ইনসাইড বাংলাদেশ

অন্যের কারখানা গুঁড়িয়ে ‘শিশুপার্কের’ সাইনবোর্ড টাঙালেন কাদের মির্জা

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৯:৫৬ এএম, ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২১


Thumbnail

বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জার বিরুদ্ধে আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে একটি আসবাব কারখানা ও স মিল গুঁড়িয়ে দিয়ে জায়গা দখলের অভিযোগ উঠেছে।

গতকাল শুক্রবার (২৪ সেপ্টেম্বর) সকালে বসুরহাট পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের করালিয়া এলাকায় (সারের গুদাম) এ ঘটনা ঘটে। এতে ‘হুমায়ুন টিম্বার মার্সেন্ট অ্যান্ড স মিল’ নামের প্রতিষ্ঠানটির কয়েক কোটি টাকার আর্থিক ক্ষতি হয়েছে দাবি মালিকপক্ষের।

স্থানীয়রা জানান, শুক্রবার সকাল ছয়টার দিকে কাদের মির্জার নেতৃত্বে তার বেশ কিছু অনুসারী ও পৌরসভার কর্মী হুমায়ুন টিম্বার মার্সেন্ট অ্যান্ড স মিলে যায়। তারা দুটি এক্সকাভেটর দিয়ে ভেতরের বিভিন্ন মালামাল গুঁড়িয়ে দেন। পরে মেয়রের অনুসারীরা সেখানে ‘শিশুপার্কের জন্য নির্ধারিত স্থান’ লেখাসংবলিত একটি সাইনবোর্ড টাঙিয়ে দেন।

অভিযোগের বিষয়ে বক্তব্য জানতে একাধিকবার ফোন দিলেও কাদের মির্জার মুঠোফোন গতকাল সন্ধ্যা সোয়া ছয়টায় ব্যস্ত পাওয়া যায়। খুদে বার্তা পাঠানো হলেও কোনো জবাব দেননি তিনি। পরে অন্য একটি নম্বর থেকে যোগাযোগ করা হলে ফোন ধরেন কাদের মির্জা। 

 কারখানার মালিক ফিরোজ আলম অভিযোগ করেন, তারা ১৯৯০ সাল থেকে করালিয়া মৌজার ডিএস ১৩৩ নম্বর খতিয়ানের ৫৫৮ নম্বর দাগের ১৭ শতাংশ জমির ক্রয়সূত্রে মালিক। জমি কেনার পর তারা সেখানে ‘হুমায়ুন টিম্বার মার্সেন্ট অ্যান্ড স মিল’ প্রতিষ্ঠা করেন। সম্প্রতি বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আকস্মিকভাবে ওই জমি ‘খাস’ দাবি করেন এবং জমি থেকে তাদের স্থাপনা সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশনা দেন।

তিনি জানান, ওই আদেশের বিরুদ্ধে তারা জেলা জজ আদালতে গত ২৫ মার্চ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন। আদালত মামলা আমলে নিয়ে বিরোধীয় ভূমিতে বিবাদী পক্ষের প্রবেশে অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন। কিন্তু আদালতের আদেশ অমান্য করে কাদের মির্জার নেতৃত্বে প্রায় ২০০ অনুসারী ও পৌরসভার এক্সকাভেটর মেশিন গিয়ে তাদের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানটি ভাঙচুর করে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। এ সময় তারা প্রতিষ্ঠানের মূল্যবান কাঠসহ অনেক মালামাল পৌরসভার গাড়ি বোঝাই করে নিয়ে যান।

ফিরোজ আলমের অভিযোগ, মেয়র আবদুল কাদের মির্জার নেতৃত্বে চলা প্রায় তিন ঘণ্টার তাণ্ডবলীলায় তার প্রতিষ্ঠানের কয়েক কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে। ঘটনার পর তিনি কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি), জেলা পুলিশ সুপার ও জেলা প্রশাসককে ফোন করে ঘটনাটি অবহিত করেন এবং আইনগত সহায়তা চান। কিন্তু প্রশাসনের লোকজন তার সহযোগিতায় এগিয়ে আসেননি বলেও জানান তিনি।

কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাইফুদ্দিন আনোয়ার বলেন, তাকে প্রতিষ্ঠানটির মালিক ফোনে ঘটনাটি জানানোর পর তিনি পুলিশ পাঠিয়ে মেয়রকে আদালতের নিষেধাজ্ঞার বার্তাটি পৌছান। এরপর পুলিশ সেখান থেকে চলে আসে। তবে এ ঘটনার বিষয়ে ক্ষতিগ্রস্ত পক্ষটি থানায় কোনো অভিযোগ করেনি।

ফিরোজ আলমের বড় ভাই হুমায়ুন কবিরকে ২ সেপ্টেম্বর দেয়া পৌরসভার চিঠিতে বলা হয়, আপনি সরকারি খাস সম্পত্তির ওপর বিধিবহির্ভূতভাবে স্থাপনা নির্মাণ করেছেন। জনস্বার্থে উক্ত জায়গার ওপর বসুরহাট পৌরসভার শিশুপার্ক নির্মাণের জন্য প্রস্তাব করা হয়েছে। নোটিশ প্রাপ্তির সাত দিনের মধ্যে আপনার বিধিবহির্ভূত স্থাপনা সরিয়ে নেওয়ার জন্য পুনর্নির্দেশ দেওয়া হলো।’ এর আগে গত ২২ মার্চ একই বিষয়ে আরেকটি নোটিশ করা হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে এবং স্থাপনা সরিয়ে না নিলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের কথা বলা হয়েছে।

জায়গাটি খাস সম্পত্তি কি না, তা জানার জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জিয়াউল হক মীরকে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি ফোন ধরেননি।

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম খান বলেন, বসুরহাটের ওই জায়গাটি খাস কি না, কাগজপত্র না দেখে বলা যাবে না। তবে কিছুদিন আগে পৌরসভা থেকে একটি শিশুপার্ক নির্মাণের প্রস্তাব তার কাছে পাঠানো হয়েছিল। তিনি বিষয়টি খতিয়ে দেখতে ইউএনওকে ওই প্রস্তাবের চিঠিটি পাঠিয়ে দিয়েছেন। কিন্তু মেয়রের প্রস্তাবিত শিশুপার্কের স্থান কোনটি, তা তিনি এই মুহূর্তে বলতে পারছেন না।



মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

সুন্দরবনের আগুন নিয়ন্ত্রণে: ফায়ার সার্ভিস

প্রকাশ: ১২:২১ পিএম, ০৬ মে, ২০২৪


Thumbnail

পূর্ব সুন্দরবনের লতিফের সিলা এলাকায় লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। সোমবার (০৬ মে) সকালে ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক অপারেশন ও মেইনটেনেন্স লে. কর্নেল তাজুল ইসলাম আনুষ্ঠানিকভাবে আগুন নিয়ন্ত্রণের ঘোষণা দেন।

তিনি বলেন, বেলা ১০টা ৩৫ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়েছে। গতকাল রবিবার (০৫ মে) সকাল ৬টা থেকে টানা ২৮ ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে ফায়ার সার্ভিস, নৌবাহিনী, বনবিভাগ, বিমানবাহিনী ও স্থানীয় শতশত স্বেচ্ছাসেবক।

শনিবার (৪ মে) দুপুরে আমরবুনিয়া ফরেস্ট ক্যাম্পের অধীন লতিফের সিলা এলাকায় অগ্নিকাণ্ডের খবর পান বন বিভাগের কর্মকর্তারা।

নৌবাহিনীর কর্মকর্তা কমান্ডার মো. বাশারুল ইসলাম, চাঁদপাই রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক(এসিএফ) রানা দেব, মোরেলগঞ্জ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো৷ আশিকুর রহমান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এসএম তারেক সুলতান, থানার ওসি মোহাম্মদ সামসুদ্দীন এ সময় উপস্থিত ছিলেন। 

ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক আরও বলেন, আগুন এখন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে। কোথাও আগুনোর ফুলকি বা ধোঁয়া নেই। তবে, ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা আরও ২ দিন কাজ করবে কালো ছাই সাদা করার জন্য। এরপর ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা বন ত্যাগ করবে।


সুন্দরবন   আগুন   ফায়ার সার্ভিস  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

ব্রিজ আছে, নেই সংযোগ সড়ক

প্রকাশ: ১২:০৪ পিএম, ০৬ মে, ২০২৪


Thumbnail চারদিকে বিস্তীর্ণ ফসলের মাঠ, মাঝখানে ঠাই দাড়িয়ে আছে সংযোগ সড়কহীন ব্রীজ

চারপাশে বিস্তীর্ণ ফসলের মাঠ। মাঝখানে ঠায় দাঁড়িয়ে আছে একটি ব্রিজ। ব্রিজের ওপর ওঠার জন্য নেই কোনো সংযোগ সড়ক। নির্মাণের এক যুগ পরও সংযোগ সড়ক নির্মিত না হওয়ায় দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে হাজার হাজার মানুষকে।

 

সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলার নলকা ইউনিয়নের গাড়-দহ ও বোয়ালিয়ার চর খালের উপর ২০১২-১৩ অর্থবছরে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে প্রায় ৭৭ লাখ টাকা ব্যয়ে ব্রিজের নির্মাণ হলেও হয়নি সংযোগ সড়ক। ফলে ব্রিজের ওপর দিয়ে কোনো ধরনের যানবাহন ও মানুষ চলাচল করতে পারে না। গাড়-দহ ও বোয়ালিয়ার চর গ্রামের মানুষ এ ব্রিজের ওপর দিয়ে না গিয়ে নিচের জমির ওপর দিয়ে তৈরি একটি সরু রাস্তা দিয়ে চলাচল করেন। আর বর্ষা মৌসুমে রাস্তাটি ডুবে গেলে নৌকা দিয়ে চলাচল করেন।


আরও পড়ুন: আওয়ামী লীগের সম্পাদকমণ্ডলীর সভা আজ

 

এরান্দহ গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল হাই অভিযোগ করে বলেন, ব্রিজটি নির্মাণ করলেও জনগণের কোনো উপকারে আসছে না। অবিলম্বে সেতুর দুই পাশে সংযোগ সড়ক নির্মাণ করে মানুষের চলাচল উপযোগী করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ জানান তিনি।

 

স্থানীয়রা জানান, উপজেলার নলকা ইউনিয়নের এরান্দহ, বোয়ালিয়ার চর, কাঁঠালবাড়ীয়া সহ আশপাশের কয়েকটি গ্রামের হাজার হাজার মানুষ এ রাস্তা দিয়ে চলাচল করেন।

 

ওই এলাকার আব্দুল আলীম নামের স্থানীয় এক মুদির দোকানদার বলেন, সেতুর সঙ্গে কোনো রাস্তা না থাকায় বাজার থেকে দোকানের মালামাল সিএনজিচালিত অটোরিকশায় করে নেওয়া যায় না। মাথায় করে বাড়িতে আনতে হয়।


আরও পড়ুন: আন্দোলন ঠেকাতে কঠোর অবস্থানে যাচ্ছে সরকার

 

স্থানীয় বোয়ালিয়ার চর সরকারি বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রী ও শিক্ষকরা জানান, তারা প্রতিদিন এ সড়ক দিয়ে স্কুলে যান। এই ব্রিজে সংযোগ সড়ক না থাকায় বিকল্প রাস্তায় চলাচল করতে হয়। এতে প্রায় ৭/৮ কিলোমিটার রাস্তা বেশি অতিক্রম করতে হয়।

 

নলকা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আবু বক্কর সিদ্দিক জানান, জনগণের জন্য ব্রিজটি নির্মাণ করা হলেও সংযোগ সড়ক না থাকায় মানুষ সুফল পাচ্ছেন না।'

 

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা গোলাম রব্বানী বলেন, এ বছর বরাদ্দ দিয়ে সেতুটির এপ্রোজের মাটি ভরাট করা হবে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ নাহিদ হাসান বলেন, ত্রাণের অধিকাংশ সেতুর এপ্রোজের মাটি নেই। সেতুর তালিকা করে বরাদ্দ দিয়ে অচিরেই মাটি ভরাট করা হবে। বোয়ালিয়ার চর খালের উপর নির্মিত সেতুটি লোকজনের যাতায়াতের জন্য জরুরি। এ ব্যাপারে অচিরেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


ব্রিজ   সংযোগ সড়ক  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

রাষ্ট্রপতির সঙ্গে বাউবি উপাচার্যের সাক্ষাৎ

প্রকাশ: ১১:৪৬ এএম, ০৬ মে, ২০২৪


Thumbnail

রাষ্ট্রপতি এবং বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাউবি) চ্যান্সেলর মো. সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে বঙ্গভবনে এক সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন বাউবির উপাচার্য অধ্যাপক ড. সৈয়দ হুমায়ুন আখতার। 

বাউবির তথ্য ও গণসংযোগ বিভাগের পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) ড. আ.ফ.ম. মেজবাহ উদ্দিন রবিবার (০৫ মে) রাতে এই তথ্য জানান।

সাক্ষাৎকালে উপাচার্য বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভাবনী ও কর্মমূখী শিক্ষা কার্যক্রম, শিক্ষার্থী বান্ধব প্রযুক্তি সহায়তা, বহিঃবাংলাদেশে বাউবির প্রসারসহ সার্বিক অগ্রগতি তুলে ধরেন। 

এসময় রাষ্ট্রপতিকে উপাচার্য বাউবির নতুন লোগো, ক্রেস্ট, বার্ষিক প্রতিবেদন, পরিক্রমা, ডায়েরি ও ক্যালেন্ডার তার হাতে তুলে দেন। 

রাষ্ট্রপতি উপাচার্যের বিভিন্ন কথা গুরুত্ব সহকারে শোনেন এবং আগামীর স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে দিক নির্দেশনা দেন।


রাষ্ট্রপতি   বাউবি   উপাচার্য   সাক্ষাৎ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

ছেলেকে বাঁচাতে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে প্রাণ হারাল বাবা

প্রকাশ: ১১:২৭ এএম, ০৬ মে, ২০২৪


Thumbnail

শেরপুরের নকলার পিপড়ি গ্রামে আব্দুর রহমান পচন (৫৫) নামের এক কৃষক ছেলেকে বাঁচাতে গিয়ে নিজেই বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা গেছেন। রবিবার (৫ মে) দুপুরে এ ঘটনাটি ঘটে। এঘটনায় নিহত আব্দুর রহমান পচন উপজেলার পাঠাকাটা ইউনিয়নের পিপড়ি গ্রামের মৃত জনাব আলীর ছেলে।

 

জানা গেছে, পিপড়ি গ্রামের নিহত আব্দুর রহমান পচনের ছেলে মোখলেসুর রহমান তার ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা চার্জ দিয়েছিলো। এতে অটোরিকশাটি বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে যায়। মোখলেসুর রহমান অটোরিকশাটি বের করতে গেলে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে পড়ে সে। বাড়ির লোকজন তাকে উদ্ধার করে। ছেলের আহত অবস্থা দেখে তাকে হাসপাতালে নেয়ার জন্য বাবা আব্দুর রহমান পচন ওই অটোরিকশা বের করতে গেলে তিনিও বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে যায়। পরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় পিতা পুত্রকে  নকলা উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক পচনকে মৃত ঘোষণা করেন এবং ছেলে মোখলেসকে শেরপুর জেলা হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।


নকলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল কাদের ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, নিহত আব্দুর রহমান পচনের পরিবারের পক্ষ থেকে তার লাশ বিনা ময়নাতদন্তে দাফনের জন্য আবেদন করা হয়েছে। এ ব্যাপারে পরবর্তীতে আইনগত পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে। 


বিদ্যুৎস্পৃষ্ট   অটোরিকশা   চার্জ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

তৃষ্ণার্ত ট্রেনযাত্রীদের পানি পান করিয়ে প্রশংসিত টিটিই

প্রকাশ: ১১:০৩ এএম, ০৬ মে, ২০২৪


Thumbnail ট্রেন যাত্রীদের মধ্যে পানি বিতরণ করছেন টিটিই আব্দুল আলীম বিশ্বাস মিঠু

পাবনার ঈশ্বরদী রেলওয়ে স্টেশনের টিউবওয়েলে পানির স্তর নেমে যাওয়ায় পানি ওঠেনা প্রায় দুই মাস। ফলে অকেজো সবগলো টিউবওয়েল। এদিকে ঈশ্বরদীতে প্রতিদিন গড় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৯ থেকে ৪২ ডিগ্রিতে ওঠানামা করছে। তীব্র তাপপ্রবাহে হাঁসফাঁস করছে মানুষ।

 

এমন অবস্থায় ট্রেনে ভ্রমণকারী শত শত সাধারণ ট্রেনযাত্রী প্রতিদিন ট্রেন থেকে নেমে টিউবওয়েল থেকে পানি তুলতে গিয়ে ব্যর্থ হচ্ছেন। শিশু বৃদ্ধদের নিয়ে যাত্রীরা পড়ছেন মহা বিপাকে।

 

ট্রেন যাত্রীদের এমন কষ্টের দৃশ্য দেখে নিজেকে স্থির রাখতে পারেননি ঈশ্বরদী রেলওয়ের একজন মানবিক টিকিট পরিদর্শক (সিনিয়র টিটিই) আব্দুল আলীম মিঠু। তিনি ব্যাক্তিগত উদ্যোগে বাড়ি থেকে পানি এনে ট্রেন যাত্রীদের পান করানোর মানবিক উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। টিটিই মিঠু প্রতিদিন তৃষ্ণার্ত ট্রেনযাত্রীদের এই পানি পানের ব্যবস্থা করায় এই গরমে ট্রেনযাত্রীরা অনেকটা পানির কষ্ট থেকে মুক্তি পেয়েছেন। 

 

দেখা গেছে, ঈশ্বরদী রেলওয়ে জংশন স্টেশনে কোনো ট্রেন এসে থামলেই বড় বড় পানির বোতল থেকে গ্লাসে ও ছোট বোতলে ঢেলে ট্রেন যাত্রীদের পানি খাওয়াতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন টিটিই মিঠু।

 

ট্রেন যাত্রীরা বলেন, ঈশ্বরদী রেলওয়ে জংশন স্টেশন ট্রেন থেকে নেমেই এক-দু গ্লাস সুপেয় ঠান্ডা পানি পান করতে পারছি। শুকিয়ে যাওয়া গলাটা ভেজাতে পারছি এই প্রচন্ড তাপদাহের মধ্যে এটা অনেক বড় উপকার। 

 

এ বিষয়ে ঈশ্বরদী রেলের সিনিয়র টিটিই আব্দুল আলীম বিশ্বাস মিঠু বলেন, ঈশ্বরদী রেলওয়ে জংশন স্টেশন দেশের অন্যতম বড় ও ব্যস্ততম স্টেশন। এই স্টেশন দিয়ে প্রতিদিন ২০ থেকে ৩০টি ট্রেন চলাচল করে। অথচ এই স্টেশনের একমাত্র টিউবওয়েলটি দীর্ঘদিন ধরে অচল হয়ে আছে। তাপদাহ শুরুর পর থেকে পানি ওঠে না। এই অবস্থায় প্রতিদিন ট্রেন যাত্রীরা যখন ট্রেন থেকে নেমে টিউবওয়েল থেকে পানি না পেয়ে হতাশ হন, সে দৃশ্য দেখে আমার কষ্ট হয়। সে কারণে ব্যাক্তিগতভাবে বড় বড় পানির জার ও বোতল বাজার থেকে কিনে বাড়ি থেকে তা ভর্তি করে স্টেশনে ট্রেনের জন্য অপেক্ষমান ও ট্রেন থেকে নামা যাত্রীদের পানি পান করানোর এই ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। এতে আমি মানসিকভাবে অন্যরকম প্রশান্তি অনুভব করি। 

এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে পাকশী পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের জেনারেল ম্যানেজার (জিএম) অসিম কুমার তালুকদার বলেন, ‘আমি নিজেও ব্যাক্তিগত উদ্যোগে ইতোমধ্যে চলন্ত ট্রেনের যাত্রীদের শরবত পান করার ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। টিটিই মিঠুর এই মানিবক উদ্যোগের কথাও আমি জেনেছি। তার উদ্যোগ প্রশংসনীয়। গরমে সকলেরই এ ধরনের মানবিক উদ্যোগ গ্রহণ করা উচিৎ।’        


ট্রেন   পানি   তৃষ্ণার্ত  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন