নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১০:৩০ এএম, ১৬ জুন, ২০২১
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে প্রাণঘাতি করোনা সংক্রমণে আরও ১৩ জন প্রাণ হারিয়েছেন। মঙ্গলবার (১৫ জুন) সকাল ৯টা থেকে বুধবার (১৬ জুন) সকাল ৯টার মধ্যে চিকিৎসাধীন অবস্থায় হাসপাতালের করোনা ইউনিটে তারা মারা যান।
এদের মধ্যে পাঁচজন করোনায় এবং আটজন করোনার উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন। এই ১৩ জনের মধ্যে আটজনের বাড়ি রাজশাহী জেলায়। এ ছাড়া চাঁপাইনবাবগঞ্জের চারজন এবং কুষ্টিয়ার একজন মারা গেছেন। করোনা সংক্রমণ ও উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে এসেছিলেন তারা।
রামেক হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় রামেক হাসপাতালের করোনা আইসোলেশন ওয়ার্ডে ১৩ জন মারা গেছেন। এদের মধ্যে সর্বোচ্চ তিনজন করে মারা গেছেন ১ এবং ১৫ নম্বর ওয়ার্ডে। আইসিইউ ও ৩ নম্বর ওয়ার্ডে দুজন করে মারা গেছেন। এ ছাড়া একজন করে মারা গেছেন ২২, ২৫, ৩৯ ও ৪০ নম্বর ওয়ার্ডে।
এই এক দিনে করোনা সংক্রমণে মারা গেছেন পাঁচজন। এদের মধ্যে তিনজনই করোনার হটস্পট রাজশাহী জেলার বাসিন্দা। অন্য দুজনের বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায়। উপসর্গ নিয়ে একই দিনে হাসপাতালে মারা গেছেন আরও ৮ জন। এদের মধ্যে রাজশাহীর পাঁচজন, চাঁপাইনবাবগঞ্জে দুজন এবং কুষ্টিয়ার একজন। স্বাস্থ্যবিধি মেনে মরদেহ দাফনের পরামর্শ দিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
হাসপাতাল সূত্র আরও জানিয়েছে, ৩০৫ শয্যার রামেক হাসপাতালের করোনা ইউনিটে বুধবার সকাল ৯টা পর্যন্ত রোগী ভর্তি ছিলেন ৩৪৪ জন। এর মধ্যে আইসিইউতে ভর্তি রয়েছেন ২০ জন। করোনা নিয়ে এ পর্যন্ত হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন ১৬২ জন। এ ছাড়া উপসর্গ নিয়ে ভর্তি রয়েছেন ১৫৫ জন। করোনা ধরা পড়েনি হাসপাতালে ভর্তি ২৭ জনের নমুনায়। গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৪৮ জন। এই এক দিনে হাসাপাতাল ছেড়েছেন ২৩ জন।
মঙ্গলবার (১৫ জুন) রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের ল্যাবে ১৮৭ জনের এবং রাজশাহী মেডিকেল কলেজ পিসিআর ল্যাবে ৪৫৮ জনের নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। এর মধ্যে রামেক হাসপাতাল ল্যাবে ৭৭ ও রামেক ল্যাবে ১৫২ জনের নমুনায় করোনা শনাক্ত হয়েছে।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
সিরাজগঞ্জে গণমাধ্যম কর্মীদেরকে নিয়ে ভাষায় লিঙ্গীয় বৈষম্য নারী পক্ষ নামে একটি সংগঠন সিরাজগঞ্জ ও পাবনার সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
রবিবার (১৯ মে') দুপুরে শহরের এস. এস রোডস্থ নর্থ টাউন রেস্তোরাঁয় প্রোগ্রাম ফর উইম্যান ডেভোলপমেন্ট (পি ডাব্লিউডি) সার্বিক সহযোগিতা ও নারীপক্ষ আয়োজনে ভাষায় লিঙ্গীয় বৈষম্য দিনব্যাপী মতবিনিময় সভার শুভ উদ্বোধন করেন নারীপক্ষ চেয়ার পারসন গীতা দাস।
মতবিনময় সভায় নারীপক্ষ চেয়ারপার্সন গীতা দাস বলেন, মানুষ কোনো ভালো কর্ম করলে তাকে বিশেষায়িত করা যায়। কিন্তু নারীরা নির্যাতিত হলেও তাদেরকে বিশেষায়িত করা হয়। যেমন ধর্ষণের শিকার হলে তাকে ধর্ষিতা, নির্যাতনের শিকার হলে নির্যাতিতা বলা হয়। অথচ ধর্ষণের শিকার, নির্যাতনের শিকার লিখলেও হয়।’ একজন নারীকে মানুষ হিসেবে দেখলে এ অবস্থার পরিবর্তন ঘটবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
এসময়ে উপস্থিত ছিলেন কামরুন নাহার, ফেরদৌসী আখতার, পিডাব্লিউডি নির্বাহী পরিচালক হুসনে আরা জলি।
এছাড়াও আরো উপস্থিত ছিলেন বেসরকারি চ্যানেল টুয়েন্টিফর সিনিয়র রিপোর্টার সাংবাদিক হীরুকগুণ, এনটিভি জেলা প্রতিনিধি শরিফুল ইসলাম ইন্না, দৈনিক মানবজমিন পত্রিকার সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি সুজন সরকার, বৈশাখী টেলিভিশন সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি সুজিত সরকার, দীপ্ত টিভির সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি শিশির, দীপ্ত টিভি পাবনা জেলা প্রতিনিধি শামসুল আলম সহ অনেকে।
মন্তব্য করুন
পাবনার আটঘরিয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী সাইফুল ইসলাম কামালের বিরুদ্ধে জীবন্ত ঘোড়া নিয়ে প্রচারণার অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার (১৭ মে) বিকেলে উপজেলার একদন্ত ইউনিয়নের শিবপুর বাজার এলাকা থেকে জীবন্ত ঘোড়া নিয়ে নির্বাচনী প্রচারণা করেন চেয়ারম্যার প্রার্থী সাইফুল ইসলাম কামাল।
ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের তৃতীয় ধাপে আটঘরিয়া উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এই উপজেলা চেয়ারম্যান পদে ২ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এদের মধ্যে সাইফুল ইসলাম ঘোড়া প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন।
এ বিষয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান ও মোটরসাইকেল প্রতীকের চেয়ারম্যার প্রার্থী তানভীর ইসলাম বলেন, সাইফুল ইসলাম কামালের গুন্ডা সন্ত্রাসীরা প্রতিনিয়ত আমার কর্মী, সমর্থক, ভোটারদের ভয়ভীতি, হুমকী, উচ্ছৃঙ্খল আচরণ করে ভোট দিতে নিরুৎসাহিত করছে। ফলে নির্বাচন কমিশনের ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন আচরণবিধি সাইফুল ইসলাম কামাল বারবার লঙ্ঘন করে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ক্ষমতার প্রভাব বিস্তার করছেন।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে চেয়ারম্যান প্রার্থী সাইফুল ইসলাম কামাল বলেন, ‘ঘোড়া নিয়ে প্রচার প্রচারণা করিনি। তবে আমি ঘেড়ার গাড়ি নিয়ে প্রচার প্রচারণা করেছি। এটাও যদি বিধি নিষেধ থাকে তাহলে এটাও পরিহার করবো।’
পাবনার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্টেট ও রিটার্নিং অফিসার আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, জীবন্ত ঘোড়া নিয়ে নির্বাচনী প্রচারণায় চেয়ারম্যান প্রার্থী এমন একটি অভিযোগ পেয়েছি আমরা। তদন্ত পূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
মন্তব্য করুন