নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১০:৪৪ এএম, ১৭ জুন, ২০২১
ওএমএস ও ভিজিডি কার্ডে একজন ইউপি সদস্য নিজের নামসহ পরিবারের অন্তত ২০ জনের নাম তালিকায় দিয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
ঘটনাটি কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার ভাঙ্গামোড় ইউনিয়ন পরিষদের। অভিযুক্ত ইউপি সদস্য ২ নং ওয়ার্ডের হযরত আলী।
জানা গেছে, উক্ত ইউপির ২নং ওয়ার্ডের সদস্য হযরত আলী। তিনি নিজের নাম সহ স্ত্রী, বাবা, মা, ছোট ভাই, ভাইয়ের স্ত্রী, খালা, খালু, মামাতো ও খালাতো ভাই-বোনসহ নিজ পরিবারের অন্তত ২০ জনকে ওএমএস ও ভিজিডি কার্ডের তালিকায় নাম দিয়েছেন। অথচ ওয়ার্ডের দুস্থ ও অসহায় অসংখ্য মানুষ সরকারি সহায়তা থেকে বঞ্চিত।
এ নিয়ে ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন।
অভিযোগপত্রে স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, ইউপি সদস্য হযরত আলীর স্ত্রী মমিনা বেগমের নামে ১০ টাকা কেজির চালের কার্ড রয়েছে। তা সত্ত্বেও ২০২১-২২ অর্থবছরের ভিজিডি কার্ডের তালিকায় স্ত্রীর নাম অন্তর্ভুক্ত করে চাল তুলেছেন মেম্বার। এছাড়া মেম্বার হযরত আলীর বাবা আব্দুল খালেক, মা হাজরা বেগম, ছোট ভাই হুজুর আলী, মজিবুল হক ও তার স্ত্রী লাভলী বেগম, মামা গোলাপ হোসেন, মামী ছকিনা বেগম, খালা হালিমা বেগম, খালু শাহজালাল, খালাতো ভাই হারুন ও তার স্ত্রী জান্নাতি বেগম, মামাতো ভাই শাহীন ও তার স্ত্রী মর্জিনা বেগমসহ ২০ জন আত্মীয়-স্বজনের নাম ওএমএস-এর তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করেছেন তিনি। এমনকি নিজের নামেও ওএমএস-এর চাল তুলেছেন হযরত আলী।
ইউপি সদস্য হযরত আলী বলেন, ‘তালিকায় যাদের নাম রয়েছে, তারা সবাই হতদরিদ্র। আমি আসন্ন ইউপি নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছি বলেই প্রতিপক্ষরা প্রতিহিংসার কারণে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে আমাকে ফাঁসানোর জন্য অভিযোগ করেছেন।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুমন দাস বলেন, ‘ইউপি সদস্য হযরত আলীর বিরুদ্ধে স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযোগ করেছেন। বিষয়টি তদন্ত করে বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
অথচ ওয়ার্ডের দুস্থ ও অসহায় অসংখ্য মানুষ সরকারি সহায়তা থেকে বঞ্চিত। এ নিয়ে ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান তাপদাহ শিক্ষা মন্ত্রণালয়
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
ভারতের লোকসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সাত ধাপে অনুষ্ঠিতব্য এই নির্বাচনের প্রথম পর্যায়ের ভোট হয় ১৯ এপ্রিল এবং সেখানে ১০২টি নির্বাচনী এলাকায় ভোট অনুষ্ঠিত হয়। দ্বিতীয় দফায় ২৬ এপ্রিল ৮৯টি নির্বাচনী এলাকায় ভোট অনুষ্ঠিত হয়েছে। চতুর্থ দফায় ভোট হবে ৭ মে। সেখানে ৯৪টি আসনে ভোটগ্রহণ হবে এবং সপ্তম দফায় ভোট অনুষ্ঠিত হবে পয়লা জুন। আর ৪ জুন নির্বাচনের ফলাফল জানা যাবে।
প্রথম দুই দফা ভোটের যে হার, তাতে বিজেপির মধ্যে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। বিজেপির নেতারা ভোটে যে ভূমিধস বিজয় আশা করছিলেন সেটি হবে না। ভারতের কোন কোন গণমাধ্যমগুলো ভোটের ফলাফলে নাটকীয় ঘটনা ঘটারও ইঙ্গিত দিচ্ছে। বিশেষ করে ২০০৪ সালের নির্বাচনে যেভাবে কংগ্রেস অটলবিহারী বাজপেয়ীর নেতৃত্বে বিজেপিকে ধরাশায়ী করেছিল সেরকম কোন ঘটনা ঘটতেও পারে বলে মনে আশঙ্কা করছেন অনেকে। অবশ্য এখনও আরও পাঁচ দফা ভোট বাকি আছে এবং বিজেপি আশা করছে যে, পরবর্তী ধাপগুলোতে ভোটার উপস্থিতি বাড়বে এবং বিজেপি তাদের জয়ের ধারা অক্ষুণ্ণ রাখবে। নরেন্দ্র মোদি ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে দেওয়ার জন্য বারবার আহ্বান জানাচ্ছেন।
ভারতের নির্বাচনের ফলাফল কী হবে তা বোঝা যাবে আগামী ৪ জুন। কিন্তু এখন পর্যন্ত যে ভোটের হাওয়া লক্ষ্য করা যাচ্ছে তাতে এটা স্পষ্ট যে, ভোটের আগে নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন বিজেপি জোটের যে নিরঙ্কুশ বিজয়ের ধারণা করা হয়েছিল, সেটি বাস্তবতা নাও পেতে পারে। আর এ কারণেই মোদী যদি শেষ পর্যন্ত পরাজিত হন, তাহলে সেটি হবে ভারতের রাজনৈতিক ইতিহাসে একটি বড় ব্যতিক্রমী ঘটনা এবং এটি হবে ভারতের নির্বাচনের সবচেয়ে বড় চমক।
এখন যখন ভারতের নির্বাচনে একটি হাড্ডাহাড্ডি লড়াই বা অনিশ্চয়তার ফলাফলের শঙ্কা জেগেছে তখন প্রশ্ন উঠছে যে, বিজেপি যদি এই নির্বাচনে পরাজিত হয় তাহলে বাংলাদেশে কী হবে? গত দুটি নির্বাচনে ভারতের বিজেপি সরকার বাংলাদেশকে নিরঙ্কুশভাবে সমর্থন দিয়েছে। ২০১৮ এবং ২০২৪ এর নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সরকারের প্রতি অকুণ্ঠ সমর্থন জানিয়েছে বিজেপি সরকার।
বিশেষ করে ২০২৪ এর নির্বাচনে ভারতীয় সরকারের পরিপূর্ণ সমর্থন ছাড়া মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এই নির্বাচনে ব্যাপক প্রভাব বিস্তার করত এবং এই নির্বাচনকে অস্বীকৃতি জানাত বলেও অনেকে মনে করেন। মার্কিন মনোভাব পাল্টানোর ক্ষেত্রে ভারত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। আর নির্বাচনের পর বিএনপি থেকে শুরু করে জাতীয় পার্টি প্রত্যেকেই বলছে যে, ভারত বর্তমান সরকারকে ক্ষমতায় রেখেছে। যদিও এরকম অভিযোগকে আওয়ামী লীগ অস্বীকার করে এবং আওয়ামী লীগ মনে করে যে, জনগণের ভোটে তারা নির্বাচিত হয়েছে। কিন্তু ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়টি আওয়ামী লীগ বা বিজেপি কেউই অস্বীকার করে না।
এখন প্রশ্ন হল, যদি বিজেপি পরাজিত হয়, ইন্ডিয়া জোট ক্ষমতায় আসে তাহলে বাংলাদেশের সমীকরণ কী হবে? কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন যে, বর্তমান সরকারের জন্য সমীকরণের কোন পরিবর্তন হবে না। কারণ ইন্ডিয়া জোটের সঙ্গেও আওয়ামী লীগ সরকারের একটি সুসম্পর্ক রয়েছে। ইতোমধ্যে ইন্ডিয়া জোটের প্রধান দল কংগ্রেস তাদের নির্বাচনী ইশতেহারে বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের বার্তা দিয়েছে।
অনেকে মনে করেন যে, এখন ভারতে কট্টর হিন্দুত্ববাদী মনোভাবের কারণে সীমান্তে অস্থিরতা তৈরি হচ্ছে। মুসলিম বিদ্বেষী বক্তব্য রাখা হচ্ছে। যার ফলে বাংলাদেশের মধ্যে একটা ভারতবিরোধী মনোভাব তৈরি হচ্ছে। শেষ পর্যন্ত যদি নরেন্দ্র মোদি তাহলে এই অবস্থানের পরিবর্তন হবে। দুই দেশের সম্পর্ক আরও বিকশিত হবে বলেও মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
ভারত লোকসভা নির্বাচন মল্লিকার্জুন খাড়গে নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ
মন্তব্য করুন
ভারতের লোকসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সাত ধাপে অনুষ্ঠিতব্য এই নির্বাচনের প্রথম পর্যায়ের ভোট হয় ১৯ এপ্রিল এবং সেখানে ১০২টি নির্বাচনী এলাকায় ভোট অনুষ্ঠিত হয়। দ্বিতীয় দফায় ২৬ এপ্রিল ৮৯টি নির্বাচনী এলাকায় ভোট অনুষ্ঠিত হয়েছে। চতুর্থ দফায় ভোট হবে ৭ মে। সেখানে ৯৪টি আসনে ভোটগ্রহণ হবে এবং সপ্তম দফায় ভোট অনুষ্ঠিত হবে পয়লা জুন। আর ৪ জুন নির্বাচনের ফলাফল জানা যাবে।