নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৭:৫৯ পিএম, ১৩ মে, ২০২১
ঈদের আগেই বাংলাদেশ নিয়ে কূটনৈতিক লড়াইয়ের প্রকাশ্য রূপ দেখা গেছে। বাংলাদেশে বাংলাদেশে যদি কোয়াডে যায় তাহলে চীনের সঙ্গে সম্পর্ক নষ্ট হবে এমন ঘোষণা দিয়েছিলেন চীনা রাষ্ট্রদূত। যদিও ঘোষণা দেয়ার একদিন পরেই তিনি তার তিনি সুর পাল্টান এবং তিনি বলেন যে শব্দগত ভুলের জন্য তার এই বক্তব্য ভুলভাবে প্রকাশিত হয়েছে। কিন্তু কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, এটাই চীনের মনোভাব। চীন এই বক্তব্যটি বাংলাদেশ সরকারের কানে তুলতে চেয়েছিল যে কোন উপায়ে এবং কানে তুলে তারা তাদের নিজেদের জায়গায় ফিরে গেছে। আর অন্যদিকে ৫ লাখ টিকা দিয়ে চীন এখন বাংলাদেশে ভারতবিরোধী একটি অর্থনৈতিক এবং রাজনৈতিক পরিবেশ তৈরি করতে সক্রিয়।
অন্যদিকে করোনার তাণ্ডবে লণ্ডভণ্ড ভারত। তারপরও ভারত-বাংলাদেশ নিয়ে বসে নেই। বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়ন করা হবে নাকি বাংলাদেশের উপর চাপ দেওয়া হবে এ নিয়ে চলছে নানামুখী পর্যালোচনা। তবে বাংলাদেশে ভারত এবং যুক্তরাষ্ট্র অভিন্ন স্বার্থ নিয়েই চলে। বিশেষ করে গত এক দশকে এই দক্ষিণ এশিয়ায় যুক্তরাষ্ট্র এবং ভারতের লক্ষ্য এবং কৌশল অভিন্ন। এই প্রেক্ষাপটে গতকাল যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, বাংলাদেশ কোয়াডে যাবে কি যাবে না এটি তার নিজস্ব রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত। এর মাধ্যমে সুস্পষ্ট হয়ে গেল যে বাংলাদেশের অবস্থান এবং বিদেশী রাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে রীতিমতো টানাহেচরা চলছে। আর এই টানাহেচরায় বাংলাদেশ স্যান্ডউইচ হয়ে যায় কিনা সেটাই দেখার বিষয়।
ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক এখন নানা জটিলতায় বিদ্ধ। বিশেষ করে কোভিড টিকার না দেওয়ার বিষয়টিকে বাংলাদেশের জনগণ এবং সরকার কেউই মেনে নিতে পারেনি। আর তাই বাংলাদেশের বর্তমান সরকারের যে গত এক যুগ ভারতমুখী কূটনৈতিক নীতি সেখান থেকে কিছুটা হলেও সরে এসেছে। তবে কূটনৈতিকরা মনে করছেন যে, বাংলাদেশ মোটেও ভারতমুখী কূটনীতি থেকে সরে আসেনি। বরং করোনা এবং অন্যান্য কারণে নাস্তানাবুদ ভারত নিজেই বাংলাদেশের দিকে মনোযোগ দিতে পারছেন না। ভারতের থিংক ট্যাংকের একটা বড় অংশই চায় যে বাংলাদেশের সাথে তাদের সম্পর্ক রক্ষা করতেই হবে। বিশেষ করে বিচ্ছিন্নতাবাদী এবং সন্ত্রাসী চক্র যদি বাংলাদেশে অতীতের মতো বাসা বাধে তাহলে ভারতের জন্য সেটি নতুন বিপর্যয়ের সৃষ্টি করবে। তাছাড়া এই অঞ্চলে যখন চীনের আধিপত্য তখন জঙ্গিবাদের ইস্যুটি আবার নতুন করে মাথা চাড়া দিয়ে উঠতে পারে। আর এ কারণেই করোনা পরিস্থিতিতে একটু ভালো হলেই ভারতে বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নে উদ্যোগ নেবে। আর এই উদ্যোগের সবচেয়ে বড় চিহ্ন হতে পারে যে সেরামের টিকা বাংলাদেশে পাঠানো।
ভারতের কূটনীতিকরা মনে করছেন যে, টিকা পাঠালে দু`দেশের সম্পর্কের যে আপাত টানাপোড়ন তা কেটে যাবে। আর এই জন্যই চীন ভারতকে বাংলাদেশ নিয়ে বেশি সুযোগ দিতে রাজি নয়। তারা তাদের ইস্যুগুলোকে দ্রুত সমাধান করতে করতে আগ্রহী। ৫ লাখ টিকা দিয়ে তারা মনে করছে যে বাংলাদেশকে তারা তাদের পক্ষে নিয়ে আসতে সক্ষম হয়েছে। আর এখন সামনের দিনগুলোতে চীন ভারতবিরোধী তাদের যে প্রকল্পগুলো এবং অগ্রাধিকারের বিষয়গুলো সেগুলোকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করবে। আর এই চেষ্টার অংশ হিসেবেই তারা বাংলাদেশে তাদের টিকা দ্রুত আগামী মাসে দেয়ার চিন্তাভাবনা করছে বলে জানা গেছে। যদিও চীনা রাষ্ট্রপতি বলেছিলেন যে বাংলাদেশ পিছিয়ে পড়েছে কিন্তু চীন মনে করছে এই মুহূর্তে বাংলাদেশ সরকারের সাথে ঘনিষ্ঠ হলেই ভারত থেকে বাংলাদেশকে দূরে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া যাবে। আর এই দুই দেশের কূটনৈতিক খেলায় বাংলাদেশ কি করবে বা কি করছে সেটাই দেখার বিষয়। তবে কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন বাংলাদেশকে এগুতে হবে খুবই সতর্কভাবে।
মন্তব্য করুন
পাবনার ঈশ্বরদী রেলওয়ে স্টেশনের টিউবওয়েলে পানির স্তর নেমে যাওয়ায় পানি ওঠেনা প্রায় দুই মাস। ফলে অকেজো সবগলো টিউবওয়েল। এদিকে ঈশ্বরদীতে প্রতিদিন গড় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৯ থেকে ৪২ ডিগ্রিতে ওঠানামা করছে। তীব্র তাপপ্রবাহে হাঁসফাঁস করছে মানুষ।
এমন
অবস্থায় ট্রেনে
ভ্রমণকারী শত
শত
সাধারণ
ট্রেনযাত্রী প্রতিদিন ট্রেন
থেকে
নেমে
টিউবওয়েল থেকে
পানি
তুলতে
গিয়ে
ব্যর্থ
হচ্ছেন। শিশু
বৃদ্ধদের নিয়ে যাত্রীরা পড়ছেন
মহা
বিপাকে।
ট্রেন
যাত্রীদের এমন
কষ্টের
দৃশ্য
দেখে
নিজেকে
স্থির
রাখতে
পারেননি ঈশ্বরদী রেলওয়ের একজন
মানবিক
টিকিট
পরিদর্শক (সিনিয়র
টিটিই)
আব্দুল
আলীম
মিঠু।
তিনি
ব্যাক্তিগত উদ্যোগে বাড়ি
থেকে
পানি
এনে
ট্রেন
যাত্রীদের পান
করানোর
মানবিক
উদ্যোগ
গ্রহণ
করেছেন। টিটিই
মিঠু
প্রতিদিন তৃষ্ণার্ত ট্রেনযাত্রীদের এই
পানি
পানের
ব্যবস্থা করায়
এই
গরমে
ট্রেনযাত্রীরা অনেকটা
পানির
কষ্ট
থেকে
মুক্তি
পেয়েছেন।
দেখা
গেছে, ঈশ্বরদী রেলওয়ে জংশন স্টেশনে কোনো
ট্রেন
এসে
থামলেই
বড়
বড়
পানির
বোতল
থেকে
গ্লাসে
ও
ছোট
বোতলে
ঢেলে
ট্রেন যাত্রীদের পানি
খাওয়াতে ব্যস্ত
হয়ে
পড়েন
টিটিই
মিঠু।
ট্রেন
যাত্রীরা বলেন,
ঈশ্বরদী রেলওয়ে
জংশন
স্টেশন
ট্রেন
থেকে
নেমেই
এক-দু গ্লাস সুপেয়
ঠান্ডা
পানি
পান
করতে
পারছি।
শুকিয়ে
যাওয়া
গলাটা
ভেজাতে
পারছি
এই
প্রচন্ড তাপদাহের মধ্যে
এটা
অনেক
বড়
উপকার।
এ বিষয়ে ঈশ্বরদী রেলের সিনিয়র টিটিই আব্দুল আলীম বিশ্বাস মিঠু বলেন, ঈশ্বরদী রেলওয়ে জংশন স্টেশন দেশের অন্যতম বড় ও ব্যস্ততম স্টেশন। এই স্টেশন দিয়ে প্রতিদিন ২০ থেকে ৩০টি ট্রেন চলাচল করে। অথচ এই স্টেশনের একমাত্র টিউবওয়েলটি দীর্ঘদিন ধরে অচল হয়ে আছে। তাপদাহ শুরুর পর থেকে পানি ওঠে না। এই অবস্থায় প্রতিদিন ট্রেন যাত্রীরা যখন ট্রেন থেকে নেমে টিউবওয়েল থেকে পানি না পেয়ে হতাশ হন, সে দৃশ্য দেখে আমার কষ্ট হয়। সে কারণে ব্যাক্তিগতভাবে বড় বড় পানির জার ও বোতল বাজার থেকে কিনে বাড়ি থেকে তা ভর্তি করে স্টেশনে ট্রেনের জন্য অপেক্ষমান ও ট্রেন থেকে নামা যাত্রীদের পানি পান করানোর এই ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। এতে আমি মানসিকভাবে অন্যরকম প্রশান্তি অনুভব করি।
এ
বিষয়ে
দৃষ্টি
আকর্ষণ
করা
হলে
পাকশী
পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের জেনারেল ম্যানেজার (জিএম)
অসিম
কুমার
তালুকদার বলেন,
‘আমি
নিজেও
ব্যাক্তিগত উদ্যোগে ইতোমধ্যে চলন্ত
ট্রেনের যাত্রীদের শরবত
পান
করার
ব্যবস্থা গ্রহণ
করেছি।
টিটিই
মিঠুর
এই
মানিবক
উদ্যোগের কথাও
আমি
জেনেছি। তার
উদ্যোগ
প্রশংসনীয়। গরমে
সকলেরই
এ
ধরনের
মানবিক
উদ্যোগ
গ্রহণ
করা
উচিৎ।’
মন্তব্য করুন
দিনাজপুরের হাকিমপুর উপজেলার হিলি স্থলবন্দর
দিয়ে ১০ হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি পেয়েছে বন্দরের প্রায় ৮টি আমদানিকারক
প্রতিষ্ঠান।
রোববার (৫ মে) কৃষি মন্ত্রণালয়ের খামারবাড়িতে
ইমপোর্ট পারমিটের (আইপি) জন্য আবেদন করার পর তাদের এই অনুমতি দেওয়া হয়। ভারত সরকার
পেঁয়াজ আমদানির নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ায় এই অনুমতি করা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে হিলি স্থলবন্দরের
উদ্ভিদ সংগনিরোধের উপসহকারী ইউসুফ আলী বলেন, গত শনিবার থেকে হিলি স্থলবন্দরের আমদানিকারকরা
অনেকেই খামারবাড়িতে পেঁয়াজ আমদানি অনুমতিপত্রের জন্য আবেদন করেছেন। তাদের মধ্য রোববার
সন্ধ্যা পর্যন্ত প্রায় ৮টি প্রতিষ্ঠান ১০ হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি পেয়েছে।
আরো আবেদন পড়েছে যেগুলো এখনও প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
হিলি স্থলবন্দরের আমদানিকারক শাহিনুর
রেজা শাহিন বলেন, ভারত সরকার নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার পর আমরা হিলি স্থলবন্দরের আমদানিকারকরা
পেঁয়াজ আমদানির জন্য প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছি। ইতোমধ্যে এলসি করার জন্য ব্যাংকগুলোতে
যোগাযোগ শুরু করেছি দুই একদিনের মধ্যে পেঁয়াজ বাংলাদেশে ঢুকবে।
তিনি আরো বলেন, দ্বিপাক্ষিক আলোচনার
মাধ্যমে ভারতের রপ্তানি মূল্য ও বাংলাদেশের পেঁয়াজের ওপর আরোপকৃত শুল্ক কমানো গেলে
পেঁয়াজ আমদানি করে বাজার স্বাভাবিক রাখা সম্ভব। ৫৫০ মার্কিন ডলারে পেঁয়াজ আমদানি করলে
প্রতি কেজি পেঁয়াজের আমদানি খরচ পড়বে প্রায় ৭০ থেকে ৭৫ টাকা।
হিলি বন্দর পেঁয়াজ আমদানি অনুমতি
মন্তব্য করুন
রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে বাস-পিকআপ সংঘর্ষে দুজন নিহত হয়েছেন। যাত্রাবাড়ীর
এলাকার ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মাতুয়াইল আউটগোয়িং ইউ টার্ন পয়েন্টে এ দুর্ঘটনা
ঘটে।
রোববার (৫ মে) দিবাগত রাত পৌনে তিনটার দিকে এ ঘটনা ঘটে। পরে গুরুতর
আহত অবস্থায় তাদের দুজনকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে জরুরি বিভাগের নিয়ে
আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক বাবুল চিশতিকে মৃত ঘোষণা করেন এবং ভোরে চিকিৎসাধীন অবস্থায়
৯৮ নম্বর ওয়ার্ডে কবির হোসেন মারা যান।
নিহতরা হলেন, পিকআপ ভ্যান চালক বাবুল চিশতী (৪৫) ও কবির হোসেন
(৫০)।
পিকআপ ভ্যানের চালক বাবুল চিশতি শরীয়তপুরের গোসাইরহাট থানার সামন্ত
সাহা গ্রামের আব্দুর রশিদ আকন্দ ছেলে এবং কবির হোসেন একই জেলার ভেদরগঞ্জ থানার সিঁংঢালা
গ্রামের আব্দুর রশিদ বেপারির ছেলে। বর্তমানে দুজনই মাতুয়াইলের মৃধাবাড়ি এলাকায় ভাড়া
থাকতেন।
পথচারী তরিকুল ইসলাম জানান, গতরাতে মাতুয়াইল ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের
সামনের রাস্তায় একটি পিকআপ ভ্যান ইউ টার্ন নিচ্ছিল। তখন তুহিন নামে যাত্রীবাহী একটি
বাস পিকআপ ভ্যানটিকে ধাক্কা দিলে ভ্যানটি দুমরে মুচরে যায় এবং বাসটি পাশে খাদের পানিতে
পড়ে যায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলের পিকআপ ভ্যানের ভিতর থেকে স্থানীয় লোকজন ও পথচারীরা
মুমূর্ষ অবস্থায় ওই দুইজনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে বাবুল চিশতিকে চিকিৎসক
মৃত ঘোষণা করেন এবং ভোরের দিকে ৯৮ নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন অবস্থায় কবির হোসেন মারা
যান।
ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া
বলেন, মরদেহ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের মর্গে রাখা হয়েছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশ
অবগত আছেন।
তিনি আরো বলেন, নিহত বাবুল চিশতীর মরদেহ তার স্ত্রী নার্গিস আক্তার
শনাক্ত করেন। প্রথমে কবির হোসেনের পরিচয় পাওয়া না গেলেও পরবর্তীতে তার স্ত্রী নাসরিন
বেগম তার স্বামীর পরিচয় নিশ্চিত করেন।
ঢামেক হাসপাতাল সড়ক দুর্ঘটনা মৃত্যু
মন্তব্য করুন
আসন্ন ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রথম ধাপের ভোট উপলক্ষে ১৫০
উপজেলায় তিন দিনের জন্য মোটরসাইকেল চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে নির্বাচন কমিশন
(ইসি)। ইতোমধ্যে সংস্থাটির নির্দেশনায় প্রজ্ঞাপনও জারি করেছে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক
বিভাগ।
রবিবার (০৫ মে) সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সহকারী সচিব মো.
জসিম উদ্দিনের সই করা প্রজ্ঞাপনটি সংশ্লিষ্ট সবাইকে পাঠানো হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে- আগামী ৮ মে ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের প্রথম ধাপের
সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সড়ক পরিবহন আইন, ২০১৮ এর ৩২ ধারা অনুযায়ী, নির্বাচন
উপলক্ষে ভোটগ্রহণের জন্য নির্ধারিত দিবসের আগের মধ্যরাত অর্থাৎ ০৭ মে দিবাগত মধ্যরাত
১২টা থেকে ৮ মে দিবাগত মধ্যরাত ১২টা পর্যন্ত ট্যাক্সি ক্যাব, পিকআপ, মাইক্রোবাস ও ট্রাক
চলাচলে নিষেধাজ্ঞা থাকবে। আর ৬ মে দিবাগত মধ্যরাত ১২টা থেকে ৯ মে মধ্যরাত ১২টা পর্যন্ত
মোটরসাইকেল চলাচলে নিষেধাজ্ঞা থাকবে।
এতে আরও বলা হয়েছে, নির্বাচনী এলাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষা, যানজট
নিরসন ইত্যাদি প্রয়োজনে বাস্তবতার নিরিখে এবং স্থানীয় বিবেচনায় উল্লিখিত যানবাহন
ছাড়াও যেকোনো যানবাহন চলাচলের ওপর সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে পারবে।
এ নিষেধাজ্ঞা রিটার্নিং অফিসারের অনুমতি সাপেক্ষে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী বা তাদের
নির্বাচনী এজেন্ট, দেশি বা বিদেশি পর্যবেক্ষকদের (পরিচয়পত্র থাকতে হবে) ক্ষেত্রে শিথিলযোগ্য।
নির্বাচনের সংবাদ সংগ্রহের কাজে নিয়োজিত দেশি বা বিদেশি সাংবাদিক
(পরিচয়পত্র থাকতে হবে) নির্বাচনের কাজে নিয়োজিত কর্মকর্তা-কর্মচারী, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী
বাহিনীর সদস্য, নির্বাচনের বৈধ পরিদর্শক এবং জরুরি কাজে ব্যবহৃত কতিপয় যানবাহন (অ্যাম্বুলেন্সসহ
ফায়ার সার্ভিস, বিদ্যুৎ, গ্যাস, ডাক, টেলিযোগাযোগে ব্যবহৃত যানবাহন) চলাচলের ক্ষেত্রে
এ নিষেধাজ্ঞা প্রযোজ্য হবে না।
জাতীয় মহাসড়ক, বন্দর ও জরুরি পণ্য সরবরাহসহ অন্যান্য জরুরি প্রয়োজনে
সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এরূপ নিষেধাজ্ঞা শিথিল করতে পারবে। যানবাহন চলাচলে বর্ণিত সময়সূচি
অনুযায়ী নিষেধাজ্ঞা আরোপের জন্য সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসককে ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে।
উপজেলা নির্বাচন ইসি মোটরসাইকেল নিষেধাজ্ঞা
মন্তব্য করুন
রোগীকে চিকিৎসা দিতে দেরি করায় ডাক্তারকে বেধড়ক পেটানো সেই আওয়ামী
লীগ নেতা এলিম পাহাড় এবার পা ধরে মাফ চেয়েছেন।
রোববার (৫ মে) শরীয়তপুর-১ আসনের এমপি ইকবাল হোসেন অপুর উপস্থিতিতে
চিকিৎসকের পা ধরে মাফ চান তিনি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তার মাফ চাওয়ার ভিডিওটি ছড়িয়ে
পড়েছে। এলিম পাহাড় শরীয়তপুর জেলা শ্রমিক ইউনিয়নের কার্যনির্বাহী সভাপতি।
ভুক্তভোগীরা হলেন, চিকিৎসক শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার
ডাক্তার শেহরিয়ার ইয়াছিন ও তত্ত্বাবধায়ক হাবিবুর রহমান।
ভিডিওতে দেখা যায়, সংসদ সদস্য ইকবাল হোসেন অপুর বাসভবনে হামলার
শিকার চিকিৎসকরাসহ কয়েকজন চিকিৎসক বসে আছেন। এলিম পাহাড়কে তাদের পায়ে ধরে মাফ চাইতে
বলছেন এমপি। তখন এলিম দুই চিকিৎসকের মধ্যে প্রথমে ডাক্তার শেহরিয়ারের পায়ে এবং পরে
তত্ত্বাবধায়ক হাবিবুর রহমানের কাছে পা ধরে ক্ষমা চান। এ সময় তাকে সংসদ সদস্য ইকবাল
হোসেন অপুর পায়ে ধরতেও দেখা যায়।
ভিডিওতে পালং মডেল থানার ওসি মেজবাউদ্দিন আহমেদ, যুবলীগ নেতা বাচ্চু
বেপারী, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা সিদ্দিক পাহাড় ও স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ (স্বাচিব) শরীয়তপুর
জেলা শাখার সভাপতি ডা. মনিরুল ইসলামসহ বেশ কয়েকজন রাজনৈতিক ব্যক্তিকে দেখা যায়।
মীমাংসার বিষয়ে জানতে চাইলে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক
হাবিবুর রহমান বলেন, স্থানীয় সংসদ সদস্য হাসপাতালের স্বাস্থ্যসেবা কমিটির সভাপতি। ঘটনাটি
না বাড়িয়ে মীমাংসা করার জন্য তিনি অনুরোধ করেছেন। তাই তার উপস্থিতিতে ওই ব্যক্তি ক্ষমা
চেয়েছেন। তাই তার প্রতি সম্মান দেখিয়ে মামলা প্রত্যাহারের আবেদন করা হয়েছে।
ভুক্তভোগী চিকিৎসক ডাক্তার শেহরিয়ার ইয়াছিন বলেন, স্থানীয় সংসদ
সদস্য অনুরোধ করায় আমি মামলা প্রত্যাহারের আবেদন করতে বাধ্য হয়েছি। আমার কানের পর্দা
ও কণ্ঠনালিতে আঘাত লেগেছে।
এ বিষয়ে আওয়ামী লীগ ও শ্রমিক ইউনিয়ন নেতা এলিম পাহাড়, মোবাইল
ফোনে বলেন, সংসদ সদস্য আমাদের মুরব্বি। উনি বলেছেন, তাই মীমাংসা করেছি। আমার ছেলেরে
অন্য জায়গায় চিকিৎসা করাচ্ছি।
এ বিষয়ে শরীয়তপুরের জেলা পুলিশ সুপার মো. মাহবুবুল আলম (পিপিএম)
বলেন, শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসকে লাঞ্ছিতের ঘটনায় ভুক্তভোগী জেলা পুলিশের কাছে
একটি লিখিত অভিযোগ করেন। অভিযোগের সঙ্গে সঙ্গেই এলিম পাহাড়কে আটক করে পুলিশ। কিন্তু
আসামি গ্রেপ্তারের পর ভুক্তভোগী তার অভিযোগপত্রটি তুলে নেন। যার কারণে কোনো মামলা গ্রহণ
করা সম্ভব হয়নি।
এর আগে শনিবার (৪ মে) দুপুরে সাড়ে ১২টার দিকে মারামারিতে আহত ছেলেকে চিকিৎসা দিতে দেরি করার অভিযোগে ডা. শেহরিয়ারকে বেধড়ক পেটান এলিম পাহাড়। এই সময় হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক হাবিবুর রহমানকেও লাঞ্ছিত করা হয়। পরে ডা. শাহরিয়ার বাদী হয়ে দুপুরে সদরের পালং মডেল থানায় একটি মামলার আবেদন করলে পুলিশ এলিম পাহাড়কে আটক করে।
এমপি ইকবাল হোসেন অপু শ্রমিক নেতা চিকিৎসক
মন্তব্য করুন