ইনসাইড বাংলাদেশ

খালেদার জেল, তারেকের ফাঁসি…

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৮:০০ পিএম, ১২ অক্টোবর, ২০১৭


Thumbnail

হঠাৎ করেই মামলায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে বিএনপি। বৃহস্পতিবার বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে আরও দুটি মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। এ নিয়ে মোট তিনটি মামলায় তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হলো। বেগম জিয়া বর্তমানে লন্ডনে অবস্থান করছেন। আইন অনুযায়ী, জামিন পেতে হলে, হয় উক্ত আদালতে তাঁর আইনজীবীদের আপিল করতে হবে অথবা স্বশরীরে নিম্ন আদালতে অত্মসমর্পন করে জামিন নিতে হবে। না হলে ফিরলেই বিমানবন্দরেই তাঁকে গ্রেপ্তার হতে হবে। অন্যদিকে, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হয়েছে। আগামী ২৩, ২৪ ও ২৫ অক্টোবর মামলার যুক্তিতর্কের দিন নির্ধারণ হয়েছে। এরপর রায় ঘোষিত হবে। এই মামলার অন্যতম প্রধান আসামি বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক জিয়া। রাষ্ট্রপক্ষের কৌসুলী আবু আবদুল্লাহ ভূঁইয়া বাংলা ইনসাইডারকে বলেছেন, ‘সাক্ষ্যপ্রমাণে আমরা তারেক জিয়ার সংশ্লিষ্টতা সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ করতে পেরেছি। আমরা আশা করি, তাঁর সর্বোচ্চ শাস্তি হবে।’ এই অপরাধের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড। জিয়া পরিবারের নিয়ন্ত্রক দুইজনের জেল ও ফাঁসি ভাবনায় বিএনপি বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এক শীর্ষ নেতা বলেছেন, ‘জামাতকে যেভাবে পঙ্গু করা হয়েছে, সেই একই ভাবে বিএনপিকেও পঙ্গু করার পথে এগুচ্ছে সরকার।’ অবশ্য আওয়ামী লীগ এ ধরনের অভিযোগ খন্ডন করেছে। দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বাংলা ইনসাইডারকে বলেছেন, ‘আইন তার নিজস্ব গতিতে চলবে। বিষয়গুলো আইনগত, রাজনৈতিক নয়।’

বেগম জিয়ার উপর্যুপরি তিনটি গ্রেপ্তারি পরোয়ানায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে বিএনপি। গত বৃহস্পতিবার দুটি পৃথক আদালত বেগম জিয়ার বিরুদ্ধে নিম্ন আদালতে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে। জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় বেগম জিয়া আদালতে হাজির না হওয়ায় তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়। অন্যদিকে, বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধ, মানচিত্র ও জাতীয় পতাকাকে অবমাননার অভিযোগে গত বছরের এক মানহানি মামলায় বেগম জিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে ঢাকা মহানগর হাকিম। এর আগে গত ৯ অক্টোবর পেট্রোল বোমার এক মামলায় কুমিল্লা জেলা ও দায়রা জজ আদালত বেগম জিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে। উচ্চ আদালতে জামিন না হলে দেশে ফিরলেই জেলে যেতে হবে বেগম জিয়াকে। সরকার এখন এব্যাপারে কঠোর অবস্থানে বলে জানা গেছে। আওয়ামী লীগের একজন প্রভাবশালী নেতা বলেছেন, ‘মামলা এড়ানোর জন্যই বেগম জিয়া লন্ডনে বসে আছেন। তিনি বিচার আদালত কিছুই মানছেন না, এটা চলতে পারে না।’ বেগম জিয়ার পক্ষ থেকে যদি উচ্চ আদালতে জামিনের আবেদন করা হয়, তাহলে সরকার পক্ষ তার বিরোধীতা করবে। সরকার পক্ষের একজন আইনজীবী বলেছেন, ‘ মামলার একজন আসামি বিদেশে গেলে তাঁকে অবশ্যই আদালতের অনুমতি নিয়ে যেতে হবে। কিন্তু জিয়া অরফানেজ মামলা ও জিয়া চ্যারিটেবল দুর্নীতি মামলায় বেগম জিয়া আদালতের অনুমতি না নিয়েই গেছেন।’ এছাড়াও সমস্যা আছে, উচ্চতর আদালতে বেগম জিয়ার জামিন আবেদন করলেই তাঁকে মেডিকেল রিপোর্ট দিতে হবে, স্বাস্থ্যের সবশেষ অবস্থার ডাক্তারি রিপোর্ট দিতে হবে। জানাতে হবে তাঁর ফেরার সুনির্দিষ্ট তারিখ। কিন্তু বিএনপির আইনজীবীরা এসব ব্যাপারে অন্ধকারে। জিয়ার অরফানেজ মামলায় বেগম জিয়ার আইনজীবী ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার জুলাই মাসে তিন সপ্তাহ সময় নিয়েছিলেন। এখন বিএনপির কেউই জানে না, বেগম জিয়া কবে ফিরবেন। তাই উচ্চতর আদালতে জামিন পাওয়া সহজ নাও হতে পারে। বিএনপির অনেক নেতাই এখন চিন্তিত। তাঁরা আশঙ্কা করছেন, এই গ্রেপ্তারি পরোয়ানা আতঙ্কে শেষ পর্যন্ত বেগম জিয়া লন্ডনে চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত করে ফেলেন কিনা। আবার সাহস করে দেশে ফিরলে, তাঁকে গ্রেপ্তার করা হলে, তা প্রতিরোধের সামর্থ্য ও শক্তি বিএনপির আছে কিনা, সে ভাবনাতেও উদ্বিগ্ন বিএনপি। বিএনপির একজন নেতা বললেন, ‘ম্যাডাম, লন্ডনে থাকলে আমরা তাও গলা ফাঁটিয়ে বক্তৃতা দিতে পারব, কিন্তু তাঁকে যদি গ্রেপ্তার করা হয়, তাহলে তো আমরা ঘর থেকেই বেরুতে পারব না।’ এরকম দ্বিধা-দ্বন্দ্ব, উদ্বেগ-উৎকণ্ঠায় শেষ পর্যন্ত বেগম জিয়া কী সিদ্ধান্ত নেয়, তা দেখার বিষয়।

বেগম জিয়ার চেয়েও বিএনপির নেতা উদ্বিগ্ন তাঁদের দ্বিতীয় নেতা তারেক জিয়াকে নিয়ে। নভেম্বরের মধ্যে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার মামলার রায় দেবে। এই মামলায় যদি তারেক জিয়া দণ্ডিত হন, তাহলে তিনি ব্রিটেনে রাজনৈতিক আশ্রয় লাভের অধিকার হারাবেন। ব্রিটেনের ইমিগ্রেশন আইন অনুযায়ী,‘কেউ যদি আদালত কতৃক সন্ত্রাসবাদে দণ্ডিত হন বা কারও বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদের অভিযোগ যদি প্রমাণিত হয়, তাহলে তিনি যুক্তরাজ্যে রাজনৈতিক আশ্রয় লাভের অধিকার হরাবেন। এই মামলা তাই বিএনপিকে অস্তীত্বের সংকটে নিয়ে যেতে পারে বলে ধারণা করছেন বিএনপির নেতৃবৃন্দ। আর দণ্ডিত হলে তাঁকে আত্মসমর্পন করেই আপিল করতে হবে। এরকম পস্থিতিতে তারেক জিয়া কী করবেন-তা বিএনপিরে মাথাব্যাথার এক বড় কারণ।

দলের দুই শীর্ষ নেতা যদি এরকম অবস্থায় পতিত হয় তাহলে নেতৃত্বহীন বিএনপি কী করে, সেটাই দেখার বিষয়।

বাংলা ইনসাইডার/জেডএ 




মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

রাজধানীতে বজ্রসহ শিলা-বৃষ্টি

প্রকাশ: ১০:৪১ পিএম, ০৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

রাজধানীতে শুরু হয়েছে বজ্রসহ বৃষ্টি। সঙ্গে শিলা। আজ রোববার (৫ মে) রাত সাড়ে ১০টার দিকে শুরু হয় এ শিলা-বৃষ্টি। এর আগে রাত ৯টার দিকে শুরু হয় ঝোড়ো হাওয়া।

শনিবার সকালে আবহাওয়া অধিদপ্তর পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়া পরিস্থিতির পূর্বাভাস দেয়। পূর্বাভাসে বলা হয়, সোমবার থেকে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছয় দিন ধরে হতে পারে ঝড়বৃষ্টি। কয়েক দিনের বৃষ্টির পর কমে যেতে পারে তাপপ্রবাহ।

আবহাওয়াবিদ শাহীনুল ইসলাম বলেন, রোববার বিকেল ৪টা থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে দেশের ওপর দিয়ে বজ্রপাত ও বিচ্ছিন্নভাবে শিলাবৃষ্টিসহ কালবৈশাখী ঝড় বয়ে যেতে পারে। সেজন্য সতর্কতা জারি করা হয়েছে। এ ছাড়া কাল সোমবার থেকে সারা দেশে বৃষ্টির পরিমাণ বাড়বে। এতে করে যেসব জায়গায় তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছিল সেগুলো ধীরে ধীরে প্রশমিত হবে। 

রাজধানী   শিলা-বৃষ্টি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

বন্ধ বিমানবন্দর চালুর পরিকল্পনা আপাতত নেই: বিমান ও পর্যটন মন্ত্রী

প্রকাশ: ০৯:৪৩ পিএম, ০৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী মুহাম্মদ ফারুক খান জানিয়েছেন, বন্ধ থাকা বিমানবন্দরগুলো চালুর পরিকল্পনা আপাতত সরকারের নেই।

রোববার (৫ মে) বিকালে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে জাতীয় সংসদের অধিবেশনে আওয়ামী লীগের সদস্য আলী আজমের এক লিখিত প্রশ্নের উত্তরে তিনি এ কথা জানান।
 
ফারুক খান বলেন, বর্তমানে দেশে তিনটি আন্তর্জাতিক, সাতটি অভ্যন্তরীণ ও পাঁচটি স্টল বিমানবন্দর রয়েছে। এর মধ্যে তিনটি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এবং পাঁচটি অভ্যন্তরীণ বিমানবন্দর চালু রয়েছে। এসব বিমানবন্দর দিয়ে আন্তর্জাতিক এবং অভ্যন্তরীণ রুটে ফ্লাইট পরিচালিত হচ্ছে।

মন্ত্রী বলেন, বন্ধ থাকা বিমানবন্দরগুলো চালু করার পরিকল্পনা সরকার তথা বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের আপাতত নেই। তবে বর্তমান বৈশ্বিক অর্থনৈতিক অবস্থার উন্নয়ন, যাত্রী চাহিদা এবং এয়ারলাইনসগুলোর আগ্রহের পরিপ্রেক্ষিতে সরকারের সিদ্ধান্ত সাপেক্ষে বন্ধ বিমানবন্দরগুলো চালুর উদ্যোগ নেওয়া যেতে পারে।

বিমানবন্দর   বিমান ও পর্যটন মন্ত্রী   জাতীয় সংসদ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

গ্রামে ৮ থেকে ১২ ঘণ্টা লোডশেডিং, বিদ্যুৎ গেল কোথায়: সংসদে চুন্নু

প্রকাশ: ০৯:৩৪ পিএম, ০৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

লোডশেডিং নিয়ে সংসদে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বিরোধী দলের চিফ হুইপ মুজিবুল হক চুন্নু। তিনি চ্যালেঞ্জ করে বলেন, গ্রামে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কোথাও ১২ ঘণ্টা, কোথাও ৮ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকে। সরকার বলেছে ২৮ হাজার বিদ্যুৎ উৎপাদনের ক্যাপাসিটি রয়েছে। তাহলে এই বিদ্যুৎ গেল কোথায়?

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে জাতীয় সংসদ অধিবেশনে তিনি এ প্রশ্ন করেন। এ সময় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন।

মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, এই মুহূর্তে সারাদেশের মানুষ অনেক সমস্যায় আছে। তার মধ্যে দুটি সমস্যায় মানুষ খুব আক্রান্ত। একটি হলো বিদ্যুৎ। এই মৌসুমে সারাদেশে গ্রামে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কোথাও ১২ ঘণ্টা, কোথাও ৮ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকে। আর সরকার বলেছে ২৮ হাজার বিদ্যুৎ উৎপাদনের ক্যাপাসিটির কথা, তাহলে এই বিদ্যুৎ গেল কোথায়? বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রীকে আমার এলাকার মানুষ দাওয়াত দিয়েছে, লোডশেডিং হয় কিনা দেখার জন্য।

তিনি আরও বলেন, যে সব বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র ভাড়ায়, তাদের সক্ষমতার ৪১ শতাংশ সক্ষমতা থাকার পরেও বসে আছে এবং ২২-২৩ আর্থিক বছরে বসে থেকে ভাড়া বাবদ ২৬ হাজার কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে। আগের পার্লামেন্টে আমি বলেছিলাম, আমার এলাকায় প্রায় বিদ্যুৎ চলে যায়। বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী আমাকে চ্যালেঞ্জ করেছিলেন, আমি আজকে চ্যালেঞ্জ চাই না। আমি চাই সশরীরে উনি আমার এলাকায় একটু যাবেন, যে কয় ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকে।

চুন্নু বলেন, দায়মুক্তি দিয়ে যেসব চুক্তি আমরা করেছি, সেগুলো দয়া করে প্রত্যাহার করুন। বিদ্যুৎ উৎপাদন না করে বসে বসে জরিমানা দেওয়া হবে, এ চুক্তি বাতিল করুন। সেসব কোম্পানি বিদ্যুৎ দিলে বিল পরিশোধ করবেন। বসিয়ে রেখে এভাবে এক বছরে ২৬ হাজার কোটি টাকা দেবেন, তারপর আবার লোডশেডিংও থাকবে! ঢাকায় থেকে অসহনীয় অবস্থা আপনারা বুঝবেন না।

তিনি বলেন, বিদ্যুতের অপচয় বন্ধ করুন। বিদ্যুতের দাম বাড়াচ্ছেন। মন্ত্রী একটি সুন্দর কথা বলেন, সমন্বয়। সমন্বয়ের মানে মূল্যবৃদ্ধি। এ সমন্বয় আগামী তিন বছর বারবার করবেন। ভর্তুকি তুলে নিলে বিদ্যুতের দাম দ্বিগুণ হয়ে যাবে দুই-তিন বছর পর। মানুষ কিনতে পারবে কি না, আমি জানি না। আমি বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রীকে বলব, শুধুমাত্র দাম না বাড়িয়ে এমন কিছু পদক্ষেপ নিন, যাতে জনগণের ওপর চাপ না পড়ে, একটি সহনীয় অবস্থায় আপনারা সরকারেও থাকতে পারেন, আর বিদ্যুৎও যাতে পাওয়া যায়।

লোডশেডিং   মুজিবুল হক চুন্নু  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

লক্ষ্মীপুরে রাতের অন্ধকারে হামলা চালিয়ে সংখ্যালঘুর জমি দখল, ঘর নির্মাণ


Thumbnail

লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে রাতের অন্ধকারে হামলা চালিয়ে বিরোধপূর্ণ জমিতে একটি টিনসেট ঘর স্থাপন করেছে তাজল ইসলাম নামে এক ভূমি পরিমাপক। 

রোববার (৫ মে) ভোর রাতে উপজেলার হাজিরহাট ইউনিয়নের চরজাঙ্গালিয়া গ্রামের করুনানগর বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় জাতীয় জরুরী সেবা ৯৯৯ নম্বরে কল দিলেও যথা সময়ে পুলিশ আসেনি বলে অভিযোগ ভূক্তভোগীদের। 

বিকেলে ভূক্তভোগী টিংকু রানী দাস, বিপন রানী দাস, শোভন দাস ও অনিক চন্দ্র দাসসহ কয়েকজন এ অভিযোগ করেন। তারা জানায়, লোক মারফত তারা জানতে পারেন তাজল ইসলাম বিরোধীয় জমিতে ঘর তুলবেন। এতে শনিবার (৪ মে) দিবাগত সারারাত তারা পাহারারত ছিলেন। কেউই ঘুমাননি। রোববার ফজরের আযান দিলে তারা ঘুমাতে যায়। ঠিক সেই মুহুর্তে তাজল ইসলাম প্রায় শতাধিক নারী-পুরুষকে নিয়ে এসে বিরোধীয় জমিতে থাকা টিনের বেড়া ভেঙে ফেলে। ঘটনাটি আঁচ করতে পেরে সবাই এসে বাধা দিলে তাজল ইসলামসহ তার লোকজন লাঠিসোটা নিয়ে তাদের (ভূক্তভোগী) ওপর হামলা চালায়। এ ঘটনা থেকে রক্ষা পেতে ভূক্তভোগীরা জাতীয় জরুরী সেবা ৯৯৯ নম্বরে কল দেয়। সেখান থেকে বিষয়টি কমলনগর থানাকে জানানো হয়। কিন্তু পুলিশ ঘটনাস্থল পৌঁছতে ২ ঘণ্টা সময় লাগিয়েছে। এর মধ্যে অন্যত্র তৈরিকৃত একটি নতুন ঘর এনে তাজল ইসলামরা বিরোধীয় জমিতে স্থাপন করে। এসময় টিংকু, বিপন, শোভন ও অনিকসহ কয়েকজনকে মারধর করা হয়েছে বলেও অভিযোগ আনা হয়। 

ভূক্তভোগীরা আরও জানায়, পুলিশ এসে ঘর দেখে তারা থানায় লিখিত অভিযোগ দিতে বলে। যদি পুলিশ সময়মতো আসতো তাহলে তাজল ইসলামরা ঘর স্থাপন করার সুযোগ পেতো না। আদালতে মামলা চলমান থাকলেও হামলা চালিয়ে ঘর স্থাপনের ঘটনায় তাজল ইসলামের বিচার চেয়েছেন ভূক্তভোগীরা।

হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের লক্ষ্মীপুর জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মিলন মন্ডল বলেন, ডালিম কুমার দাস নামে এক ব্যক্তি তাজল ইসলামের কাছে জমি বিক্রি করে। ডালিম ও তাজলসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে প্রাক্তন স্কুল শিক্ষক রাম কৃষ্ণ দাসসহ ভূক্তভোগীরা অগ্রক্রয় অধিকার আইনে রামগতি সহকারী জজ আদালতে মামলা করেন। মামলাটি এখনো চলমান। এরমধ্যে তাজল ইসলাম হামলা চালিয়ে ঘর স্থাপন করে আইন অমান্য করেছে। আমরা তার বিচার দাবি করছি। 

তবে অভিযুক্ত তাজল ইসলামের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করেও সম্ভব হয়নি। তিনি রামগতি উপজেলার চরবাদাম ইউনিয়নের চরসীতা গ্রামের বাসিন্দা। 

কমলনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তহিদুল ইসলাম বলেন, ঘটনাটি শুনেছি। পুলিশও পাঠানো হয়েছে। হামলার ঘটনায় কেউ কোন অভিযোগ দেয়নি। কেউ আটকও নেই। জায়গা জমি নিয়ে সমস্যা রয়েছে। ক্রেতা তার জমি দখল করতে এসেছে। এটি উভয়পক্ষ বসে মীমাংসা করতে পারতো।

লক্ষ্মীপুর   সংখ্যালঘু   জমি দখল  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

তাপপ্রবাহে কী করতে হবে, জানিয়ে জাতীয় নির্দেশিকা প্রকাশ

প্রকাশ: ০৮:২১ পিএম, ০৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

অতিরিক্ত গরমে মাথা ঘোরানো, দুশ্চিন্তা, স্ট্রোক, মুখের ভেতর শুকিয়ে যাওয়া, অ্যাজমা, মাংসপেশিতে খিঁচুনি, চামড়ায় ফুসকুড়ি, কিডনি অকার্যকর হওয়ার মতো অসুস্থতা দেখা দিতে পারে। এ ধরনের গরমে বয়স্ক, শিশু, অন্তঃসত্ত্বা নারী, শ্রমজীবী মানুষেরা সবচেয়ে বেশি ঝুঁকির মধ্যে রয়েছেন। তাই তাপপ্রবাহ থেকে সুরক্ষার জন্য কী কী করতে হবে, তা জানিয়ে প্রথমবারের মতো জাতীয় গাইডলাইন বা নির্দেশিকা প্রকাশ করেছে সরকার।

রোববার (৫ মে) দুপুরে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর আয়োজিত তাপমাত্রাজনিত স্বাস্থ্যঝুঁকি বিষয়ক জাতীয় গাইডলাইনের আনুষ্ঠানিক মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠান করা হয়।

অনুষ্ঠানে জাতীয় গাইডলাইনের মোড়ক উন্মোচন করেন স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণমন্ত্রী সামন্ত লাল সেন। প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, তীব্র গরমে সবচেয়ে বেশি স্বাস্থ্যঝুঁকিতে থাকে শিশু ও বয়োজ্যেষ্ঠরা। যারা একটু শারীরিকভাবে কম সামর্থ্যবান, যাদের ডায়াবেটিস, হার্ট-ডিজিস বা বিভিন্ন অসুখ রয়েছে, তারা বেশি ঝুঁকিতে থাকেন। এই বইয়ে নির্দেশিত গাইডলাইন লিফলেট আকারে স্কুল-কলেজসহ সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছড়িয়ে দিতে হবে। ইতোমধ্যে সব সরকারি হাসপাতালে এই গাইডলাইন প্রেরণ করা হয়েছে। সেই সঙ্গে চিকিৎসকদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

নগর পরিকল্পনাবিদদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা দেখি গ্রামের চেয়ে ঢাকা শহরে তাপমাত্রা অনেক বেশি। এর কারণ আমরা ভবন নির্মাণ করতে গিয়ে শহরের গাছপালা সব কেটে সাবাড় করেছি। জলবায়ু পরিবর্তনের ওপর হয়তো আমরা খুব প্রভাব ফেলতে পারি না। কিন্তু নগর পরিকল্পনার সময় যদি এসব বিষয় আমরা মাথায় রাখি, তাহলে অনেকাংশেই পরিত্রাণ সম্ভব।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলমের সভাপতিত্বে আয়োজিত ওই অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদি সাবরিনা ফ্লোরা, ইউনিসেফ বাংলাদেশের ডেপুটি রিপ্রেজেনটেটিভ এমা ব্রিগহাম প্রমুখ।

তাপপ্রবাহ   জাতীয় নির্দেশিকা  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন