নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৩:৩০ পিএম, ১০ জুন, ২০২১
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মোহাম্মদ আখতারুজ্জামান বলেছেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কিমিউনিটি ক্লিনিক চেয়ার প্রতিষ্ঠা করা হবে।
বৃহস্পতিবার (১০ জুন) হোটেল ওয়েস্টিনের বলরুমে কমিউনিটি ক্লিনিক: `জাতির পিতার স্বপ্ন, রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার সাফল্য` শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনায় তিনি এ কথা বলেন।
মোহাম্মদ আখতারুজ্জামান বলেন, কমিউনিটিকে যুক্ত করাই হলো বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজ। আর কমিউনিটি ক্লিনিক যেহেতু একটি কমিউনিটির সকল মানুষকে নিয়ে কাজ করে সেহেতু ঢাকা বিশ্ববিদ্যায়ের শিক্ষার্থীদের উচিৎ কমিউনিটিতে যুক্ত হওয়া। কমিউনিটি ক্লিনিক কমিউনিটিতে কাজ করছে। সেই কাজ যারা করছেন তাদেরকে স্বীকৃতি দেওয়া উচিৎ। এই কিমিউনিটি ক্লিনিক চেয়ার প্রতিষ্ঠা করে কমিউনিটিতে যারা অবদান রাখতে তাদের স্বাীকৃতি দেওয়া হবে। এ ব্যাপারে ঢাকা বিশ্ববিদ্যায়ের পক্ষ থেকে তিনি সার্বিক সহায়তা করবেন বলে আশ্বাস প্রদান করেন।
আলোচনায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন শাহানা পারভীন, ন্যাশনাল কোঅর্ডিনেটর, কমিটিউনিটি গ্রুপ এন্ড কমিউনিটি সাপোর্ট গ্রুপ, কমিটিউনিটি ক্লিনিক স্বাস্থ্য সহায়তা ট্রাস্ট।
কমিউনিটি ক্লিনিক স্বাস্থ্য সহায়তা ট্রাস্ট এর সভাপতি অধ্যাপক ডা: সৈয়দ মোদাচ্ছের আলীর সভাপতিত্বের অনুষ্ঠানে আলোচকদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, মমতাজ আযম মিষ্টি, কমিউনিটি ক্লিনিকে সুবিধাভোগী, সুদেবী গোস্বামী, সিএসসিবি প্রতিনিধি, বাড়ীগাঁও কমিউনিটি ক্লিনিক, ধামরাই, ঢাকা, মো: আনিসুর রহমান (কমিউনিটি গ্রুপ সভাপতি), বাড়ীগাঁও কমিউনিটি ক্লিনিক, ধামরাই, ঢাকা, গীতা রানী দেবী, ডেপুটি প্রোগ্রাম ম্যানেজার, কমিউনিটি বেইজড হেলথ কেয়ার (সিবিএইচসি), ডা: মাসুদ রেজা কবীর, লাইন ডিরেক্টর (ভারপ্রাপ্ত), কমিউনিটি বেইজড হেলথ কেয়ার (সিবিএইচসি), অধ্যাপক ডা: মো: আবুল হাসেম খান, সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক, স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগ, স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগ, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় ও সাবেক লাইন ডিরেক্টর, কমিউনিটি বেইজড হেলথ কেয়ার (সিবিএইচসি), তুলশী রঞ্জন সাহা, ব্যবস্থাপনা পরিচালক (অতিরিক্ত সচিব), কমিউনিটি ক্লিনিক স্বাস্থ্য সহায়তা ট্রাস্ট, অধ্যাপক ডা: শরফুদ্দিন আহমেদ, উপাচার্য, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, অধ্যাপক ডা: আবদুল আজিজ, সাধারণ সম্পাদক, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ, ফরিদা ইয়াসমিন, সভাপতি, জাতীয় প্রেসক্লাব, সাহাস আরা বানু, এনডিসি, মহাপরিচালক, পরিবার পরিকল্পনা অধিপ্তর, অধ্যাপক ডা: আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, মহাপরিচালক, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, ডা: মাখদুমা নার্গিস, সহ-সভাপতি, কমিউনিটি ক্লিনিক স্বাস্থ্য সহায়তা ট্রাস্টি বোর্ড, সৈয়দ বোরহান কবীর, নির্বাহী পরিচালক, পরিপ্রেক্ষিত, অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আখতারুজ্জামান, উপচার্য, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ডা: এ. বি. এম আবদুল্লাহ, ইউজিসি অধ্যাপক, প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান তাপদাহ শিক্ষা মন্ত্রণালয়
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
ভারতের লোকসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সাত ধাপে অনুষ্ঠিতব্য এই নির্বাচনের প্রথম পর্যায়ের ভোট হয় ১৯ এপ্রিল এবং সেখানে ১০২টি নির্বাচনী এলাকায় ভোট অনুষ্ঠিত হয়। দ্বিতীয় দফায় ২৬ এপ্রিল ৮৯টি নির্বাচনী এলাকায় ভোট অনুষ্ঠিত হয়েছে। চতুর্থ দফায় ভোট হবে ৭ মে। সেখানে ৯৪টি আসনে ভোটগ্রহণ হবে এবং সপ্তম দফায় ভোট অনুষ্ঠিত হবে পয়লা জুন। আর ৪ জুন নির্বাচনের ফলাফল জানা যাবে।
প্রথম দুই দফা ভোটের যে হার, তাতে বিজেপির মধ্যে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। বিজেপির নেতারা ভোটে যে ভূমিধস বিজয় আশা করছিলেন সেটি হবে না। ভারতের কোন কোন গণমাধ্যমগুলো ভোটের ফলাফলে নাটকীয় ঘটনা ঘটারও ইঙ্গিত দিচ্ছে। বিশেষ করে ২০০৪ সালের নির্বাচনে যেভাবে কংগ্রেস অটলবিহারী বাজপেয়ীর নেতৃত্বে বিজেপিকে ধরাশায়ী করেছিল সেরকম কোন ঘটনা ঘটতেও পারে বলে মনে আশঙ্কা করছেন অনেকে। অবশ্য এখনও আরও পাঁচ দফা ভোট বাকি আছে এবং বিজেপি আশা করছে যে, পরবর্তী ধাপগুলোতে ভোটার উপস্থিতি বাড়বে এবং বিজেপি তাদের জয়ের ধারা অক্ষুণ্ণ রাখবে। নরেন্দ্র মোদি ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে দেওয়ার জন্য বারবার আহ্বান জানাচ্ছেন।
ভারতের নির্বাচনের ফলাফল কী হবে তা বোঝা যাবে আগামী ৪ জুন। কিন্তু এখন পর্যন্ত যে ভোটের হাওয়া লক্ষ্য করা যাচ্ছে তাতে এটা স্পষ্ট যে, ভোটের আগে নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন বিজেপি জোটের যে নিরঙ্কুশ বিজয়ের ধারণা করা হয়েছিল, সেটি বাস্তবতা নাও পেতে পারে। আর এ কারণেই মোদী যদি শেষ পর্যন্ত পরাজিত হন, তাহলে সেটি হবে ভারতের রাজনৈতিক ইতিহাসে একটি বড় ব্যতিক্রমী ঘটনা এবং এটি হবে ভারতের নির্বাচনের সবচেয়ে বড় চমক।
এখন যখন ভারতের নির্বাচনে একটি হাড্ডাহাড্ডি লড়াই বা অনিশ্চয়তার ফলাফলের শঙ্কা জেগেছে তখন প্রশ্ন উঠছে যে, বিজেপি যদি এই নির্বাচনে পরাজিত হয় তাহলে বাংলাদেশে কী হবে? গত দুটি নির্বাচনে ভারতের বিজেপি সরকার বাংলাদেশকে নিরঙ্কুশভাবে সমর্থন দিয়েছে। ২০১৮ এবং ২০২৪ এর নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সরকারের প্রতি অকুণ্ঠ সমর্থন জানিয়েছে বিজেপি সরকার।
বিশেষ করে ২০২৪ এর নির্বাচনে ভারতীয় সরকারের পরিপূর্ণ সমর্থন ছাড়া মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এই নির্বাচনে ব্যাপক প্রভাব বিস্তার করত এবং এই নির্বাচনকে অস্বীকৃতি জানাত বলেও অনেকে মনে করেন। মার্কিন মনোভাব পাল্টানোর ক্ষেত্রে ভারত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। আর নির্বাচনের পর বিএনপি থেকে শুরু করে জাতীয় পার্টি প্রত্যেকেই বলছে যে, ভারত বর্তমান সরকারকে ক্ষমতায় রেখেছে। যদিও এরকম অভিযোগকে আওয়ামী লীগ অস্বীকার করে এবং আওয়ামী লীগ মনে করে যে, জনগণের ভোটে তারা নির্বাচিত হয়েছে। কিন্তু ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়টি আওয়ামী লীগ বা বিজেপি কেউই অস্বীকার করে না।
এখন প্রশ্ন হল, যদি বিজেপি পরাজিত হয়, ইন্ডিয়া জোট ক্ষমতায় আসে তাহলে বাংলাদেশের সমীকরণ কী হবে? কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন যে, বর্তমান সরকারের জন্য সমীকরণের কোন পরিবর্তন হবে না। কারণ ইন্ডিয়া জোটের সঙ্গেও আওয়ামী লীগ সরকারের একটি সুসম্পর্ক রয়েছে। ইতোমধ্যে ইন্ডিয়া জোটের প্রধান দল কংগ্রেস তাদের নির্বাচনী ইশতেহারে বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের বার্তা দিয়েছে।
অনেকে মনে করেন যে, এখন ভারতে কট্টর হিন্দুত্ববাদী মনোভাবের কারণে সীমান্তে অস্থিরতা তৈরি হচ্ছে। মুসলিম বিদ্বেষী বক্তব্য রাখা হচ্ছে। যার ফলে বাংলাদেশের মধ্যে একটা ভারতবিরোধী মনোভাব তৈরি হচ্ছে। শেষ পর্যন্ত যদি নরেন্দ্র মোদি তাহলে এই অবস্থানের পরিবর্তন হবে। দুই দেশের সম্পর্ক আরও বিকশিত হবে বলেও মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
ভারত লোকসভা নির্বাচন মল্লিকার্জুন খাড়গে নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ
মন্তব্য করুন
ভারতের লোকসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সাত ধাপে অনুষ্ঠিতব্য এই নির্বাচনের প্রথম পর্যায়ের ভোট হয় ১৯ এপ্রিল এবং সেখানে ১০২টি নির্বাচনী এলাকায় ভোট অনুষ্ঠিত হয়। দ্বিতীয় দফায় ২৬ এপ্রিল ৮৯টি নির্বাচনী এলাকায় ভোট অনুষ্ঠিত হয়েছে। চতুর্থ দফায় ভোট হবে ৭ মে। সেখানে ৯৪টি আসনে ভোটগ্রহণ হবে এবং সপ্তম দফায় ভোট অনুষ্ঠিত হবে পয়লা জুন। আর ৪ জুন নির্বাচনের ফলাফল জানা যাবে।