নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:০০ পিএম, ১৭ অক্টোবর, ২০১৭
‘বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকো স্বাভাবিক মৃত্যুবরণ করেননি। তাঁকে হত্যা করা হয়েছে। তাঁর বড় ভাই তারেক জিয়ার নির্দেশে মালয়েশিয়ায় বসবাসরত কয়েকজন বাঙালি তাঁকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছে।’ এরকম একটি চাঞ্চল্যকর অভিযোগ করে মালয়েশিয়ার একটি ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করেছেন জনৈক আবদুল হামিদ ওমর। তিনি মালয়েশিয়ার নাগরিক। নিজেকে তিনি কোকোর ব্যবসায়িক পার্টনার হিসেবে দাবি করেছেন।
গত ২৮ সেপ্টেম্বর মামলাটি ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে নথিভুক্ত হয়েছে। মামলার দরখাস্তে কোকোর স্ত্রী শর্মিলা রহমান, মালয়েশিয়ায় কোকোর দুজন বন্ধু আব্দুল্লাহ নাভিদ এবং শিফাত হোসাইনকে সাক্ষী করা হয়েছে। মামলার আরজিতে দাবি করা হয়েছে, কোকোর সম্পত্তি আত্মসাৎ করার উদ্দেশ্যেই তারেক এই হত্যাকাণ্ড সংঘটিত করেছেন।
বেগম জিয়ার ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকো ২০১৫ সালের ২৪ জানুয়ারি কুয়ালালামপুরে মারা যান। বুকে তীব্র ব্যথা অনুভব করলে তাঁকে ইউনিভার্সিটি মালায়া মেডিকেল সেন্টারে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে তাঁর মৃদতদেহ ঢাকায় নিয়ে আসা হয় এবং বনানী কবরস্থানে দাফন করা হয়।
প্রায় দুই বছর ১০ মাস পর অভিযোগ উঠেছে এটা স্বাভাবিক মৃত্যু নয়, হত্যাকাণ্ড। মামলার বাদী আব্দুল হামিদ ওমর একজন মানি এক্সচেঞ্জ ব্যবসায়ী। তিনি আরজিতে অভিযোগ করেন যে, আরাফাত রহমান কোকো ২৭৫ কোটি রিঙ্গিত সম্পদের মালিক। অধিকাংশ সম্পদেরই নমিনি ছিল তাঁর বড় ভাই তারেক জিয়া। কোকোর মৃত্যুর এক সপ্তাহ আগে আমার অফিসে বসেই কোকোর সঙ্গে তাঁর বড় ভাইয়ের টেলিফোনে কথা কাটাকাটি হয়। কোকোকে তারেক বেশ কিছু টাকা বাংলাদেশের বিভিন্ন ঠিকানায় পাঠাতে বলে। কিন্ত এত টাকা এই মুহূর্তে পাঠানো সম্ভব নয় বলে টেলিফোনে জানান তিনি। অভিযোগে বলা হয়েছে, এই ঝগড়ার পর কোকো তাঁর যাবতীয় সম্পত্তির নমিনি তাঁর স্ত্রী শর্মিলা রহমানের নামে করার সিদ্ধান্ত নেয়। এ ব্যপারে একজন ভালো আইনজীবী দেখার জন্যও কোকো আমাকে অনুরোধ করে। ওমরের অভিযোগ, এই ঝগড়ার দুদিন পর আরাফাত রহমান কোকোর বাসায় ৫ জন বাঙালি যায়। কোকোর স্ত্রী শর্মিলা আহমেদের সামনেই তাঁরা বাংলাদেশে আন্দোলনের জন্য টাকা প্রয়োজন বলে জানায়। তাঁরা বলে ‘ভাইয়া’ তাঁদের পাঠিয়েছে। তাঁরা এও হুমকি দেয় যে টাকা না দিলে পরিণতি ভয়াবহ হবে। ওমর তাঁর আরজিতে বলেছেন, এই বাঙালিরা স্থানীয় বিএনপির নেতা বলে কোকোর স্ত্রী শর্মিলা আমাকে জানায়। আমি পুলিশে খবর দিতে চাইলেও শর্মিলা আমাকে বারণ করে।
ওমর অভিযোগে বলেছেন, ‘কোকোর মৃত্যুর খবর শুনেই আমি হাসপাতালে যাই। সেখানে আমি বেশকিছু বাঙালি দেখি। কান্নারত শর্মিলা আমাকে বলে ওরাই কোকোর মৃত্যুর জন্য দায়ী। কিন্ত শাশুড়ি এবং পরিবারের নির্দেশে শর্মিলা তাঁর স্বামীর মৃত্যুর জন্য কারও বিষয়ে কোনো অভিযোগ উত্থাপন করেননি।’
অভিযোগে ওমর আরও বলেছেন, ‘কোকোর মৃত্যুর ৩০ দিনের মধ্যে তারেক অ্যাটর্নির মাধ্যমে কোকোর সব টাকা পয়সা সরিয়ে নিয়েছে। কোকোর স্ত্রীও এখন লণ্ডন প্রবাসী বিধায় আমি এই মামলা করলাম।’
উল্লেখ্য, কোকোর মৃত্যুর পর মালয়েশিয়া বা বাংলাদেশে কোথাও একমাত্র ছোট ভাইয়ের মরদেহ দেখতে যাননি তারেক জিয়া। যদিও, অন্তত দুবার তিনি লন্ডন থেকে সৌদি আরব গিয়েছিলেন।
বাংলা ইনসাইডার/জেডএ
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
শিক্ষা মন্ত্রণালয় শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী
মন্তব্য করুন
ভারতীয় পররাষ্ট্র সচিব বিনয় কোয়াত্রা ঢাকা সফর
মন্তব্য করুন
তীব্র তাপপ্রবাহের পর হবিগঞ্জে কালবৈশাখী ঝড় ও শিলাবৃষ্টি হয়েছে। এতে ঘরবাড়ি ও যানবাহনের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
রোববার (৫ মে) দুপুরে হবিগঞ্জ পৌর এলাকা ও সদর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে শিলাবৃষ্টি ও কালবৈশাখী ঝড় হয়। প্রায় ২০ মিনিট ধরে এ শিলাবৃষ্টি চলে। এ সময় একেকটি শিলার ওজন ছিল ১০০ থেকে ১৫০ গ্রাম। শিলাবৃষ্টিতে বিভিন্ন যানবাহনের গ্লাস ভেঙে ক্ষয়ক্ষতি হয়। এ ছাড়া ঘরবাড়ির ব্যাপক ক্ষতি রয়েছে।
পৌর এলাকার বাসিন্দা মো. লায়েক আলী বলেন, তীব্র গরমের পর বৃষ্টি হলেও শিলাবৃষ্টির কারণে আমার বসত ঘরের টিনের অনেক ক্ষতি হয়েছে। এ ছাড়া ফসলেরও ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
গাড়ি চালক সৈকত বলেন, শিলাবৃষ্টিতে গরম কমলেও আমার গাড়ির গ্লাস ভেঙে গেছে।
হবিগঞ্জ কালবৈশাখী ঝড় শিলাবৃষ্টি
মন্তব্য করুন
সুন্দরবন আগুন পরিবেশ বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়
মন্তব্য করুন
অতিরিক্ত গরমে মাথা ঘোরানো, দুশ্চিন্তা, স্ট্রোক, মুখের ভেতর শুকিয়ে যাওয়া, অ্যাজমা, মাংসপেশিতে খিঁচুনি, চামড়ায় ফুসকুড়ি, কিডনি অকার্যকর হওয়ার মতো অসুস্থতা দেখা দিতে পারে। এ ধরনের গরমে বয়স্ক, শিশু, অন্তঃসত্ত্বা নারী, শ্রমজীবী মানুষেরা সবচেয়ে বেশি ঝুঁকির মধ্যে রয়েছেন। তাই তাপপ্রবাহ থেকে সুরক্ষার জন্য কী কী করতে হবে, তা জানিয়ে প্রথমবারের মতো জাতীয় গাইডলাইন বা নির্দেশিকা প্রকাশ করেছে সরকার।
তীব্র তাপপ্রবাহের পর হবিগঞ্জে কালবৈশাখী ঝড় ও শিলাবৃষ্টি হয়েছে। এতে ঘরবাড়ি ও যানবাহনের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। রোববার (৫ মে) দুপুরে হবিগঞ্জ পৌর এলাকা ও সদর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে শিলাবৃষ্টি ও কালবৈশাখী ঝড় হয়। প্রায় ২০ মিনিট ধরে এ শিলাবৃষ্টি চলে। এ সময় একেকটি শিলার ওজন ছিল ১০০ থেকে ১৫০ গ্রাম। শিলাবৃষ্টিতে বিভিন্ন যানবাহনের গ্লাস ভেঙে ক্ষয়ক্ষতি হয়। এ ছাড়া ঘরবাড়ির ব্যাপক ক্ষতি রয়েছে।