নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯:০০ পিএম, ১৬ অক্টোবর, ২০২১
আজ বিশ্ব খাদ্য দিবস। খাদ্য দিবস উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, গণভবন থেকে তিনি ভাষণ দেন। বাংলাদেশ যে খাদ্যেতে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছে সে সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী তাঁর বক্তব্য। তার বক্তব্যে এ সময় আসে বেগম মতিয়া চৌধুরীর কথাও। বেগম মতিয়া চৌধুরী কৃষি মন্ত্রী থাকা অবস্থায় কিভাবে কাজ করেছিলেন সে প্রসঙ্গ প্রধানমন্ত্রী স্মরণ করেন। লক্ষণীয় ব্যাপার হলো প্রধানমন্ত্রী যখন মতিয়া চৌধুরীকে স্মরণ করছিলেন তখন মতিয়া চৌধুরী অনুষ্ঠানস্থলে বসে ছিলেন এবং প্রধানমন্ত্রী তাকে বলছিলেন মতি আপা। সারা জীবনই প্রধানমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরীকে মতি আপা বলে সম্বোধন করেছেন। ঊনসত্তরের অগ্নিকন্যা বেগম মতিয়া চৌধুরী কে সম্মান এবং শ্রদ্ধার চোখেই দেখেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
খাদ্য দিবসের এই অনুষ্ঠানে বেগম মতিয়া চৌধুরী কে স্মরণ, প্রধানমন্ত্রীর উদারতা এবং সত্যের মুখোমুখি দাঁড়ানোর আরেকটি প্রয়াস। কারণ ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার যখন ক্ষমতায় আসে তখন বাংলাদেশের খাদ্য সংকট ছিল তীব্র, খাদ্য ঘাটতি ছিল এবং বিদেশ থেকে খাদ্য আমদানি করে চলতে হতো। এই অবস্থায় কৃষি মন্ত্রীর দায়িত্ব নেন বেগম মতিয়া চৌধুরী। একের পর এক তাঁর উদ্ভাবনী এবং দূরদৃষ্টি পূর্ণ সিদ্ধান্ত এবং প্রধানমন্ত্রীর পৃষ্ঠপোষকতায় বেগম মতিয়া চৌধুরী কৃষি মন্ত্রণালয় এক নীরব বিপ্লব সাধন করেন। প্রধানমন্ত্রীর পৃষ্ঠপোষকতায় এবং তাঁর নেতৃত্বেই বাংলাদেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়ে ওঠে। কিন্তু ২০০১ সালে বিএনপি আবার ক্ষমতায় আসার পর বাংলাদেশে পিছু হটতে থাকে এবং একপর্যায়ে আবার বাংলাদেশ বাংলাদেশ খাদ্য ঘাটতির দেশে পরিণত হয়। কিন্তু ২০০৮ আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে দেশকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ করতে প্রধানমন্ত্রী আবার তুলে কৃষি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব তুলে দেন বেগম মতিয়া চৌধুরী কাছে। দুই মেয়াদে বেগম মতিয়া চৌধুরী বাংলাদেশকে কেবল খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ করেননি, কৃষি ব্যবস্থাপনা এমন একটা পরিবর্তন এনেছেন যে এখন কৃষি মন্ত্রণালয় আপনা আপনিভাবেই একটি জবাবদিহিতা এবং একটি সুনির্দিষ্ট পরিকাঠামোর মধ্যে চলছে। মতিয়া চৌধুরী এই ব্যবস্থাপনার জন্য এখনও সকল মহলের কাছে প্রশংসিত।
এখন বেগম মতিয়া চৌধুরী কোথাও নেই। তিনি আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য হলেও সেখানে গুরুত্বহীন, সেখানে তাকে খুব একটা গুরুত্ব দেওয়া হয় না। নিজেই নিজের ব্যক্তিগত তাগিদেই বিভিন্ন অনুষ্ঠানে যোগদান করেন, কোথাও তিনি সম্মান পান আবার কোথাও তিনি সম্মান পান না। কৃষিতে তিনি যে অভূতপূর্ব বিপ্লব করেছেন সে বিপ্লবের সুফল ভোগ করছে বাংলাদেশ। অনেকেই বলেন বেগম মতিয়া চৌধুরী বাংলাদেশের কৃষিক্ষেত্রে যা করেছেন পরবর্তীতে কাউকে কিছু করতে হবে না শুধুমাত্র রুটিন কাজ করে গেলেই বাংলাদেশের কখনো খাদ্য সংকট দেখা দিবে না। এসব দিয়ে বেগম মতিয়া চৌধুরীর কোন অহংকার নেই, কোন অহমিকা নেই। তাকে অনেক অনুষ্ঠানে ডাকা হয় না, তাকে অনেকেই এখনো কমিউনিস্ট বলেন। তার সম্পর্কে নানা রকম সত্য-মিথ্যা সমালোচনা তোলা হয়। এ সব কিছুকে উপেক্ষা করার শক্তি এবং সাহস রয়েছে তার। ২০১৮তে তিনি যে কোন দায়িত্ব পান নি সেটি নিয়েও তাঁর কোনো আক্ষেপ নেই, দলের অবহেলার জন্য তিনি দুঃখ পান না। এটাই মতিয়া চৌধুরীর বিশেষত্ব।
মন্তব্য করুন
বিমানবন্দর বিমান ও পর্যটন মন্ত্রী জাতীয় সংসদ
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
শিক্ষা মন্ত্রণালয় শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী
মন্তব্য করুন
অতিরিক্ত গরমে মাথা ঘোরানো, দুশ্চিন্তা, স্ট্রোক, মুখের ভেতর শুকিয়ে যাওয়া, অ্যাজমা, মাংসপেশিতে খিঁচুনি, চামড়ায় ফুসকুড়ি, কিডনি অকার্যকর হওয়ার মতো অসুস্থতা দেখা দিতে পারে। এ ধরনের গরমে বয়স্ক, শিশু, অন্তঃসত্ত্বা নারী, শ্রমজীবী মানুষেরা সবচেয়ে বেশি ঝুঁকির মধ্যে রয়েছেন। তাই তাপপ্রবাহ থেকে সুরক্ষার জন্য কী কী করতে হবে, তা জানিয়ে প্রথমবারের মতো জাতীয় গাইডলাইন বা নির্দেশিকা প্রকাশ করেছে সরকার।