ইনসাইড বাংলাদেশ

হঠাৎ করেই পাকিস্তান দূতাবাসের রহস্যময় তৎপরতা

প্রকাশ: ১০:০১ পিএম, ২৯ নভেম্বর, ২০২১


Thumbnail হঠাৎ করেই পাকিস্তান দূতাবাসের রহস্যময় তৎপরতা

পাকিস্তান দূতাবাস হঠাৎ করে রহস্যময় তৎপরতা শুরু করেছে। বিশেষ করে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক বিভিন্ন বিষয়ে পাকিস্তান দূতাবাসের অতি আগ্রহ লক্ষ্য করা যাচ্ছে। বিজয়ের মাস ডিসেম্বর সমাগত। আমাদের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন করব আমরা। আর এই সময় পাকিস্তান দূতাবাস বিভিন্ন ইস্যুতে কেন সরব হয়েছে তা নিয়ে বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন উঠেছে। অবশ্য বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এখন পর্যন্ত এ বিষয় নিয়ে কোনো রকম প্রতিক্রিয়া দেখায়নি, তারা কোনো মন্তব্য করেনি। কিন্তু পাকিস্তান দূতাবাসের সাম্প্রতিক তৎপরতায় উদ্যোগে বিভিন্ন মহল বিস্ময় প্রকাশ করেছে। কিছুদিন আগে পাকিস্তান দূতাবাস একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ তৈরি করেছিল। হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের মাধ্যমে বিভিন্ন মৌলবাদী, বুদ্ধিজীবীদেরকে একাট্টা করার চেষ্টা করেছিল। গত ৯ নভেম্বর লাহোরে বাংলাদেশ-পাকিস্তান বন্ধুত্ব সম্মেলনের নামে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল, যেখানে বাংলাদেশের কিছু বিতর্কিত ব্যক্তি যোগদান করেছিল।

সাম্প্রতিক সময়ে আবার পাকিস্তান দূতাবাস বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। সাম্প্রতিক সময়ে পাকিস্তানের উদ্যোগে খেল খেল নামে একটি চলচ্চিত্র প্রকাশিত হয়েছে, চলচ্চিত্রটি ঘটা করে দেখানোর আয়োজন করছে পাকিস্তান দূতাবাস। এই ছবিটিও অত্যন্ত বিতর্কিত, আপত্তিকর। এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের তথ্য মন্ত্রণালয় বা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ ছবির ব্যাপারে কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি কেন সেটি একটি বড় বিস্ময়। কারণ, এই ছবিটিতে পাকিস্তান বাংলাদেশের ক্ষমা প্রসঙ্গটি এসেছে ভিন্নভাবে, পরস্পর পরস্পরের কাছে ক্ষমা চেয়েছে এবং বন্ধু হয়ে যাওয়ার কথা বলা হয়েছে। এটি আমাদের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের উপর সুস্পষ্ট আঘাত বলেই মনে করা হচ্ছে।

ডিসেম্বর মাসে পাকিস্তান ক্রিকেট দল ঢাকায় দ্বিতীয় টেস্ট খেলবে। সেই খেলায় পাকিস্তানি দর্শকরা যেন মিরপুর স্টেডিয়ামে যান এবং তাদের পতাকা উত্তোলন করেন তাঁর ব্যবস্থাও করছে পাকিস্তান দূতাবাস। এজন্য টিকেট সংগ্রহের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে দূতাবাসের কর্মকর্তারা। সাম্প্রতিক সময়ে স্টেডিয়াম পাকিস্তানের পতাকা নিয়ে যাওয়ার প্রেক্ষিতে কিছু ব্যক্তি হেনস্তার শিকার হয়েছিলেন। তখন বলা হয়েছে যে, পাকিস্তানের কোন নাগরিক তাদের দলকে সমর্থন জন্য পতাকা নিয়ে যেতে পারে। আর এই সুযোগটি নিতেই পাকিস্তান দূতাবাস এবার ঘটা করে মিরপুর স্টেডিয়ামে পাকিস্তানি পতাকা নিয়ে যাওয়া পাঁয়তারা করছে। আমাদের বিজয়ের মাস মিরপুর স্টেডিয়ামে পাকিস্তানের পতাকা উড়বে এটি ভয়ংকর একটি আপত্তিকর বিষয় বলে মনে করছেন মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী সকল মানুষ। আর এজন্যই পাকিস্তান দূতাবাসের তৎপরতা বন্ধের জন্য বিভিন্ন মহল সরকারের কাছে আবেদন জানাচ্ছে। আবার ১৬ ডিসেম্বর মাওলানা ভাসানী হকি স্টেডিয়ামে পাকিস্তান-ভারত হকি ম্যাচ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। এই ম্যাচটি বন্ধ করার জন্য বিভিন্ন মহল সরকারের কাছে দাবি জানিয়েছে। বিজয় দিবসের দিনে বাংলাদেশে পাকিস্তানের পতাকা উড়বে এটি অবিশ্বাস্য এবং কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না বলে বিভিন্ন মহল মনে করছেন। এছাড়াও পাকিস্তান সাম্প্রতিক সময়ে সাহিত্য সভা, সাংস্কৃতিক সভা ইত্যাদির আয়োজন করছে। হঠাৎ করে পাকিস্তান দূতাবাসের এই তৎপরতার রহস্য কি এই নিয়ে বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন উঠেছে।


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

পর্যবেক্ষক আসুক বা না আসুক, নির্বাচন সুষ্ঠু হবে: তথ্যমন্ত্রী

প্রকাশ: ০৫:০৭ পিএম, ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিদেশি পর্যবেক্ষক আসুক আর না আসুক, আগামী নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে। ভারতে যখন নির্বাচন হয় তখন বিদেশি পর্যবেক্ষকরা সেখানে এটি নিয়ে এত কথাবার্তা হয়? কিংবা ইউরোপের বিভিন্ন দেশে যখন নির্বাচন হয় সেখানে কি আমাদের দেশ থেকে কিংবা অন্য কোনো দেশ থেকে পর্যবেক্ষক যায়? যায় না।

শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে চট্টগ্রাম নগরীর দেওয়ানজি পুকুর লেনস্থ ওয়াইএনটি সেন্টারে সমসাময়িক বিষয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে নির্বাচন পর্যবেক্ষণে ইইউর প্রতিনিধি দল পাঠানো নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।এসময় আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন উপস্থিত ছিলেন।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, নির্বাচনটা হচ্ছে আমাদের। এরইমধ্যে স্থানীয় সরকারসহ যে সমস্ত নির্বাচন হয়েছে সেগুলো অত্যন্ত সুষ্ঠু অবাধ ও নিরপেক্ষ হয়েছে। আমাদের নির্বাচন কেউ পর্যবেক্ষণ করল, কী করল না এতে কিছুই আসে যায় না। এটি নিয়ে বিএনপিকেও আর দেশকে অস্থিতিশীল করার সুযোগ দেওয়া হবে না।

তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ছোট আকারের পর্যবেক্ষক দল পাঠাবেন বলেছে। তাদের বাজেট স্বল্পতার কথাও তারা চিঠিতে উল্লেখ করেছে। ইইউর পর্যবেক্ষক যে আকারেই আসুক বা না আসুক আমাদের দেশে ইলেকশন মনিটরিং ফোরাম আছে, সার্কভুক্ত বিভিন্ন দেশের পর্যবেক্ষকরা নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করতে আসবে। সুতরাং আমাদের নির্বাচন আমরাই করব, আমাদের নির্বাচন অত্যন্ত সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ হবে।

বিএনপি লংমার্চ কর্মসূচিতে হরতাল অবরোধের মতো কঠিন কর্মসূচির জন্য নেতাকর্মীদের প্রস্তুত থাকতে নির্দেশ দিয়েছেন। এ ব্যাপারে আওয়ামী লীগ এবং সরকারের প্রস্তুতি সম্পর্কে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, খালেদা জিয়া অবরোধের ডাক দিয়ে দেশের মানুষকে একশ দিন অবরুদ্ধ করে রেখেছিল। পেট্রলবোমা নিক্ষেপ করে শতশত মানুষ পুড়িয়েছিল, হাজার হাজার মানুষকে ঝলসে দিয়েছিল আগুনে।

তিনি বলেন, দেশে এ ধরনের নৃশংস ঘটনা বিএনপি আর করতে পারবে না, দেশের মানুষ করতে দিবে না। সেই ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি করার চেষ্টা করলে দেশের মানুষকে সঙ্গে নিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিহত করা হবে।

নির্বাচন পর্যবেক্ষক   তথ্যমন্ত্রী   নির্বাচন   ড. হাছান মাহমুদ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

প্রাক পর্যবেক্ষণের পরেই মার্কিন নিষেধাজ্ঞা?

প্রকাশ: ০৫:০০ পিএম, ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন কতটুকু অবাধ-সুষ্ঠু-নিরপেক্ষ হবে, নির্বাচনের পরিবেশ কতটুকু আছে তা পর্যবেক্ষণ করতে যুক্তরাষ্ট্র সরকার নির্বাচন পর্যবেক্ষক দল পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। একটি প্রতিনিধি দল আগামী অক্টোবরে বাংলাদেশে আসছে বলে জানা গেছে। দেশটির রাষ্ট্রীয় অর্থায়নে ইন্টারন্যাশনাল রিপাবলিকান ইনস্টিটিউট (আইআরআই) এবং ন্যাশনাল ডেমোক্র্যাটিক ইনস্টিটিউট (এনডিআই) এর যৌথভাবে স্বাধীন নিরপেক্ষ প্রাক নির্বাচনী সমীক্ষা (পিইএএম) পরিচালনা করবে। ছয় সদস্যের এই প্রতিনিধি দল আগামী ৭ অক্টোবর থেকে ১৭ অক্টোবর পর্যন্ত বাংলাদেশ সফর করবেন বলে জানা গেছে। নানা কারণে এই প্রতিনিধি দলের সফর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছে কূটনৈতিক মহল। বিশেষ করে যখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আগামী নির্বাচনের ব্যাপারে তাদের অনড় অবস্থান বারবার পুনরুক্ত করছে। 

আগামী নির্বাচনকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র অবাধ-সুষ্ঠু-নিরপেক্ষ এবং অংশগ্রহণমূলক দেখতে চায়। অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন বলতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সকল রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণের নিশ্চয়তা চায়। আর এরকম নির্বাচন যদি না হয়, নির্বাচনকে যদি বাধাগ্রস্ত করা হয় তাহলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভিসা নিষেধাজ্ঞা সহ একাধিক নিষেধাজ্ঞা দিতে পারে এমন ঘোষণা আসছে। তবে নির্বাচনের আগেও এই ভিসা নিষেধাজ্ঞা আসতে পারে বলে একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে। 

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের যে প্রতিনিধি দল আসছে সেই প্রতিনিধি দলের রিপোর্ট এর ওপর অনেক কিছু নির্ভর করছে বলেই কূটনৈতিক মহল মনে করছেন। এই প্রাক নির্বাচনী পর্যবেক্ষক দল যদি সামগ্রিক বিষয় পর্যবেক্ষণ করে দেখেন যে আলাপ-আলোচনা এবং সমঝোতার মাধ্যমে বাংলাদেশে বর্তমান সাংবিধানিক কাঠামোর মধ্যে একটা অবাধ-সুষ্ঠু-নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব তাহলে তারা প্রধান বিরোধী দল বিএনপিকে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার জন্য আহ্বান জানাবে। আর যদি তারা দেখে যে, বাংলাদেশের নির্বাচন অবাধ-সুষ্ঠু-নিরপেক্ষ সম্ভব নয় তাহলে তারা সরকারকে বিভিন্ন রকম পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য আহ্বান জানাতে পারে। পাশাপাশি এই প্রতিনিধি দল যদি পর্যবেক্ষণ করে দেখে যে, নির্বাচনের পরিবেশ সংঘাতপূর্ণ এবং এখানে অবাধ-সুষ্ঠু-নিরপেক্ষ নির্বাচন হওয়ার কোনো পরিবেশ নেই তাহলে সংশ্লিষ্ট একাধিক ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে তারা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে পারে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনের ব্যাপারে চূড়ান্ত অবস্থান কি হবে তা নির্ভর করছে এই স্বাধীন নিরপেক্ষ প্রাক নির্বাচনী পর্যবেক্ষক দলের রিপোর্ট এর ওপর। এই রিপোর্টটি নানা কারণেই গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন কূটনৈতিক মহল। সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, এই প্রাক নির্বাচনী পর্যবেক্ষক দল এসে আওয়ামী লীগ, বিএনপি, নির্বাচন কমিশন সহ সুশীল সমাজের প্রতিনিধি এবং অন্যান্য অংশীজনের সঙ্গে কথা বলবেন এবং একটা মতামতের চেষ্টা করবেন। তবে একাধিক সূত্র বলছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কতগুলো সরাসরি অবস্থান রয়েছে। তারা সরাসরি নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিকে সরাসরি সমর্থন করতে পারে না। তারা সরাসরি কোনো রাজনৈতিক আলোচনার মধ্যস্থতাও করতে পারে না। তবে বাংলাদেশে যেন অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হয় এটি তাদের প্রত্যাশার জায়গা। 

বিভিন্ন সূত্রগুলো বলছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র দুটি কৌশল নিয়ে এগোচ্ছে। প্রথমত তারা মনে করছে, এমন একটি পরিবেশ পরিস্থিতি তৈরি করা যাতে প্রশাসন এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নিরপেক্ষ অবস্থান গ্রহণ করে। ফলে বর্তমান সাংবিধানিক কাঠামোর মধ্যে একটি অবাধ-সুষ্ঠু-নিরপেক্ষ নির্বাচনের আয়োজন করা সম্ভব হয়। দ্বিতীয়ত, তারা মনে করছে, যদি এক তরফা নির্বাচনের ব্যাপারে সরকার উদ্যোগ গ্রহণ করে তাহলে সেক্ষেত্রে অবশ্যই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের যে অস্ত্রগুলো আছে সেই অস্ত্রগুলো প্রয়োগ করবে। এখন দেখার বিষয় পর্যবেক্ষণ দল ঢাকায় এসে কি মনোভাব নিয়ে যান।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র   বাংলাদেশের নির্বাচন   ভিসা নীতি   প্রাক পর্যবেক্ষণ দল  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

অলৌকিকভাবে বেঁচে গেল সাত মাসের সেই শিশুটি

প্রকাশ: ০৩:১৮ পিএম, ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

মিরপুরের ঢাকা কমার্স কলেজ সংলগ্ন ঝিলপাড় বস্তির সামনের রাস্তায় জমে থাকা পানিতে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে প্রাণ গেছে একই পরিবারের তিনজনসহ চারজনের। অলৌকিকভাবে বেঁচে গেছে পরিবারের সর্বকনিষ্ঠ সদস্য ৭ মাসের শিশু হোসাইন।

শনিবার(২২ সেপ্টেম্বর ) সকালে শিশু হোসাইনকে নিয়ে মিরপুর মডেল থানায় আসেন আমেনা বেগম নামে এক নারী। সেখানে তিনি শিশু হোসাইনের বেঁচে যাওয়া ঘটনার বর্ণনা করেন ।

তিনি বলেন, হোসাইনের মা যখন পানিতে পড়ে যায় তখন, হোসাইন মায়ের কোল থেকে ছিটকে পড়ে যায় পানিতে। এ সময় অনিক সঙ্গে সঙ্গে এসে হোসাইনকে পানি থেকে তুলে আমার কোলে দেয়। পরে আমি তাকে আমার বাসায় নিয়ে প্রথমে শরীরে গরম তেল দেই। এরপর তাকে নিয়ে যায় প্রথমে সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। সেখান থেকে ডাক্তার হোসাইনকে নিয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যেতে বলে। রাতে তাকে সেখানে নিয়ে যায়, চিকিৎসার পর সকালে ডাক্তার বলে হোসাইন এখন সুস্থ, তাকে বাসায় নিয়ে যাওয়ার জন্য। পরে আমি জানতে পারি হোসাইনের দাদা ও নানা মিরপুর মডেল থানায় আছে, তখন আমি এখানে আসি।

আমেনা বেগম আরও বলেন, হোসাইনকে অনিকের মাধ্যমে আল্লাহ বাঁচিয়েছেন। না হলে একই ঘটনায় তার মা-বাবা ও বোন এবং অনিক মারা গেছে, তার তো বাঁচার কথা ছিল না। এখন হোসাইনকে কোলে নেওয়ার বা  দেখাশোনার লোক নেই। হোসাইনের নানা ও দাদা তার মা, বাবা ও বোনের মরদেহ নেওয়ার জন্য থানা ও হাসপাতালে দৌড়াদৌড়ি করছে। তাই আমি তাকে আপাতত দেখাশোনা করছি৷ তাদের কাজ শেষ হলে আমি হোসাইনকে তার নানা ও দাদার কাছে বুঝিয়ে দেব।

গতকাল রাতে ওই রাস্তায় জমে থাকা পানির মধ্যে দিয়ে যাচ্ছিলেন মিজান (৩০) ও তার স্ত্রী মুক্তা বেগম (২৫)। সঙ্গে ছিল মেয়ে লিমা (৭) ও ছেলে হোসাইন। হঠাৎ করে তারা পড়ে গেলে তাদের তুলতে এগিয়ে আসেন অনিক নামে একজন অটোরিকশাচালক। হোসাইনকে তিনি পানি থেকে তুলে দিতে পারলেও লিমাকে তুলতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে তিনিও চলে গেছেন না ফেরার দেশে।

 


ঢাকা কমার্স কলেজ   ঝিলপাড় বস্তি   শিশু  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

বাংলাদেশ ব্যাংকে আগুনের ফলস এলার্ম: ফায়ার সার্ভিস

প্রকাশ: ০৩:০১ পিএম, ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

রাজধানীর মতিঝিলে বাংলাদেশ ব্যাংকে আগুন লাগার খবর পায় ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স। শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) দুপুর ২টা ৩২ মিনিটে খবর পেয়ে আগুন নেভাতে চার ইউনিট পাঠায় ফায়ার সার্ভিস। তবে ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুনের কোনো আলাতম পায়নি ফায়ার সার্ভিস।

ফায়ার সার্ভিসের ডিউটি অফিসার রাদেশ বিন খালেদ গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, দুপুর ২টা ৩২ মিনিটের দিকে খবর আসে বাংলাদেশ ব্যাংক ভবনে আগুন লেগেছে। তাৎক্ষণিকভাবে মতিঝিলে অবস্থানরত ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। সঙ্গে আরও তিনটি ইউনিট যোগ দেয়। মোট চারটি ইউনিট গিয়ে দেখে আগুনের কোনো আলামত নেই।

প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, ফায়ার অ্যালার্ম বেজেছে ভুলক্রমে। এজন্য আগুন লেগেছে ভেবে আমাদের জানানো হয় বলে জানান ফায়ার সার্ভিসের ডিউটি অফিসার রাদেশ বিন খালেদ।

এর আগে দুপুর ২টা ৩২ মিনিটে অগ্নিকাণ্ডের খবর পায় ফায়ার সার্ভিস। এরপরই দ্রুত ফায়ার সার্ভিসের ৪ ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে।

বাংলাদেশ ব্যাংক   ফায়ার সার্ভিস  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

বাংলাদেশ ব্যাংকে আগুন

প্রকাশ: ০২:৪৩ পিএম, ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

বাংলাদেশ ব্যাংকে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। অগ্নিকাণ্ড নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের ৪টি ইউনিট কাজ করছে।

শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) ফায়ার সার্ভিসের ডিউটি অফিসার রাশেদ বিন খালেদ গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন । 

তিনি বলেন, আমরা দুপুর ২টা ৩২ মিনিটে অগ্নিকাণ্ডের খবর পাই। এরপরই দ্রুত আমাদের ৪ ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চালাচ্ছে।

তবে অগ্নিকাণ্ডের বিষয়ে বিস্তারিত তিনি জানাতে পারেননি।


বাংলাদেশ ব্যাংক  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন