নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১০:২১ পিএম, ১৩ অক্টোবর, ২০২১
জাতীয় প্রেসক্লাবে জিহাদ স্মৃতি, জিয়া পরিষদসহ যেকোনো দলের রাজনৈতিক সমাবেশ ও কর্মসূচি বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। আজ বুধবার (১৩ অক্টোবর) ক্লাবের ব্যবস্থাপনা কমিটির এক সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়।
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানিয়েছেন জাতীয় প্রেসক্লাবের যুগ্ম সম্পাদক মাঈনুল আলম।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিনের সভাপতিত্বে আজ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভায় ১০ অক্টোবর ক্লাব প্রাঙ্গণে সংগঠিত বিশৃঙ্খল ও অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। ক্লাবের ব্যবস্থাপনা কমিটি ক্লাব ও সদস্যদের স্বার্থে ক্লাবে শৃঙ্খলা ও নিয়মানুবর্তিতা বজায় রাখতে বদ্ধপরিকর। যেকোনো মূল্যে ক্লাবের স্বার্থ, মর্যাদা সমুন্নত রাখা হবে। ক্লাবের বিভিন্ন হল ও মিলনায়তন ভাড়া দেওয়ার ক্ষেত্রে নির্ধারিত নিয়মাবলি ও শর্ত আবশ্যিকভাবে পালন করা হবে।
ব্যবস্থাপনা কমিটির সভার সিদ্ধান্তে বলা হয়েছে, আলোচনা সভা, সেমিনারের নামে কোনো দলের রাজনৈতিক কর্মসূচি, সমাবেশ করতে দেওয়া হবে না। জিহাদ স্মৃতি পরিষদ, জিয়া পরিষদ- যেকোনো দলের রাজনৈতিক সমাবেশ ও কর্মসূচি ভবিষ্যতে বন্ধ থাকবে বলে সর্বসম্মতভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এর আগে এসব সংগঠনের কর্মসূচির ফলে ক্লাবে বিশৃঙ্খলা ও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে, যার ফলে ঐতিহ্যবাহী প্রেসক্লাবের সুনাম ও মর্যাদা ক্ষুণ্ন হয়।
প্রেসক্লাব কর্তৃপক্ষ জানায়, ইতোপূর্বে এসব সংগঠনের কর্মসূচির ফলে ক্লাবে বিশৃঙ্খলা ও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেছে, যার ফলে ঐতিহ্যবাহী প্রেস ক্লাবের সুনাম ও মর্যাদা ক্ষুণ্ণ হয়। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট সবাইকে অবহিত করে সার্বিক সহযোগিতা কামনা করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচনের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে প্রথম পর্যায়ের উপজেলা নির্বাচনের প্রস্তুতি চূড়ান্ত। ১৫০টি উপজেলায় এখন জনগণ ভোটের অপেক্ষায়। দ্বিতীয় পর্যায়ে ১৫৯টি উপজেলায় মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের দিন গতকাল শেষ হয়েছে। সেখানেও এখন নির্বাচনী প্রচারণার ডামাডোল শুরু হয়েছে। কিন্তু উপজেলা নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ হবে কি না, উপজেলা নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি বাড়বে কি না এবং উপজেলা নির্বাচন শান্তিপূর্ণ হবে কি না তা নিয়ে একদিকে যেমন জনগণের সংকট রয়েছে তেমনই নির্বাচন কমিশনও এই বিষয়টি নিয়ে চিন্তিত।
লক্ষ্মীপুর সদরের তেওয়ারীগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন ২৮ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পরপরই হামলার শিকার হয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, নেপথ্যে নির্বাচনে কারচুপি ও অনিয়মের অভিযোগ। এঘটনায় চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্ধিতাকারী দুই প্রার্থীকে পুলিশ হেফাজতে নিয়ে ১১ জনের নাম উল্লেখসহ ৯১১ জনের বিরুদ্ধে দুইটি মামলাও দায়ের করেন। ফলে নির্বাচনের পর আনন্দের বদলে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে ওই ইউনিয়নে।