নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:২০ এএম, ০৩ অগাস্ট, ২০২১
ক্ষমতার উত্তাপের আঁচ যেন দাবানলের মতো আরও দ্রুত ছড়িয়ে যায়, সেজন্য আন্তর্জাতিক অস্ত্র বিকিকিনির চোরাকারবারে নাম লিখিয়েছিলেন মডেল ফারিয়া মাহবুব পিয়াসা। এসব অবৈধ অস্ত্রের দাম ছিল কোটি টাকারও ওপরে। স্বর্ণের প্রলেপে মোড়া আধুনিক উজি অস্ত্রের কেনাবেচায়ও নাম লেখান তিনি, যা শেষপর্যন্ত তাঁর জীবনের কাল হয়ে দাঁড়ায়। এই অস্ত্রকে অনুসন্ধান করেই গোয়েন্দাদের বেছানো জালে ধরা পড়েন তিনি।
অনুসন্ধানে জানা যায়, পিয়াসার মাধ্যমে আমদানি নিষিদ্ধ উচ্চ ক্যালিবারের মূল্যবান অস্ত্র কেনাবেচা শুরু হয় কয়েক বছর আগে। বিশেষ করে লিমিটেড এডিশনের উজি পিস্তলের বিভিন্ন মডেল তার মাধ্যমেই দেশে আসে। কোনোটির দাম দেড় কোটি টাকা। তবে তিনি এক্ষেত্রে বড় দুঃসাহসও দেখিয়েছেন। এসব অস্ত্রের ছবি তার ফেসবুকেও রয়েছে। সেসব ছবিতে তিনি নিজেকে অনেকটা মাফিয়া ডনের মুডে শো করেছেন। ক্লাবে যাতায়াতের সূত্র ধরে মূলত তিনি ধনাঢ্য শৌখিন অস্ত্র ক্রেতার খোঁজ পান। আমদানি নিষিদ্ধ অস্ত্র আনা হয় শুল্ক ফাঁকি দিয়ে চোরাই পথে। এক্ষেত্রে তিনি এক প্রভাবশালীর পৃষ্ঠপোষকতা পান।
জানা যায়, বনানী ক্লাব ছাড়াও পিয়াসার পার্টি হয় ফ্লোর সিক্স ও মিন্ট আল্ট্রা লাউঞ্জ নামের সিসা বারে। জন্মদিনের অনুষ্ঠানের কথা বলে আয়োজিত পার্টিতে ভিআইপিদের আড্ডা জমত। প্রায় প্রতি পার্টিতে মিশু নামের এক যুবকের সঙ্গে পিয়াসাকে ঘনিষ্ঠ দেখা যায়। কোটিপতি মিশু বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসে বাস করছে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, পিয়াসার ঘনিষ্ঠভাজনদের নামের তালিকা বেশ লম্বা। প্রভাবশালীদের অনেকেই রয়েছেন তার বন্ধু কিংবা বয়ফ্রেন্ডের তালিকায়।
তার বন্ধু তালিকায় নাম আছে জনৈক জামান, রানা ওরফে শফিউল্লাহ, একটি বিদ্যুৎ প্লান্টের মালিকের ছেলে সাইফ, জঙ্গি কানেকশনে বন্ধ হয়ে যাওয়া লেকহেড স্কুলের মালিক খালেদ, ইয়াবা ডন শালেহ চৌধুরী ওরফে কার্লোস, এক শিল্পপতির নাতি ফাহিম, চট্টগ্রামের গাড়ি ব্যবসায়ী রুবায়েত খান, কাকরাইলের একটি বড় আবাসিক হোটেলের মালিকের ছেলে রাজিব, চেক জালিয়াতির মামলায় কারাবন্দি জাতীয় পার্টির নেতা শাফিউল্লা মনির, বিএনপি নেতা এসএস খালেকের ছেলে সাজু ও সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর ভাতিজা সাকের কাদের চৌধুরী। এছাড়া খুলনা থেকে আসা ধনাঢ্য ব্যবসায়ী শাহরিয়ার ওরফে শেখ শাহরিয়ারের সঙ্গে পিয়াসার ঘনিষ্ঠতা দেখা যায়। তাদের দু’জন হোটেল ওয়েস্টিনে পার্টি শেষে গভীর রাতে লং ড্রাইভে বের হতেন।
জানা যায়, বারিধারা আবাসিক এলাকার ৯ নম্বর রোডের একটি বিলাসবহুল অ্যাপার্টমেন্টে ভাড়া থাকতেন পিয়াসা। সার্ভিস চার্জ ও সিকিউরিটি বিল বাদে শুধু ফ্ল্যাট ভাড়া ৩ লাখ টাকা। অথচ দৃশ্যমান কোনো আয় নেই পিয়াসার। বিশাল ফ্ল্যাটে তিনি একাই থাকেন। তার রান্নাবান্নাসহ ব্যক্তিগত কাজের জন্য কর্মচারী নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। শাহজাহান নামের এক বাবুর্চি তার ফ্ল্যাটে রান্নার কাজ করেন।
সূত্র বলছে, চট্টগ্রামের আলী এন্টারপ্রাইজের মালিকের ছেলের সঙ্গে ঝামেলায় জড়িয়ে ১৫ বছর আগে ঢাকায় পা রাখেন পিয়াসা। নানা জায়গায় চাকরির চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন। এক পর্যায়ে একটি বেসরকারি টেলিভিশনের কর্মকর্তা মিজানের সঙ্গে তার সখ্য হয়। মিজান তাকে বিয়ে না করলেও অনেকেই তাদেরকে স্বামী-স্ত্রী বলে জানত। এ সময় পিয়াসা নিজেকে সংশ্লিষ্ট টেলিভিশনের পরিচালক বলে পরিচয় দিতে শুরু করেন। এরই সূত্র ধরে হাই সোসাইটিতে পরিচিত হয়ে ওঠেন পিয়াসা। এর পরের দিনগুলো রীতিমতো ইতিহাস। একে একে পিয়াসার বন্ধু তালিকায় যোগ দেন উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তা, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পদস্থ কর্মকর্তা ও ধনাঢ্য ব্যবসায়ীরা।
এক পার্টিতে পিয়াসার সঙ্গে পরিচয় থেকে ঘনিষ্ঠতা হয় স্বর্ণালংকার ব্যবসায়ী আপন জুয়েলার্সের মালিকের ছেলে সাফাত আহমেদের। শেষ পর্যন্ত সাফাত তাকে বিয়ে করেন। কিন্তু দাম্পত্য বেশিদিন টেকেনি। ২০১৭ সালে পিয়াসাকে ডিভোর্স দেন সাফাত। কিন্তু ডিভোর্স মেনে নিতে পারেননি পিয়াসা। তিনি প্রতিশোধপরায়ণ হয়ে ওঠেন। বনানী রেইনট্রি হোটেলের ধর্ষণ কাণ্ডে সাফাতের নাম জড়িয়ে গেলে দৃশ্যপটে পিয়াসার আবির্ভাব ঘটে। মামলার দুই বাদীকে নিয়ে তৎপর হয়ে ওঠেন তিনি। এক পর্যায়ে আপন জুয়েলার্সের মালিকের সঙ্গে মোটা অংকের অর্থ চেয়ে দর কষাকষি শুরু করেন পিয়াসা। অতিষ্ঠ হয়ে তার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির মামলা করেন আপন জুয়েলার্সের মালিক দিলদার আহমেদ সেলিম। মামলাটি এখনো চলমান। অবশ্য সেলিমের বিরুদ্ধে গর্ভপাতের পালটা মিথ্যা মামলা দিতে ছাড়েননি পিয়াসা।
সূত্র বলছে, মাদক, নারী ও অস্ত্র ব্যবসা ছাড়াও বনানীর চাঞ্চল্যকর একটি হত্যাকাণ্ডে নাম জড়িয়ে যায়। ২০১৮ সালে বনানীতে খুন হন এসবি ইন্সপেক্টর মামুন। জন্মদিনের অনুষ্ঠানের কথা বলে ডিজে পার্টিতে ডেকে নিয়ে তাকে খুন করা হয়। এ ঘটনায় পিয়াসাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। কিন্তু পিয়াসা সহজেই পুলিশি ঝামেলা এড়িয়ে যেতে সক্ষম হন। কারণ আলোচিত ডিআইজি মিজানের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার সুবাদে পিয়াসা পুলিশি তদন্ত পাশ কাটিয়ে যান।
মন্তব্য করুন
দ্বাদশ জাতীয় সংসদের দ্বিতীয় অধিবেশন শুরু হচ্ছে আজ। বৃহস্পতিবার
(১ এপ্রিল) বিকেল ৫টায় অধিবেশন শুরু হবে। রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন সাংবিধানিক ক্ষমতাবলে
গত ১৫ এপ্রিল এই অধিবেশন আহ্বান করেন।
অধিবেশন শুরুর আগে সংসদ ভবনে সংসদের কার্যউপদেষ্টা কমিটির বৈঠক
হবে।
বর্তমান সংসদের কার্যউপদেষ্টা কমিটির এটিই হবে প্রথম বৈঠক। বৈঠকে
আসন্ন অধিবেশনের মেয়াদ নির্ধারণ ছাড়াও আলোচ্যসূচি ও কার্যবিবরণী নিয়ে আলোচনা হবে।
অধিবেশনের শুরুতে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী সভাপতিমণ্ডলী
মনোনয়ন দেবেন। এরপর শোক প্রস্তাব উত্থাপিত হবে।
ঝিনাইদহ-১ আসনের আওয়ামী লীগ দলীয় সংসদ সদস্য আবদুল হাই মৃত্যুবরণ
করায় রেওয়াজ অনুযায়ী তার ওপর আনা শোক প্রস্তাবের ওপর আলোচনা হবে। শোক প্রস্তাব গৃহীত
হওয়ার পর অধিবেশন মুলতবি করা হবে। চলমান সংসদের কোনো সদস্যের মৃত্যুতে সংসদে শোক প্রস্তাবের
ওপর আলোচনা শেষে তার সম্মানে অধিবেশন মুলতবি করার রেওয়াজ রয়েছে।
সংসদ সচিবালয় সূত্রে জানা গেছে, জুনে বর্তমান সরকার ও দ্বাদশ সংসদের
প্রথম বাজেট অধিবেশনের আগে অনুষ্ঠেয় এই দ্বিতীয় অধিবেশন তেমন দীর্ঘ হবে না।
মন্তব্য করুন
চলতি মাসে তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাসের (এলপিজি) মূল্য বাড়ছে নাকি
কমছে, তা জানা যাবে আজ বৃহস্পতিবার (০২ মে)। এদিন এক মাসের জন্য এলপিজির নতুন দাম ঘোষণা
করা হবে।
গত মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি)
সচিব ব্যারিস্টার মো. খলিলুর রহমান খান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা যায়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সৌদি আরামকো ঘোষিত মে (২০২৪) মাসের সৌদি সিপি
অনুযায়ী এই মাসের জন্য ভোক্তা পর্যায়ে বেসরকারি এলপিজির মূল্য সমন্বয় সম্পর্কে বাংলাদেশ
এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের নির্দেশনা বৃহস্পতিবার দুপুর আড়াইটায় ঘোষণা করা হবে।
এর আগে, টানা ৮ মাস বাড়ার পর গত ৩ এপ্রিল ভোক্তা পর্যায়ে কমানো
হয় এলপিজির দাম। মার্চ মাসের তুলনায় এপ্রিল মাসে ১২ কেজি সিলিন্ডারের দাম ৪০ টাকা কমিয়ে
১ হাজার ৪৪২ টাকা নির্ধারণ করা হয়। এছাড়া গত মার্চ মাসে ১২ কেজি সিলিন্ডারের দাম ৮
টাকা বাড়িয়ে ১ হাজার ৪৮২ টাকা, ফেব্রুয়ারিতে ৪১ টাকা বাড়িয়ে ১ হাজার ৪৭৪ টাকা ও জানুয়ারিতে
২৯ টাকা বাড়িয়ে ১ হাজার ৪৩৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল।
একইসঙ্গে এপ্রিল মাসে অটোগ্যাসের দামও কমিয়েছিল বিইআরসি। এপ্রিল
মাসে ভোক্তা পর্যায়ে অটোগ্যাসের মূসকসহ দাম প্রতি লিটার ৬৬ টাকা ২১ পয়সা নির্ধারণ
করা করেছিল সংস্থাটি। আর মার্চ মাসে ভোক্তা পর্যায়ে অটোগ্যাসের মূসকসহ দাম প্রতি লিটার
৬৮ টাকা ৫ পয়সা নির্ধারণ করা হয়। আর গত ফেব্রুয়ারি ও জানুয়ারি মাসে যা মূসকসহ নির্ধারণ
করা হয়েছিল যথাক্রমে ৬৭ টাকা ৬৮ পয়সা ও ৬৫ টাকা ৬৭ পয়সা।
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালে ৫ দফা কমেছিল এলপিজি ও অটোগ্যাসের দাম, আর বেড়েছে ৭ দফা। গত বছরের জানুয়ারি, মার্চ, এপ্রিল, জুন ও জুলাই মাসে কমেছিল এলপিজি ও অটোগ্যাসের দাম। আর দাম বেড়েছিল ফেব্রুয়ারি, মে, আগস্ট, সেপ্টেম্বর, অক্টোবর, নভেম্বর ও ডিসেম্বর মাসে।
মন্তব্য করুন
রাজবাড়ীতে একটি মালবাহী ট্রেন লাইনচ্যুত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২ মে) সকাল সাড়ে ৭টায় ২নং রেলগেট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
এতে মেইন লাইন ব্লক হয়ে যাওয়ায় আপাতত রাজবাড়ীর সঙ্গে ঢাকা, রাজবাড়ী-দৌলতদিয়া
ও রাজবাড়ী-খুলনা রুটে রেল যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। রাজবাড়ী রেলওয়ে স্টেশনের মাস্টার তন্ময়
কুমার দত্ত বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, খুলনা থেকে ছেড়ে আসা মালবাহী ট্রেনটি সকালে রাজবাড়ীর
২নং রেলগেট এলাকার ক্যারেজ অ্যান্ড ওয়াগন ডিপোতে ঢোকার সময় লাইনচ্যুত হয়। আপাতত এই
রুটে সব রেল যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। পোড়াদহগামী লোকাল সাটল ট্রেন পাচুরিয়া রেলস্টেশনে
দাঁড়িয়ে আছে। রাজবাড়ীতেই উদ্ধারকারী রিজার্ভ ট্রেন রয়েছে। আশা করছি খুব শিগগিরই লাইনচ্যুত
ট্রেনটি উদ্ধার করা যাবে।
মন্তব্য করুন
নিজের বাবাকে পেটানোর পর এলাকা থেকে বিতাড়িত হয়ে ঢাকায় চলে আসেন
‘চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এইজ কেয়ার’ আশ্রমের চেয়ারম্যান বহুল আলোচিত মিল্টন সমাদ্দার।
ঢাকায় এসে তিনি একটি ফার্মেসিতে চাকরি শুরু করেন। তবে ফার্মেসি থেকে ওষুধ চুরি করায়
তাকে সেখান থেকে বের করে দেওয়া হয়।
বুধবার (০১ মে) তাকে গ্রেপ্তারের পর এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য
জানায় ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) প্রধান অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন
অর রশীদ।
সংবাদ সম্মেলনে ডিবি প্রধান বলেন, মিল্টন সমাদ্দারকে আটক করা হয়েছে।
তার বিরুদ্ধে অনেকগুলো অভিযোগ। তার বাড়ি বরিশালের উজিরপুরে। বাবাকে পিটানোয় এলাকাবাসী
ধরে তাকে এলাকা থেকে বের করে দেয়। পরে ঢাকায় এসে তিনি একটি ফার্মেসিতে কাজ শুরু করেন।
ওষুধ চুরি করায় সেখান থেকে তাকে বের করে দেওয়া হয়। এরপর তিনি কিছু পড়াশোনা করেন। পরে
মিঠু হালদার নামে এক নার্সকে বিয়ে করেন।
ডিবি প্রধান আরও বলেন, এরপর তার চিন্তায় আসল তিনি একটা ওল্ড এজ
কেয়ার চালু করবেন। পরে তার স্ত্রীকে নিয়ে মিরপুরে চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এজ কেয়ার নামে
একটা প্রতিষ্ঠান চালু করেন। সেখানে বাচ্চা ও বৃদ্ধদের নিয়ে আসেন। আপনারা দেখেছেন ভিডিও
ভাইরাল হয়েছে সেখানে অপারেশন থিয়েটার আছে। মানুষ সেখানে বিভিন্ন সেবা নেয়। কিন্তু অপারেশন
থিয়েটার থাকতে হলে লাইসেন্স প্রয়োজন, যা তার নেই। এছাড়া তিনি মরদেহ রাতে দাফন করেন
এবং চিকিৎসকের স্বাক্ষর জাল করে নিজেই ডেড সার্টিফিকেট দেন, যা তিনি স্বীকার করেছেন।
তিনি আরও বলেন, তার বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ। আমরা তাকে জিজ্ঞাসাবাদ
করব। লাশগুলো রাতে দাফন করেছেন কেন, ডেড সার্টিফিকেট নিজে কেন তৈরি করেন। এছাড়া তার
প্রতিষ্ঠানে থাকা ব্যক্তিদের স্বজনদের তিনি টর্চারসেলে নিয়ে পিটিয়েছেন। এগুলো জিজ্ঞাসাবাদ
করা হবে।
মন্তব্য করুন
কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজ ছাত্রী নিবাসের সামনে অশ্লীল অঙ্গভঙ্গির
ভিডিও ধারণ করার অভিযোগে এক যুবককে কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমান আদালত। এসময় দাঁড়িয়ে
মেয়েদের উদ্দেশ্যে ইশারা ইঙ্গিত ও অশ্লীল অঙ্গ ভঙ্গি করার দায়ে মো. জাকির হোসেন (২৭)
নামে এক যুবককে ১ মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমান আদালত।
বুধবার (১ মে) রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কুড়িগ্রাম সদর ইউএনও
মুশফিকুল আলম হালিম।
জানা গেছে, দণ্ডপ্রাপ্ত জাকির হোসেন জেলার উলিপুর উপজেলার দূর্গাপুর
ইউনিয়নের আনন্দ বাজার এলাকার নুর ইসলামের ছেলে। তিনি পেশায় জিয়া পুকুর বিনোদন কেন্দ্রের
পাহারাদার।
এর আগে, বুধবার বিকেলে কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজ ছাত্রী নিবাসের সামনে
ভ্রাম্যমান আদালতটি পরিচালনা করেন কুড়িগ্রাম ইউএনও ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মুশফিকুল
হালিম।
ভ্রাম্যমান আদালত সুত্রে জানা গেছে, কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজ ছাত্রী
নিবাসে থাকা ছাত্রীদের দীর্ঘ দিন ধরে নানানভাবে উত্ত্যাক্ত করে আসছিলেন জাকির। পরে
ছাত্রীরা বিষয়টি কলেজ কর্তৃপক্ষকে জানালে কর্তৃপক্ষ পুলিশ প্রশাসনকে অভিহিত করেন। পরে
পুলিশ এসে বুধবার বিকেলে জাকির হোসেনকে হাতে নাতে ধরে ভ্রাম্যমান আদালতে সোপর্দ করে।
জাকির হোসেন দায় স্বীকার করায় ভ্রাম্যমান আদালত এক মাসের কারাদণ্ড ও ১ হাজার টাকা জরিমানা
অনাদায়ে আরও ১৫ দিনের কারাদণ্ডা দেন। তৎক্ষনাৎ জাকির হোসেন ১ হাজার টাকা পরিশোধ করলে
আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজের উপধ্যাক্ষ মো. আতাউল খান বলেন, আমাদের
কলেজের ছাত্রীনিবাসের এক ছাত্রী ওই যুবকের অশ্লীল অঙ্গভঙ্গির ভিডিও ধারণ করেন। সেটি
প্রমাণ হিসেবে ভ্রাম্যমাণ আদালতে উপস্থাপন করা হয়। ওই যুবক এর আগেও ছাত্রীনিবাসের সামনে
গিয়ে শিক্ষার্থীদের বিরক্ত করেছে বলে অভিযোগ ছিল। এজন্য বিষয়টি প্রশাসনকে জানালে প্রশাসন
আইনগত ব্যবস্থা নিয়েছে।
ছাত্রীনিবাস অশ্লীল ভিডিও কারাদণ্ড
মন্তব্য করুন