীতির ওপর ব্যাপক নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে: প্রধানমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৭:৩৫ পিএম, ১৩ মে, ২০২১


Thumbnail

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিগত এক বছরের বেশি সময় ধরে বিশ্ব এক গভীর সংকটের মধ্য দিয়ে অতিবাহিত হচ্ছে। কোভিড-১৯ নামক এক মরণঘাতী ব্যাধি মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রায় অন্তরায় হয়ে দাঁড়িয়েছে। দ্রুত ছড়িয়ে পড়ার ক্ষমতাসম্পন্ন এই ভাইরাস একদিকে যেমন অগণিত মানুষের জীবন কেড়ে নিচ্ছে, অন্যদিকে ক্ষতিসাধন করছে মানুষের জীবন-জীবিকার। আমাদের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা এবং অর্থনীতির ওপর ব্যাপক নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে এই ভাইরাস।

বৃহস্পতিবার (১৩ মে) সন্ধ্যায় ঈদুল ফিতর উপলক্ষে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে তিনি এসব কথা বলেন। 

প্রধানমন্ত্রী বলেন, এক অস্বস্তিকর পরিস্থিতির মধ্যে এবারও আমাদের ঈদুল ফিতর উদযাপন করতে হচ্ছে। আমরা ঈদ উদযাপন করব, তবে অবশ্যই স্বাস্থ্যবিধি মেনে। কোনোভাবেই এই ঈদ উদযাপন যাতে করোনাভাইরাস সংক্রমণ বৃদ্ধির উপলক্ষ হয়ে না উঠে, সেদিকে আমাদের খেয়াল রাখতে হবে। 

শেখ হাসিনা বলেন, বছর ঘুরে আবার এসেছে পবিত্র ঈদুল ফিতর। ‘ও মন রমজানের ঐ রোজার শেষে এল খুশির ঈদ/তুই আপনাকে আজ বিলিয়ে দে, শোন আসমানী তাগিদ’- জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের কালজয়ী এই গান গেয়ে আমরা স্বাগত জানাই পবিত্র ঈদুল ফিতরকে। আমি বাংলাদেশের জনগণসহ বিশ্ববাসীকে পবিত্র ঈদুল ফিতরের আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। ঈদ মোবারক। 

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, গত বছরের শেষদিকে যখন বিশ্বব্যাপী সংক্রমণ অনেকটা কমতে শুরু করেছিল, তখন সবার সঙ্গে আমরাও আশান্বিত হয়েছিলাম যে, বিশ্ববাসী বুঝি এই মরণঘাতী ভাইরাস থেকে মুক্তি পেতে যাচ্ছে। কিন্তু চলতি বছরের মার্চের মাঝামাঝি থেকে দ্বিতীয় ঢেউ আমাদের সব পরিকল্পনা ও প্রত্যাশাকে নস্যাৎ করে দেয়।

তিনি বলেন, মানুষের মাধ্যমে এই ভাইরাস ছড়ায়। কাজেই জনসমাগম এড়াতে না পারলে এ রোগকে নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব নয়। এ কারণে কষ্ট হবে জেনেও আমরা বাধ্য হয়েছি মানুষের স্বাভাবিক চলাচলের ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করতে। দোকানপাট, শপিংমলসহ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো স্বাস্থ্যবিধি মেনে চালু রাখতে হচ্ছে। একই কারণে গণপরিবহন চলাচলের ওপরও বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। 

সরকার প্রধান বলেন, জনগণের প্রতি অনুরোধ, আপনারা আবেগের বশবর্তী হয়ে আত্মীয়-স্বজনের সঙ্গে ঈদের ছুটি কাটাতে যাবেন না। অনেকের কোনো বাহ্যিক লক্ষণ না থাকায় আপনি বুঝতে পারবেন না আপনার পাশের ব্যক্তিটিই করোনাভাইরাস বহন করছে। এর ফলে আপনি যেমন করোনাভাইরাসের ঝুঁকিতে পড়বেন, তেমনি আপনার নিকটাত্মীয় বা পাড়া-প্রতিবেশীকে ঝুঁকির মুখে ফেলবেন। 

প্রধানমন্ত্রী বলেন, মনে রাখবেন, সবার উপরে মানুষের জীবন। বেঁচে থাকলে আসছে বছর আবার আমরা আনন্দঘন পরিবেশে ঈদ উদযাপন করতে পারব। এই ভাইরাসের বিস্তার প্রতিরোধে গত বছরের মতো এ বছরও ঈদগাহ ময়দানে ঈদের জামাত অনুষ্ঠানে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। মসজিদে মসজিদে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে ঈদের নামাজ আদায় করতে হবে। 

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, দেশেই যাতে টিকা উৎপাদন করতে পারি সে ব্যবস্থা আমরা নিয়েছি। নিজেদের টিকা তৈরিতে কয়েক মাস সময় লাগবে। আমরা দেশের সব নাগরিককে টিকার আওতায় নিয়ে আসব, ইনশাআল্লাহ।

তিনি বলেন, সবচেয়ে কার্যকর এবং পরীক্ষিত অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা দিয়েই আমরা গণটিকাকরণ কার্যক্রম শুরু করেছি। আপনারা জেনেছেন, ভারতীয় কর্তৃপক্ষ টিকা রফতানির ওপর সাময়িক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। ফলে সরবরাহ ব্যবস্থায় কিছুটা সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। 

তিনি আরও বলেন, আমরা বিকল্প উৎস থেকে টিকা সংগ্রহের উদ্যোগ নিয়েছি। এরইমধ্যে রাশিয়া এবং চীনের টিকা উৎপাদনকারী সংস্থার সঙ্গে আমাদের আলোচনা চলছে। আমরা উপহার হিসেবে চীনের কাছ থেকে টিকা পেয়েছি। টিকা পাওয়ার জন্য আমেরিকার কাছেও অনুরোধ জানিয়েছি। 

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিশ্ব টিকাকরণ সংস্থা কোভ্যাক্সের কাছ থেকেও আমরা উল্লেখযোগ্য পরিমাণ টিকা পাব। বিভিন্ন উৎস থেকে আমরা এক কোটি টিকা কেনার ব্যবস্থা নিয়েছি। খুব শিগগিরই দেশে টিকা আসতে শুরু করবে।

শেখ হাসিনা বলেন, আসুন, আমরা সবাই যে যেখানে আছি সেখান থেকেই ঈদের আনন্দ উপভোগ করি। বিত্তবান যারা আছেন বা যাদের সামর্থ্য আছে, তাদের প্রতি অনুরোধ, এই দুঃসময়ে আপনার দরিদ্র প্রতিবেশী, গ্রামবাসী বা এলাকাবাসীর পাশে দাঁড়ান। তাদের প্রতি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিন। 

তিনি বলেন, আপনার সাহায্য হয়তো একটি পরিবারের সদস্যদের মুখে হাসি ফোটাবে। দেখবেন তাদের হাসিমুখ আপনার হৃদয়-মনকেও পরিপূর্ণ করে তুলবে ঈদের আনন্দে। মানুষ হিসেবে মানুষের পাশে দাঁড়ানোই সবচেয়ে বড় কর্তব্য। আমরা যেন এই কর্তব্যকর্ম ভুলে না যাই। 

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ডাক্তার, নার্স, অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মীসহ কয়েকটি পেশার কর্মীরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সামনে থেকে কোভিড-১৯ রোগীদের সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। আবার আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ও সশস্ত্রবাহিনীর সদস্য এবং কেন্দ্রীয় ও মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তারা লকডাউন বা চলাচলের বিধিনিষেধ বলবৎ করতে মাঠে সক্রিয় ভূমিকা পালন করছেন। ত্রাণসামগ্রী বিতরণসহ সরকারের বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে যাচ্ছেন। সংবাদকর্মীরা সংক্রমণের ঝুঁকি উপেক্ষা করে সংবাদ পরিবেশনের কাজ করে যাচ্ছেন। সবাইকে আমি আন্তরিক ধন্যবাদ এবং শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। 

তিনি বলেন, করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হয়ে বহু স্বাস্থ্যকর্মী, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য এবং বিভিন্ন সংস্থার কর্মকতা-কর্মচারী প্রাণ হারিয়েছেন। এছাড়া গত এক বছরে আমরা আমাদের অনেক প্রিয়জনকে হারিয়েছি। আমি সবার রুহের মাগফিরাত ও আত্মার শান্তি কামনা করছি। শোক-সন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি।

শেখ হাসিনা বলেন, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে আমরা যেমন সর্বাত্মক ব্যবস্থা নিয়েছি, তেমনি আক্রান্তদের চিকিৎসায় সর্বোচ্চ উদ্যোগ নিয়েছি। এরইমধ্যে আমরা চিকিৎসা সক্ষমতা অনেকগুণ বাড়িয়েছি। সরকারি হাসপাতালের পাশাপাশি বেসরকারি খাতের উল্লেখযোগ্য সংখ্যক হাসপাতালকেও আমরা করোনাভাইরাস চিকিৎসায় সম্পৃক্ত করেছি।

তিনি বলেন, গত মাসে মহাখালীর ডিএনসিসি মার্কেটে দুই হাজার শয্যার কোভিড-১৯ হাসপাতাল স্থাপন করা হয়েছে। গত বছর মহামারি শুরু হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত ছয় হাজার ১৬৬ জন ডাক্তার, পাঁচ হাজার ৫৪ জন নার্স এবং প্রায় সাড়ে চার হাজার অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মী নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। জেলা হাসপাতালগুলোসহ দেশের ১৩০টি সরকারি হাসপাতালে কেন্দ্রীয়ভাবে অক্সিজেন সরবরাহ ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে। 

প্রধানমন্ত্রী বলেন, করোনাভাইরাস প্রতিরোধে নাগরিক হিসেবে আমাদের দায়িত্ব সবচেয়ে বেশি। এই ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে মাস্কের ব্যবহার অত্যন্ত ফলপ্রসূ বলে প্রমাণিত হয়েছে। কাজেই বাইরে গেলে অবশ্যই মাস্ক ব্যবহার করবেন। পাশাপাশি যথাসম্ভব ঘনঘন সাবান-পানি দিয়ে হাত পরিষ্কার করে নিন অথবা স্যানিটাইজার দিয়ে হাত জীবাণুমুক্ত করুন। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখুন। সেই সঙ্গে আপনারা নিজেরা গরম পানির ভাপ নিতে পারেন।



মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

সিরাজগঞ্জে বাল্য বিয়ে না দেয়ায় ছাত্রীকে অপহরণের অভিযোগ

প্রকাশ: ১১:১১ এএম, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail অভিযুক্ত বখাটে রক্তিম

সিরাজগঞ্জে বাল্য বিয়ে না দেয়ায় দশম শ্রেণীর এক স্কুল ছাত্রীকে অপহরণের অভিযোগ উঠেছে। গত রবিবার (২১ এপ্রিল) সকালে সিরাজগঞ্জ পৌর শহরের গোশালা রোডের সিটি হাসপাতাল এলাকা থেকে ওই ছাত্রীকে অপহরণ করা হয়।

 

এ ঘটনায় মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সকালে সিরাজগঞ্জ সদর থানায় একটি অপহরণ মামলা হয়েছে। ওই ছাত্রীর মা ছালমা খাতুন বাদী হয়ে তাড়াশ উপজেলার নওগাঁ ইউনিয়নের পুংরৌহালী গ্রামের বখাটে রক্তিম (১৯), রক্তিমের পিতা আফজাল হোসেন (৫৫) ও তার বড় ভাই রুবেল হোসেনের (৩৩) বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করেন।

 

শনিবার (২৭ এপ্রিল) বিকেলে সিরাজগঞ্জ সদর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আব্দুল মমিন এ বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, মামলার পর আসামিদের বাড়িতে গিয়ে কাউকে পাওয়া যায়নি। তবে স্কুল ছাত্রী উদ্ধার ও জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

 

মামলার এজাহারে বলা হয়, ঘটনার দিন সকাল পৌনে ১০ টার দিকে সিরাজগঞ্জ শহরের হোসেনপুর বাসা থেকে প্রাইভেট পড়ার উদ্দ্যেশ্যে গোশালা রোডের সিটি হাসপাতাল এলাকায় পৌঁছালে ওই ছাত্রী ও তার আট বছর বয়সী ছোট বোনের মুখে গামছা পেছিয়ে অসৎ উদ্দেশ্যে জোড়পূর্বক সিএনজিতে তুলে নেয় আসামিরা। এরপর ছাত্রীর ছোট বোন এমএস মুমতাহাকে বিকেল পৌনে ৩ টার দিকে সিরাজগঞ্জ শহীদ শামসুদ্দিন স্টেডিয়ামের পাশে তারা রেখে চলে যায়। পরবর্তীতে মুমতাহা বাসায় ফিরে তার মা ছালমা খাতুনকে এ ঘটনা জানায়।

 

অপহৃত ছাত্রীর মা ছালমা খাতুন তার মেয়ে উদ্ধার ও জড়িতদের শাস্তির দাবি জানিয়ে বলেন, ‘আমার দুটি মেয়ে, কোন ছেলে সন্তান নেই। স্বামী অসুস্থ্য হয়ে বিছানায়। আমাদের প্রায় ১০ বিঘা ফসলি জমি ও এক কোটি টাকা মূল্যের একটি দ্বিতল বাড়ি রয়েছে। মূলত এ সম্পত্তির লোভে পড়েই ১ বছর আগে রক্তিমের পরিবার বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছিল। কিন্তু সেই বিয়ের প্রস্তাবে আমরা রাজি হয়নি। কারণ আমার মেয়ের এখনও বিয়ের বয়স হয়নি। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ওই প্রস্তাবের কিছুদিন পরই আমার মেয়েকে তারা অপহরণ করেছিল। পরে পুলিশের সহযোগীতায় উদ্ধার করেছিলাম।’

 

এ ঘটনার পর আমার মেয়ের ভবিষ্যতের কথা বিবেচনা করে সিরাজগঞ্জ শহরে বাসা ভাড়া নিয়ে মেয়েকে শাহীন স্কুলে ভর্তি করিয়েছি। কিন্তু এখানে ভর্তি করার কয়েক মাস পর বখাটে রক্তিম শহরে একটি বাসা ভাড়া নেয়। এ বাসা ভাড়া নিয়ে আমার মেয়ের স্কুল ও প্রাইভেটে আসা যাওয়ার পথে পিছু নেয় এবং বিয়ের প্রস্তাব দেয়। এ প্রস্তাবটি মেয়েও নাকচ করে।

 

এ প্রসঙ্গে অভিযুক্ত রক্তিমের বড় ভাই রুবেল হোসেন এ অপহরণের কথা অস্বীকার করে বলেন, ওই ছাত্রীর সাথে আমার ভাইয়ের প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে। কারণ ওরা দুজন এলাকার একই স্কুলে পড়তো।


ছাত্রী অপহরণ   বাল্য বিয়ে   থানায় মামলা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

জয়পুরহাটে চাকরি দেওয়ার নামে প্রতারণার অভিযোগ

প্রকাশ: ১০:৫০ এএম, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail চাকরি দেওয়ার নামে প্রতারণার অভিযোগ নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভুক্তভোগীরা

জয়পুরহাটে চাকরি দেওয়ার নামে প্রতারণা করে প্রায় সাড়ে ৩ কোটি টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ উঠেছে এক দম্পতির বিরুদ্ধে।

শনিবার (২৭ এপ্রিল) দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এ অভিযোগ করেছেন জয়পুরহাট জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্য অ্যাডভোকেট ফরিদুজ্জামান।

তার অভিযোগ, জয়পুরহাট শহরের নতুনহাট সরদারপাড়া এলাকার আবু হেনা ফুল মিয়া তার স্ত্রী সেলিনা আক্তার ও শ্বশুর আনোয়ার হোসেনকে সঙ্গে নিয়ে প্রতারণা সিন্ডিকেট গড়ে তুলে প্রায় ৩ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন। তিনি নিজেও এর শিকার। ৫ লাখ টাকার ভুয়া চেক দিয়ে তার সঙ্গেও প্রতারণা করা হয়েছে। একইভাবে সরকারি-বেসরকারি অফিসে চাকরি দেওয়ার নামে নানা প্রতারণা করে এলাকার বিভিন্ন জনের কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন আবু হেনা ফুল মিয়া।

এ বিষয়ে প্রতারণার শিকার হওয়া ব্যক্তিরা একাধিক মামলা করলেও তাদের কোনো শাস্তি হয়নি। বরং অভিযুক্ত আবু হেনা ফুল মিয়া বর্তমানে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য দাবি করে ছাপানো ভিজিটিং কার্ড এলাকায় বিতরণ করে নিজেকে ক্ষমতাবান বলে প্রচার করছেন।

এ অবস্থায় আবু হেনা ফুল মিয়া ও তার স্ত্রী এবং শ্বশুরের বিরুদ্ধে তদন্ত সাপেক্ষে আত্মসাৎ করা অর্থ উদ্ধারসহ তাদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানিয়েছেন ঐ আইনজীবী।

সংবাদ সম্মেলনে আইনজীবী ফরিদুজ্জামান ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন প্রতারণার শিকার ভুক্তভোগী ফারহানা মুশতারি, এসএম রাশেদুল হাসান ও জুয়েল হোসেন।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত দম্পতির বাসায় গিয়ে তাদের পাওয়া যায়নি।


চাকরি দেওয়ার নামে প্রতারণার   অর্থ আত্মসাৎ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

পটুয়াখালীতে ২ ইউনিয়নে চলছে ভোট গ্রহণ


Thumbnail পটুয়াখালীতে ইউপি নির্বাচনে ভোটগ্রহণ চলছে

পটুয়াখালী সদর উপজেলাধীন কমলাপুর ও ভুড়িয়া নামের দুটি ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনের ভোট গ্রহণ চলছে।

 

রবিবার (২৮এপ্রিল) সকাল ৮ টায় থেকে শুরু হয় ভোট গ্রহণ। নিরবচ্ছিন্ন ভাবে ভোট গ্রহণ চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত।

 

ভুরিয়া ইউপি চেয়ারম্যান পদে ৪ জন, সংরক্ষিত সদস্য ৯, সাধারণ সদস্য ২৫জন ও কমলাপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ৩ জন, সংরক্ষিত সদস্য ৮, সাধারণ সদস্য ২৬ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

 

 উপজেলার দুই ইউনিয়নে ১৮টি ভোট কেন্দ্রে যে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে ১২জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও ৪ প্লাটুন বিজিবি, প্রতিটি ভোট কেন্দ্রে ৮ জন পুলিশ সদস্য, ১৭ আনসার সদস্য সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করবেন। র‌্যাবের টিম এবং পুলিশের স্ট্রাইকিং ফোর্স সহ কাজ করছে সাদা পোশাকধারী আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ।

 

স্থানীয় ভোটাররা জানান, সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ থাকে তাহলে সৎ ও যোগ্য প্রার্থীকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করতে পারবেন তারা।


ইউপি নির্বাচন   ভোটগ্রহণ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

শেখ জামালের জন্মদিনে আওয়ামী লীগের শ্রদ্ধা

প্রকাশ: ১০:৩১ এএম, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দ্বিতীয় পুত্র, বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ লেফটেন্যান্ট শেখ জামালের ৭১তম জন্মদিন উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে তার সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়েছে।

রোববার (২৮ এপ্রিল) সকাল ৯টায় রাজধানীর বনানী কবরস্থানে শেখ জামালের সমাধিতে শ্রদ্ধা জানানো হয়েছে। প্রথমে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে শ্রদ্ধা জানানো হয়। পরে দলের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা জানান আওয়ামী লীগের নেতারা।  এরপর যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, কৃষক লীগ ও বাংলাদেশ ছাত্রলীগের পক্ষ থেকেও শ্রদ্ধা জানানো হয়।

১৯৫৪ সালের ২৮ এপ্রিল গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন শেখ জামাল। তিনি ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে মাধ্যমিক এবং ঢাকা কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করেন। তিনি ছিলেন সংস্কৃতিপ্রেমী এবং একজন ক্রীড়াবিদ।

১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় পরিবারের অন্য সদস্যদের সঙ্গে শেখ জামালও গৃহবন্দি ছিলেন। কিন্তু সেখান থেকে পালিয়ে মুক্তিযুদ্ধে সম্মুখসমরে নেতৃত্ব দেন তিনি। 

জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ধানমন্ডি থেকে ভারতের আগরতলায় পৌঁছানোর পর সেখানে মুজিব বাহিনীতে (বাংলাদেশ লিবারেশন ফোর্সেস-বিএলএফ) যোগদান এবং প্রশিক্ষণ শেষে মুক্তিযুদ্ধের ৯ নম্বর সেক্টরে অংশ নেন শেখ জামাল।  এরপর ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট রাতে পরিবারের অন্য সদস্যদের সঙ্গে শহীদ হন তিনি।


শেখ জামাল   জন্মদিন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

লক্ষ্মীপুরে ৫ ইউনিয়নে চলছে ভোট গ্রহণ


Thumbnail লক্ষ্মীপুরের ৫ ইউপিতে ভোটগ্রহণ চলছে

উৎসবমুখর পরিবেশের মধ্য দিয়ে লক্ষ্মীপুরের ৫ টি ইউনিয়নে চলছে ভোট গ্রহণ। সকাল ৮টা থেকে প্রত্যেকটি কেন্দ্রে ভোটারদের উপস্থিতি ছিলো দেখার মত। দীর্ঘ ১৩ বছর পর এসব ইউনিয়নে ভোট শুরু হওয়ায় ভোটারদের মাঝে বেশ উৎসবের আমেজ দেখা গেছে । 

 

এ ৫ ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে ২৮ জন, মেম্বার পদে ২’শ ২৫ জন, সংরক্ষিত মহিলা পদে ৬৩ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ৪৬ টি কেন্দ্রে ১ লাখ ২২ হাজার ৯’শ ২৮ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।

 

লক্ষ্মীপুর জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মুহাম্মদ শফিকুর রহমান বলেন, নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ করতে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। ৫টি ইউপিতে প্রিজাইডিং কর্মকর্তা ও পোলিং কর্মকর্তার পাশাপাশি ১০ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, পুলিশ, আনসার র‌্যাব-১১ ও বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। 


প্রসঙ্গত, সীমানা নির্ধারণ ও মামলা জটিলতার কারণে এ ৫টি ইউনিয়নে ভোট হয়নি ১৩ বছরেও বেশি সময়।


ইউপি নির্বাচন   ভোটগ্রহণ  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন