নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৩:০৮ পিএম, ২৩ জুলাই, ২০২১
করোনাভাইরাসের টিকা কেনার জন্য ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের যে চুক্তি হয়েছিল, সেই চুক্তির অবশিষ্ট টিকা বাংলাদেশকে দেওয়ার সুনর্দিষ্ট তারিখ বলা যাবে না বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম দোরাইস্বামী।
শুক্রবার (২৩ জুলাই) সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া আন্তর্জাতিক ইমিগ্রেশন চেকপোস্টে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।
বাংলাদেশে টিকা সরবরাহ সম্পর্কে জানতে গত ১৮ জুলাই আখাউড়া আন্তর্জাতিক ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে দিল্লি যান হাইকমিশনার বিক্রম দোরাইস্বামী। শুক্রবার তিনি এ চেকপোস্ট দিয়েই বাংলাদেশে ফেরেন।
হাইকমিশনার বলেন, ভারতের পরিস্থিতি ধীরে ধীরে উন্নত হচ্ছে। আশা করছি করোনাভাইরাসের টিকা উৎপাদন বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আমরা সামনে এগিয়ে যেতে পারব। যদি ভারতে টিকার জোগান পর্যাপ্ত থাকে, তাহলে বাংলাদেশ টিকা পাবে। কিন্তু টিকা দেওয়ার ক্ষেত্রে সুনির্দিষ্ট কোনো তারিখ বলতে পারব না। তবে টিকার উৎপাদন বৃদ্ধি পাচ্ছে, এটি ইতিবাচক।
তিনি বলেন, গত এক বছরে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের রফতানি-বাণিজ্য বেড়েছে। আবার বাংলাদেশের সঙ্গেও ভারতের রফতানি-বাণিজ্য বেড়েছে। এর মানে, যদি যোগাযোগব্যবস্থা ভালো হয়, তাহলে মহামারিতেও আমরা ভালো ব্যবসা করতে পারব।
হাইকমিশনার দোরাইস্বামীকে চেকপোস্টে স্বাগত জানান আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রোমানা আক্তার ও আখাউড়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান।
মন্তব্য করুন
কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজ ছাত্রী নিবাসের সামনে অশ্লীল অঙ্গভঙ্গির
ভিডিও ধারণ করার অভিযোগে এক যুবককে কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমান আদালত। এসময় দাঁড়িয়ে
মেয়েদের উদ্দেশ্যে ইশারা ইঙ্গিত ও অশ্লীল অঙ্গ ভঙ্গি করার দায়ে মো. জাকির হোসেন (২৭)
নামে এক যুবককে ১ মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমান আদালত।
বুধবার (১ মে) রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কুড়িগ্রাম সদর ইউএনও
মুশফিকুল আলম হালিম।
জানা গেছে, দণ্ডপ্রাপ্ত জাকির হোসেন জেলার উলিপুর উপজেলার দূর্গাপুর
ইউনিয়নের আনন্দ বাজার এলাকার নুর ইসলামের ছেলে। তিনি পেশায় জিয়া পুকুর বিনোদন কেন্দ্রের
পাহারাদার।
এর আগে, বুধবার বিকেলে কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজ ছাত্রী নিবাসের সামনে
ভ্রাম্যমান আদালতটি পরিচালনা করেন কুড়িগ্রাম ইউএনও ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মুশফিকুল
হালিম।
ভ্রাম্যমান আদালত সুত্রে জানা গেছে, কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজ ছাত্রী
নিবাসে থাকা ছাত্রীদের দীর্ঘ দিন ধরে নানানভাবে উত্ত্যাক্ত করে আসছিলেন জাকির। পরে
ছাত্রীরা বিষয়টি কলেজ কর্তৃপক্ষকে জানালে কর্তৃপক্ষ পুলিশ প্রশাসনকে অভিহিত করেন। পরে
পুলিশ এসে বুধবার বিকেলে জাকির হোসেনকে হাতে নাতে ধরে ভ্রাম্যমান আদালতে সোপর্দ করে।
জাকির হোসেন দায় স্বীকার করায় ভ্রাম্যমান আদালত এক মাসের কারাদণ্ড ও ১ হাজার টাকা জরিমানা
অনাদায়ে আরও ১৫ দিনের কারাদণ্ডা দেন। তৎক্ষনাৎ জাকির হোসেন ১ হাজার টাকা পরিশোধ করলে
আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজের উপধ্যাক্ষ মো. আতাউল খান বলেন, আমাদের
কলেজের ছাত্রীনিবাসের এক ছাত্রী ওই যুবকের অশ্লীল অঙ্গভঙ্গির ভিডিও ধারণ করেন। সেটি
প্রমাণ হিসেবে ভ্রাম্যমাণ আদালতে উপস্থাপন করা হয়। ওই যুবক এর আগেও ছাত্রীনিবাসের সামনে
গিয়ে শিক্ষার্থীদের বিরক্ত করেছে বলে অভিযোগ ছিল। এজন্য বিষয়টি প্রশাসনকে জানালে প্রশাসন
আইনগত ব্যবস্থা নিয়েছে।
ছাত্রীনিবাস অশ্লীল ভিডিও কারাদণ্ড
মন্তব্য করুন
তীব্র দাবদাহে অসহনীয় গরমে পুড়ছে পুরো দেশ। কখনও তীব্র আবার কখনো অতি তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে দেশের বেশ কিছু অঞ্চলে। এই গরমে হাঁসফাঁস জনজীবন পার করছে জনগণ। নাভিশ্বাস হয়ে পড়েছে জীবনব্যবস্থা। এপ্রিলের পুরো মাস জুড়েই ছিল তীব্র তাপপ্রবাহ, যা ৭৬ বছরের রেকর্ড ভেঙেছে। এবংকি চলতি মে মাসেও দেশে সর্বোচ্চ তাপমাত্রায় সর্বকালের রেকর্ড ভেঙে দিতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে আবহাওয়া অফিস।
দেশের তাপমাত্রায় যখন এমন দূর্বিসহ দিন যাচ্ছে তখন বসে নেই সরকার।
জনগণকে এই তীব্র গরম থেকে স্বস্তি দিতে সরকার নিচ্ছে একের পর এক পদক্ষেপ, করছে কার্যকর।
শুধু সরকারের পদক্ষেপেই কি মিলবে স্বস্তি নাকি দেশের জনগণকে নিজেদেরে সচেতন হয়ে দাবদাহ
মোকাবিলা নিতে হবে নানান ব্যবস্থা। দেশপ্রেমের স্থান থেকেও সরকারকে সহযোগিতা করে তীব্রগরমেও
আনতে হবে স্বস্তি।
সম্প্রতি ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। পানি ছিটানো হচ্ছে
ফুটপাত ও সড়ক বিভাজকে থাকা গাছপালাতেও। তপ্ত গরমের মধ্যেও যারা জীবিকার তাগিদে ঘরের
বাইরে বের হচ্ছেন তাদের কিছুটা স্বস্তি দিতে সরকারের পক্ষ থেকে এ উদ্যেগ নেওয়া হয়ে।
বসে নেই আবহওয়া অধদপ্তরও। স্বস্তিবোধের খবর দিতে কাজ করে যাচ্ছে
অনায়েসে। ক্রমাগত ভাবে আবহাওয়া অফিসের সর্বশেষ বুলেটিন অনুসারে খবর দিয়ে যাচ্ছে দেশবাসিকে।
দফায় দফায় হিট অ্যালার্ট জারি করে জনগণকে সচেতন করছে সংস্থাটি।
অন্যদিকে শিক্ষামন্ত্রনালয় তৎপরতার সহিত তীব্র তাপদাহের মধ্যে শিক্ষা
প্রতিষ্ঠান আবারও বন্ধের বিষয়ে আলোচনা করছে। শিক্ষার্থীদের কল্যানে যাতে করে এই তাপপ্রবাহ
শিক্ষাখাতে কোন প্রভাব না আনতে পারে সে জন্য নিচ্ছেন নানান ব্যবস্থা।
তবে কি শুধু সরকার এসব পদক্ষেপ বাস্তবায়ন করলেই মিলবে গরমের স্বস্তি?
নাকি জনগেণেরও নিজেরা উদ্যেগ গ্রহন করে সামাজি ও পারিবারিকভাবে সচেতন হওয়া উচিৎ?
বসতবাড়িতে তীব্র তাপপ্রবাহের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যক্তিগত
এয়ার কন্ডিশনার, ফ্যান, বা অন্যান্য কুলিং সরঞ্জাম ব্যবহার করতে পারেন। ঘরের নকশা
যত্ন যাথে করে তাপমাত্রা কমানো যায়। যা কিছুটা স্বস্তি দিতে পারে। অতিরিক্ত গরমে দেহ
থেকে পানি হারিয়ে যায়। তাপমাত্রা কমানোর জন্য পর্যাপ্ত পানি পান করা গুরুত্বপূর্ণ।
এতে করে পানিশূণ্যতাযনিত রোগ থেকে যেমন মুক্তি পাওয়া যাবে তেমনি গরমে কিছুটা স্বস্তি
পেতে পারে। শুধু পানি পান করা নয় , তীব্র গরমে জীবন চলার পথে উষ্ণতাও বন্ধ করা উচিত।
অতিরিক্ত গরমে সারি, জামা, ও অন্যান্য সংগ্রহশালা এবং কুলিং বাস্ত্র পরিহার করা উচিত
যাতে দেহ ঠাণ্ডা রাখা জরুরী।
আর এতে করে মিলতে পারে ব্যক্তিগত স্বস্তি। যা নিজের অবস্থান সুস্থ্যতাকে
ভালো ফলশ্রুত দিতে পারে। দাবদাহে চলার পথে শুষ্ক এবং শীতল স্থানে সময় ব্যয় করা উচিত।
যেমন বাড়ির ভিতর থাকা, জলস্থল বা বারি পর্যবেক্ষণ করা। গাছের ছায়ার নিচে থাকা। এক
কথায় শরীরের জন্য যত্ন নেওয়া জরুরি যেন হার্মনিক হয়। এটি উষ্ণতা রেগুলেশন, উষ্ণতা
ব্যবহার এবং তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা করে। সরকারের নির্দেশনা মানতে হবে। চলমান
দাবদাহে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জণগনের কল্যানে বিভিন্নভাবে সতর্ক করছে। এমনকি স্বাস্থ্য
মন্ত্রী নিজেই গ্রামীন পরিবেশে গিয়ে জণগনের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় কাজ করছে।
এই তীব্র গরমের মধ্যেও বিভিন্ন গ্রামে তৃণমূল গ্রামে ঘুরে হাসপাতালগুলোর সার্বিক অবস্থা ও জণগনের স্বাস্থ সংক্রান্ত বিষয়ে খবর নিচ্ছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। স্বাস্থ্য মন্ত্রী বলেছেনে, ‘আমরা স্বাস্থ্য সুরক্ষা আইন করতেছি। গ্রামীণ স্বাস্থ্যসেবার মানোন্নয়নে আমি গ্রামে গ্রামে ঘুরে বেড়াচ্ছি। স্বাস্থ্য সুরক্ষা আইন করে দেশের সব প্রাইভেট হাসপাতালে রোগনির্ণয় পরীক্ষার ফি নির্ধারণ করা হবে’।
এছাড়াও স্বাস্থ্য অধিদপ্ত দিয়েছে ৪ নির্দেশনা..
১। তীব্র গরম থেকে দূরে থাকুন, মাঝে মাঝে ছায়ায় বিশ্রাম নিন।
২। প্রচুর পরিমাণে নিরাপদ পানি পান করুন। হেপাটাইটিস এ, ই, ডায়রিয়াসহ প্রাণঘাতি পানিবাহিত রোগ থেকে বাঁচতে রাস্তায় তৈরি পানীয় ও খাবার এড়িয়ে চলুন। প্রয়োজনে একাধিকবার গোসল করুন।
৩। গরম আবহাওয়ায় ঢিলেঢালা পাতলা ও হালকা রঙের পোশাক পরুন, সম্ভব হলে গাঢ় রঙিন পোশাক এড়িয়ে চলুন।
৪। গরম আবহাওয়ায় যদি ঘাম বন্ধ হয়ে যায়, বমি বমি ভাব দেখা দেয়, তীব্র মাথাব্যথা হয়, শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে যায়, প্রস্রাব কমে যায়, প্রস্রাবে জ্বালাপোড়া হয়, খিঁচুনি ও অজ্ঞান হওয়ার মতো কোনো লক্ষণ দেখা দেয়, তাহলে অবিলম্বে হাসপাতালে যান এবং চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
স্বাস্থ্যবিষয়ক পরামর্শের জন্য প্রয়োজনে ‘স্বাস্থ্য বাতায়ন ১৬২৬৩ নম্বরে
যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে।
এছাড়াও, সরকারের সকল নির্দেশ মেনে চলা এবং নির্দেশাবলী মানতে সমাজ
ও রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব স্থান থেকে একে অপরে পাশে থেকে সহযোগিতা করা উচিৎ। কেননা প্রতিটি
সামাজ দেশ ও জাতির প্রতিটি মানুষই গুরুত্বপূর্ণ। স্বাস্থ্য সুরক্ষায় প্রতিটি জনগণকে
সচেতন হয়ে দাবদাহ মোকাবিলা করতে হবে।
তীব্র তাপপ্রবাহ ডিএনসিসি জনসচেতনতা আবহাওয়া অধিদপ্তর
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
তীব্র দাবদাহে অসহনীয় গরমে পুড়ছে পুরো দেশ। কখনও তীব্র আবার কখনো অতি তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে দেশের বেশ কিছু অঞ্চলে। এই গরমে হাঁসফাঁস জনজীবন পার করছে জনগণ। নাভিশ্বাস হয়ে পড়েছে জীবনব্যবস্থা। এপ্রিলের পুরো মাস জুড়েই ছিল তীব্র তাপপ্রবাহ, যা ৭৬ বছরের রেকর্ড ভেঙেছে। এবংকি চলতি মে মাসেও দেশে সর্বোচ্চ তাপমাত্রায় সর্বকালের রেকর্ড ভেঙে দিতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে আবহাওয়া অফিস। দেশের তাপমাত্রায় যখন এমন দূর্বিসহ দিন যাচ্ছে তখন বসে নেই সরকার। জনগণকে এই তীব্র গরম থেকে স্বস্তি দিতে সরকার নিচ্ছে একের পর এক পদক্ষেপ, করছে কার্যকর।
উপজেলা নির্বাচনের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে প্রথম পর্যায়ের উপজেলা নির্বাচনের প্রস্তুতি চূড়ান্ত। ১৫০টি উপজেলায় এখন জনগণ ভোটের অপেক্ষায়। দ্বিতীয় পর্যায়ে ১৫৯টি উপজেলায় মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের দিন গতকাল শেষ হয়েছে। সেখানেও এখন নির্বাচনী প্রচারণার ডামাডোল শুরু হয়েছে। কিন্তু উপজেলা নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ হবে কি না, উপজেলা নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি বাড়বে কি না এবং উপজেলা নির্বাচন শান্তিপূর্ণ হবে কি না তা নিয়ে একদিকে যেমন জনগণের সংকট রয়েছে তেমনই নির্বাচন কমিশনও এই বিষয়টি নিয়ে চিন্তিত।