ইনসাইড বাংলাদেশ

জয়পুরহাটে একদিনে ১০০০ পরিবারকে ত্রাণ দিল বসুন্ধরা গ্রুপ

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৮:২৭ পিএম, ০১ অগাস্ট, ২০২১


Thumbnail

দুর্ঘটনায় অল্প বয়সেই এক পা হারিয়েছেন পঞ্চাশোর্ধ জরিনা বেগম। আরেক পা ভেঙে বাঁকা হয়েছে। দু`হাতের ওপর লাঠি ভর করে হাঁটাচলা করেন। কোনো কাজ করার জো নেই। স্বামী মারা গেছেন বছর হয়েছে। দাম্পত্য জীবনে হয়নি কোনো সন্তান। এখন জরিনার একমাত্র সম্বল হাতের দুটো লাঠি। বসবাস করেন রেল কলোনির একটি অস্থায়ী খুপরিতে। মানুষের দেওয়া সাহায্য আর বয়স্ক ভাতার টাকা দিয়ে দিনাতিপাত করেন জরিনা। তবে প্রয়োজনের তুলনায় তা খুবই যৎসামান্য। কালের কণ্ঠ শুভসংঘের খাদ্যসামগ্রী তুলে দেওয়া হয়েছে তার হাতে। ১০ কেজি চাল, তিন কেজি ডাল আর তিন কেজি আটা পেয়ে অশ্রুসিক্ত হয়েছেন তিনি। জরিনা বলেন, হামাকে বসুন্ধরা গ্রুপ উপকার করলু, তোকের মালিকর শরীর-গতর ভালো থাক। তোরা বাঁচি থাক। দুধেভাতে থাক। বাল-বাচ্চা ভালো থাক।

জরিনার মতো সহায়সম্বলহীন সফি বানু। বয়স ৭৫ পেরিয়েছে। পৃথিবীতে স্বামী-সন্তান কেউ নেই। ভিক্ষাবৃত্তি করে একবেলা ডাল-ভাত খেয়ে বেঁচে আছেন। শুভসংঘের খাদ্যসামগ্রী পেয়ে চোখের কোণে জল জমেছে তার। বসুন্ধরা গ্রুপের জন্য দোয়া করে সফি বানু বলেন, হামি ভিক্ষা করে খাই। কাইল থেকে খাবার খাইতে পারিনাই। এই খাবার নিয়া বাসায় যাইয়া খামু৷ আল্লায় তোকের ভালো করবে৷ এই খাবার দিয়া আমি একলা এক মাস খাইতে পারমু।
শনিবার (১ আগস্ট) জয়পুরহাট জেলার আক্কেলপুর উপজেলায় তাদের মতো ৩০০ অসহায় ও দুস্থ পরিবারের মাঝে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করেছে কালের কণ্ঠ শুভসংঘ। এছাড়া সকলের মাঝে মাস্ক বিতরণ ও করোনা সুরক্ষায় সচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়।

উপজেলার আক্কেলপুর মুজিবুর রহমান সরকারি কলেজ মাঠে স্বাস্থ্যবিধি মেনে বসুন্ধরা গ্রুপের সহায়তায় এই খাদ্যসামগ্রী বিতরণ হয়।

খাদ্যসামগ্রী বিতরণ কার্যক্রমে উপস্থিত হয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এস এম হাবিবুল হাসান বলেন, করোনায় কর্মহীন ও অসহায় পরিবারের জন্য বসুন্ধরা গ্রুপ দেশব্যাপী যে খাদ্য সহায়তা দিচ্ছে তার জন্য আমরা তাদের সাধুবাদ জানাই। কালের কণ্ঠ শুভসংঘের সদস্যরা অক্লান্ত পরিশ্রম করে আজকে আপনাদেরকে ৭-১০ দিনের খাবার প্যাকেজ দিল। তাদের জন্য আপনারা সবাই দোয়া করবেন। এই সময়টা আপনার কেউ ঘর থেকে বের হবেন না। সবাই স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলবেন। মাস্ক পরবেন। এরপরও আপনাদের কোন কিছুর প্রয়োজন হলে আমাদেরকে জানাবেন। আমরা আপনাদেরকে সহযোগিতা করার চেষ্টা করব।

খাদ্যসামগ্রী বিতরণে আরো উপস্থিত ছিলেন আক্কেলপুর মুজিবুর রহমান সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মোকসেদ আলী, পৌর মেয়র শহিদুল আলম চৌধুরী, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাইদুর রহমান, কালের কণ্ঠ শুভসংঘের পরিচালক জাকারিয়া জামান, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য শরীফ মাহ্দী আশরাফ জীবন, উত্তরা ইউনিভার্সিটির সাবেক সভাপতি আলমগীর হোসেন রনিসহ জয়পুরহাট জেলার শুভসংঘের সেচ্ছাসেবী নূর-ই-আলম হোসেন, মুস্তাকিম বিল্লাহ, তরিকুল ইসলাম, ফিরোজ হোসেন, আবু তালহা সাঈদ, সানজিদ আহমেদ, সাইদুল ইসলাম, রাকিব হোসেব, কাউসার আহমেদ, ইশতিয়াক আহমেদ, মো. নাছিম, শিমুল।

জয়পুরহাট জেলার ক্ষেতলাল উপজেলা ৪০০ অসহায় ও দুস্থ পরিবারের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেছে কালের কণ্ঠ শুভসংঘ। এছাড়া সকলের মাঝে মাস্ক বিতরণ ও করোনা সুরক্ষায় সচেতনতামূলক কর্মসূচি পালন করা হয়। আজ রবিবার উপজেলার সরকারি ছাঈদ-আলতাফুন্নেছা কলেজ মাঠে স্বাস্থ্যবিধি মেনে বসুন্ধরা গ্রুপের সহায়তায় এই খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা হয়।

বসুন্ধরা গ্রুপের খাদ্যসামগ্রী পেয়ে রোজিনা বেগম নামের এক উপকারভোগী বলেন, হামরা অসহায় মানুষ। করুনায় (করোনা) কেউ কোনো সাহায্য করে নাই। হামাকের কে দিবে বাপ, তোমরা দিলেই হামরা খাবার পারম। তোমাকের জন্য পাঁচ ওক্তোত দোয়া করুম।

রহিমা বেগম বলেন, হামার স্বামী নেই। টুকটাক কামকাজ করি যা পাই তা দিয়া খাই। আজ হামাকে খাবার দিলা আল্লা তোমাকের সহিসালামতে রাখুক। বসুন্ধরা মালিকত রহমত করুক। আমাকের যেন আরও দিবার পারে।
খাদ্যসামগ্রী বিতরণ কার্যক্রমে উপস্থিত হয়ে ক্ষেতলাল উপজেলা চেয়ারম্যান মুস্তাকিম মন্ডল বলেন, বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান কালের কণ্ঠ শুভসংঘের মাধ্যমে আজকে আপনাদের কাছে খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দিয়েছেন। আমি উপজেলার পক্ষ থেকে বসুন্ধরা গ্রুপের প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই এই মহৎ উদ্যোগ নেওয়ার জন্য। আপনারা তাদের জন্য দোয়া করবেন ভবিষ্যতে যেন তারা আপনাদের পাশে দাঁড়াতে পারে। করোনা থেকে সুরক্ষায় আপনারা সরকারের দেওয়া বিধি-নিষেধগুলো মেনে চলবেন। মাস্ক পরে থাকবেন।

স্থানীয় সেচ্ছাসেবী সংগঠক ফেরদৌসী রানা চৌধুরী বলেন, কালের কন্ঠ শুভসংঘ আজকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে খুব সুশৃঙ্খলা ভাবে আমাদের উপজেলায় ৪০০ অসহায় মানুষকে খাদ্যসামগ্রী দিয়েছে। একজন সেচ্ছাসেবী সংগঠক হিসেবে আমি তাদেরকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই। আমরা চাই তারা ভবিষ্যতেও তাদের কার্যক্রম অব্যাহত রাখবে।

খাদ্যসামগ্রী বিতরণ কার্যক্রমে আরো উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এএফএম আবু সুফিয়ান, সরকারি ছাঈদ-আলতাফুন্নেছা কলেজের অধ্যক্ষ আইয়ুব হোসেন, পৌর মেয়র সিরাজুল ইসলাম বুলু, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নীরেন্দ্রনাথ মন্ডল, কালের কণ্ঠ শুভসংঘের পরিচালক জাকারিয়া জামান, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য শরীফ মাহ্দী আশরাফ জীবন, ক্ষেতলাল উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আব্দুল মজিদ মোল্লা, পৌর আওয়ামী লীগ সভাপতি দুলাল মিয়া, শুভসংঘের উত্তরা ইউনিভার্সিটির সাবেক সভাপতি আলমগীর হোসেন রনিসহ জয়পুরহাট জেলার শুভসংঘের সেচ্ছাসেবী নূর-ই-আলম হোসেন, মুস্তাকিম বিল্লাহ, তরিকুল ইসলাম, ফিরোজ হোসেন, আবু তালহা সাঈদ, সানজিদ আহমেদ, সাইদুল ইসলাম, রাকিব হোসেব, কাউসার আহমেদ, ইশতিয়াক আহমেদ, মো. নাছিম, শিমুল, আজিজুল হক, আব্দুল আলিম, আজিজার রহমান, হাসান, সাইফুল ইসলাম মিলন।

জয়পুরহাট জেলার কালাই উপজেলায় ৩০০ অসহায় ও অতিদরিদ্র্য পরিবারের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেছে কালের কণ্ঠ শুভসংঘ। এছাড়া সকলের মাঝে মাস্ক বিতরণ ও করোনা সুরক্ষায় সচেতনতামূলক পরামর্শ দেওয়া হয়। আজ রবিবার কালাই সরকারি মহিলা কলেজ মাঠে স্বাস্থ্যবিধি মেনে বসুন্ধরা গ্রুপের সহায়তায় এই খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করে শুভসংঘের সদস্যরা।

কাঠের পিঁড়িতে বসে দুই হাত দিয়ে মাটিতে ভর দিয়ে হাঁটছেন শামসুল আলম। বয়স ৫০ বছর। গ্যাংগ্রিনের (পচা ঘা) কারণে গত ৩০ বছর আগে পা দুটো কেটে ফেলতে হয়েছে। এতে কর্মহীন হয়ে পড়েছেন তিনি। জীবন হয়ে পড়েছে দুর্বিষহ। এক ছেলে থাকলেও করেন না কোনো সহযোগিতা। বয়স্কভাতা আর ভিক্ষাবৃত্তি করেই বউ নিয়ে দু`মুঠো খেতে পারেন। কালের কণ্ঠ শুভসংঘের সদস্যদের থেকে খাদ্যসামগ্রী পেয়ে শামসুল বলেন, আল্লা রহমত করুক। এই অসহায়কে খাবার দিছো। তোমাকের ভালো হবি। সুখে থাকবি তোমরা।

শাজাহান মোল্লা নামের এক উপকারভোগী বলেন, হামার এক হাত ভাঙা। কাম করবা পারি না। খুব কষ্টত আছি। তোমরা ত্রাণ দিছো। দুই হাত তুইল্যা দোয়া করি বাবা। আল্লায় বসুন্ধরা মালিকর মনের আশা পূরণ করবে৷ তাকত কবুল করবে।

ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রমে উপস্থিত হয়ে কালাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) টুকটুক তালুকদার বলেন, দেশের এই দুর্যোগকালীন কালের কণ্ঠ শুভসংঘের মাধ্যমে বসুন্ধরা গ্রুপ অসহায় মানুষকে খাদ্যসামগ্রী দিচ্ছে। আমাদের জয়পুরহাট জেলার অসংখ্য অতিদরিদ্র মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে। কালাই উপজেলায় ৩০০ পরিবারকে খাদ্যসামগ্রী দিয়েছে। তাই আমরা বসুন্ধরা গ্রুপ এবং শুভসংঘকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই। বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যানের মত দেশের বিত্তশালীরা যদি এগিয়ে আসেন তাহলে সরকার করোনার এই ক্রান্তিলগ্ন সহজেই মোকাবেলা করতে পারবে। বর্তমানে দেশে করোনা খুব দ্রুতই সংক্রমিত হচ্ছে। শহরের চেয়ে গ্রামের মানুষ বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। মারা যাচ্ছে। কারণ তারা অসচেতন। তাই আপনাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। সবাইকে মাস্ক পরতে হবে। অযথা বাইরে ঘোরাঘুরি করবেন না।

ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রমে আরো উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মিনফুজুর রহমান মিলন, কালাই সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ নাজিমউদ্দীন, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সেলিম মালিক, কালের কণ্ঠ শুভসংঘের পরিচালক জাকারিয়া জামান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ফজলুর রহমান, শুভসংঘের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য শরীফ মাহ্দী আশরাফ জীবন, উত্তরা ইউনিভার্সিটির সাবেক সভাপতি আলমগীর হোসেন রনিসহ জয়পুরহাট জেলার শুভসংঘের সেচ্ছাসেবী নূর-ই-আলম হোসেন, মুস্তাকিম বিল্লাহ, তরিকুল ইসলাম, ফিরোজ হোসেন, আবু তালহা সাঈদ, সানজিদ আহমেদ, সাইদুল ইসলাম, রাকিব হোসেব, কাউসার আহমেদ, ইশতিয়াক আহমেদ, মো. নাছিম, শিমুল, শাহারুল আলম, সেলিম সারওয়ার, কামরুল হাসান, লিটন তালুকদার।



মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

দেশের দুই জেলায় ভূমিকম্প

প্রকাশ: ০৯:১২ পিএম, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

রাজশাহী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জে ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৪ দশমিক ৪।

রোববার (২৮ এপ্রিল) রাত ৮টার দিকে এই ভূমিকম্প অনুভূত হয়।

জানা গেছে, ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল পশ্চিমবঙ্গের উত্তমপুরে।

ভূমিকম্প  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

ক্লাস চলার সময় ছিঁড়ে পড়ল সিলিং ফ্যান, শিক্ষার্থী জখম

প্রকাশ: ০৯:১৫ পিএম, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

জামালপুর পৌর শহরের একটি বিদ্যালয়ে ক্লাস চলাকালে সিলিং ফ্যান পড়ে সুমাইয়া আক্তার মীম নামের এক শিক্ষার্থী আহত হয়েছে। রোববার (২৮ এপ্রিল) সকাল ১১টার দিকে পৌর শহরের রশিদপুর এলাকার ইজ্জাতুন নেছা উচ্চ বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।

আহত সুমাইয়া আক্তার মীমকে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বাড়িতে পাঠানো হয়েছে।

আহত মীম পৌরসভার বগাবাইদ গ্রামের ফেরদৌসের মেয়ে। আহত সুমাইয়া আক্তার মীম সেই বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির মানবিক বিভাগের শিক্ষার্থী। 

শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা বলেন, সকাল ১০টা থেকে পাঠদান কার্যক্রম শুরু হয়। দশম শ্রেণির ক্লাসরুমে তৃতীয় ঘণ্টার ক্লাস শুরু হওয়ার কিছুক্ষণ পরে দ্বিতীয় তলার শ্রেণি কক্ষের একটি ফ্যান ভেঙে সুমাইয়ার ওপর পড়ে যায়। এতে শিক্ষার্থী মুখের ওপরের ঠোঁট কেটে গিয়ে গুরুতর আহত হলে তাকে উদ্ধার করে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বাড়িতে পাঠানো হয়। গত বছরও ওই বিদ্যালয়ে ফ্যান পড়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছিল বলে জানান তারা।

এদিকে বিষয়টি নিয়ে গণমাধ্যমকর্মীরা হাসপাতালে গেলে ছবি ও ভিডিও নিতে বাধা প্রদান করে বিদ্যালয়টির শিক্ষকরা। আর এ বিষয়ে কোনো বক্তব্যও দিতে চাননি বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক মো. আনিসুজ্জামান। এ সময় তিনি শুধু বলেন, বক্তব্য কী দেব বলেন, ফ্যান পড়ে গেছে এই আর কি।

জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা হালিমা খাতুন বলেন, আমি বিষয়টি অবগত না। তবে খবর নিচ্ছি। জেলার সাতটি উপজেলায় সব স্কুলে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিয়ে সচেতন হওয়ার জন্য চিঠি দেওয়া হবে বলে জানান তিনি।

জামালপুর  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

সোমবার ৫ জেলার সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা

প্রকাশ: ০৮:২৮ পিএম, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

চলমান তাপদাহের কারণে দেশের পাঁচ জেলার সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আগামীকাল (সোমবার) বন্ধ ঘোষণা করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। রোববার (২৮ এপ্রিল) রাতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তথ্য ও জনসংযোগ কর্মকর্তা এম এ খায়ের এক বার্তায় এ তথ্য জানান।

তিনি জানান, দেশে চলমান তাপদাহের কারণে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এবং আবহাওয়া অধিদপ্তরের সঙ্গে পরামর্শক্রমে ঢাকা, চুয়াডাঙ্গা, যশোর, খুলনা ও রাজশাহী জেলার সকল মাধ্যমিক স্কুল, কলেজ, মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আগামীকাল (২৯ এপ্রিল) বন্ধ থাকবে।

তবে যেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা আছে সেসব প্রতিষ্ঠানের কর্তৃপক্ষ চাইলে তাদের স্কুল-কলেজ-মাদরাসা খোলা রাখতে পারবেন বলেও জানান তিনি।

এছাড়া পরবর্তী সময়ে এ পাঁচ জেলায় কিংবা তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে, এমন অন্যান্য জেলায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হবে কি না, সেই সিদ্ধান্ত সোমবার জানিয়ে দেওয়া হবে।

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান   তাপদাহ   শিক্ষা মন্ত্রণালয়  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

আরও বড় হচ্ছে মন্ত্রিসভা

প্রকাশ: ০৮:০০ পিএম, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

দুই দফায় ৪৪ সদস্যের মন্ত্রিসভা আরও বড় হতে পারে বলে সরকারের ভেতরে গুঞ্জন রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী দেশে ফেরার পর বাজেট অধিবেশনের আগেই মন্ত্রিসভার সম্প্রসারণের বিষয়টি সামনে আসতে পারে বলে সরকারের একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে। 

উল্লেখ্য, ৭ জানুয়ারি নির্বাচনে বিপুল বিজয়ের পর ১১ জানুয়ারি আওয়ামী লীগ টানা চতুর্থবারের মতো সরকার গঠন করে। সে সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ৩৭ সদস্যের মন্ত্রিসভা গঠন করা হয়। এই মন্ত্রিসভা অপূর্ণ ছিল, সেটি সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল। পরবর্তীতে সংরক্ষিত নারী আসনের মনোনয়ন চূড়ান্ত হওয়ার পর ১ মার্চ মন্ত্রিসভার সম্প্রসারণ করা হয়। তবে সে দফায় কোন পূর্ণমন্ত্রী দেওয়া হয়নি। বরং ৭ জন নতুন প্রতিমন্ত্রীর মাধ্যমে ৪৪ সদস্যের মন্ত্রিসভা গঠন করা হয়। ২০১৮ সালেও মন্ত্রিসভা ছিল ৪৭ সদস্যের। এবারের মন্ত্রিসভা আওয়ামী লীগের গত তিন বারের মন্ত্রিসভায় চেয়ে আকারে সবচেয়ে ছোট। আর এই কারণেই মন্ত্রিসভার সম্প্রসারণের বিষয়টি বিভিন্নভাবে আলোচিত হয়।  

সাম্প্রতিক সময়ে আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল একাধিক সূত্র বলছে, প্রধানমন্ত্রী মন্ত্রিসভা আরও বড় করার বিষয়টি বিবেচনা করছেন। এছাড়া মন্ত্রিসভায় কয়েকটি দপ্তর পরিবর্তনের বিষয়টিও এখন আওয়ামী লীগের মধ্যে আলোচনার বিষয়ে পরিণত হচ্ছে। বিশেষ করে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের একজন পূর্ণাঙ্গ মন্ত্রী দেওয়া, পানি সম্পদ মন্ত্রণালেয়ও পূর্ণাঙ্গ মন্ত্রী দেওয়ার বিষয়টি সরকার গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করছে বলে জানা গেছে। 

এ ছাড়া পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে পরিবর্তনেরও ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে। বর্তমানে পরিকল্পনা মন্ত্রী হিসেবে যাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, তার পরিবর্তে অন্য কোন অর্থনীতিবিদ বা অর্থনীতির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কাউকে এই মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হবে। এছাড়া শ্রম মন্ত্রণালয়ে একজন পূর্ণাঙ্গ মন্ত্রী হওয়ার বিষয়টি নিয়ে বিজিএমইএ-এর অনুরোধ রয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে। সামনের দিনগুলোতে শ্রম আইন নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দর কষাকষি করতে হতে পারে এই বিবেচনা থেকে বিজিএমইএ-এর পক্ষ থেকে সরকারকে আনুষ্ঠানিক ভাবে অনুরোধ করা হয়েছে। যিনি আইনে দক্ষ বিশেষ করে শ্রম আইনে দক্ষ কাউকে যেন এই মন্ত্রণালেয়র দায়িত্ব দেওয়া হয়। 

উল্লেখ্য, মন্ত্রিসভার সদস্যদের ইতোমধ্যে ১০০ দিন পেরিয়ে গেছে গত ২১ এপ্রিল। এর মধ্যে মন্ত্রিসভার সদস্যদের ভালো-মন্দ নানান রকম হিসেব নিকেশ প্রধানমন্ত্রী করেছেন। তবে মন্ত্রিসভার সদস্যদেরকে এখনই বিচার করার সময় হয়নি বলেই সরকারের নীতি নির্ধারক মহল মনে করছেন। তবে টানা দুই থেকে তিনবার যারা প্রতিমন্ত্রী হয়েছেন, তাদের মধ্যে থেকে দু’একজনকে পদোন্নতি দেওয়ার বিষয়টি সরকারের বিবেচনাধীন রয়েছে বলেও জানা গেছে। এদের মধ্যে নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। এদের মধ্যে এক বা একাধিক জনকে পূণাঙ্গ মন্ত্রী হিসেবে পদোন্নতি দেওয়া হতে পারে বলে জানা গেছে। উল্লেখ্য, জুনাইদ আহমেদ পলক ইতোমধ্যে রাজনৈতিক ভাবে আওয়ামী লীগের 'গুড বুকে' চলে গেছেন। বিশেষ করে তার শ্যালককে তিনি প্রার্থী থেকে প্রত্যাহার করার ফলে তিনি সরকারের আরও বেশি আস্থাভাজন এবং প্রিয়ভাজনে পরিণত হয়েছেন। তবে মন্ত্রিসভার রদবদল কখন, কীভাবে হবে এবং কতজন নতুন মন্ত্রী হবেন এ বিষয় সম্পর্কে কেউই কিছু বলতে পারেননি। 

আওয়ামী লীগের একজন প্রেসিডিয়াম সদস্য বলেছেন, এটি একান্তই প্রধানমন্ত্রীর এখতিয়ারাধীন বিষয়। প্রধানমন্ত্রী যখন বিবেচনা করবেন তখনই তিনি এই রদবদল করবেন।

মন্ত্রিসভা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

ভারতে মোদি হারলে বাংলাদেশে কী হবে?

প্রকাশ: ০৭:০০ পিএম, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ভারতের লোকসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সাত ধাপে অনুষ্ঠিতব্য এই নির্বাচনের প্রথম পর্যায়ের ভোট হয় ১৯ এপ্রিল এবং সেখানে ১০২টি নির্বাচনী এলাকায় ভোট অনুষ্ঠিত হয়। দ্বিতীয় দফায় ২৬ এপ্রিল ৮৯টি নির্বাচনী এলাকায় ভোট অনুষ্ঠিত হয়েছে। চতুর্থ দফায় ভোট হবে ৭ মে। সেখানে ৯৪টি আসনে ভোটগ্রহণ হবে এবং সপ্তম দফায় ভোট অনুষ্ঠিত হবে পয়লা জুন। আর ৪ জুন নির্বাচনের ফলাফল জানা যাবে।

প্রথম দুই দফা ভোটের যে হার, তাতে বিজেপির মধ্যে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। বিজেপির নেতারা ভোটে যে ভূমিধস বিজয় আশা করছিলেন সেটি হবে না। ভারতের কোন কোন গণমাধ্যমগুলো ভোটের ফলাফলে নাটকীয় ঘটনা ঘটারও ইঙ্গিত দিচ্ছে। বিশেষ করে ২০০৪ সালের নির্বাচনে যেভাবে কংগ্রেস অটলবিহারী বাজপেয়ীর নেতৃত্বে বিজেপিকে ধরাশায়ী করেছিল সেরকম কোন ঘটনা ঘটতেও পারে বলে মনে আশঙ্কা করছেন অনেকে। অবশ্য এখনও আরও পাঁচ দফা ভোট বাকি আছে এবং বিজেপি আশা করছে যে, পরবর্তী ধাপগুলোতে ভোটার উপস্থিতি বাড়বে এবং বিজেপি তাদের জয়ের ধারা অক্ষুণ্ণ রাখবে। নরেন্দ্র মোদি ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে দেওয়ার জন্য বারবার আহ্বান জানাচ্ছেন।

ভারতের নির্বাচনের ফলাফল কী হবে তা বোঝা যাবে আগামী ৪ জুন। কিন্তু এখন পর্যন্ত যে ভোটের হাওয়া লক্ষ্য করা যাচ্ছে তাতে এটা স্পষ্ট যে, ভোটের আগে নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন বিজেপি জোটের যে নিরঙ্কুশ বিজয়ের ধারণা করা হয়েছিল, সেটি বাস্তবতা নাও পেতে পারে। আর এ কারণেই মোদী যদি শেষ পর্যন্ত পরাজিত হন, তাহলে সেটি হবে ভারতের রাজনৈতিক ইতিহাসে একটি বড় ব্যতিক্রমী ঘটনা এবং এটি হবে ভারতের নির্বাচনের সবচেয়ে বড় চমক।

এখন যখন ভারতের নির্বাচনে একটি হাড্ডাহাড্ডি লড়াই বা অনিশ্চয়তার ফলাফলের শঙ্কা জেগেছে তখন প্রশ্ন উঠছে যে, বিজেপি যদি এই নির্বাচনে পরাজিত হয় তাহলে বাংলাদেশে কী হবে? গত দুটি নির্বাচনে ভারতের বিজেপি সরকার বাংলাদেশকে নিরঙ্কুশভাবে সমর্থন দিয়েছে। ২০১৮ এবং ২০২৪ এর নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সরকারের প্রতি অকুণ্ঠ সমর্থন জানিয়েছে বিজেপি সরকার।

বিশেষ করে ২০২৪ এর নির্বাচনে ভারতীয় সরকারের পরিপূর্ণ সমর্থন ছাড়া মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এই নির্বাচনে ব্যাপক প্রভাব বিস্তার করত এবং এই নির্বাচনকে অস্বীকৃতি জানাত বলেও অনেকে মনে করেন। মার্কিন মনোভাব পাল্টানোর ক্ষেত্রে ভারত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। আর নির্বাচনের পর বিএনপি থেকে শুরু করে জাতীয় পার্টি প্রত্যেকেই বলছে যে, ভারত বর্তমান সরকারকে ক্ষমতায় রেখেছে। যদিও এরকম অভিযোগকে আওয়ামী লীগ অস্বীকার করে এবং আওয়ামী লীগ মনে করে যে, জনগণের ভোটে তারা নির্বাচিত হয়েছে। কিন্তু ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়টি আওয়ামী লীগ বা বিজেপি কেউই অস্বীকার করে না।

এখন প্রশ্ন হল, যদি বিজেপি পরাজিত হয়, ইন্ডিয়া জোট ক্ষমতায় আসে তাহলে বাংলাদেশের সমীকরণ কী হবে? কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন যে, বর্তমান সরকারের জন্য সমীকরণের কোন পরিবর্তন হবে না। কারণ ইন্ডিয়া জোটের সঙ্গেও আওয়ামী লীগ সরকারের একটি সুসম্পর্ক রয়েছে। ইতোমধ্যে ইন্ডিয়া জোটের প্রধান দল কংগ্রেস তাদের নির্বাচনী ইশতেহারে বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের বার্তা দিয়েছে।

অনেকে মনে করেন যে, এখন ভারতে কট্টর হিন্দুত্ববাদী মনোভাবের কারণে সীমান্তে অস্থিরতা তৈরি হচ্ছে। মুসলিম বিদ্বেষী বক্তব্য রাখা হচ্ছে। যার ফলে বাংলাদেশের মধ্যে একটা ভারতবিরোধী মনোভাব তৈরি হচ্ছে। শেষ পর্যন্ত যদি নরেন্দ্র মোদি তাহলে এই অবস্থানের পরিবর্তন হবে। দুই দেশের সম্পর্ক আরও বিকশিত হবে বলেও মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।


ভারত   লোকসভা নির্বাচন   মল্লিকার্জুন খাড়গে   নরেন্দ্র মোদি   বাংলাদেশ   আওয়ামী লীগ  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন