নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯:০৪ এএম, ১৩ জুন, ২০২১
পাবনায় শটগান হাতে ‘মহড়া’ দিয়েছেন আওয়ামী লীগের নেতারা। পাবনা গণপূর্ত অধিদপ্তরের কার্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। লোকজন নিয়ে গণপূর্ত অধিদপ্তরের ভেতরে ঢুকছেন সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক ফারুক হোসেন। তার পেছনে শটগান হাতে পৌর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এ আর খান। তাঁরও পেছনে জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য শেখ লালু। তাঁর হাতেও একটি শটগান।
এই দৃশ্যটি গত ৬ জুন দুপুর ১২টা ১২ মিনিটের দিকের। অফিসের ক্লোজড সার্কিট টেলিভিশন (সিসিটিভি) ক্যামেরার ধারণ করা ওই মুহূর্তের ভিডিও দৃশ্য ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে। এ নিয়ে তুমুল আলোচনা চলছে জেলা শহরে। কিছু ঠিকাদারের অভিযোগ, ঠিকাদারি কাজের সুবিধা পেতে এবং অন্যদের ভয় দেখাতেই আওয়ামী লীগ নেতারা এই ‘মহড়া’ দিয়েছেন।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন পৌর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এ আর খান। তিনি সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘নিরাপত্তার স্বার্থে বৈধ অস্ত্র নিয়ে আমি ব্যবসায়িক কাজে ইটভাটায় যাচ্ছিলাম। পথে নির্বাহী প্রকৌশলীর সঙ্গে কথা বলতে গণপূর্ত বিভাগে যাই। তিনি না থাকায় আমরা ফিরে আসি। কাউকে ভয় দেখানোর উদ্দেশ্যে অস্ত্র প্রদর্শন করা হয়নি। তবে কাজটি আমাদের ভুল হয়েছে।’
পাবনার পুলিশ সুপার মুহিবুল ইসলাম খান বলেন, ‘বিষয়টি জানার পর আমরা তদন্ত করছি। অস্ত্র আইনের শর্ত ভঙ্গ হয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
তবে নাম প্রকাশ না করার শর্তে গণপূর্ত অধিদপ্তরের কয়েকজন ঠিকাদার বলেন, বেশ কিছুদিন ধরেই আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতা গণপূর্ত অধিদপ্তরে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করছেন। নিজেদের দাপট দেখাতেই তারা অস্ত্র হাতে গণপূর্ত কার্যালয়ে মহড়া দিয়েছেন।
গণপূর্ত অধিদপ্তরের উপসহকারী প্রকৌশলী মিজানুর রহমান বলেন, ঠিকাদারেরা তার কক্ষে ঢুকেছিলেন। তারা নির্বাহী প্রকৌশলী আছেন কি না, জানতে চান। তবে কেউ কোনো খারাপ আচরণ বা গালিগালাজ করেননি।
গণপূর্ত অধিদপ্তর পাবনা কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী আনোয়ারুল আজিম সাংবাদিকদের বলেন, ঘটনার সময় আমি কার্যালয়ে ছিলাম না। আমাকে কেউ ফোন করে ও সশরীর হুমকি-ধমকিও দেয়নি। ফলে আমরা কোনো অভিযোগ দিইনি।
এ প্রসঙ্গে জেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক আবদুল আহাদ বলেন, বিষয়টি নিয়ে দলীয়ভাবে ওই নেতাদের সঙ্গে কথা হয়েছে। তারা ব্যক্তিগত নিরাপত্তার স্বার্থেই লাইসেন্স করা অস্ত্র হাতে ছিলেন। গণপূর্ত বিভাগের সঙ্গেও আমরা বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছি। কেউ কোনো অভিযোগ তোলেনি।
জেলা প্রশাসক কবীর মাহমুদ বলেন, ‘ঘটনাটি শুনেছি। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বিষয়টি তদন্ত করছে। তাদের সুপারিশ অনুযায়ী আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
বিমানবন্দর বিমান ও পর্যটন মন্ত্রী জাতীয় সংসদ
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
অতিরিক্ত গরমে মাথা ঘোরানো, দুশ্চিন্তা, স্ট্রোক, মুখের ভেতর শুকিয়ে যাওয়া, অ্যাজমা, মাংসপেশিতে খিঁচুনি, চামড়ায় ফুসকুড়ি, কিডনি অকার্যকর হওয়ার মতো অসুস্থতা দেখা দিতে পারে। এ ধরনের গরমে বয়স্ক, শিশু, অন্তঃসত্ত্বা নারী, শ্রমজীবী মানুষেরা সবচেয়ে বেশি ঝুঁকির মধ্যে রয়েছেন। তাই তাপপ্রবাহ থেকে সুরক্ষার জন্য কী কী করতে হবে, তা জানিয়ে প্রথমবারের মতো জাতীয় গাইডলাইন বা নির্দেশিকা প্রকাশ করেছে সরকার।