নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:০০ পিএম, ১০ অক্টোবর, ২০১৭
বিশ্বের শীর্ষ দুর্নীতিবাজ রাজনৈতিক পরিবারের তালিকায় তৃতীয় স্থানে আছে জিয়া পরিবার। তালিকার শীর্ষস্থানে আছে সদ্য প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব থেকে বরখাস্ত হওয়া পাকিস্তান মুসলিম লীগের সভাপতি নওয়াজ শরীফের পরিবার। ফক্স নিউজ পয়েন্ট এবং র্যাংকার ওয়ার্ল্ড ওয়াইড এই তথ্য জানিয়েছে। গত ৩০ সেপ্টেম্বর বিশ্বে সেরা দুর্নীতিবাজ ১০ রাজনৈতিক পরিবারের তালিকা প্রকাশ করা হয়।
র্যাংকার এর হিসেব অনুযায়ী নওয়াজ শরীফ পরিবারে অবৈধ সম্পদের পরিমাণ ৪০০ কোটি ডলার। আর তৃতীয় স্থানে থাকা জিয়া পরিবারের অবৈধ সম্পদের পরিমাণ ২৫০ কোটি ডলার বাংলাদেশি টাকায় ২০ হাজার ৭৫০ কোটি টাকা। অফশোর ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে ট্যাক্স হ্যাভেন দেশগুলোতে তাঁরা এই টাকা পাচার করেছেন। তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে আছে উত্তর কোরিয়ার একনায়ক কিম জং উন। জিয়া পরিবারের পরেই তালিকায় চতুর্থ স্থানে আছেন ইউক্রেনের সাবেক প্রেসিডেন্ট পেত্রো প্রশেনকোর পরিবার। পেত্রো ২০০৪ সাল থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত ইউক্রেনের প্রেসিডেণ্ট ছিলেন। তাঁর পরিবারের সম্পত্তির পরিমাণ আনুমানিক ২৪০ কোটি ডলার। পঞ্চম স্থানে আছেন নাইজেরিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট সানি অবাচা।
ফক্স নিউজ ফোর এবং র্যাংকার ওয়াল্ড ওয়াইড, বিশ্বজুড়ে অফশোর র্যাংকিং এর মাধ্যমে অবৈধ অর্থ লেনদেন বিষয়ে গবেষণা করে এই প্রতিবেদন তৈরি করেছে।
বিশ্বজুড়ে দুর্নীতিগ্রস্ত রাজনীতিবিদরা কীভাবে একটি দেশের অর্থনীতিকে ধ্বংস করে, সেটা তদন্ত করতে গিয়েই প্রতিষ্ঠান দুটি এসব তথ্য সংগ্রহ করেছে।
তালিকায় তৃতীয় থাকা জিয়া পরিবারকে রিপোর্টে ‘বাংলাদেশের প্রভাবশালী নিয়ন্ত্রক পরিবার ‘ হিসেবে চিহ্নিত করে বলা হয়েছে এই পরিবার দীর্ঘ ১৩ বছর বাংলাদেশ শাসন করেছে। দ্বিতীয় এবং তৃতীয় মেয়াদে পরিবারটি লাগামহীন দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়ে। ২০০৬ সালে ক্ষমতা ত্যাগের আগে পর্যন্ত এই পরিবারের অন্তত ২০ জন সদস্য বিশ্বের অন্তত ১৫ টি দেশে সম্পদ পাচার করেছে।’ জিয়া পরিবারের শীর্ষ দুর্নীতিবাজ হিসেবে ফক্স নিউজ পয়েন্ট তারেক জিয়াকে উল্লেখ করেছেন। তবে, বেগম খালেদা জিয়া, শামীম ইস্কান্দার, আরাফাত রহমান কোকো (প্রয়াত), সাঈদ ইস্কান্দার ( প্রয়াত) এর নামে বিদেশে প্রচুর অবৈধ অর্থ এবং সম্পদ আছে বলে ফক্স নিউজ পয়েন্ট তথ্য প্রমাণ পেয়েছে। যে ১৫টি দেশে জিয়া পরিবারের অবৈধ সম্পদ রয়েছে যেগুলো হলো, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, কানাডা, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কাতার, ওমান, সৌদি আরব, কুয়েত, বারমুডা, কেম্যান আইসল্যান্ড, বাহামা এবং ব্রুনাই। অধিকাংশ অর্থই বেনামে বিভিন্ন অফশোর ব্যাংকে গচ্ছিত। কিছু কিছু অর্থ বিনিয়োগও করা আছে।
গত দুবছর ধরে এসব অবৈধ সম্পদ বাজেয়াপ্ত করার জন্য বিশ্বব্যাপী দাবি উঠলেও এখন পর্যন্ত আইনি সীমাবদ্ধতার জন্য কিছুই করা সম্ভব হয়নি।
বাংলা ইনসাইডার/জেডএ
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান তাপদাহ শিক্ষা মন্ত্রণালয়
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
ভারতের লোকসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সাত ধাপে অনুষ্ঠিতব্য এই নির্বাচনের প্রথম পর্যায়ের ভোট হয় ১৯ এপ্রিল এবং সেখানে ১০২টি নির্বাচনী এলাকায় ভোট অনুষ্ঠিত হয়। দ্বিতীয় দফায় ২৬ এপ্রিল ৮৯টি নির্বাচনী এলাকায় ভোট অনুষ্ঠিত হয়েছে। চতুর্থ দফায় ভোট হবে ৭ মে। সেখানে ৯৪টি আসনে ভোটগ্রহণ হবে এবং সপ্তম দফায় ভোট অনুষ্ঠিত হবে পয়লা জুন। আর ৪ জুন নির্বাচনের ফলাফল জানা যাবে।
প্রথম দুই দফা ভোটের যে হার, তাতে বিজেপির মধ্যে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। বিজেপির নেতারা ভোটে যে ভূমিধস বিজয় আশা করছিলেন সেটি হবে না। ভারতের কোন কোন গণমাধ্যমগুলো ভোটের ফলাফলে নাটকীয় ঘটনা ঘটারও ইঙ্গিত দিচ্ছে। বিশেষ করে ২০০৪ সালের নির্বাচনে যেভাবে কংগ্রেস অটলবিহারী বাজপেয়ীর নেতৃত্বে বিজেপিকে ধরাশায়ী করেছিল সেরকম কোন ঘটনা ঘটতেও পারে বলে মনে আশঙ্কা করছেন অনেকে। অবশ্য এখনও আরও পাঁচ দফা ভোট বাকি আছে এবং বিজেপি আশা করছে যে, পরবর্তী ধাপগুলোতে ভোটার উপস্থিতি বাড়বে এবং বিজেপি তাদের জয়ের ধারা অক্ষুণ্ণ রাখবে। নরেন্দ্র মোদি ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে দেওয়ার জন্য বারবার আহ্বান জানাচ্ছেন।
ভারতের নির্বাচনের ফলাফল কী হবে তা বোঝা যাবে আগামী ৪ জুন। কিন্তু এখন পর্যন্ত যে ভোটের হাওয়া লক্ষ্য করা যাচ্ছে তাতে এটা স্পষ্ট যে, ভোটের আগে নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন বিজেপি জোটের যে নিরঙ্কুশ বিজয়ের ধারণা করা হয়েছিল, সেটি বাস্তবতা নাও পেতে পারে। আর এ কারণেই মোদী যদি শেষ পর্যন্ত পরাজিত হন, তাহলে সেটি হবে ভারতের রাজনৈতিক ইতিহাসে একটি বড় ব্যতিক্রমী ঘটনা এবং এটি হবে ভারতের নির্বাচনের সবচেয়ে বড় চমক।
এখন যখন ভারতের নির্বাচনে একটি হাড্ডাহাড্ডি লড়াই বা অনিশ্চয়তার ফলাফলের শঙ্কা জেগেছে তখন প্রশ্ন উঠছে যে, বিজেপি যদি এই নির্বাচনে পরাজিত হয় তাহলে বাংলাদেশে কী হবে? গত দুটি নির্বাচনে ভারতের বিজেপি সরকার বাংলাদেশকে নিরঙ্কুশভাবে সমর্থন দিয়েছে। ২০১৮ এবং ২০২৪ এর নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সরকারের প্রতি অকুণ্ঠ সমর্থন জানিয়েছে বিজেপি সরকার।
বিশেষ করে ২০২৪ এর নির্বাচনে ভারতীয় সরকারের পরিপূর্ণ সমর্থন ছাড়া মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এই নির্বাচনে ব্যাপক প্রভাব বিস্তার করত এবং এই নির্বাচনকে অস্বীকৃতি জানাত বলেও অনেকে মনে করেন। মার্কিন মনোভাব পাল্টানোর ক্ষেত্রে ভারত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। আর নির্বাচনের পর বিএনপি থেকে শুরু করে জাতীয় পার্টি প্রত্যেকেই বলছে যে, ভারত বর্তমান সরকারকে ক্ষমতায় রেখেছে। যদিও এরকম অভিযোগকে আওয়ামী লীগ অস্বীকার করে এবং আওয়ামী লীগ মনে করে যে, জনগণের ভোটে তারা নির্বাচিত হয়েছে। কিন্তু ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়টি আওয়ামী লীগ বা বিজেপি কেউই অস্বীকার করে না।
এখন প্রশ্ন হল, যদি বিজেপি পরাজিত হয়, ইন্ডিয়া জোট ক্ষমতায় আসে তাহলে বাংলাদেশের সমীকরণ কী হবে? কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন যে, বর্তমান সরকারের জন্য সমীকরণের কোন পরিবর্তন হবে না। কারণ ইন্ডিয়া জোটের সঙ্গেও আওয়ামী লীগ সরকারের একটি সুসম্পর্ক রয়েছে। ইতোমধ্যে ইন্ডিয়া জোটের প্রধান দল কংগ্রেস তাদের নির্বাচনী ইশতেহারে বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের বার্তা দিয়েছে।
অনেকে মনে করেন যে, এখন ভারতে কট্টর হিন্দুত্ববাদী মনোভাবের কারণে সীমান্তে অস্থিরতা তৈরি হচ্ছে। মুসলিম বিদ্বেষী বক্তব্য রাখা হচ্ছে। যার ফলে বাংলাদেশের মধ্যে একটা ভারতবিরোধী মনোভাব তৈরি হচ্ছে। শেষ পর্যন্ত যদি নরেন্দ্র মোদি তাহলে এই অবস্থানের পরিবর্তন হবে। দুই দেশের সম্পর্ক আরও বিকশিত হবে বলেও মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
ভারত লোকসভা নির্বাচন মল্লিকার্জুন খাড়গে নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ
মন্তব্য করুন
ভারতের লোকসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সাত ধাপে অনুষ্ঠিতব্য এই নির্বাচনের প্রথম পর্যায়ের ভোট হয় ১৯ এপ্রিল এবং সেখানে ১০২টি নির্বাচনী এলাকায় ভোট অনুষ্ঠিত হয়। দ্বিতীয় দফায় ২৬ এপ্রিল ৮৯টি নির্বাচনী এলাকায় ভোট অনুষ্ঠিত হয়েছে। চতুর্থ দফায় ভোট হবে ৭ মে। সেখানে ৯৪টি আসনে ভোটগ্রহণ হবে এবং সপ্তম দফায় ভোট অনুষ্ঠিত হবে পয়লা জুন। আর ৪ জুন নির্বাচনের ফলাফল জানা যাবে।