ইনসাইড বাংলাদেশ

মোদি বিরোধী আন্দোলন: বাংলাদেশের লাভ না ক্ষতি?

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১০:০০ পিএম, ২৩ জুলাই, ২০২১


Thumbnail

ভারতে মোদি বিরোধী তীব্র আন্দোলন শুরু হয়েছে। ভারতীয় গণমাধ্যমগুলো বলছে মোদি সরকারের জনপ্রিয়তা এখন তলানিতে। বিশেষ করে একের পর এক ব্যর্থতার পর এখন পেগাসাস কেলেঙ্কারিতে উত্তাল ভারত। ভারতের রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন যে, সরকারবিরোধী যে আন্দোলন সে আন্দোলন খুব শীঘ্রই বিস্তৃত হবে এবং মোদি সরকারের বিদায়ের ঘণ্টা এখন সময়ের ব্যাপার মাত্র। ভারতের মধ্যবর্তী নির্বাচন হবে নাকি নতুন নির্বাচন পর্যন্ত মাটি কামড়ে পড়ে থাকবে মোদি সরকার সেটি নিয়ে নানারকম তর্ক-বিতর্ক এখন ভারতের রাজনীতিতে বড় আলোচনার বিষয়। দ্বিতীয় মেয়াদের মোদি সরকার একের পর এক ব্যর্থতাকে বরণ করছে। যেখানে হাত দিচ্ছে সেখানে মোদি সরকার ব্যর্থ হচ্ছে এবং সমালোচিত হচ্ছে। সমালোচনা থেকে মুক্ত পাওয়ার জন্য মোদি নরেন্দ্র মোদি মন্ত্রিসভার রদবদল করেন। কিন্তু রদবদল করতে করতে পেগাসাস কেলেঙ্কারি মোদি সরকারকে নতুন করে বিতর্কের মুখে ফেলেছে। দ্বিতীয় মেয়াদে ভারতের কর্তৃত্ববাদী শাসন, ভিন্নমত এবং মুক্তচিন্তার মানুষদের দমন করার জন্য শুরু থেকে মোদি সরকার সমালোচিত হচ্ছিল। এরপর শুরু হলো কৃষক আন্দোলন। কৃষক আন্দোলনে মোদি সরকার শুধুমাত্র পুঁজিপতিদের পক্ষে থাকেন বলেই সমালোচিত হন। কৃষক আন্দোলনের রেশ না কাটতে কাটতেই ভারতে ছড়িয়ে পড়ে করোনা। মহামারি ছড়িয়ে পড়ার পিছনে মোদি সরকারকে দায়ী করেন অনেকে। বিশেষ করে সেই সময় বিভিন্ন অঞ্চলে উপনির্বাচন এবং হিন্দুদের ধর্মীয় উৎসব করোনার মহামারীর জন্য দায়ী বলে মনে করা হয়। এই সময় আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও মোদি বিতর্কিত হয় এবং বিপদে পড়েন। বিশেষ করে টিকা রপ্তানি বন্ধ করে দেশে দেশে সমালোচিত হয়েছেন মোদি সরকার। এই অঞ্চলে একাকীত্বকে বরণ করে নিয়েছে নরেন্দ্র মোদি সরকার।

এখন সার্ক অঞ্চলের মূল কর্তৃত্ব চীনের হাতে চলে গেছে এমন সমালোচনাও ভারতের মধ্যে প্রায়ই শোনা যায়। মোদির কাশ্মীর নীতিও প্রশংসিত হয়নি দেশেই। বিশেষ করে কাশ্মীরে যেভাবে দমন-পীড়ন চালানো হয়েছে তা ভারতবাসীই পছন্দ করেনি। এরকম অবস্থায় সর্বশেষ পশ্চিমবাংলা নির্বাচনকে ঘিরে মোদি সরকার যেভাবে ব্যাপকভাবে প্রচারণায় নেমেছিলেন এবং পশ্চিমবাংলা দখলের জন্য নরেন্দ্র মোদি অমিত শাহ জুটি যেভাবে নেমেছিলেন তা একেবারে জনমতের লড়াইয়ে পরিণত হয়। সেই জনমতের লড়াইয়ে মমতা ব্যানার্জির কাছে গো হারা হেরে যান নরেন্দ্র মোদি সরকার। এরপর থেকেই ভারতের বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো মোদি বিরোধী আন্দোলন করার জন্য একাট্টা হচ্ছেন এবং সেই আন্দোলনে এখন মমতা ব্যানার্জিকে সামনে রেখেই একটি পরিকল্পনা আঁকা হচ্ছে। এখন পার্লামেন্টে বিরুদ্ধে নরেন্দ্র মোদি সরকারের বিরুদ্ধে ব্যাপক সমালোচনা হচ্ছে এবং সরকারের পদত্যাগ দাবি করছে। ভারতের রাজনীতি সম্বন্ধে যারা খোঁজ-খবর রাখেন তারা বোঝেন যে, ভারতের পার্লামেন্টের আন্দোলনের সূচনা হয় তা রাজপথে ছড়িয়ে পড়তে সময় লাগে না। তাছাড়া এমনিতে ভারতে অর্থনৈতিক মন্দা, বেকারত্ব, করোনা কারণে মানুষের মধ্যে নানারকম সংকট তীব্র আকার ধারণ করেছে। এরকম একটি পরিস্থিতিতে নরেন্দ্র মোদি বিরোধী আন্দোলন অবশ্যম্ভাবী।

সাম্প্রতিক সময় বাংলাদেশের সঙ্গেও ভারতের সম্পর্কের টানাপোড়েন চলছে। বিশেষ করে দ্বিতীয় মেয়াদে মোদি সরকারের মধ্যে এক ধরনের বাংলাদেশ বিরোধী কার্যক্রম প্রচ্ছন্নভাবে লক্ষ্য করা যাচ্ছে। যদিও নরেন্দ্র মোদি এর মধ্যে বাংলাদেশে এসেছেন এবং বার বার করে বলছেন বন্ধুত্বের দিক থেকে বাংলাদেশই প্রথম। কিন্তু মুখে যাই বলুক না কেন বাস্তবতায় দেখা যাচ্ছে যে, পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ, টিকা রফতানি বন্ধ, নাগরিকত্ব ইস্যু এবং সীমান্ত হত্যা ইত্যাদি নিয়ে মোদি সরকার বাংলাদেশকে চেপে ধরারই এক কৌশল গ্রহণ করেছেন। এই কৌশলের মধ্যে যখন মোদি বিরোধী এক আন্দোলন শুরু হতে যাচ্ছে তখন প্রশ্ন হচ্ছে যে, এই আন্দোলনে বাংলাদেশের লাভ হবে না ক্ষতি হবে। বাংলাদেশের বর্তমান সরকার ভারতের যেকোনো সরকারের সঙ্গে সম্পর্ক রেখে এগিয়ে যেতে চায়। আওয়ামী লীগ সরকার যখন ক্ষমতায় এসেছিল তখন কংগ্রেস ক্ষমতায় ছিল এবং ২০১৪ সালের নির্বাচনের পর ভারতে বিজেপি সরকার ক্ষমতায় আসে। তখন মনে করা হয়েছিল যে, বিজেপি সরকার আসলে বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক বিষয়ে আওয়ামী লীগের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক নষ্ট হবে। কারণ আওয়ামী লীগ ঐতিহাসিক ভাবে কংগ্রেসের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করা একটি রাজনৈতিক দল। কিন্তু বাস্তবে দেখা গেল নরেন্দ্র মোদির প্রথম মেয়াদে বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক নতুন উচ্চতা পেয়েছিল। কাজেই, ভারতের রাজনৈতিক আন্দোলন ভারতের আভ্যন্তরীণ বিষয়। ভারতে যে সরকারই আসুক না কেন তারা বাংলাদেশ একটি গণতান্ত্রিক সেকুলার রাজনৈতিক শক্তিকে দেখতে চায়। সে দিক দিয়ে ভারতে মোদি বিরোধী আন্দোলনে বাংলাদেশে কোন প্রভাব বা প্রতিক্রিয়া পড়বে না বলেই রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করেন।



মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

পটুয়াখালী জেলা ছাত্রলীগের ছাত্র সমাবেশ ও পদযাত্রা

প্রকাশ: ০২:২৬ পিএম, ০৬ মে, ২০২৪


Thumbnail স্বাধীন ফিলিস্তিনের দাবিতে পটুয়াখালী জেলা ছাত্রলীগের ছাত্র সমাবেশ ও পদযাত্রা

স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার দাবিতে ও বিশ্বব্যাপী চলমান ছাত্র আন্দোলনের প্রতি সংহতি জানিয়ে ফিলিস্তিনের পতাকা উত্তোলন ও পদযাত্রা করেছে পটুয়াখালী জেলা ছাত্রলীগ। 


আরও পড়ুন: স্বাধীন ফিলিস্তিনের দাবিতে ছাত্রলীগের পদযাত্রা

 

সোমবার (০৬মে) বেলা সাড়ে ১১টায় পটুয়াখালী সরকারি মহিলা কলেজে ফিলিস্তিনের পতাকা উত্তোলন করে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মোঃ সাইফুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান আরিফ। এসময় জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী আলমগীর ও সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ মোদাচ্ছের বিল্লাহ্ সহ সাধারণ শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।


আরও পড়ুন: ঢাবিতে সশরীরে ক্লাস পরীক্ষা শুরু বুধবার

 

পরে মহিলা কলেজে প্রাঙ্গন থেকে পদযাত্রা শুরু করে জেলা ছাত্রলীগ। পদযাত্রাটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে সরকারি কলেজে প্রাঙ্গণে গিয়ে শেষ হয়। পরে সরকারি কলেজে পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে কর্মসূচির সমাপ্তি করা হয়।


ছাত্রলীগ   পদযাত্রা   ফিলিস্তিন   ছাত্র সমাবেশ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

সম্পদ অর্জনে এমপিদের পেছনে ফেলেছেন চেয়ারম্যানরা

প্রকাশ: ০১:৫৯ পিএম, ০৬ মে, ২০২৪


Thumbnail

পাঁচ বছরে অস্থাবর সম্পদ বৃদ্ধিতে উপজেলা পরিষদের জনপ্রতিনিধিরা পেছনে ফেলেছেন সংসদ সদস্যদের। সংসদ সদস্যদের সম্পদ বৃদ্ধির হার ছিল সর্বোচ্চ ৩ হাজার ৬৫ শতাংশ, যেখানে একজন চেয়ারম্যানের সম্পদ বৃদ্ধির হার ৪ হাজার ২০০ শতাংশের বেশি।

অন্যদিকে চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যানের প্রার্থীর মধ্যে ১১৭ জন কোটিপতি। যেখানে ৫৬০ চেয়ারম্যান প্রার্থীর মধ্যে ৯৪ জন কোটিপতি। এছাড়া ৬১১ ভাইস চেয়ারম্যানের মধ্যে ১৭ জন ও ৪৩৫ জন মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানের মধ্যে ৬ কোটিপতি প্রার্থী এই নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

পেশা হিসেবে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থীদের ৭০ শতাংশই ব্যবসায়ী, ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থীদের প্রায় ৬৭ শতাংশ ও নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থীদের ২৪ শতাংশ ব্যবসাকে পেশা হিসেবে দেখিয়েছেন।

সোমবার (৬ মে) ধানমন্ডির টিআইবির কার্যালয়ে উপজেলা নির্বাচনের প্রথম ধাপের প্রার্থীদের হলফনামা বিশ্লেষণ করে এসব তথ্য জানিয়েছে সংস্থাটি।

ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের আউটরিচ অ্যান্ড কমিউনিকেশন বিভাগের পরিচালক মোহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।

এ বিষয়ে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. মো ইফতেখারুজ্জামান বলেন, উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী প্রার্থীদের সম্পদের অস্বাভাবিক বৃদ্ধির বিষয়টি নির্বাচন কমিশন, এনবিআর ও দুদকের খতিয়ে দেখার দায়িত্ব বলে মনে করি।

তিনি বলেন, আমরা দেখেছি প্রথম ধাপে প্রথম পর্বে মন্ত্রী-এমপিদের ১৩ জন স্বজন নির্বাচন করছেন। প্রথম ধাপেই চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২৬ প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। উপজেলা নির্বাচন দলীয় হলেও নির্বাচনকে প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক করতে এবার ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ দলগতভাবে কোনো প্রার্থী ঘোষণা করেনি। এতে নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী প্রার্থীদের অধিকাংশই ‘আওয়ামী লীগ দলীয় স্বতন্ত্র প্রার্থী’ এবং দলের স্থানীয় নেতৃত্বের সমর্থনপুষ্ট। বিএনপি এ নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিলেও দলটি স্থানীয় প্রার্থীদের আটকাতে পারেনি। আগ্রহী প্রার্থীরা স্বতন্ত্র নির্বাচন করছেন।

টিআইবি বলছে, প্রথম ধাপের ১৫২টি উপজেলার মধ্যে ১৪৪টির প্রার্থীদের হলফনামা নির্বাচন কমিশন প্রকাশ করেছে, বাকি আটটি করেনি। ১৫২টি উপজেলার তিনটি নির্বাচনের প্রায় ৪ হাজার ৮০০টি হলফনামায় দেওয়া আট ধরনের তথ্যের বহুমাত্রিক ও তুলনামূলক বিশ্লেষণ করা হয়েছে।

স্থানীয় সরকার নির্বাচনে মন্ত্রী-এমপিদের হস্তক্ষেপ বড় আলোচনার বিষয় হলেও এবার স্বজনদের মনোনয়ন নিয়ে চলছে বিতর্ক। প্রথম ধাপে প্রথম পর্বে মন্ত্রী-এমপিদের স্বজন- ১৩ জন। প্রার্থী হওয়ায় এগিয়ে ভাইয়েরা; চাচাতো ভাই, খালাতো ভাই, জামাতা, ভাইয়ের ছেলে আছেন তালিকায়।

বিএনপি এ নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিলেও অমান্য করে প্রথম ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করায় ৭৩ জনকে বহিষ্কার করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে অংশগ্রহণ করা ২২ জামায়াত নেতা পরবর্তী সময়ে দলের সিদ্ধান্তে সরে দাঁড়ান।

টিআইবি জানিয়েছে, জাতীয় নির্বাচনের মতো স্থানীয় সরকার নির্বাচনেও ব্যবসায়ী প্রার্থীদের দাপট বাড়ছে। ব্যবসায়ী প্রার্থীদের সংখ্যা চতুর্থ নির্বাচনের তুলনায় ৮ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৬ শতাংশ। চেয়ারম্যান পদপ্রার্থীদের ৬৯.৮৬ শতাংশই ব্যবসায়ী, ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থীদের প্রায় ৬৬.৫৯ শতাংশ, নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থীদের ২৪.৩৭ শতাংশ ব্যবসাকে পেশা হিসেবে দেখিয়েছেন।

 

আর নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থীদের ৫২ শতাংশই নিজেকে গৃহিণী গৃহস্থালি কাজকে পেশা হিসেবে দেখিয়েছেন। আয় নেই ১২ শতাংশের, ৩৯ শতাংশ নিজেদের আয়ের কোনো স্বীকৃত উৎস দেখাননি।

টিআইবির গবেষণা বলছে, সার্বিকভাবে প্রার্থীদের ৪০ শতাংশই আয় দেখিয়েছেন সাড়ে তিন লাখ টাকার নিচে। অর্থাৎ করযোগ্য আয় নেই তাদের। সাড়ে ১৬ লাখ টাকার বেশি আয় দেখিয়েছেন মাত্র ১০ শতাংশ প্রার্থী। প্রার্থীদের প্রায় ৯৩ শতাংশ প্রার্থীর সম্পদ কোটি টাকার নিচে, বাকি ৭ শতাংশ প্রার্থীর সম্পদ কোটি টাকার বেশি। দ্বিগুণ হয়েছে কোটিপতি প্রার্থীর সংখ্যা।

অন্যদিকে ১০০ বিঘা বা ৩৩ একর এর বেশি জমি আছে কমপক্ষে ১০ জনপ্রার্থীর। আর ২৩.৪১ শতাংশ প্রার্থীর ঋণ রয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ১৫২৮ কোটি টাকা ঋণ রয়েছে সিলেটের বিশ্বনাথের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থীর। প্রার্থীদের ১৬.৬৪ শতাংশ বর্তমানে মামলায় অভিযুক্ত।

৫ বছরে একজন চেয়ারম্যানের আয় বেড়েছে সর্বোচ্চ ৩৩১৯ শতাংশ, ১০ বছরে এই বৃদ্ধির হার সর্বোচ্চ ১৮২৩ শতাংশ। অস্থাবর সম্পদ বেড়েছে সর্বোচ্চ ৪২৫১ শতাংশ।

স্ত্রী ও নির্ভরশীলদের সম্পদ বৃদ্ধির হার সর্বোচ্চ ১২৪০ শতাংশ। ৫ বছরে অস্থাবর সম্পদ বৃদ্ধিতে উপজেলা পরিষদের জনপ্রতিনিধিরা পেছনে ফেলেছেন সংসদ সদস্যদের। সংসদ সদস্যদের ক্ষেত্রে এ হার সর্বোচ্চ ৩ হাজার ৬৫ শতাংশ, যেখানে একজন চেয়ারম্যানের সম্পদ বেড়েছে ৪২০০ শতাংশের বেশি।

 

 

 

 


চেয়ারম্যান   এমপি   সম্পদ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

বন্ধুত্বপূর্ণ সফরে চট্টগ্রাম বন্দরে আসছে তুর্কি জাহাজ

প্রকাশ: ০১:৪৬ পিএম, ০৬ মে, ২০২৪


Thumbnail

বাংলাদেশে আসছে তুরস্কের নৌ-বাহিনীর জাহাজ টিসিজি কিনালিয়াদা (এফ-৫১৪)। বন্ধুত্বপূর্ণ সফরে চট্টগ্রামে আসবে জাহাজটি। আগামীকাল মঙ্গলবার (৭ মে) সকাল ১০টা নাগাদ জাহাজটি চট্টগ্রাম বন্দর পৌঁছানোর কথা রয়েছে।

জাহাজটিকে স্বাগত জানাবেন ঢাকায় নিযুক্ত তুরস্কের রাষ্ট্রদূত রামিস সেন।

জানা গেছে, বাংলাদেশ ও তুরস্কের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে জাহাজটি চট্টগ্রাম বন্দরে আসবে। এটা শুভেচ্ছা সফর। চার থেকে পাঁচদিনের মতো জাহাজটি বাংলাদেশে অবস্থান করার কথা রয়েছে।

সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি ঢাকায় দেশটির দূতাবাস কূটনৈতিক পত্রের মাধ্যমে নৌ-বাহিনীর জাহাজটি বাংলাদেশ সফরের তথ্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে জানিয়েছে।


তুর্কি জাহাজ   চট্টগ্রাম বন্দর  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

লাইসেন্সবিহীন টিভি চ্যানেল বন্ধে কার্যক্রম শুরু

প্রকাশ: ১২:৫৯ পিএম, ০৬ মে, ২০২৪


Thumbnail

অবৈধভাবে দেশি-বিদেশি টিভি চ্যানেল প্রদর্শন ও লাইসেন্সবিহীন বাণিজ্যিক কার্যক্রম পরিচালনা বন্ধে কার্যক্রম শুরু করেছে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়।

সোমবার (৬ মে) তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ বিভাগ থেকে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।

এর আগে, গত (২ মে) তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাতের সভাপতিত্বে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সভা কক্ষে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সাথে অনুষ্ঠিত এক সভায় এ সংক্রান্ত দশটি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়।

সিদ্ধান্তগুলো হলো..

১) কেবল টেলিভিশন নেটওয়ার্ক পরিচালনা আইন, ২০০৬ এর অধীনে অনুমোদিত সেবা প্রদানকারীরাই সরকার অনুমোদিত দেশি ও বিদেশি চ্যানেলসমূহ গ্রাহকের নিকট বিতরণ করতে পারবে।

২) ক্লিনফিড ছাড়া বিদেশি চ্যানেল কিংবা অননুমোদিত কোনো চ্যানেল ডাউনলিংক, সম্প্রচার, সঞ্চালন বা বিতরণ করা যাবে না।

৩) সেট-টপ বক্স অবৈধভাবে আমদানি ও বাজারজাত করা যাবে না।

৪) টিভি চ্যানেল স্ট্রিমিংয়ের অ্যাপসসমূহ ব্যবহারে উদ্বুদ্ধ করে প্রচারণা করা কিংবা এ ধরনের অ্যাপস সেট-টপ-বক্সে ইনস্টল করে বিক্রি করা সম্পূর্ণরূপে অবৈধ। এর বিরুদ্ধে বিটিআরসি আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

৫) বাংলাদেশের নিরাপত্তার স্বার্থে, সরকারের রাজস্ব আহরণ বৃদ্ধির স্বার্থে, বিদেশে অর্থ পাচার রোধে এবং দেশের শিল্প, সাহিত্য, সংস্কৃতি ও মূল্যবোধ সংরক্ষণের উদ্দেশ্যে যেকোনো অবৈধ কার্যক্রমের বিরুদ্ধে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় এবং ডাক, টেলিযোগযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় প্রচলিত আইন ও বিধি মোতাবেক প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।

৬) কেবল টেলিভিশন নেটওয়ার্ক পরিচালনা আইন, ২০০৬ এর ৩(১) ধারা অনুযায়ী, কোনো ডিস্ট্রিবিউটর বা সেবাপ্রদানকারী নির্ধারিত আবেদনপত্রের ভিত্তিতে সরকার অনুমোদিত চ্যানেল ব্যতীত অন্য কোনও চ্যানেল বাংলাদেশে ডাউনলিংক, বিপণন, সঞ্চালন বা সম্প্রচার করতে পারবে না। এছাড়া, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় হতে বিদেশি টিভি চ্যানেলের অনুষ্ঠান ক্লিনফিড সম্প্রচারের বিষয়ে নির্দেশনা প্রদান করেছে বিধায় কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান ক্লিনফিড ব্যতীত বিদেশি টিভি চ্যানেলের অনুষ্ঠান সম্প্রচার বা সঞ্চালন করতে পারবে না।

৭) কেবল টেলিভিশন নেটওয়ার্ক পরিচালনা আইন, ২০০৬ এর ৩(২) ধারা অনুযায়ী, কোনও ডিস্ট্রিবিউটর বা সেবাপ্রদানকারী সরকার অনুমোদিত চ্যানেল ব্যতীত নিজস্ব কোনও অনুষ্ঠান যেমন- ভিডিও, ভিসিডি, ডিভিডি এর মাধ্যমে অথবা অন্য কোনও উপায়ে কোনও চ্যানেল বাংলাদেশে বিপণন, সঞ্চালন ও সম্প্রচার করতে পারবে না। আইন অমান্য করে কোনও ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান দেশি বা বিদেশি টিভি চ্যানেলের ফিড বা নিজস্ব কোনও চ্যানেল সম্প্রচার বা সঞ্চালন করতে পারবে না।

৮) কেবল টেলিভিশন নেটওয়ার্ক পরিচালনা আইন, ২০০৬ এর ৪(১) ধারা অনুযায়ী, লাইসেন্সপ্রাপ্ত না হয়ে কোনও ব্যক্তি, ডিস্ট্রিবিউটর বা সেবাপ্রদানকারী হিসেবে কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারবে না। তাই লাইসেন্সধারী ডিস্ট্রিবিউটর বা সেবাপ্রদানকারী ব্যতীত অন্য কোনও ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান টিভি চ্যানেল বা অনুষ্ঠান সঞ্চালন বা সম্প্রচার করতে পারবে না।

৯) অনুমোদিত ডিস্ট্রিবিউটররা এ সিদ্ধান্তসমূহ তাদের বিদেশি টিভি চ্যানেল সম্প্রচারকারীদের লিখিতভাবে অবহিত করবে।

১০) আইন/নীতিমালা বহির্ভূত, অবৈধ বা অননুমোদিতভাবে সম্প্রচার কাজে জড়িত ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এ সিদ্ধান্তসমূহ বাস্তবায়নে গত বৃহস্পতিবার (২ মে) সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের চিঠি দিয়েছে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়।


তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়   লাইসেন্সবিহীন   টিভি চ্যানেল  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

সুন্দরবনের আগুন নিয়ন্ত্রণে: ফায়ার সার্ভিস

প্রকাশ: ১২:২১ পিএম, ০৬ মে, ২০২৪


Thumbnail

পূর্ব সুন্দরবনের লতিফের সিলা এলাকায় লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। সোমবার (০৬ মে) সকালে ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক অপারেশন ও মেইনটেনেন্স লে. কর্নেল তাজুল ইসলাম আনুষ্ঠানিকভাবে আগুন নিয়ন্ত্রণের ঘোষণা দেন।

তিনি বলেন, বেলা ১০টা ৩৫ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়েছে। গতকাল রবিবার (০৫ মে) সকাল ৬টা থেকে টানা ২৮ ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে ফায়ার সার্ভিস, নৌবাহিনী, বনবিভাগ, বিমানবাহিনী ও স্থানীয় শতশত স্বেচ্ছাসেবক।

শনিবার (৪ মে) দুপুরে আমরবুনিয়া ফরেস্ট ক্যাম্পের অধীন লতিফের সিলা এলাকায় অগ্নিকাণ্ডের খবর পান বন বিভাগের কর্মকর্তারা।

নৌবাহিনীর কর্মকর্তা কমান্ডার মো. বাশারুল ইসলাম, চাঁদপাই রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক(এসিএফ) রানা দেব, মোরেলগঞ্জ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো৷ আশিকুর রহমান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এসএম তারেক সুলতান, থানার ওসি মোহাম্মদ সামসুদ্দীন এ সময় উপস্থিত ছিলেন। 

ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক আরও বলেন, আগুন এখন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে। কোথাও আগুনোর ফুলকি বা ধোঁয়া নেই। তবে, ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা আরও ২ দিন কাজ করবে কালো ছাই সাদা করার জন্য। এরপর ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা বন ত্যাগ করবে।


সুন্দরবন   আগুন   ফায়ার সার্ভিস  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন