নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৩:২১ পিএম, ২৬ মে, ২০২১
চট্টগ্রামের বোয়ালখালীতে আলমগীর হোসেন ইমন (২৪) নামের এক কলেজছাত্রকে পিটিয়ে করেছে সন্ত্রাসীরা। এ ঘটনায় ২জনকে আটক করেছে পুলিশ।
গতকাল মঙ্গলবার (২৫ মে) দিবাগত রাত পৌণে ১টার দিকে উপজেলার পূর্ব চরখিজিরপুর গ্রামের মোবারক আলী ফকিরের বাড়ীতে এ ঘটনা ঘটেছে।
বুধবার (২৬ মে) সকালে বোয়ালখালী থানা পুলিশ লাশ ময়না তদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
নিহত আলমগীর হোসেন ইমন পূর্ব চরখিজিরপুর গ্রামের মোবারক আলী ফকির বাড়ীর আবদুল ছালামের ছেলে। সে চট্টগ্রাম মহসিন কলেজের একাউন্টিংয়ে মাস্টার্স পড়ছিল।
নিহতের পিতা আবদুল ছালাম বলেন, ‘পার্শ্ববর্তী নবীদুল হকের ছেলে খোরশেদ আলম দীর্ঘদিন ধরে আমার জায়গা জবর দখলের পাঁয়তারা করে আসছিল। জায়গাটি দখল নিতে একাধিবার হুমকিও দিয়েছিলো। গতকাল মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে দেশীয় ধারালো অস্ত্রশস্ত্রসহ প্রায় ৭০ থেকে ৮০ জন বহিরাগত সন্ত্রাসী নিয়ে আমার জায়গা দখল করতে আসে খোরশেদ। তারা বাউন্ডারি ওয়াল নির্মাণের চেষ্টা করলে এ সময় এলাকাবাসীসহ আমরা তাদের বাঁধা দিই। এরপর রাত পৌণে ১টার দিকে তারা ফিরে যাওয়ার সময় বাড়ির ঘাটা থেকে আমার ছেলেকে জোর করে টেনে হিঁচড়ে রাস্তার কিছু দূর নিয়ে পিটিয়ে ও শ্বাসরোধ করে হত্যা করে পালিয়ে যায়।’
ইমনের বোন তানভি ছালাম জানান, আমাদের জায়গায় তাদের দখলে নিতে কয়েকবার চেষ্ঠা করেছিলো তারা। এ নিয়ে থানায় একাধিকবার বৈঠকও হয়েছিলো। কিন্তু এতে থানা পুলিশ কোনো সমাধান দেননি। স্থানীয় সাবেক মেম্বার হাবিবের লোকজন এবারের শবে বরাতের রাতে জায়গা নিয়ে বাড়াবাড়ি করলে প্রাণ নাশের জন্য হুমকি দিয়ে যায়।
তিনি বলেন, ‘আমরা ১ ভাই, ১ বোন। আমার মা অসুস্থ প্যারালাইসড। খোরশেদ আমার বাবাকে বৃদ্ধ পেয়ে বারবার বিভিন্নভাবে হয়রানি করে আসছিলো। গতকাল মঙ্গলবার রাতে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে আমার ভাইকে হত্যা করেছে।’
এ ব্যাপারে বোয়ালখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবদুল করিম বলেন, ঘটনার সাথে সাথে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশ উদ্ধার করেছে। এছাড়া ঘটনায় জড়িত সন্দেহে মোহাম্মদ সৈয়দ ও মাহবুবুর রহমান নামের দুইজনকে আটক করেছি। এ ঘটনার তদন্ত চলছে।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান তাপদাহ শিক্ষা মন্ত্রণালয়
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
ভারতের লোকসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সাত ধাপে অনুষ্ঠিতব্য এই নির্বাচনের প্রথম পর্যায়ের ভোট হয় ১৯ এপ্রিল এবং সেখানে ১০২টি নির্বাচনী এলাকায় ভোট অনুষ্ঠিত হয়। দ্বিতীয় দফায় ২৬ এপ্রিল ৮৯টি নির্বাচনী এলাকায় ভোট অনুষ্ঠিত হয়েছে। চতুর্থ দফায় ভোট হবে ৭ মে। সেখানে ৯৪টি আসনে ভোটগ্রহণ হবে এবং সপ্তম দফায় ভোট অনুষ্ঠিত হবে পয়লা জুন। আর ৪ জুন নির্বাচনের ফলাফল জানা যাবে।
প্রথম দুই দফা ভোটের যে হার, তাতে বিজেপির মধ্যে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। বিজেপির নেতারা ভোটে যে ভূমিধস বিজয় আশা করছিলেন সেটি হবে না। ভারতের কোন কোন গণমাধ্যমগুলো ভোটের ফলাফলে নাটকীয় ঘটনা ঘটারও ইঙ্গিত দিচ্ছে। বিশেষ করে ২০০৪ সালের নির্বাচনে যেভাবে কংগ্রেস অটলবিহারী বাজপেয়ীর নেতৃত্বে বিজেপিকে ধরাশায়ী করেছিল সেরকম কোন ঘটনা ঘটতেও পারে বলে মনে আশঙ্কা করছেন অনেকে। অবশ্য এখনও আরও পাঁচ দফা ভোট বাকি আছে এবং বিজেপি আশা করছে যে, পরবর্তী ধাপগুলোতে ভোটার উপস্থিতি বাড়বে এবং বিজেপি তাদের জয়ের ধারা অক্ষুণ্ণ রাখবে। নরেন্দ্র মোদি ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে দেওয়ার জন্য বারবার আহ্বান জানাচ্ছেন।
ভারতের নির্বাচনের ফলাফল কী হবে তা বোঝা যাবে আগামী ৪ জুন। কিন্তু এখন পর্যন্ত যে ভোটের হাওয়া লক্ষ্য করা যাচ্ছে তাতে এটা স্পষ্ট যে, ভোটের আগে নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন বিজেপি জোটের যে নিরঙ্কুশ বিজয়ের ধারণা করা হয়েছিল, সেটি বাস্তবতা নাও পেতে পারে। আর এ কারণেই মোদী যদি শেষ পর্যন্ত পরাজিত হন, তাহলে সেটি হবে ভারতের রাজনৈতিক ইতিহাসে একটি বড় ব্যতিক্রমী ঘটনা এবং এটি হবে ভারতের নির্বাচনের সবচেয়ে বড় চমক।
এখন যখন ভারতের নির্বাচনে একটি হাড্ডাহাড্ডি লড়াই বা অনিশ্চয়তার ফলাফলের শঙ্কা জেগেছে তখন প্রশ্ন উঠছে যে, বিজেপি যদি এই নির্বাচনে পরাজিত হয় তাহলে বাংলাদেশে কী হবে? গত দুটি নির্বাচনে ভারতের বিজেপি সরকার বাংলাদেশকে নিরঙ্কুশভাবে সমর্থন দিয়েছে। ২০১৮ এবং ২০২৪ এর নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সরকারের প্রতি অকুণ্ঠ সমর্থন জানিয়েছে বিজেপি সরকার।
বিশেষ করে ২০২৪ এর নির্বাচনে ভারতীয় সরকারের পরিপূর্ণ সমর্থন ছাড়া মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এই নির্বাচনে ব্যাপক প্রভাব বিস্তার করত এবং এই নির্বাচনকে অস্বীকৃতি জানাত বলেও অনেকে মনে করেন। মার্কিন মনোভাব পাল্টানোর ক্ষেত্রে ভারত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। আর নির্বাচনের পর বিএনপি থেকে শুরু করে জাতীয় পার্টি প্রত্যেকেই বলছে যে, ভারত বর্তমান সরকারকে ক্ষমতায় রেখেছে। যদিও এরকম অভিযোগকে আওয়ামী লীগ অস্বীকার করে এবং আওয়ামী লীগ মনে করে যে, জনগণের ভোটে তারা নির্বাচিত হয়েছে। কিন্তু ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়টি আওয়ামী লীগ বা বিজেপি কেউই অস্বীকার করে না।
এখন প্রশ্ন হল, যদি বিজেপি পরাজিত হয়, ইন্ডিয়া জোট ক্ষমতায় আসে তাহলে বাংলাদেশের সমীকরণ কী হবে? কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন যে, বর্তমান সরকারের জন্য সমীকরণের কোন পরিবর্তন হবে না। কারণ ইন্ডিয়া জোটের সঙ্গেও আওয়ামী লীগ সরকারের একটি সুসম্পর্ক রয়েছে। ইতোমধ্যে ইন্ডিয়া জোটের প্রধান দল কংগ্রেস তাদের নির্বাচনী ইশতেহারে বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের বার্তা দিয়েছে।
অনেকে মনে করেন যে, এখন ভারতে কট্টর হিন্দুত্ববাদী মনোভাবের কারণে সীমান্তে অস্থিরতা তৈরি হচ্ছে। মুসলিম বিদ্বেষী বক্তব্য রাখা হচ্ছে। যার ফলে বাংলাদেশের মধ্যে একটা ভারতবিরোধী মনোভাব তৈরি হচ্ছে। শেষ পর্যন্ত যদি নরেন্দ্র মোদি তাহলে এই অবস্থানের পরিবর্তন হবে। দুই দেশের সম্পর্ক আরও বিকশিত হবে বলেও মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
ভারত লোকসভা নির্বাচন মল্লিকার্জুন খাড়গে নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ
মন্তব্য করুন
ভারতের লোকসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সাত ধাপে অনুষ্ঠিতব্য এই নির্বাচনের প্রথম পর্যায়ের ভোট হয় ১৯ এপ্রিল এবং সেখানে ১০২টি নির্বাচনী এলাকায় ভোট অনুষ্ঠিত হয়। দ্বিতীয় দফায় ২৬ এপ্রিল ৮৯টি নির্বাচনী এলাকায় ভোট অনুষ্ঠিত হয়েছে। চতুর্থ দফায় ভোট হবে ৭ মে। সেখানে ৯৪টি আসনে ভোটগ্রহণ হবে এবং সপ্তম দফায় ভোট অনুষ্ঠিত হবে পয়লা জুন। আর ৪ জুন নির্বাচনের ফলাফল জানা যাবে।