নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:৫৯ পিএম, ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২১
আজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এক অনন্য রেকর্ডের মুখোমুখি হবেন। জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যখন তিনি ভাষণ দেবেন তখন তিনি হবেন বিশ্বে একমাত্র নির্বাচিত সরকার প্রধান যিনি সর্বাধিকবার জাতিসংঘে ভাষণ দিয়েছেন। জাতিসংঘে এ পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী সশরীরে উপস্থিতি ১৭টি ভাষণ দিয়েছেন। গত বছর (৭৫ তম) সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে তিনি ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে ভাষণ দেন। অর্থাৎ জাতিসংঘে সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে আজকের ভাষণটি নিয়ে তার ১৮টি ভাষণ হবে। বিশ্বে আর কোন নির্বাচিত সরকার প্রধানের ১৮টি ভাষণের রেকর্ড নেই। এর আগে নির্বাচিত সরকার প্রধানদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে ভাষণ দিয়েছিলেন মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী মাহাথির মোহাম্মদ। তিনি সশরীরে উপস্থিত হয়ে মোট ১৬টি ভাষণ দিয়েছিলেন। আর এই রেকর্ডটি ভেঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এক নতুন রেকর্ড স্থাপন করলেন। শুধু তাই নয় জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে শেখ হাসিনা বিভিন্ন ক্ষেত্রেই অনন্য এবং অসামান্য মর্যাদার রেকর্ড তৈরি করেছেন। জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে তিনি সবচেয়ে দীর্ঘ সময় থাকা নারী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ অধিবেশনে উপস্থিত থেকেছেন, নারীর ক্ষমতায়নের জন্য কথা বলেছেন।
জাতিসংঘের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাই সর্বাধিক ৯টি বিভিন্ন ধরনের সম্মাননা এবং এবং স্বীকৃতি পেয়েছেন, যেটি আর কোন সরকার প্রধান পাননি। জাতিসংঘে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাই একমাত্র নেতা যিনি জলবায়ু ইস্যু নিয়ে দীর্ঘ দিন কথা বলেছেন। বিভিন্ন দেশের সরকার প্রধানদের মধ্যে শেখ হাসিনাই প্রথম যিনি একটি বিশ্ব শান্তির মডেল জাতিসংঘে উপস্থাপন করেছেন এবং জাতিসংঘে সেই মডেলটি সর্বসম্মতভাবে গৃহীত হয়েছে। জাতিসংঘে শেখ হাসিনাই একমাত্র নির্বাচিত সরকার প্রধান যার ১৮তম ভাষণের সবগুলোই বাংলা ভাষার হয়েছে। বাংলা ভাষায় সর্বাধিক ভাষণ দেওয়ার অর্জনটিও শেখ হাসিনার। শেখ হাসিনাই জাতিসংঘের একমাত্র নেতা যিনি তার দেশকে নিম্নআয়ের দেশ থেকে আস্তে আস্তে স্বল্পোন্নত দেশ হিসেবে নিয়ে এসেছেন এবং জাতিসংঘ তার স্বীকৃতিও দিয়েছে। এ বছর এসডিজি অর্জনের স্বীকৃতি পেয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাই একমাত্র সরকারপ্রধান যিনি নারীর ক্ষমতায়ন, শিক্ষা, লিঙ্গ বৈষম্য দূর করা, বিশ্ব শান্তি, জলবায়ু পরিবর্তন এবং উগ্রবাদ-মৌলবাদ-জঙ্গিবাদ নিয়ে জাতিসংঘে কথা বলেছেন। যেখানে জনগণের দুর্ভোগ, দুর্দশা সেখানেই শেখ হাসিনা। জাতিসংঘে তিনি উপস্থিত হন নিপীড়িত মানুষের কণ্ঠস্বর হিসেবে। আজকের ভাষণ দেওয়ার মধ্য দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতিসংঘেই এক অনন্য উচ্চতায় নিজেকে উপস্থাপিত করবেন, বিশ্বের কোনো নেতাই যে উচ্চতায় নেই।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
ফরিদপুর স্বাচিপ সম্মেলন স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ
মন্তব্য করুন
খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, শ্রমিকরাই জাতীয় অর্থনীতির চাকা সচল রাখে। তাই শ্রমিকদের
জন্য কর্মবান্ধব পরিবেশ গড়ে তুলতে হবে। উন্নত কর্মপরিবেশ শ্রমিকের কর্মদক্ষতা ও প্রতিষ্ঠানের
উৎপাদন বৃদ্ধি করে। তাই শোভন কর্মপরিবেশ তৈরিতে বিনিয়োগ করতে হবে।
‘শ্রমিক মালিক গড়ব দেশ; স্মার্ট হবে বাংলাদেশ’ এ প্রতিপাদ্যে দেশে
পালিত হচ্ছে মহান মে দিবস। বুধবার (১ মে) সকালে নওগাঁ জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে জাতীয়
শ্রমিক লীগ নওগাঁ জেলা শাখা আয়োজিত মহান মে দিবসের আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, ‘আমার বাংলার মাটি যদি
থাকে, মানুষ যদি থাকে, একদিন এই বিধ্বস্ত বাংলাকেই আমি সুজলা-সুফলা শস্য-শ্যামলা বাংলায়
রূপান্তরিত করব।’ বাংলাদেশ এখন খাদ্য শষ্য উৎপাদনে স্বয়সম্পূর্ণ। বঙ্গবন্ধু বৈষম্যের
বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলেন সর্বদা। দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটানোর জন্য ছিলেন দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।
তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের
সর্বশ্রেষ্ঠ উন্নয়ন হয়েছে, হচ্ছে এবং ভবিষ্যতেও হবে। শ্রমিকবান্ধব প্রধানমন্ত্রী শ্রমিকদের
কল্যাণে মালিকদের সঙ্গে কথা বলে তাদের মজুরি বৃদ্ধি করেছেন। দেশের ভেতরে ও বাইরে কর্মরত
শ্রমিকদের কঠোর পরিশ্রমে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। অচিরেই স্মার্ট বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত হবে।
অনুষ্ঠানে নওগাঁ সদর আসনের সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার নিজাম উদ্দিন
জলিল বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন। এ ছাড়া নওগাঁ জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি এম
এ খালেক, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাভেদ জাহাঙ্গীর সোহেল, বিভাস মজুমদার
গোপাল, জেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক আব্দুল লতিফ বকুল, জাতীয় শ্রমিক লীগের সভাপতি
মো. আব্দুল মজিদ, ছাত্রলীগের সভাপতি সাব্বির রহমান উপস্থিত ছিলেন।
পরে এক বর্ণাঢ্য র্যালি শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার শ্রমিক মে দিবস
মন্তব্য করুন
বেনাপোল পৌরসভার ঢাকা-বেনাপোল হাইওয়ে সড়কের রজনী ক্লিনিক এর সামনে দুইজন বাইসাইকেল চালক ও ঢাকা থেকে বেনাপোলগামী বাসের মধ্যে দুর্ঘটনায় গোলাম মোস্তফা (৪৮) নামে এক ধান কাটা শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় তার সঙ্গী আনিসুর রহমান (৩৩) নামে আর একজন শ্রমিক মারাত্মক আহত হয়েছেন।
বুধবার (০১ মে) সকাল সাড়ে ৬ টার দিকে এ দুর্ঘটনাটি ঘটে। নিহত গোলাম মোস্তফা ও আহত আনিসুর রহমান উভয় শার্শা উপজেলার লাউতাড়া গ্রামের বাসিন্দা। এ ঘটনায় বাসের চালক, সুপারভাইজার এবং হেলপার পলাতক রয়েছে।
বেনাপোল পৌরসভার কাউন্সিলর শাহীন আলম জানান, ‘আমার পার্শ্ববর্তী লাউতাড়া গ্রামের গোলাম মোস্তফা ও আনিসুর রহমান দুইজনই মাঠে ধান কাটার শ্রমিক। তারা কাজের সন্ধানে বাইসাইকেল চালিয়ে বেনাপোল বাজারের উদ্দেশ্যে স্থানীয় রজনী ক্লিনিকের সামনে দিয়ে আসছিল। এ সময় ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা দ্রুতগামী একটি বাস তাদেরকে ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলে গোলাম মোস্তফা মারা যায়। এবং আনিসুর রহমান মারাত্মকভাবে আহত হয়। আনিসুরকে উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিসের গাড়িতে নাভারন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।’
বেনাপোল পোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি সুমন ভক্ত সড়ক দুর্ঘটনায় দুইজন শ্রমিক হতাহতের ঘটনা স্বীকার করে জানান, সড়ক দুর্ঘটনার সংবাদ পাওয়ার সাথে সাথে সেখানে ফোর্স পাঠায়। সেখান থেকে নিহতের মরদেহ উদ্ধার এবং আহতকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য মৃতদেহটি যশোর জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
সড়ক দুর্ঘটনা শ্রমিক ধানকাটা ময়নাতদন্ত
মন্তব্য করুন
লক্ষ্মীপুর সদরের তেওয়ারীগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন ২৮ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পরপরই হামলার শিকার হয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, নেপথ্যে নির্বাচনে কারচুপি ও অনিয়মের অভিযোগ। এঘটনায় চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্ধিতাকারী দুই প্রার্থীকে পুলিশ হেফাজতে নিয়ে ১১ জনের নাম উল্লেখসহ ৯১১ জনের বিরুদ্ধে দুইটি মামলাও দায়ের করেন। ফলে নির্বাচনের পর আনন্দের বদলে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে ওই ইউনিয়নে।