নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১১:১৭ পিএম, ১৮ অক্টোবর, ২০২১
বাংলাদেশকে প্রকৃত অর্থে বিজ্ঞানভিত্তিক ও আধুনিক রাষ্ট্র হিসেবে গড়তে হলে সংবিধান থেকে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম প্রত্যাহার করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য সমাজবিজ্ঞানী ড. অনুপম সেন।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশকে যদি প্রকৃত অর্থে বিজ্ঞানভিত্তিক, আধুনিক রাষ্ট্র করতে হয়, তাহলে সংবিধান থেকে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম প্রত্যাহার করুন। এরশাদ যে রাষ্ট্রধর্ম করেছিল, সেটা বাদ দিতে হবে। বাংলাদেশকে একটি সত্যিকারের ধর্মনিরপেক্ষ, অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্রে পরিণত করতে হবে। প্রতিমন্ত্রী মুরাদ এ কথা বলার পর সাঈদ খোকন তার বিরুদ্ধে বিষোদগার করেছেন। এরকম কত সাঈদ খোকন দলের ভেতরে আছে, তাদের খুঁজে বের করুন।’
সারা দেশে সাম্প্রদায়িক হামলার প্রতিবাদে আজ সোমবার চট্টগ্রাম নগরীর চেরাগী পাহাড় মোড়ে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ সমাবেশে সমাজবিজ্ঞানী অনুপম সেন এই দাবি জানান। ‘সর্বস্তরের সংস্কৃতিকর্মী ও সচেতন নাগরিকবৃন্দের’ ব্যানারে এই কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। আবৃত্তিশিল্পী রাশেদ হাসানের সঞ্চালনায় সমাবেশে হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রানা দাশগুপ্ত, কবি ও সাংবাদিক আবুল মোমেন প্রমুখ বক্তব্য দেন।
সমাবেশে অনুপম সেন বলেন, ‘আমি আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য। আমাকে প্রশ্ন করতে পারেন, আপনি কী করেছেন? এই প্রশ্ন করার অধিকার আপনাদের আছে। আমিও প্রশ্ন করতে পারি— আওয়ামী লীগ-ছাত্রলীগ আজ কোথায়? তারা রাস্তায় নেই কেন? স্বাধীনতার আগে পূর্ব-পাকিস্তানে বারবার সাম্প্রদায়িক আঘাত এসেছে। ১৯৬৪ সালে সাম্প্রদায়িক আঘাত আসার পর বঙ্গবন্ধু সেদিন রুখে দাঁড়িয়েছিলেন। ছাত্র ইউনিয়ন, কমিউনিস্ট পার্টি রাস্তায় রুখে দাঁড়িয়েছিল। সেদিন আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগও রাস্তায় ছিল।’
গণমাধ্যমের উদ্দেশে অনুপম সেন বলেন, ‘আপনারা লিখুন “বাংলাদেশ রুখিয়া দাঁড়াও”। বাংলাদেশ আর সাম্প্রদায়িক দেশ হবে না।’ সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে শিক্ষক–শিক্ষার্থীদের মাঠে নামার আহ্বান জানিয়ে প্রবীণ এই অধ্যাপক বলেন, ‘আজ ছাত্রলীগকে মাঠে দেখি না, বসে বসে বিবৃতি দেন। এত বড় সংগঠন আওয়ামী লীগের, তারপরও তারা রাস্তায় নেই কেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন শাস্তি হবে, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন তদন্ত চলছে। এত দিন কেন তদন্ত চলবে, অবিলম্বে শাস্তির ব্যবস্থা নিন।’
সমাবেশে কবি আবুল মোমেন বলেন, মহাত্মা গান্ধী বলেছিলেন, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষা সংখ্যাগুরুর দায়িত্ব। যখনই সম্প্রীতি বিনষ্ট হবে, বুঝতে হবে, সংখ্যাগুরু সম্প্রদায় দায়িত্ব পালন করেনি। আজ কোনো রাজনৈতিক দল মাঠে নামেনি। পাকিস্তান আমলে অভিন্ন শিরোনাম হয়েছিল ‘পূর্ব বাংলা রুখে দাঁড়াও’।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান তাপদাহ শিক্ষা মন্ত্রণালয়
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
ভারতের লোকসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সাত ধাপে অনুষ্ঠিতব্য এই নির্বাচনের প্রথম পর্যায়ের ভোট হয় ১৯ এপ্রিল এবং সেখানে ১০২টি নির্বাচনী এলাকায় ভোট অনুষ্ঠিত হয়। দ্বিতীয় দফায় ২৬ এপ্রিল ৮৯টি নির্বাচনী এলাকায় ভোট অনুষ্ঠিত হয়েছে। চতুর্থ দফায় ভোট হবে ৭ মে। সেখানে ৯৪টি আসনে ভোটগ্রহণ হবে এবং সপ্তম দফায় ভোট অনুষ্ঠিত হবে পয়লা জুন। আর ৪ জুন নির্বাচনের ফলাফল জানা যাবে।
প্রথম দুই দফা ভোটের যে হার, তাতে বিজেপির মধ্যে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। বিজেপির নেতারা ভোটে যে ভূমিধস বিজয় আশা করছিলেন সেটি হবে না। ভারতের কোন কোন গণমাধ্যমগুলো ভোটের ফলাফলে নাটকীয় ঘটনা ঘটারও ইঙ্গিত দিচ্ছে। বিশেষ করে ২০০৪ সালের নির্বাচনে যেভাবে কংগ্রেস অটলবিহারী বাজপেয়ীর নেতৃত্বে বিজেপিকে ধরাশায়ী করেছিল সেরকম কোন ঘটনা ঘটতেও পারে বলে মনে আশঙ্কা করছেন অনেকে। অবশ্য এখনও আরও পাঁচ দফা ভোট বাকি আছে এবং বিজেপি আশা করছে যে, পরবর্তী ধাপগুলোতে ভোটার উপস্থিতি বাড়বে এবং বিজেপি তাদের জয়ের ধারা অক্ষুণ্ণ রাখবে। নরেন্দ্র মোদি ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে দেওয়ার জন্য বারবার আহ্বান জানাচ্ছেন।
ভারতের নির্বাচনের ফলাফল কী হবে তা বোঝা যাবে আগামী ৪ জুন। কিন্তু এখন পর্যন্ত যে ভোটের হাওয়া লক্ষ্য করা যাচ্ছে তাতে এটা স্পষ্ট যে, ভোটের আগে নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন বিজেপি জোটের যে নিরঙ্কুশ বিজয়ের ধারণা করা হয়েছিল, সেটি বাস্তবতা নাও পেতে পারে। আর এ কারণেই মোদী যদি শেষ পর্যন্ত পরাজিত হন, তাহলে সেটি হবে ভারতের রাজনৈতিক ইতিহাসে একটি বড় ব্যতিক্রমী ঘটনা এবং এটি হবে ভারতের নির্বাচনের সবচেয়ে বড় চমক।
এখন যখন ভারতের নির্বাচনে একটি হাড্ডাহাড্ডি লড়াই বা অনিশ্চয়তার ফলাফলের শঙ্কা জেগেছে তখন প্রশ্ন উঠছে যে, বিজেপি যদি এই নির্বাচনে পরাজিত হয় তাহলে বাংলাদেশে কী হবে? গত দুটি নির্বাচনে ভারতের বিজেপি সরকার বাংলাদেশকে নিরঙ্কুশভাবে সমর্থন দিয়েছে। ২০১৮ এবং ২০২৪ এর নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সরকারের প্রতি অকুণ্ঠ সমর্থন জানিয়েছে বিজেপি সরকার।
বিশেষ করে ২০২৪ এর নির্বাচনে ভারতীয় সরকারের পরিপূর্ণ সমর্থন ছাড়া মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এই নির্বাচনে ব্যাপক প্রভাব বিস্তার করত এবং এই নির্বাচনকে অস্বীকৃতি জানাত বলেও অনেকে মনে করেন। মার্কিন মনোভাব পাল্টানোর ক্ষেত্রে ভারত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। আর নির্বাচনের পর বিএনপি থেকে শুরু করে জাতীয় পার্টি প্রত্যেকেই বলছে যে, ভারত বর্তমান সরকারকে ক্ষমতায় রেখেছে। যদিও এরকম অভিযোগকে আওয়ামী লীগ অস্বীকার করে এবং আওয়ামী লীগ মনে করে যে, জনগণের ভোটে তারা নির্বাচিত হয়েছে। কিন্তু ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়টি আওয়ামী লীগ বা বিজেপি কেউই অস্বীকার করে না।
এখন প্রশ্ন হল, যদি বিজেপি পরাজিত হয়, ইন্ডিয়া জোট ক্ষমতায় আসে তাহলে বাংলাদেশের সমীকরণ কী হবে? কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন যে, বর্তমান সরকারের জন্য সমীকরণের কোন পরিবর্তন হবে না। কারণ ইন্ডিয়া জোটের সঙ্গেও আওয়ামী লীগ সরকারের একটি সুসম্পর্ক রয়েছে। ইতোমধ্যে ইন্ডিয়া জোটের প্রধান দল কংগ্রেস তাদের নির্বাচনী ইশতেহারে বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের বার্তা দিয়েছে।
অনেকে মনে করেন যে, এখন ভারতে কট্টর হিন্দুত্ববাদী মনোভাবের কারণে সীমান্তে অস্থিরতা তৈরি হচ্ছে। মুসলিম বিদ্বেষী বক্তব্য রাখা হচ্ছে। যার ফলে বাংলাদেশের মধ্যে একটা ভারতবিরোধী মনোভাব তৈরি হচ্ছে। শেষ পর্যন্ত যদি নরেন্দ্র মোদি তাহলে এই অবস্থানের পরিবর্তন হবে। দুই দেশের সম্পর্ক আরও বিকশিত হবে বলেও মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
ভারত লোকসভা নির্বাচন মল্লিকার্জুন খাড়গে নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ
মন্তব্য করুন
ভারতের লোকসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সাত ধাপে অনুষ্ঠিতব্য এই নির্বাচনের প্রথম পর্যায়ের ভোট হয় ১৯ এপ্রিল এবং সেখানে ১০২টি নির্বাচনী এলাকায় ভোট অনুষ্ঠিত হয়। দ্বিতীয় দফায় ২৬ এপ্রিল ৮৯টি নির্বাচনী এলাকায় ভোট অনুষ্ঠিত হয়েছে। চতুর্থ দফায় ভোট হবে ৭ মে। সেখানে ৯৪টি আসনে ভোটগ্রহণ হবে এবং সপ্তম দফায় ভোট অনুষ্ঠিত হবে পয়লা জুন। আর ৪ জুন নির্বাচনের ফলাফল জানা যাবে।