ইনসাইড বাংলাদেশ

মাওনা ফ্লাইওভার: বাতি আছে, আলো নেই

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১২:৫৭ পিএম, ১২ অক্টোবর, ২০১৭


Thumbnail

 

যানজট নিরসন এবং রাজধানী ঢাকার সঙ্গে বৃহত্তর ময়মনসিংহ বিভাগের সহজতর যোগাযোগ স্থাপনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিক পালন করছে ঢাকা- ময়মনসিংহ মহাসড়কের উপর স্থাপিত মাওনা ফ্লাইওভার। প্রায় আড়াই বছর আগে উদ্ভোধন করা হয় এটি। তবে সন্ধ্যা হলেই এখন অন্ধকারে ডুবে থাকে এই গুরুত্বপূর্ণ ফ্লাইওভার। এমন অবস্থায় যেকোনো সময় ঘটতে পারে বড় দুর্ঘটনা।

ফ্লাইওভারের ওপরে লাগানো লাইট পোস্টের অধিকাংশ লাইট না জ্বলার ফলে রাতে এক ভুতুরে পরিবেশ সৃষ্টি হয়। মাদকাসক্তদের ও দুস্কৃতিকারীদের অভয়ারণ্যে পরিণত হয়েছে মাওনা ফ্লাইওভার। দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে মানুষ হত্যা করে এর ওপর লাশ ফেলে রাখার মতো ঘটনাও ঘটছে।

স্থানীয় ব্যবসায়ী মো. শিহাব খান বলেন, ফ্লাইওভারের দুই লেনের মাঝে সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে আছে লাইট পোস্ট। লাইট পোস্টে বাতি লাগানো আছে। কিন্তু প্রায় এক কিলোমিটার দীর্ঘ ফ্লাইওভারটিতে রাতে বাতি বন্ধ থাকে। তাই ব্যস্ততম ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের উপর নির্মিত মাওনা ফ্লাইওভারে সন্ধ্যা নামার সঙ্গে সঙ্গে নেমে আসে এক ভুতুড়ে পরিবেশ। হাঁটতে গেলেও ভয়ে গা ছমছম করে উঠে। আর এ পরিবেশের মধ্যে উপরে উঠলে প্রায় সময়ই ছিনতাইয়ের শিকারও হওয়ার ঘটনা ঘটছে। রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সেখানে বসে মাদকসেবীদের আড্ডাও। অন্ধকারাচ্ছন্ন, ভীতিকর পরিবেশে শুনসান নিরবতায় উপজেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা মাদকসেবীদের মাদক সেবনের নির্ভরযোগ্য জায়গা তথা অভয়ারণ্যে পরিণত হয়েছে ফ্লাইওভার। এছাড়া দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে খুন করে সেখানে লাশও ফেলে রাখার মতো ঘটনাও ঘটেছে। মাওনা ফ্লাইওভার যেন অপরাধীদের অভয়ারণ্যে পরিণত হয়েছে। আর নিচের অংশ জুড়ে রয়েছে বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতাদের শুভেচ্ছা সম্বলিত ব্যানার ফেস্টুন, আর এই ব্যানার ফেস্টুন সাঁটানোর ফলে ফ্লাইওভার তার নিজস্ব সৌন্দর্য হারানোর পাশাপাশি মহাসড়কে দূর্ঘটনাও বাড়ছে। প্রতিনিয়ত প্রাণহানির মতো ঘটনা বেড়েই চলছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এ ব্যাপারে অনেকটাই উদাসীন।



বৈদ্যুতিক লোডশেডিংয়ে অতিষ্ঠ হয়ে দুদিন আগে তীব্র গরমে হাওয়া খেতে অন্ধকার ফ্লাইওভারের উপর উঠতে সাহস পাচ্ছিলেননা আইনজীবী আশরাফুল ইসলাম রতন। তিনি বলেন, ফ্লাইওভার নির্মাণের পর বাতি গুলো একসঙ্গে জ্বললে ফ্লাইওভারের আশপাশ রাতের বেলা জ্বলজ্বল করতো। তা দেখতেও বেশ দারুণ দেখাতো। কিন্তু হঠাৎই লাইট গুলো জ্বলা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় এখন ফ্লাইওভারের উপরে রাতের বেলা সৃষ্টি হয় এক ভীতিকর পরিবেশের।

অন্ধকারে ডুবে থাকা মাওনা ফ্লাইওভারে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনাও ঘটছে। গত ২০১৬ সালে ২৫মে ময়মনসিংহ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ এর মহা-ব্যবস্থাপক (জিএম) জাহাঙ্গীর আলমের ব্যবহৃত প্রাডো জিপ গাড়ি লক্ষ্য করে দুর্বৃত্তরা গুলি চালায়। এ ঘটনায় চালক আকরাম হোসেন বাদী হয়ে পরদিন শ্রীপুর থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। একই বছরের ১২ আগস্ট পৌর এলাকার মাওনা চৌরাস্তায় একটি স্বর্ণের দোকানে বোমা ফাঁটিয়ে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। এসময় ফ্লাইওভারের উপর থেকে দোকান লক্ষ্য করে বোমার নিক্ষেপ করা হয়।

অপরদিকে, ২০১৬সালের ২১নভেম্বর সোমবার দিবাগত রাতে মাওনা হাইওয়ে পুলিশ ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের মাওনা ফ্লাইওভারের ওপর থেকে অজ্ঞাত যুবক (৩০) এর মৃতদেহ উদ্ধার করেছে। পুলিশের ধারণা ছিল, অন্য কোথাও থেকে লাশ গাড়ীতে করে এনে রাতের অন্ধকারাচ্ছন্ন ফ্লাইওভারের ওপর ফেলে চলে গেছে। চলতি বছর ১৯ আগস্ট ফ্লাইওভারের উপর থেকে অজ্ঞাত পরিচয়ের অপর একটি লাশ উদ্ধার করে মাওনা হাইওয়ে থানা পুলিশ।

মাওনা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেলোয়ার হোসেন বলেন, ফ্লাইওভারটির অর্ধেক বাতি জ্বলে অর্ধেক জ্বলে না। বিষয়টি গাজীপুরের সড়ক ও জনপথ বিভাগ এবং উপজেলা আইনশৃঙ্খলা সভায়ও একাধিকবার অবহিত করেছি কিন্তু এখন পর্যন্ত কোনো কাজ হয়নি। তবে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রেহেনা আক্তার জানান, বিষয়টি আগে কেউ আমাকে অবগত করেননি।

গাজীপুর সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. নাহিন রেজা বলেন, বিষয়টি আমার ধারণায় নেই। খোঁজ নিয়ে দেখছি। লাইট না জ্বলে থাকলে লাইট জ্বালানোর ব্যবস্থা করব।

বাংলা ইনসাইডার/জেডএ



মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

রাজধানীতে পরিবহন চাঁদাবাজি, মূলহোতাসহ গ্রেপ্তার ১১

প্রকাশ: ০১:১০ পিএম, ০২ মে, ২০২৪


Thumbnail

রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে পরিবহন থেকে চাঁদা আদায়ের অভিযোগে চক্রের অন্যতম মূলহোতা মারুফসহ ১১ চাঁদাবাজকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০।

গ্রেপ্তারকৃতরা হল, মূলহোতা মো. মারুফ (৩৮), মো. ইমরান হোসেন (৩৫), মো. জাকির হোসেন (২৩), মো. রায়হান (২২), মো. চয়ন (১৮), মো. আপন (১৮), মো. রুহুল আমিন (৪০), মো. আল আমিন (২৫), মো. তানজির (২৪), মো. এহসান আহম্মেদ সজীব (২৬) ও মো. আরিফুল হাসান শাওন (১৮)।

এসময় তাদের কাছ থেকে আদায় করা চাঁদার নগদ ১২ হাজার ৩২০ টাকা এবং ১১টি কাঠের লাঠি উদ্ধার করা হয়। বৃহস্পতিবার (২ মে) র‌্যাব-১০ এর সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) এএসপি এম. জে. সোহেল এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, ২ মে ভোর সাড়ে ৪টা থেকে সকাল ৭টা ১০ মিনিট পর্যন্ত র‌্যাব-১০ এর একটি দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে যাত্রাবাড়ী এলাকায় একাধিক অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানে আন্তঃজেলা ট্রাক, কাভার্ডভ্যান, লরি ও সিএনজিসহ বিভিন্ন পরিবহন থেকে অবৈধভাবে চাঁদা উত্তোলনকালে পরিবহন চাঁদাবাজ চক্রের অন্যতম মূলহোতাসহ ১১ জনকে গ্রেফতার করা হয়।

এএসপি সোহেল আরও বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানায়, তারা বেশ কিছুদিন ধরে যাত্রাবাড়ীসহ আশপাশের বিভিন্ন এলাকায় আন্তঃজেলা ট্রাক, কাভার্ডভ্যান, লরি ও সিএনজিসহ বিভিন্ন পরিবহনের ড্রাইভার ও হেলপারদের সঙ্গে অশোভন আচণের মাধ্যমে ক্ষয়ক্ষতি ও ভয়ভীতি দেখিয়ে অবৈধভাবে জোর করে চাঁদা আদায় করে আসছিল।

গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা রুজুর পর সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলেও জানান র‌্যাবের এ কর্মকর্তা।


রাজধানী   পরিবহন   চাঁদাবাজি   গ্রেপ্তার  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

থাইল্যান্ডের সঙ্গে অংশীদারত্বের নতুন যুগের সূচনা হয়েছে: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশ: ০১:০০ পিএম, ০২ মে, ২০২৪


Thumbnail

থাইল্যান্ডের সঙ্গে অংশীদারত্বের নতুন যুগের সূচনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, থাইল্যান্ডে আমার সরকারি সফরটি দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটি মাইলফলক হয়ে থাকবে। এটি আমাদের দুই দেশের মধ্যে ফলপ্রসূ অংশীদারিত্বের একটি নতুন যুগের সূচনা করেছে।  

বৃহস্পতিবার (০২ মে) গণভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলে প্রধানমন্ত্রী।

এসময় রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন ইস্যুতে থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা হয়েছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, থাইল্যান্ডকে দ্বিপাক্ষিকভাবে এবং আঞ্চলিক জোট আসিয়ানে রোহিঙ্গাদের দ্রুত প্রত্যাবাসনে জোরালো অবস্থান নেওয়ায় সহায়তা করবে মর্মে আমি আশাবাদী।

শেখ হাসিনা বলেন, সামগ্রিকভাবে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক স্বার্থ সুরক্ষা এবং আঞ্চলিক সম্পৃক্ততা বৃদ্ধির জন্য বাংলাদেশের বিশেষ প্রয়াস হিসেবে সফরটি সফল ও ফলপ্রসূ হয়েছে বলে আমি মনে করি।  

থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী স্রেথা থাভিসিনের আমন্ত্রণে দুই দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোরদারে দ্বিপাক্ষিক ও বহুপাক্ষিক উভয় সফরের অংশ হিসেবে ২৪ এপ্রিল ব্যাংকক পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

থাইল্যান্ডে ছয় দিনের সরকারি সফর শেষে প্রধানমন্ত্রী গত সোমবার (২৯ এপ্রিল) ব্যাংকক থেকে দেশে ফেরেন।  

সফর প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এ সফরে দ্বিপাক্ষিক ব্যবসা-বাণিজ্য বৃদ্ধিসহ মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির আলোচনা শুরুর বিষয়ে অগ্রগতি, আন্তঃযোগাযোগ বৃদ্ধি প্রভৃতি দ্বিপাক্ষিক অর্থনৈতিক সম্পর্ক সুদৃঢ়করণে বিশেষ গুরুত্ব পালন করবে। ২০২৪ সালের মধ্যে বাংলাদেশের আসিয়ানের ‘সেক্টরাল ডায়ালগ পার্টনার’- এর প্রার্থিতা লাভের জন্য এ সফর উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখবে।  


প্রধানমন্ত্রী   গণভবন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

আমার শক্তি দেশের জনগণ: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশ: ১২:৫০ পিএম, ০২ মে, ২০২৪


Thumbnail

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমার শক্তি দেশের জনগণ। জনগণের শক্তির উপর আমরা বিশ্বাস করেছি। এবং আমি এটাও বিশ্বাস করেছি যে, জনগণ যতক্ষণ চাইবে ততক্ষণই থাকবো ক্ষমতায়। কারণ আমরা ভোটে নির্বাচিত হয়ে এসেছি। আমাদের দল কোন অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলকারী কোন মিলিটারি ডিক্টেটরের পকেট থেকে বের হয়নি।

বৃহস্পতিবার (০২ মে) সকাল সাড়ে ১১টায় গণভবনে থাইল্যান্ড সফর নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে মানুষের আর্থ সামাজিক যে উন্নয়ন সেটাকে সামনে রেখে আমাদের বাংলাদেশের মানুষ যে শোষণ ও বঞ্চনার স্বীকার হচ্ছিল তার বিরুদ্ধে দাড়াবার জন্য আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠা লাভ করেছে। কাজেই, আওয়ামী লীগ সবসময় মানুষের কল্যাণে কাজ করে এটা প্রমাণিত সত্য। যে কারণে যতই চক্রান্ত হয় সে চক্রান্ত হলেও তা আমরা পাশ কাটিয়ে দেশের মানুষকে নিয়ে আবার বিজয় নিয়ে আসি। এখানে জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলনই ঘটেছে। যারা গণতন্ত্র নাই, ভোটের অধিকার নাই বলে তারাইতো ভোটের অধিকার মানুষের কেড়ে নিয়েছিল এটা তারা ভুলে যায়। আর অনেকে নানা ধরনের কথা বলে। কেউ উন্নয়ন চোখে দেখে, কেউ দেখে না। কারণ তাদের হয়তো উন্নয়নের ফর্মুলা ভিন্ন।

তিনি বলেন, ‘নির্বাচন আমরা জনগনের ভোটের অধিকার নিশ্চিত করেই করেছি। এবং বাংলাদেশের পুরো নির্বাচন ইতিহাসটা যদি দেখেন তাহলে ৭৫ এর পর থেকে যতগুলো নির্বাচন, ৭৭ সালের হ্যা না ভোট থেকে শুরু করে যতগুলো নির্বাচন প্রত্যেকটি নির্বাচন একটু ভালো করে তুলনা করলে দেখা যাবে যে, ২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারী নির্বাচন প্রত্যেক নির্বাচনের তুলনায় সবচেয়ে বেশি অবাধ, সুষ্ঠু এবং জনগনের ভোটের অধিকার নিশ্চিত করার নির্বাচন হয়েছে।

উপজেলা পরিষদ নির্বাচন নিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা চাই নির্বাচন যেন প্রভাবমুক্ত হয়। মানুষ যাতে স্বাধীনভাবে ভোট দিতে পারে। সেটাই আমাদের লক্ষ্য।

ফিলিস্তিন প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা ইতিমধ্যেই দুই দুই বার ফিলিস্তিনের জন্য সহযোগিতা পাঠিয়েছি এবং আরও পাঠাবো। সে প্রস্তুতিও আমরা নিয়েছি। এভাবেই আমরা ফিলিস্তিনের পক্ষে আছি এবং আন্তর্জাতিকভাবে তাদের পাশে দাড়াচ্ছি। যেখানে নির্যাতিত মানুষ সেখানেই বাংলাদেশ আছে।

এর আগে সোমবার (২৯ এপ্রিল) প্রধানমন্ত্রী থাইল্যান্ডে ছয় দিনের সরকারি সফর শেষে ব্যাংকক থেকে দেশে ফিরেছেন। সফরকালে শেখ হাসিনা গভর্নমেন্ট হাউসে (থাই প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়) থাই প্রধানমন্ত্রী স্রেথা থাভিসিনের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন। বৈঠক শেষে দুই নেতার উপস্থিতিতে বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ডের মধ্যে ভিসা অব্যাহতি, জ্বালানি সহযোগিতা, পর্যটন ও শুল্ক সংক্রান্ত বিষয় এবং মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির (এফটিএ) আলোচনার বিষয়ে পাঁচটি দ্বিপাক্ষিক নথি সই হয়।

পাশাপাশি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী দুসিত প্রাসাদের অ্যামফোর্ন সাথার্ন থ্রোন হলে থাইল্যান্ডের রাজা মহা ভাজিরালংকর্ন ফ্রা ভাজিরা-ক্লাওচা-উয়ুয়া এবং রাণী সুথিদা বজ্রসুধা-বিমলা-লক্ষণের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।

গত বুধবার (২৪ এপ্রিল) থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী শ্রেথা থাভিসিনের আমন্ত্রণে বিকেলে ব্যাংককে পৌঁছান শেখ হাসিনা। ডন মুয়াং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তাকে লাল গালিচা সংবর্ধনা দেওয়া হয়।

থাইল্যান্ডের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫২ বছরে বাংলাদেশের সরকারপ্রধান পর্যায়ে এটাই ছিল প্রথম সফর। সফরটি প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, ‘প্রতিবেশী’ নীতির ওপর বৃহত্তর মনোনিবেশের অংশ হিসেবেই তার এই সফর। আর এ সফর দুই দেশের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক নবায়নের চমৎকার সুযোগ করে দিয়েছে।

একই সময়ে তিনি ব্যাংককের জাতিসংঘ সম্মেলন কেন্দ্রে জাতিসংঘের এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের অর্থনৈতিক ও সামাজিক কমিশনের (ইউএনএসক্যাপ) ৮০তম অধিবেশনে ভাষণ দেন।

ভাষণে তিনি বিশ্বনেতাদের উদ্দেশে যুদ্ধকে ‘না’ বলার আহ্বান জানিয়ে বলেন, টেকসই উন্নয়নের পূর্বশর্ত হচ্ছে স্থায়ী শান্তি ও নিরাপত্তা। একইদিন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে জাতিসংঘের আন্ডার সেক্রেটারি এবং অর্থনৈতিক ও সামাজিক কমিশন এশিয়া ও প্যাসিফিক অঞ্চলের নির্বাহী সচিব আরমিডা সালসিয়াহ আলিশাবানা সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।


প্রধানমন্ত্রী   সংবাদ সম্মেলন   থাইল্যান্ড সফর   জনগণ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

যেখানে নির্যাতিত মানুষ সেখানেই বাংলাদেশ আছে: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশ: ১২:১৯ পিএম, ০২ মে, ২০২৪


Thumbnail

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেনে, আমরা ইতিমধ্যেই দুই দুই বার ফিলিস্তিনের জন্য সহযোগিতা পাঠিয়েছি এবং আরও পাঠাবো। সে প্রস্তুতিও আমরা নিয়েছি। এভাবেই আমরা ফিলিস্তিনের পক্ষে আছি এবং আন্তর্জাতিকভাবে তাদের পাশে দাড়াচ্ছি।

বৃহস্পতিবার (০২ মে) সকাল সাড়ে ১১টায় গণভবনে থাইল্যান্ড সফর নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

গত সোমবার (২৯ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১১টায় ছয় দিনের থাইল্যান্ড সফর শেষে দেশে ফেরেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

এর আগে, থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী শ্রেথা থাভিসিনের আমন্ত্রণে গত বুধবার (২৪ এপ্রিল) বিকেলে ব্যাংককে পৌঁছান শেখ হাসিনা। ডন মুয়াং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তাকে লাল গালিচা সংবর্ধনা দেওয়া হয়। কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫২ বছরে থাইল্যান্ডে বাংলাদেশের সরকারপ্রধান পর্যায়ের প্রথম সফর ছিল এটি।

সফরের দ্বিতীয় দিন গত বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) জাতিসংঘের এশিয়া প্রশান্ত মহাসগরীয় অঞ্চলের অর্থনৈতিক ও সামাজিক কমিশনের (ইউএনইএসসিএপি) ৮০তম অধিবেশনে যোগ দেন বাংলাদেশ সরকারপ্রধান।


প্রধানমন্ত্রী  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

‘রোহিঙ্গা সমস্যা নিরসনে বিশ্ব সম্প্রদায়কে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছি’

প্রকাশ: ১২:০০ পিএম, ০২ মে, ২০২৪


Thumbnail

থাইল্যান্ড সফরে সকল ধরনের আগ্রাসন ও নৃশংসতার বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার জন্য এবং যুদ্ধকে ‘না’ বলার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, আমি ফিলিস্তিনে অব্যাহত গণহত্যা, মিয়ানমারে চলমান সংঘাত ও রোহিঙ্গা সমস্যা নিরসনে এশিয়া-প্রশান্ত অঞ্চলসহ বিশ্ব সম্প্রদায়কে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানাই।

বৃহস্পতিবার (০২ মে) সকাল ১১টায় গণভবনে থাইল্যান্ড সফর নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।



মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন