ইনসাইড বাংলাদেশ

অসাম্প্রদায়িকতার একাল-সেকাল

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১০:০০ এএম, ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০২১


Thumbnail

কাজী নজরুল ইসলামের ‘হিন্দু-মুসলমান’ কবিতার বিখ্যাত একটি লাইন ‘মোরা একই বৃন্তে দুটি কুসুম হিন্দু-মুসলমান’। অন্তরে যা-ই থাক, মাহফুজ আনামসহ সব শ্রেণি- পেশার মানুষই নিজের সুবিধা মতো এ লাইনটি আওড়ায়। নজরুল সুস্থ্ থাকার শেষদিন পর্যন্ত আপ্রাণ চেষ্টা করে গেছেন হিন্দু-মুসলমানের মিলন ঘটাতে, কিন্তু পারেননি তিনি। ব্যর্থ হয়েছিলেন। ভেতরে ফাঁকা, বাইরে লেবাসের যুগে জন্ম নেয়া এই মহান কবির সব চেষ্টা বিফলে যেতো এখনকার মাহফুজ আনাম গংদের মতো কিছু স্বার্থান্বেষী মহলের কারণে। তারা নিজেদের কারবার বাড়ানোর জন্য সব সময়ই চাইতেন ‘হিন্দু-মুসলমান’ সমস্যাটি জিইয়ে থাক। তাতে ফায়দা বেশি তাদেরই। 

নজরুল ইসলামের পরাধীন এ অঞ্চলে শুরু হওয়া এ সমস্যা স্বাধীন দেশে যেখানে সুরাহা হওয়ার কথা ছিল, সেখানে সেটা না হয়ে বরং উল্টোটা হচ্ছে। গত  ২৪ সেপ্টেম্বর  ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি কার্যালয়ে হিন্দু আইন পরিবর্তন প্রতিরোধ সম্মিলিত পরিষদ ও এর সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করা ৪৩টি সংগঠন ডেইলি স্টার সম্পাদক মাহফুজ আনামের বিরুদ্ধে  এক সংবাদ সম্মেলন করে। এ সময় বিভিন্ন সংগঠনের নেতারা বলেন, সনাতনী সমাজে বিবাহ চুক্তি নয়, এটি একটি পবিত্র ব্রত। বিবাহের মাধ্যমে স্বামী-স্ত্রী শাস্ত্রবিধি ও হিন্দু আইন অনুযায়ী অবিচ্ছেদ্যভাবে একাত্ম হয়ে যান। তারা পরিবারের সম্পদ-সম্পত্তিও যৌথভাবে ভোগ করে থাকেন। যুগ যুগ ধরে শাস্ত্রীর বিধানের ঐশীবন্ধনে হিন্দু সম্প্রদায়ের তথা সনাতনী সমাজের পরিবারগুলো শান্তিময়-ভারসাম্যপূর্ণ অবস্থায় চলমান। কতিপয় এনজিওসহ একটি বিশেষ মহলের কারসাজিতে তা বিনষ্ট করার ষড়যন্ত্র চলছে।

মাহফুজ আনাম কী চাচ্ছেন আসলে?

একজন সম্পাদক, একজন ডোরকিপারের বিরুদ্ধে যখন সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ঐক্যে চিড় ধরানোর চেষ্টা করার অভিযোগ ওঠে, তখন পেছনে ফেরা অনিবার্য হয়ে ওঠে। কেননা একজন সম্পাদকের ভালো করেই জানা দেশে সংখ্যালঘুর প্রতি সংখ্যাগুরু সুযোগ পেলে যে ধরণের কুৎসিত নিপীড়ন চালায় তার সঙ্গে কোনো নিপীড়নের তুলনা চলে না। কবি নির্মলেন্দু গুণ লিখেছিলেন, ‘রাইত ভর ঘুমাইতে পারিনা’ !/  ‘ওরা আবার কহন আহে’ / ‘যশোর  মালোপাড়া, অভয়নগর, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর, কক্সবাজারের রামু’। এছাড়াও খবরের আঁড়ালে চাপা পড়েছে নাম না জানা অসংখ্য দৈন্যতার উদাহরণ। পাশাপাশি খ্যাতনামা অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক আবুল বারকাত গবেষণা করে দেখিয়েছেন যে,  ২০০১-১৩ সালের মধ্যে বাংলাদেশ থেকে গড়ে প্রতিদিন ৭৭৪ জন হিন্দু দেশ ত্যাগ করেছেন। এই হার আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি। এরকম একটি পরিস্থিতিতে যেখানে আমরা হিন্দুদের কনফিডেন্সে আনতে পারছি না সেখানে ওয়ান-ইলেভেনের কুশীলব আনাম ও তার স্ত্রী বেসরকারি সংস্থা মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক শাহীন আনাম হিন্দু সম্প্রদায়কে উসকাচ্ছেন। মাহফুজ আনাম কী চাচ্ছেন আসলে? সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা? নাকি মাৎস্যন্যায় পরিস্থিতির সৃষ্টি? নাকি  আরেকটি এক-এগারো? 

রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা বলছেন, মাহফুজ আনাম যা চাচ্ছেন তা খুবই ভয়ানক এবং একই সঙ্গে সংক্রমিত সাম্প্রদায়িক বিষবাষ্পের পুনরুত্থান। এ খাতে বিনিয়োগও আসে মোটা অঙ্কের। পরিস্থিতি অত্যন্ত জটিল। মানুষকে তার মূলে ফিরতে হয়। ফলে ইতিহাস থেকে শিক্ষা নেয়া ছাড়া আমাদের কোনো গতি নেই বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা। 

 ইতিহাস

চলতি সময়ের দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে পেছনে ফিরে তাকানোর নামই ইতিহাস। ইতিহাসের এ সংজ্ঞাকে কেন্দ্র করে বলা হয়ে থাকে যে, মনুষ্য সকলেই ইতিহাসের সন্তান। ইতিহাস বলে, হাজার বছর ধরে সমৃদ্ধির সঙ্গে বসবাস করে আসা বাংলা অঞ্চলের মানুষদের মধ্যে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি এক মহান ঐতিহ্য। দুঃখের দহনে পোড়া এ অঞ্চলের মানুষেরা প্রাচীনকাল থেকে বাঁচার প্রয়োজনে সন্ধান করেছে অতি প্রাকৃত শক্তির উৎস এবং আস্থা স্থাপন করেছে পরিচিত শক্তির ওপর। জমিনে ফসল ফলানো এ কৃষক শ্রেণীর অধিকাংশই বার বার ধর্মান্তরিত হয়েছে সত্য তবে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে তাদের চলাফেরা, সন্তানদের নাম রাখা থেকে শুরু করে কথা-বার্তা ছিল প্রায় অভিন্ন।

বর্তমানে বাঙালি মুসলমানদের অনেকে নিজেদের মুসলমানিত্ব নিয়ে নতুন নতুন উপাখ্যান হাজির করলেও বঙ্গভঙ্গের আগে অর্থাৎ উনিশের শতক পর্যন্ত চিত্রপট  ছিল ভিন্ন। এর প্রমাণ পাওয়া যায় ১৮৭১ থেকে ১৮৭৫ পর্যন্ত বরিশাল বাকেরগঞ্জের জেলা ম্যাজিস্ট্রেট হেনরি বেভারিজ বা এইচ বেভারিজ রচিত ‘দি ডিস্ট্রিক্ট অব বাকেরগঞ্জ: ইটস হিস্ট্রি এন্ড স্ট্যাটিস্টিকস’ বইটিতে। ধর্মীয় ভিত্তিতে বাংলা অঞ্চলের মানুষদের আলাদা করে চিনতে না পেরে ১৮৭৬ সালে প্রকাশিত এ বইটিতে তিনি লেখেন, ‘বাকেরগঞ্জবাসীর দিকে তাকালে বুঝা যায় না এদের মধ্যে কে হিন্দু আর কে মুসলমান।  তারা মুসলমান বা হিন্দু ধর্মাবলম্বী হওয়ার আগে বাঙ্গালি ছিল, এখনও বাঙ্গালি আছে। তাদেঁর সম্পর্কে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সত্য হল তারা বাঙ্গালি জাতিভুক্ত।’

ইসলাম ধর্মের সঙ্গে দেশীয় সংস্কৃতির সমন্বয়

ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করার পর বাঙালির আদি বিশ্বাস, আচার আচরণ, প্রথা ইত্যাদিতে খুব একটা বদল ঘটেনি। প্রাচীনকাল থেকে বসবাসের ফলে বংশানুক্রমে উত্তরাধিকার সূত্রে যে জীবনাচার বাঙালিরা লাভ করেছেন তা পালন করেও নতুন ধর্ম পালন করা সম্ভব হয়ে উঠে তাঁদের পক্ষে। ধর্মান্তরিত হলেও বাঙালি সমাজের ধারাবাহিকতা ও জীবনযাত্রা প্রণালীর ব্যাপক রদবদল ঘটেনি সেসময়।

নামের মিল

আজকের দিনে যদিও নাম শুনেই বলা যায় কে হিন্দু আর কে মুসলমান, কিন্তু আগে এমনটা ছিল না। বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক ও গবেষক  রাফিউদ্দিন আহমেদের  ‘দ্যা বেঙ্গল মুসলিমস ১৮৭১-১৯০৬’ বইটিতে স্পষ্ট উল্লেখ আছে, সেসময় ছেলে-মেয়েদের নাম রাখার ক্ষেত্রে কোন পার্থক্য ছিল না স্থানীয় হিন্দু বা মুসলমান পরিবারগুলোর। সে সময় স্থানীয় হিন্দু- মুসলিম ছেলে মেয়েদের যে সব নাম রাখা হত: ছেলে- হারাধন মণ্ডল, বাঘা,  মিচু প্রামণিক, নারায়ণ তরফদার, জরু সরকার, মণ্ডল সরকার, হাবলা ইত্যাদি। মেয়ে- শোভানী, মান্দী, শাবানী, জাহুরী, গেন্দী, বাতাসী, জিরা ইত্যাদি।

ফান্ডামেন্টালের নামে পাকিস্তান আমল থেকে শুরু করে এখন পর্যন্ত এ দেশকে একটি ধর্ম-রাষ্ট্রে পরিণত করার দিবাস্বপ্নে বিভোর হয়ে আছে একদল ধর্মান্ধ লোক ও কয়েকটি সাম্প্রদায়িক রাজনৈতিক দল। বিএনপিসহ সুবিধাবাদী রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গেও তাদের সখ্যতা তুঙ্গে। এমনকি কিছু ছদ্মবেশী বুদ্ধিজীবীও প্রগতিশীলতার মুখোশ পরে তাদের এই প্রচেষ্টার সঙ্গে সামিল আছেন। তাদের এই চেষ্টা অব্যাহত থাকবে বলেই ধরে নেয়া যায়। কিন্তু বাঙালি সংস্কৃতির যে হাজার বছরের ইতিহাস তাতে নিশ্চিত করেই বলা যায়, একে পরাজিত করা যাবে না। এ দেশের মানুষের মনোজগতে আছে শান্তি-সম্প্রীতি-ভ্রাতৃত্ব-মানবতা ও সাম্যের প্রতি দায়। এ অঞ্চল নজরুলের, এ অঞ্চল রবীন্দ্রনাথের। কোনও মৌলবাদী গোষ্ঠী তত্ত্ব দিয়ে এ বন্ধন ছিন্ন করতে পারেনি। বাঙালি তার সংস্কৃতিকে চিরকাল অপরাজেয় রূপে দেখতে চেয়েছে বলেই পরাজিত হতে দেয়নি। তাই এই এতকাল পর এসে আমাদেরকে পরাজিত করার কথা  কোনও মূর্খ ছাড়া আর কে-ই বা ভাববে!



মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

বিদ্যুৎস্পৃষ্টে একই পরিবারের ৩ জনের মৃত্যু

প্রকাশ: ০২:৩৯ পিএম, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার নিয়ামতি ইউনিয়নে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে দুই সন্তানসহ মায়ের মৃত্যু হয়েছে। শনিবার (২৭ এপ্রিল) দুপুরে ডালমারা গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। উপজেলার নিয়ামতি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হুমায়ূন কবির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যাচ্ছি। ঘটনাস্থলে পৌঁছে বিস্তারিত জানাতে পারব।

বাকেরগঞ্জ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আফজাল হোসেন বলেন, আজ শনিবার (২৭ এপ্রিল) বেলা ১১টার দিকে নিয়ামতি ইউনিয়নের ডালমারা গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। এতে গৃহবধূ সোনিয়া বেগম (৩১), তার ৯ বছরের মেয়ে রেজমি আক্তার ও ৫ বছরের ছেলে সালমান মোল্লা নিহত হয়েছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।


বিদ্যুৎস্পৃষ্ট   মৃত্যু  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

রাজধানীর চার এলাকায় কিশোর গ্যাংয়ের তৎপরতা বেশি: ডিএমপি

প্রকাশ: ০৩:০০ পিএম, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

রাজধানীর মিরপুর, মোহাম্মদপুর, যাত্রাবাড়ী ও উত্তরা এলাকায় কিশোর গ্যাংয়ের তৎপরতা বেশি বলে জানিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান। তিনি বলেন, ঢাকার ৫০টি থানা এলাকার মধ্যে ১০টি এলাকায় কিশোর গ্যাং সদস্যদের অপরাধ লক্ষ্য করা যায়।

শনিবার (২৭ এপ্রিল) দুপুরে এফডিসিতে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির আয়োজনে ‘কিশোর গ্যাং প্রতিরোধে রাজনৈতিক সদিচ্ছা ও সামাজিক আন্দোলন নিয়ে ছায়া সংসদ’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা জানান। 

ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘আজকের কিশোর আগামী দিনে নেতৃত্ব দেবে। ৯ থেকে ১৮ বছর বয়সী কেউ অপরাধ করলে আমরা তাকে কিশোর অপরাধী বলছি। এই বয়সী কিশোররা দলবদ্ধভাবে অপরাধ করলে তাকে আমরা বলছি ‘কিশোর গ্যাং’।

তিনি বলেন, কিশোর গ্যাং নিয়ন্ত্রণে প্রতিকার ও প্রতিরোধমূলক কার্যক্রম করে থাকে পুলিশ। মসজিদে জুমার দিনে ওসিরা কিশোর গ্যাং বিষয়ে বক্তব্য দিয়েছেন।

কিশোর গ্যাং অপরাধ প্রতিরোধে পুলিশের বিভিন্ন সভা-সমাবেশও করা হয়েছে। স্কুলে-স্কুলে গিয়েও কিশোর গ্যাং অপরাধ প্রতিরোধে বিভিন্ন কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। কিশোর গ্যাং অপরাধ প্রতিরোধে আসল কাজ হবে পরিবার থেকে। পরিবার থেকে মা, বাবা বড় ভাই-বোন এক্ষেত্রে ভূমিকা পালন করবে বলে জানান ডিএমপি কমিশনার।

মোবাইলের দুটি দিক উল্লেখ করে হাবিবুর রহমান বলেন, একটি নেতিবাচক অন্যটি ইতিবাচক। একটি মোবাইল একটি লাইব্রেরি, একটি জ্ঞান ভাণ্ডার। মোবাইলের পজিটিভ দিক শিক্ষার্থীরা যেন ব্যবহার করে সেই শিক্ষাটা অভিভাবকদের দিতে হবে।  

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ।


রাজধানী   কিশোর গ্যাং   ডিএমপি   কমিশনার হাবিবুর রহমান  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

জয়পুরহাটে তাপদাহে দূর্বিসহ জনজীবন, বৃষ্টির আশায় ইস্তিসকা’র নামাজ

প্রকাশ: ০২:২৮ পিএম, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail জয়পুরহাটে বৃষ্টির আশায় ইস্তিকার নামাজ আদায়

প্রচন্ড তাপ প্রবাহে জয়পুরহাটে জনজীবন দূর্বিসহ হয়ে পরেছে। জয়পুরহাটে আজ শনিবার (২৭ এপ্রিল) সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রী পর্যন্ত উঠানামা করছে।

অতিরিক্ত তাপদাহের কারনে প্রয়োজন ছাড়া বাড়ি থেকে বের হচ্ছেন না কেউ। সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন দিন মজুর ও খেটে খাওয়া শ্রমজীবী মানুষরা। তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ায় মানুষ ডাবের পানি সহ বিভিন্ন পানীয় জাতীয় পান করে তৃষ্ণা নিবারন করছে। পৌরসভার পক্ষ থেকে বিভিন্ন স্থানে সাধারণ মানুষের জন্য সেলাইন পানির ব্যবস্থা করা হয়েছে।

এদিকে, বৃষ্টির জন্য ওলামা পরিষদের আয়োজনে কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠে ইস্তিসকার নামাজ আদায় করছেন ধর্মপ্রাণ মুসল্লীরা। নামাজে ইমামতি করেন জয়পুরহাট কেন্দ্রীয় মসজিদে খতিব মাওলানা শরিফ উদ্দিন। আরো উপস্থিত ছিলেন জেলা ওলামা পরিষদের উপদেষ্টা মাওলানা আব্দুল মতিন, সভাপতি মাওলানা আল আমিন, সাধারণ সম্পাদক মাওলানা রুহুল আমিনসহ অন্যরা।


তীব্র তাপপ্রবাহ   ইস্কিকার নামাজ   অতিষ্ট জনজীবন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

রোববার থেকে খুলছে স্কুল, বন্ধ থাকবে প্রাক-প্রাথমিক

প্রকাশ: ০২:০০ পিএম, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

চলমান তাপদাহের মধ্যে রোববার (২৮ এপ্রিল) থেকে খুলছে সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। তবে বন্ধ থাকবে সব প্রাক-প্রাথমিক বিদ্যালয়। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শ্রেণি কার্যক্রম পরিচালনার জন্য নির্দেশনা দিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।  

শনিবার (২৭ এপ্রিল) প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় জনসংযোগ কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান তুহিন এ তথ্য জানিয়েছেন।

এতে বলা হয়, চলমান তাপপ্রবাহের কারণে কোমলমতি শিশুদের স্বাস্থ্যঝুঁকি বিবেচনায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, শিশু কল্যাণ ট্রাস্ট পরিচালিত প্রাথমিক বিদ্যালয়সমূহ ও উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর লার্নিং সেন্টারগুলোতে শ্রেণি কার্যক্রম চালুর বিষয়ে নিম্নোক্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। 

আগামী ২৮ এপ্রিল থেকে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শ্রেণি কার্যক্রম চলমান থাকবে। এক শিফটে পরিচালিত বিদ্যালয়গুলো প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত চলবে। দুই শিফটে পরিচালিত বিদ্যালয়গুলোর ১ম শিফট সকাল ৮টা থেকে সকাল সাড়ে ৯টা এবং দ্বিতীয় শিফট পৌনে ১০টা থেকে সাড়ে ১১টা পর্যন্ত চলমান থাকবে। প্রাক-প্রাথমিক শ্রেণির কার্যক্রম পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ থাকবে। তাপপ্রবাহ সহনীয় পর্যায়ে না আসা পর্যন্ত অ্যাসেম্বলি বন্ধ থাকবে।

এর আগে গত বৃহস্পতিবার শিক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, আগামী ২৮ এপ্রিল মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলছে। চলমান তাপপ্রবাহের কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখায় যে শিখন ঘাটতি হয়েছে তা পূরণ করতে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত শনিবারও শ্রেণি কার্যক্রম চলবে।


স্কুল   বন্ধ   প্রাক-প্রাথমিক   প্রাথমিক   প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

চিফ হিট অফিসার ডিএনসিসির কেউ নন: মেয়র আতিক

প্রকাশ: ০১:৫৬ পিএম, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেছেন, রাজধানীর তাপপ্রবাহ নিয়ন্ত্রণে কাজ করা চিফ হিট অফিসার বুশরা আফরিন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) কেউ নন। এমনকি, ডিএনসিসির অফিসে তার জন্য নির্ধারিত কোনও বসার জায়গাও নেই।

শনিবার (২৭ এপ্রিল) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বায়ুদূষণ রোধ ও তীব্র দাবদাহে শহরকে ঠান্ডা রাখতে ডিএনসিসির ওয়াটার স্প্রে (পানি ছিটানো) কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।

চিফ হিট অফিসার বুশরা আফরিনের নিয়োগ ও বেতন ভাতা প্রসঙ্গে আরেক প্রশ্নের জবাবে মেয়র বলেন, আমি দেখছি কয়েকদিন যাবত চিফ হিট অফিসারকে নিয়ে অনেকে বলছেন সিটি করপোরেশন থেকে বেতন পাচ্ছেন, আসলে এটা সঠিক নয়। হিট অফিসার নিয়োগ পেয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক একটি কোম্পানি অ্যাড্রিয়েন আরশট-রকফেলার ফাউন্ডেশন রেসিলিয়েন্স সেন্টার (আরশট-রক) থেকে। সারা বিশ্বে ৭ জন চিফ হিট অফিসার তারা নিয়োগ করেছে। চিফ হিট অফিসার আমাদের পরামর্শ দেবে কিন্তু সরাসরি কাজ করবে না।

মেয়র আতিক বলেন, চিফ হিট অফিসার আমাদের সাজেশন (পরামর্শ) দেবে। কাজ কিন্তু আমাদের সকলকে করতে হবে। হিট অফিসার কোনও কাজ করবে না। সিটি করপোরেশন থেকে তিনি একটি টাকাও পান না। আমি আগেও বলেছি, সিটি করপোরেশনে তার কোনও বসার ব্যবস্থাও নেই। তার কোনও চেয়ারও নেই। 

তিনি আরও বলেন, তারা বিশ্বের ৭টি দেশে নারী হিট অফিসার নিয়োগ করেছেন। আমি তাদের বলেছিলাম নারী কেন নিয়োগ করেছে, তারা বলেছে, নারীরা গরমের অনুভবটা বেশি করতে পারে। এ জন্যই তারা নারী হিট অফিসারদের নিয়োগ করেছে।


চিফ হিট অফিসার   ডিএনসিসি   মেয়র আতিক  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন