নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:০০ পিএম, ১১ অক্টোবর, ২০১৭
দীর্ঘদিন পর বাংলাদেশে কাল (বৃহস্পতিবার) হরতাল ডাকা হয়েছে। এই হরতাল জামাত ডাকলেও এর প্রধান পৃষ্ঠপোষক বিএনপি। হরতালের পরিচালক জামাত আর প্রযোজক বিএনপি। মূলত: আন্দোলনের টেস্ট কেস হিসেবে বিএনপি জামাতকে গিনিপিগ হিসেবে ব্যবহার করছে। লন্ডন থেকেই পরিচালিত হচ্ছে বিএনপি। আগামীতে সরকার বিরোধী নতুন আন্দোলন করতে চায় বিএনপি। সেই আন্দোলন যেন ২০১৩-১৪ এর চেয়েও সহিংস হয় সেজন্যই পরিকল্পনা করা হচ্ছে লন্ডন থেকে। সেরকম সহিংস একটি আন্দোলন সরকার কীভাবে মোকাবেলা করে, তারই এক রিহার্সেল হবে ১২ অক্টোবরের হরতাল। হরতালের জন্য টাকা পয়সা এবং বিভিন্ন রসদ জুগিয়েছে বিএনপি,আরও নির্দিষ্ট করে বললে তারেক জিয়ার ঘনিষ্ঠরা। তারেক জিয়ার পরিকল্পনা হলো নির্বাচনের আগে দেশকে সহিংস করে তোলা। আর তার প্রস্তুতি শুরু হচ্ছে এই হরতাল থেকেই।
গত রোববার জামাতের আমির সহ শীর্ষনেতা উত্তরায় বৈঠক করতে গেলে গ্রেপ্তার হন। পরে তাদের বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ডে নেওয়া হয়। গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে ছিলেন জামাতের আমির এবং সেক্রেটারি জেনারেল। এর প্রতিবাদে জামাত বিক্ষোভ সমাবেশ করার পরিকল্পনা করেছিল। এর মধ্যেই বিএনপির পক্ষ থেকে জামাতের ভারপ্রাপ্ত নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। তাঁদেরকে বিক্ষোভের বদলে হরতালের পরামর্শ দেন। সাংগঠনিক এবং অস্তীত্বের তীব্র সংকটে থাকা জামাত এই মুহূর্তে হরতালে অনিচ্ছা প্রকাশ করে। কিন্তু শেষ পযর্ন্ত চাপাচাপি এবং নিজেদের ২০দলীয় জোটে থাকার স্বার্থে বৃহস্পতিবার হরতাল ডেকেছে। বিএনপি জামাতকে গিনিপিগ বানিয়ে দেখতে চায় হরতালে সরকার কি করে। বিএনপি নতুন করে আন্দোলনে যাবার চেষ্টা করছে। যদিও এই চিন্তায় বিএনপির সিনিয়র নেতাদের সায় নেই। কিন্তু তারেক জিয়া সহিংস আন্দোলনের পক্ষে। যদি সিনিয়র নেতারা আন্দোলনে না যায়, তাহলে তারেক তাঁর অনুগতদের দিয়ে জঙ্গি আন্দোলন করা ইঙ্গিত দিয়েছে। সেই আন্দোলনের কৌশল নির্ধারণে জামাতের হরতাল একটি টেস্ট। যদিও ভঙ্গুর জামাতের আন্দোলনের ক্ষমতা নেই, তারপরও গোয়েন্দারা কিছু নাশকতা ও সন্ত্রাসের আশঙ্কা করছে। হার্ডলাইনে থাকা বিএনপির তারেকপন্থী অংশ এই হরতালকে সমর্থন করছে।
২০১৪ সালে লাগাতার অবরোধের নামে জ্বালাও পোড়াও কর্মসূচি গ্রহন করে বিএনপি। মানুষ নিজেরাই বেরিয়ে অবরোধকে নাকচ করে দেয়। এরপর থেকে দেশে টুকটাক দু-একটা হরতাল হলেও সাধারণ মানুষ তাতে সাড়া দেয়নি।
বাংলা ইনসাইডার/জেডএ
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান তাপদাহ শিক্ষা মন্ত্রণালয়
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
ভারতের লোকসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সাত ধাপে অনুষ্ঠিতব্য এই নির্বাচনের প্রথম পর্যায়ের ভোট হয় ১৯ এপ্রিল এবং সেখানে ১০২টি নির্বাচনী এলাকায় ভোট অনুষ্ঠিত হয়। দ্বিতীয় দফায় ২৬ এপ্রিল ৮৯টি নির্বাচনী এলাকায় ভোট অনুষ্ঠিত হয়েছে। চতুর্থ দফায় ভোট হবে ৭ মে। সেখানে ৯৪টি আসনে ভোটগ্রহণ হবে এবং সপ্তম দফায় ভোট অনুষ্ঠিত হবে পয়লা জুন। আর ৪ জুন নির্বাচনের ফলাফল জানা যাবে।
প্রথম দুই দফা ভোটের যে হার, তাতে বিজেপির মধ্যে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। বিজেপির নেতারা ভোটে যে ভূমিধস বিজয় আশা করছিলেন সেটি হবে না। ভারতের কোন কোন গণমাধ্যমগুলো ভোটের ফলাফলে নাটকীয় ঘটনা ঘটারও ইঙ্গিত দিচ্ছে। বিশেষ করে ২০০৪ সালের নির্বাচনে যেভাবে কংগ্রেস অটলবিহারী বাজপেয়ীর নেতৃত্বে বিজেপিকে ধরাশায়ী করেছিল সেরকম কোন ঘটনা ঘটতেও পারে বলে মনে আশঙ্কা করছেন অনেকে। অবশ্য এখনও আরও পাঁচ দফা ভোট বাকি আছে এবং বিজেপি আশা করছে যে, পরবর্তী ধাপগুলোতে ভোটার উপস্থিতি বাড়বে এবং বিজেপি তাদের জয়ের ধারা অক্ষুণ্ণ রাখবে। নরেন্দ্র মোদি ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে দেওয়ার জন্য বারবার আহ্বান জানাচ্ছেন।
ভারতের নির্বাচনের ফলাফল কী হবে তা বোঝা যাবে আগামী ৪ জুন। কিন্তু এখন পর্যন্ত যে ভোটের হাওয়া লক্ষ্য করা যাচ্ছে তাতে এটা স্পষ্ট যে, ভোটের আগে নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন বিজেপি জোটের যে নিরঙ্কুশ বিজয়ের ধারণা করা হয়েছিল, সেটি বাস্তবতা নাও পেতে পারে। আর এ কারণেই মোদী যদি শেষ পর্যন্ত পরাজিত হন, তাহলে সেটি হবে ভারতের রাজনৈতিক ইতিহাসে একটি বড় ব্যতিক্রমী ঘটনা এবং এটি হবে ভারতের নির্বাচনের সবচেয়ে বড় চমক।
এখন যখন ভারতের নির্বাচনে একটি হাড্ডাহাড্ডি লড়াই বা অনিশ্চয়তার ফলাফলের শঙ্কা জেগেছে তখন প্রশ্ন উঠছে যে, বিজেপি যদি এই নির্বাচনে পরাজিত হয় তাহলে বাংলাদেশে কী হবে? গত দুটি নির্বাচনে ভারতের বিজেপি সরকার বাংলাদেশকে নিরঙ্কুশভাবে সমর্থন দিয়েছে। ২০১৮ এবং ২০২৪ এর নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সরকারের প্রতি অকুণ্ঠ সমর্থন জানিয়েছে বিজেপি সরকার।
বিশেষ করে ২০২৪ এর নির্বাচনে ভারতীয় সরকারের পরিপূর্ণ সমর্থন ছাড়া মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এই নির্বাচনে ব্যাপক প্রভাব বিস্তার করত এবং এই নির্বাচনকে অস্বীকৃতি জানাত বলেও অনেকে মনে করেন। মার্কিন মনোভাব পাল্টানোর ক্ষেত্রে ভারত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। আর নির্বাচনের পর বিএনপি থেকে শুরু করে জাতীয় পার্টি প্রত্যেকেই বলছে যে, ভারত বর্তমান সরকারকে ক্ষমতায় রেখেছে। যদিও এরকম অভিযোগকে আওয়ামী লীগ অস্বীকার করে এবং আওয়ামী লীগ মনে করে যে, জনগণের ভোটে তারা নির্বাচিত হয়েছে। কিন্তু ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়টি আওয়ামী লীগ বা বিজেপি কেউই অস্বীকার করে না।
এখন প্রশ্ন হল, যদি বিজেপি পরাজিত হয়, ইন্ডিয়া জোট ক্ষমতায় আসে তাহলে বাংলাদেশের সমীকরণ কী হবে? কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন যে, বর্তমান সরকারের জন্য সমীকরণের কোন পরিবর্তন হবে না। কারণ ইন্ডিয়া জোটের সঙ্গেও আওয়ামী লীগ সরকারের একটি সুসম্পর্ক রয়েছে। ইতোমধ্যে ইন্ডিয়া জোটের প্রধান দল কংগ্রেস তাদের নির্বাচনী ইশতেহারে বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের বার্তা দিয়েছে।
অনেকে মনে করেন যে, এখন ভারতে কট্টর হিন্দুত্ববাদী মনোভাবের কারণে সীমান্তে অস্থিরতা তৈরি হচ্ছে। মুসলিম বিদ্বেষী বক্তব্য রাখা হচ্ছে। যার ফলে বাংলাদেশের মধ্যে একটা ভারতবিরোধী মনোভাব তৈরি হচ্ছে। শেষ পর্যন্ত যদি নরেন্দ্র মোদি তাহলে এই অবস্থানের পরিবর্তন হবে। দুই দেশের সম্পর্ক আরও বিকশিত হবে বলেও মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
ভারত লোকসভা নির্বাচন মল্লিকার্জুন খাড়গে নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ
মন্তব্য করুন
ভারতের লোকসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সাত ধাপে অনুষ্ঠিতব্য এই নির্বাচনের প্রথম পর্যায়ের ভোট হয় ১৯ এপ্রিল এবং সেখানে ১০২টি নির্বাচনী এলাকায় ভোট অনুষ্ঠিত হয়। দ্বিতীয় দফায় ২৬ এপ্রিল ৮৯টি নির্বাচনী এলাকায় ভোট অনুষ্ঠিত হয়েছে। চতুর্থ দফায় ভোট হবে ৭ মে। সেখানে ৯৪টি আসনে ভোটগ্রহণ হবে এবং সপ্তম দফায় ভোট অনুষ্ঠিত হবে পয়লা জুন। আর ৪ জুন নির্বাচনের ফলাফল জানা যাবে।