নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:৩৯ পিএম, ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২১
বেসরকারি সংস্থা মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক শাহীন আনাম এবং তার স্বামী মাহফুজ আনাম হিন্দু সম্প্রদায়ের ঐক্যে চিড় ধরানোর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। তারা কৌশলে সরকারের বিরুদ্ধে হিন্দুদের দাঁড় করিয়ে দেওয়ার চক্রান্ত করছে। হিন্দু উত্তরাধিকার আইন সংশোধনের দাবি তুলে কার্যত এই ধর্মে বিশৃঙ্খলা ছড়িয়ে দেওয়ার পাঁয়তারা করছে।
শুক্রবার (২৪ সেপ্টেম্বর) সকালে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি কার্যালয়ে হিন্দু আইন পরিবর্তন প্রতিরোধ সম্মিলিত পরিষদের এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলা হয়।
সম্মিলিত পরিষদের সঙ্গে ৪৩টি সংগঠন একাত্মতা প্রকাশ করেছে বলে জানানো হয়। এ সময় বিভিন্ন সংগঠনের নেতারা বলেন, সনাতনী সমাজে বিবাহ চুক্তি নয়, এটি একটি পবিত্র ব্রত। বিবাহের মাধ্যমে স্বামী-স্ত্রী শাস্ত্রবিধি ও হিন্দু আইন অনুযায়ী অবিচ্ছেদ্যভাবে একাত্ম হয়ে যান। তারা পরিবারের সম্পদ-সম্পত্তিও যৌথভাবে ভোগ করে থাকেন। যুগ যুগ ধরে শাস্ত্রীর বিধানের ঐশীবন্ধনে হিন্দু সম্প্রদায়ের তথা সনাতনী সমাজের পরিবারগুলো শান্তিময়-ভারসাম্যপূর্ণ অবস্থায় চলমান। কতিপয় এনজিওসহ একটি বিশেষ মহলের কারসাজিতে তা বিনষ্ট করার ষড়যন্ত্র চলছে।
তাঁরা আরও বলেন, কতিপয় এনজিও এবং সংগঠন হিন্দু উত্তরাধিকার আইন পরিবর্তনের প্রচেষ্টা চালাচ্ছে, তারা আসলে হিন্দুদের প্রতিনিধিত্বই করে না। এ অবস্থায় তাদের দাবি হাস্যকর ছাড়া আর কিছু নয়। বক্তারা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, বাংলাদেশের শান্তিপ্রিয় সনাতনী সমাজ হিন্দু আইন পরিবর্তন চায় না।
এক প্রশ্নের জবাবে হিন্দু আইন পরিবর্তন প্রতিরোধ সম্মিলিত পরিষদের সভাপতি অ্যাডভোকেট ড. জেঁকে পাল বলেন, হিন্দু আইন পরিবর্তনের জন্য যেসব এনজিও কথা বলছে আমরা তাদের বিরুদ্ধে কথা বলেছি। আমরা তাদের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছি। কেউ কেউ বলছে আমরা সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করছি। এটি একেবারেই অসত্য। আমাদের আন্দোলন কতিপয় চিহ্নিত এনজিও এবং তার কর্ণধারদের বিরুদ্ধে; যারা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হিন্দু উত্তরাধিকার আইন পরিবর্তনের নামে হিন্দু সম্প্রদায়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে।
হিন্দু আইন পরিবর্তন প্রতিরোধ সম্মিলিত পরিষদের অন্যতম নেতা রামকৃষ্ণ বলেন, বিভিন্ন এনজিও প্রতিনিধি যারা হিন্দু ধর্মের বিভেদ সৃষ্টির চেষ্টা করছেন এবং বলছেন হিন্দু ধর্মে নারীরা অধিকার পান না তারা নিজেরাই স্বামীহীন। হিন্দু আইন পরিবর্তনের যে চক্রান্ত চলছে তা মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন নামক এনজিও’র স্বার্থসিদ্ধির জন্য এবং হিন্দুদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টির জন্য। হিন্দু ধর্মে নারীদের বিয়ে এবং সম্পত্তি নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি করা হচ্ছে তা অবান্তর এবং মিথ্যা। এ ধরনের ঘটনার সঙ্গে হিন্দু শাস্ত্রের কোন সম্পর্ক নেই। যারা বিদেশি প্রভুদের ফাঁদে পা দিয়ে তাদের কাছ থেকে অর্থ নিয়ে নিজেদের সংগঠনকে টিকিয়ে রাখতে হিন্দু সমাজে বিভেদ সৃষ্টির চেষ্টা করছেন তাদের এই অপচেষ্টা সফল হবে না। এই ষড়যন্ত্রকারীদের চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান জানান তিনি।
হিন্দু সংগঠনের আরেক নেতা প্রণব মট চন্দ্র বলেন, হিন্দুধর্ম আইন পরিবর্তনের নামে যে অশান্তি সৃষ্টি করা হচ্ছে, তার বিরুদ্ধে হিন্দু সমাজ সোচ্চার। আমরা শান্তিতে আছি, শান্তিতে থাকতে চাই। হিন্দু আইন পরিবর্তনের নামে যে অশান্তি সৃষ্টি হচ্ছে, তার জন্য সব দায় শাহীন আনামদের নিতে হবে। সরকারকে অস্থিতিশীল করার জন্য বিদেশ থেকে মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন ও একটি বিশেষ মহল হিন্দু শাস্ত্রের বিধি-বিধান পরিবর্তন প্রচেষ্টায় লিপ্ত। তারা জানে হিন্দু সম্প্রদায়ের সরকারের বড় সমর্থক আর এই বন্ধন ভাঙতেই তারা এ ষড়যন্ত্র করছে। সরকারকে বিশ্বের কাছে হেয় প্রতিপন্ন করতেই এই গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে তারা।. আমরা এই ষড়যন্ত্র যেকোনো মূল্যে প্রতিহত করবো। আমরা সারা বাংলাদেশে হিন্দু সম্প্রদায় কর্তৃক পরিচালিত সব সংগঠন তাদের ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে সোচ্চার।
সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট বিভাস চন্দ্র বলেন, আমরা সম্প্রতি ঢাকেশ্বরী মন্দিরে হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতৃবৃন্দ বসে ছিলাম। তারা সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত নিয়েছি হিন্দু আইনে কোনো পরিবর্তন প্রয়োজন নেই। আইনটি বর্তমানে যে অবস্থায় রয়েছে তা সংশোধনের প্রয়োজন নেই। আমাদের পূর্বপুরুষরা এই আইন সংশোধনের হাত দিতে সাহস পায়নি। আমরা যারা মনে করছি আইনের সংশোধন করা দরকার, তাদের প্রতি আমাদের অনুরোধ আইনের কোনো পরিবর্তন প্রয়োজন নেই এবং এটি সম্ভব নয়।
ইসকন ফুড ফর লাইফ, ঢাকার পরিচালক রুপানুগ গৌরদাস ব্রহ্মচারী বলেন, এটি মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন নয় এটি ও অমানুষের জন্য ফাউন্ডেশন। তাদের মতলব সবার সামনে উন্মুক্ত হোক এটাই আমরা চাই। আমরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে অনুরোধ জানাই আমাদের কথাগুলো বুঝুন এবং হিন্দু আইন পরিবর্তনের কোনো প্রয়োজন নেই। যদি হিন্দু আইন পরিবর্তনের নীলনকশার তারা বন্দনা করেন তাহলে মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন এর বিরুদ্ধে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।
এর আগে লিখিত বক্তব্যে হিন্দু আইন পরিবর্তন প্রতিরোধ সম্মিলিত পরিষদের সাধারণ সম্পাদক শ্যামল কুমার রায় বলেন, প্রায় তিন দশক ধরে একটি বিশেষ মহল বাংলাদেশের হিন্দু সম্প্রদায়ের পারিবারিক বন্ধন ও সম্প্রীতিকে ধ্বংস করার গভীর চক্রান্তে লিপ্ত রয়েছে। সে পথ ধরেই কতিপয় স্বার্থান্বেষী এনজিও উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে হিন্দু নারীদের সম্পত্তিতে অধিকার নেই এ বাহানা তুলে হিন্দু সম্প্রদায়ের শাস্ত্রীয় বিধি বিধান পরিবর্তন প্রচেষ্টার মাধ্যমে হিন্দু সম্প্রদায়ের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করার গভীর চক্রান্তে নতুন করে মেতে ওঠেছে । আওয়ামী লীগ যখনই রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত থাকে উক্ত মহলটি তখনই হিন্দু ধর্মীয় তথা বিবাহ সংক্রান্ত আইন পরিবর্তনের ব্যাপারে অতি উৎসাহী হয়ে ওঠে।
এ সময় তিনি শাহীন আনাম, তাকে সহায়তাকারী তার স্বামী মাহফুজ আনাম এবং আরেক এনজিও বাঁচতে শেখার নির্বাহী পরিচালক এঙ্গেলা গোমেজের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান। তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ না হওয়া পর্যন্ত সম্মিলিত পরিষদ তথা ৪৩টি সংগঠনের আন্দোলন অব্যাহত রাখার ঘোষণা দেন তিনি।
মন্তব্য করুন
নওগাঁর পত্নীতলায় প্রথম ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে ঘোড়া মার্কার প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল খালেক চৌধুরীর নির্বাচনী প্রচারণায় অংশগ্রহণ করায় ছাত্রদলের দুই নেতাকে শোকজ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২ মে) নওগাঁ জেলা ছাত্রদলের দপ্তর সম্পাদক ফরহাদ হোসেনের স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে তাদের কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: থানায় ঢুকে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর উপর হামলা, চেয়ারম্যান প্রার্থীকে শোকজ
শোকজ দুই ছাত্রদলের নেতা হলেন, নজিপুর পৌর ছাত্রদলের যুগ্ম আহবায়ক আরিফ হোসেন সৌরভ ও নজিপুর সরকারি কলেজ ছাত্রদলের যুগ্ন আহবায়ক আবু হোরাইরা বিল্লা।
এ বিষয়ে নওগাঁ জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক মামুন বিন ইসলাম দোহা বলেন, ‘নজিপুর পৌর ছাত্রদলের যুগ্ম আহবায়ক আরিফ হোসেন সৌরভকে আমরা ভিডিওতে প্রচারণায় দেখতে পাই। এই জন্য আমরা তাকে বহিষ্কার করবো এবং নজিপুর সরকারি কলেজ ছাত্রদলের যুগ্ন আহবায়ক আবু হোরাইরা বিল্লা ফোন করে পরবর্তীতে এমন ভুল হবেনা জানিয়ে আমাদের কাছে ক্ষমা চেয়েছে ।’
উপজেলা নির্বাচন প্রচারণা ছাত্রদল শোকজ
মন্তব্য করুন
কারখানা বন্ধের প্রতিবাদ ও বকেয়া বেতনের দাবিতে রাজধানীর বনানী এলাকায় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন পোশাক শ্রমিকরা।শনিবার (৪ মে) সকাল সাড়ে ৮টা থেকে কারখানা বন্ধের প্রতিবাদে তারা বিক্ষোভ করছেন।
এ ঘটনায় সড়কে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়েছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছে সাধারণ মানুষ। বিশেষ করে যারা এয়ারপোর্টের উদ্দেশে বের হয়েছেন তাদের ভোগান্তির শেষ নেই।
এ বিষয়ে বনানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী সাহান হক বলেন, নেপারেল গার্মেন্টস লিমিটেড নামের একটি কারখানা বন্ধের প্রতিবাদ করছেন শ্রমিকরা। তারা সকাল সাড়ে ৮টা থেকে সড়ক অবরোধ করেন। পরিস্থিতি মোকাবিলায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
ওসি বলেন, আমরা গার্মেন্টসটির মালিকপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। তারা ঘটনাস্থলে এলে শ্রমিকদের সঙ্গে আলোচনা করবেন। সড়ক স্বাভাবিক করার চেষ্টা চালানো হচ্ছে।
বকেয়া বেতন দাবি পোশাক শ্রমিক সড়ক অবরোধ
মন্তব্য করুন
সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলা নির্বাচনে স্থানীয় সংসদ সদস্য আব্দুল মমিন মন্ডলের প্রভাব বিস্তার ও থানায় ঢুকে উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী বদিউজ্জামান ফকিরের উপর হামলার অভিযোগে অপর প্রার্থী আমিনুল ইসলামকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে রিটার্নিং কর্মকর্তা।
শুক্রবার (৩ মে) রাতে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা নির্বাচন অফিসার মোঃ শহিদুল ইসলাম এই নোটিশ দেন। নোটিশে আগামী দুই দিনের মধ্যে লিখিত জবাব দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: উপজেলায় বেপরোয়া মন্ত্রী-এমপিরা
নোটিশে উল্লেখ করা হয়, উপজেলা পরিষদ (নির্বাচন আচরণ) বিধিমালা অনুযায়ী, নির্বাচনি প্রচারণার ক্ষেত্রে যে কোন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী, নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী কোন রাজনৈতিক দল কিংবা উহার মনোনীত প্রার্থী বা স্বতন্ত্র প্রার্থী কিংবা তাহাদের পক্ষে অন্য কোন ব্যক্তির সমান অধিকার থাকিবে। সরকারি সুবিধাভোগী অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি এবং কোন সরকারি কর্মকর্তা বা কর্মচারী নির্বাচনপূর্ব সময়ে নির্বাচনি এলাকায় প্রচারণায় বা নির্বাচনি কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করিতে পারিবেন না” এবং প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী বা তাহার পক্ষে অর্থ, অস্ত্র ও পেশী শক্তি কিংবা স্থানীয় ক্ষমতা দ্বারা নির্বাচন প্রভাবিত করা যাইবে না।
আরও পড়ুন: এসিতে সব সময় থাকলে যে সমস্যা গুলো দেখা দিতে পারে
কিন্তু আমিনুল ইসলাম সরকারের পক্ষে সিরাজগঞ্জ-৫ (বেলকুচি-চৌহালী) আসনের সংসদ সদস্য প্রভাব বিস্তার করছেন মর্মে বিভিন্ন পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। এছাড়াও গত ১ মে আমিনুল ইসলাম বেলকুচি থানার ভিতরে ঢুকে অপর চেয়ারম্যান প্রার্থী জনাব মোঃ বদিউজ্জামান ফকিররের উপর আক্রমণ করেন। এ বিষয়ে বদিউজ্জামান ফকির লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। এসব কর্মকান্ড উপজেলা পরিষদ (নির্বাচন আচরণ) বিধিমালা, ২০১৬ এর বিধি ৩, বিধি ২২ এর (১) এবং বিধি ৩১ এর পরিপন্থী। এমতাবস্থায়, আচরণ বিধি লঙ্ঘনের কারণে কেন বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে না তা ২ দিনের মধ্যে লিখিতভাবে জবাব দাখিল করার জন্য বলা হলো।
আরও পড়ুন: আদর্শবানরা ক্ষমতায় বিনয়ী হন, অযোগ্যরা বদলে যায়
রিটার্নিং কর্মকর্তা মোঃ শহিদুল ইসলাম কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রেরণের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
উপজেলা নির্বাচন চেয়ারম্যান প্রার্থী নির্বাচনী আচরণবিধি শোকজ
মন্তব্য করুন
গাজীপুরে দুর্ঘটনা কবলিত ট্রেন ও ওয়াগনের লাইনচ্যুত ১১ বগি উদ্ধারে রাতভর অভিযান চলেছে। এখন পর্যন্ত লাইন থেকে বগি সরানোর কাজ শেষ করতে পারেনি কর্তৃপক্ষ। এতে চরম শিডিউল বিপর্যয়ে পড়েছে ট্রেন। ফলে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে যাত্রীদের।
শুক্রবার দুর্ঘটনার পর আজ শনিবার (৪ মে) সকাল পর্যন্ত ১৮ ঘণ্টা পেরিয়ে গেছে। কিন্তু উদ্ধার কাজ শেষ না হওয়ায় ব্যাহত হচ্ছে ট্রেনের স্বাভাবিক চলাচল। কাঙ্ক্ষিত ট্রেনের আশায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা স্টেশনে অপেক্ষা করছেন যাত্রীরা।
ভোর ৬টায় কমলাপুর স্টেশন থেকে রাজশাহীর ধূমকেতু এক্সপ্রেস ট্রেন ছেড়ে যাওয়ার কথা থাকলেও সকাল ৮টা পর্যন্ত ট্রেন কোন প্ল্যাটফর্ম থেকে ছেড়ে যাবে, কোথায় আসবে সেটিই দেয়া হয়নি। ফলে এই ট্রেনটি কখন ছাড়বে জানেন না যাত্রীরা।
একইভাবে ৪ নং প্ল্যাটফর্ম থেকে ভোর সোয়া ৬টায় কক্সবাজার এক্সপ্রেসের ছেড়ে যাওয়ার কথা থাকলেও সেটি কখন ছেড়ে যাবে তা বলতে পারছেন না কেউ। এখন পর্যন্ত ট্রেনটি প্ল্যাটফর্মে আসতে পারেনি।
সকাল পৌনে ৭টায় চিলাহাটি এক্সপ্রেস ট্রেনটি এখান থেকে ছেড়ে যাওয়ার কথা থাকলেও বলা হচ্ছে ট্রেনটি সকাল ৯টায় ছেড়ে যাবে। কিন্তু ৮টা পর্যন্ত ট্রেন কোন প্ল্যাটফর্ম থেকে ছেড়ে যাবে, কোথায় আসবে সেটিই দেয়া হয়নি। জানা গেছে, ট্রেনটি এখনও ঢাকায়ই আসতে পারেনি।
সকাল সোয়া ৭টায় কিশোরগঞ্জ এক্সপ্রেসের ছেড়ে যাওয়ার কথা থাকলেও সেটির প্ল্যাটফর্ম জানানো হয়নি। যদিও স্টেশন কর্তৃপক্ষ বলেছিল, ট্রেনটি সকাল সাড়ে ৮টায় কমলাপুর ছাড়বে।
এমন অবস্থায় শঙ্কা দেখা দিয়েছে, আজ সারাদিন উত্তরবঙ্গের উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়া সব ট্রেনেরই ভয়াবহ শিডিউল বিপর্যয় হবে।
এদিকে দুর্ঘটনার শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত রাতভর উদ্ধার অভিযানের পর সকাল থেকে আবারও লাইনের ওপর থেকে ক্রেন দিয়ে বেঁধে একে একে সরানো হচ্ছে বগি। টাঙ্গাইল কম্পিউটার ট্রেনের ইঞ্জিনের দুটি অংশ ও তেলবাহী ট্রেনের দুটি ওয়াগন এখনো লাইনের ওপর পড়ে আছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, টাঙ্গাইল কম্পিউটারের ইঞ্জিন ও তেলবাহী ওয়াগান সরানো গেলেই শুরু হবে লাইন মেরামতের কাজ।
শুক্রবার সকালে টাঙ্গাইল থেকে একটি কমিউটার ট্রেন ঢাকায় ফিরছিল। পথে জয়দেবপুর জংশনে পৌঁছালে একই লাইনে ঢাকা থেকে আসা দাঁড়িয়ে থাকা তেলবাহী ট্রেনের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষে দুমড়ে মুচড়ে যায় বগি। ঘটনাস্থল থেকে দুই লোকোমাস্টারসহ চারজনকে গুরুতর অবস্থায় উদ্ধার করে নেয়া হয় হাসপাতালে। দুই রেলের ইঞ্জিনসহ ১১টি বগি লাইন থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
মন্তব্য করুন
তাপদাহ হাঁসফাঁস করছে মানুষ। স্বস্থি পেতে ব্যাবহার করছে এসি। এসিতে মানুষকে একটু হলে স্বস্তি দিচ্ছে। তবে এই আরামও আপনার জন্য ক্ষতিকর হতে পারে, যদি দীর্ঘ সময় এসিতে থাকেন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সারাদিন এসিতে থাকার ক্ষতিকর প্রভাব পড়ে শরীরে।
শ্বাসকষ্ট
যাদের শ্বাসকষ্টের সমস্যা আছে তারা এসিতে থাকার ক্ষেত্রে সতর্ক থাকবেন। কারণ অনেকের ক্ষেত্রে দীর্ঘ সময় এসি রুমে থাকার কারণে শ্বাসকষ্ট বা খুশখুশে কাশি দেখা যায়। সেইসঙ্গে গলা শুকিয়ে আসা, চোখ শুষ্ক হয়ে যাওয়ার মতো সমস্যাও দেখা দিতে পারে। তাই আগেভাগেই হতে হবে সতর্ক। অনেকের ক্ষেত্রে দীর্ঘ সময় এসিতে থাকার ফলে নাক বন্ধ হয়ে যাওয়ার মতো সমস্যা হতে পারে। মিউকাস মেমব্রেনে প্রদাহের সমস্যাও হতে পারে এই অভ্যাসের ফলে।
পানি শূন্যতা
গরমের সময় যেকোনোভাবে শরীরকে হাইড্রেটেড রাখার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। কিন্তু এসি থাকলে আপনার শরীর বেশি আর্দ্রতা শোষণ করবে। যে কারণে ডিহাইড্রেশন দেখা দেয়ার ভয় থাকে। তাই এসিতে থাকলেও আপনাকে একটু পর পর পান করতে হবে পর্যাপ্ত পানি।
মাথাব্যথা
মেডিসিন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দীর্ঘ সময় এসিতে থাকলে মাইগ্রেনের সমস্যা দেখা দিতে পারে অনেকের ক্ষেত্রেই। তবে শুধু মাইগ্রেন নয়, সেইসঙ্গে যেকোনো ধরনের মাথাব্যথাই বেড়ে যেতে পারে এই অভ্যাসের কারণে। ঠান্ডাজনিত অসুখের কারণে মাথা ব্যথার প্রকোপও দেখা যায়। তাই এসি রুমে থাকার ক্ষেত্রে এই বিষয়গুলোর প্রতি খেয়াল রাখুন।
ত্বকের সমস্যা
তীব্র গরমে দীর্ঘ সময় এসিতে থাকলে ত্বকের ওপর প্রভাব পড়ে। কারণ এর ফলে ত্বক শুষ্ক হয়ে যায়। অনেক সময় ত্বক ফেটে গিয়ে চুলকানি দেখা দিতে পারে। আবার রোদ ও এসির ঠান্ডা এই দুইয়ের মাঝে আমাদের ত্বক অনেক সময় খাপ খাওয়াতে পারে না। যে কারণে ত্বকে দেখা দেয় অনেক ধরনের সমস্যা।
মন্তব্য করুন
নওগাঁর পত্নীতলায় প্রথম ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে ঘোড়া মার্কার প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল খালেক চৌধুরীর নির্বাচনী প্রচারণায় অংশগ্রহণ করায় ছাত্রদলের দুই নেতাকে শোকজ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২ মে) নওগাঁ জেলা ছাত্রদলের দপ্তর সম্পাদক ফরহাদ হোসেনের স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে তাদের কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়।