ইনসাইড বাংলাদেশ

পাচারের পর ভারতের যৌনপল্লিতে দেখা হল দুই বোনের

প্রকাশ: ১২:০১ পিএম, ০৩ ডিসেম্বর, ২০২১


Thumbnail পাচারের পর ভারতের যৌনপল্লিতে দেখা হল দুই বোনের

দুই বোনের দেখা হওয়ার কথা ছিল যশোরের এক গ্রামে অথবা ঢাকায়। অথচ দেড় বছর পর দেখা হয়েছে ভারতের মুম্বাইয়ের যৌনপল্লিতে। তাদের দুজনের কেউই জানত না, অন্য বোনটি তার মতোই পাচার হয়েছে। আশ্চর্য এই সাক্ষাৎপর্ব বিস্ময়ের চেয়ে বেশি বেদনার। তাদের নাম লাবণী-পারুল (ছদ্ম নাম)।

মাত্র ১৪ বছরের ছিপছিপে শ্যামলা মেয়ে লাবণী আক্তার সব সময় চোখে কাজল পরতে ভালোবাসত। বাড়ির সামনে কাকচক্ষু জলের পুকুরে দাপিয়ে বেড়ায়। এই মেয়ের জীবন মাত্র কয়েক দিনে বদলে গেছে পুরোপুরি। লাবণী এখন জানে, সব ইচ্ছের মৃত্যুর পরও মানুষ বেঁচে থাকে। এই অন্ধকার গহ্বর থেকে নিজেই দু-একবার পালাতে চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছে। তবে এবার সে গুজরাট থেকে পালিয়ে মুম্বাই পর্যন্ত পৌঁছাতে পেরেছে। গুজরাটের যৌনপল্লিতে বাংলাদেশের এক নারীর সঙ্গে পরিচয়ের পর আশ্বস্ত করেছিল, দেশে পৌঁছে দেবে। সে ভরসায় ঝুঁকি নিয়েছিল লাবণী। কিন্তু মুম্বাই এসেই বুঝেছে, সে হাতবদল হয়েছে শুধু, মুক্তি নয়।

হাতবদলের ঘটনা শুরু হয়েছে মাত্র দেড় বছর আগে অন্ধকারের ভেতর কাঁটাতারের বেড়া ডিঙিয়ে বাংলাদেশ সীমান্ত অতিক্রমের সময় থেকেই। বেনাপোলে কাঁটাতারের ফাঁক দিয়ে অন্য ভূখণ্ডে নিজের শরীর গুঁজে দেওয়ার সময় লোহার খোঁচায় পা রক্তাক্ত হলেও হাঁটা থামাতে পারেনি। তখন আর ফেরার উপায় নেই পাচারকারীদের কবল থেকে। দুই বোনের বাড়িই যশোরের এমন এক জায়গায়, যেখান থেকে বেনাপোল স্থলবন্দরের দূরত্ব মাত্র ৩৩ কিলোমিটার। ওদের গ্রামে বাল্যবিবাহের প্রবণতা যেমন বেশি, আবার ভারতে পাচারের ঘটনাও হরহামেশা ঘটে।

কিশোরী থাকতে বিয়ে হওয়া বড় বোন পারুলের স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদ হয়েছিল। গৃহকর্মী হিসেবে রাজধানীতে কাজ করে। ২০১৩ সালে ছোট বোন লাবণী ভালো ফল করে অষ্টম শ্রেণিতে উঠেছে। বড় বোনের পরিস্থিতি দেখে সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, পড়ালেখা ছাড়বে না। এর মধ্যে ওর স্কুলে এক-দুজন করে কমতে শুরু হয় সহপাঠীর সংখ্যা। তাদের বিয়ে হয়ে যায় অল্প সময়ের ব্যবধানে। যশোরে সুমাইয়া নামের সহপাঠীর বিয়ের অনুষ্ঠানে পরিচয় রাজধানীর মিজান নামের এক ব্যক্তির সঙ্গে। একপর্যায়ে হয় ফোন নম্বর আদান-প্রদান। কিছুদিন পরই ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী বাবা বিয়ে ঠিক করলেন লাবণীর। ওর মনে হলো, রাজধানীতে একবার পৌঁছাতে পারলে সে নিজের বিয়ে ঠেকাতে পারবে। পোশাকশ্রমিক হিসেবে একটা কাজ খুঁজে পেলেও চালিয়ে যেতে পারবে নিজের পড়ালেখা। তা ছাড়া বড় বোন তো ওই শহরেই আছে। এর মধ্যে দু-একবার মুঠোফোনে কথা হয়েছে মিজানের সঙ্গে। খোঁজখবর নিতে ফোন করেন মিজান। এবার লাবণী নিজেই ফোন করে রাজধানীতে একটি কাজ খুঁজে দেওয়ার অনুরোধ জানাল। দুই দিনের মধ্যে আশ্বস্ত করে মিজান জানালেন, চাকরি পাওয়া গেছে। তবে রাজধানীতে একা আসা কিশোরীর জন্য অনিরাপদ। তাই যশোর থেকে সে নিজেই নিয়ে এসে পৌঁছে দেবে বড় বোন পারুলের কাছে। 

কথামতো ব্যাগ গুছিয়ে যশোর এসে অপেক্ষারত মিজানের সঙ্গে শুরু হলো লাবণীর যাত্রা। মাত্র ঘণ্টা দেড় পরই বাস গন্তব্যে পৌঁছালে অবাক হয়েছিল। পদ্মা নদী পার হতে হলো না, গাবতলী বাসস্ট্যান্ডের নাম শুনল না, অথচ পৌঁছে গেছে! এর মধ্যে সে অন্ধকারেও আবছা দেখেছে, সবুজ সাইনবোর্ডে লেখা বেনাপোলের দূরত্ব ১০ কিলোমিটার। পাশের সিটে বসে থাকা মিজানের মুঠোফোনের আলাপ থেকে সন্দেহ আরও পোক্ত হয়। বেনাপোল সীমান্তের কাছে এক বাড়িতে নিয়ে গেলে লাবণী দেখল, আগেই ওখানে নিয়ে আসা হয়েছে আরও সাত কিশোরীকে। কয়েক ঘণ্টার অপেক্ষা, এরপর শুরু হলো তাদের হাঁটা। ওদের আটজনকে নিয়ে রওনা হলো দুই পাচারকারী, যার মধ্যে একজন সেই মিজান। চোরাই পথে ওপাশে পৌঁছানোর পর তাদের নিয়ে যাওয়া হলো আরেকটি বাড়িতে। সেখানে একজন মাঝবয়সী নারী সবার ওপর কর্তৃত্ব খাটান। তাঁর হাতে বুঝিয়ে দেওয়া হলো নবাগতদের। এ সময়ই সে প্রথম জানতে পারে, যৌনকর্মী হিসেবে এক লাখ টাকায় বিক্রি হয়েছে সে। আগে থেকে এ বাড়িতে ছিল বাংলাদেশের আরও কয়েকজন মেয়ে। যাদের নির্দিষ্ট সময়ের জন্য কোথাও নিয়ে যাওয়া হয়, আবার রাতে ওরা ফিরে আসে।

সীমান্তঘেঁষা ভারতের ওই বাড়ি থেকে দুই দিন পর গুজরাটের উদ্দেশ্যে ওকে নিয়ে যাওয়া হয় আরেকটি বহরের সঙ্গে। ফলে বাংলাদেশ থেকে নিয়ে আসা অন্য মেয়েদের সঙ্গেও যোগাযোগবিচ্ছিন্ন হয়। গুজরাট পৌঁছানোর পর প্রথম দুই মাস লাবণীকে দিয়ে অন্য মেয়েদের বসে থাকা কাজের ফাইফরমাশ করানো হচ্ছিল। এ সময় নিয়মিত কয়েক রকম ওষুধ খাওয়ানো হতো। পায়ের জন্য অ্যান্টিবায়োটিক বলা হলেও ওর ধারণা, এর মধ্যে অন্য ওষুধও ছিল। দ্রুত শরীর ফুলে উঠছিল, বাড়ছিল ঝিমুনি।

প্রতিদিন তাকে দুই থেকে তিনটি হোটেলে পৌঁছে দেওয়া হতো ভিন্ন ভিন্ন বয়সী কাস্টমারদের কাছে। অনিচ্ছা প্রকাশের কোনো সুযোগ নেই। মাত্র ১৩ বছরের কিশোরীর কাছে নেই পাসপোর্ট। অবৈধ প্রবেশকারী হিসেবে পুলিশ যখন-তখন জেলে ভরতে পারে, ফলে পথে একা চলাফেরা সম্ভব নয়। ভয় দেখানো হয়েছে, এ দেশের জেলে একবার ঢুকলে মৃত্যুও সেখানেই হবে। যশোরের এক প্রত্যন্ত গ্রামের কিশোরীর জীবনের গল্প বদলে গেল একটা ভুল সিদ্ধান্তের জন্য। বাংলাদেশের শত শত লাবণী এমন ভুল করেছে অপরিচিত মানুষকে বিশ্বাস করে।

যশোরে একটি বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার অফিসে বসে লাবণী বলছিল, গুজরাটে যেদিন প্রথম বাধ্য করা হয়েছিল, সেদিন অনেকবার মনে হয়েছে আত্মহত্যা করি। পায়ের ঘা থেকে মরে গেলেও ভালো হতো। ২০১৩ সালে এত ছোট ছিলাম যে পালানোর বুদ্ধিটাও ভালোভাবে করতে পারিনি। অথচ আমি তো আরও পড়ব বলে বাবা-মায়ের ঠিক করা বিয়ে থেকে পালিয়েছিলাম।

দুজনই দেশে ফিরেছে জীবন থেকে চার-পাঁচ বছর সময় হারিয়ে। লাবণী ভারতের একটি সেফ হোমে ছিল তিন বছর। ‘জাস্টিস অ্যান্ড কেয়ার’ নামের বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার মধ্যস্থতায় ২০১৬ সালে দেশে ফিরেছে সে। পাচার হয়েছিল ২০১৩ সালের জুন মাসে। এরপর শুরু হলো টিকে থাকার, সমাজের কাছে নিজেদের গ্রহণযোগ্য করে তোলার সংগ্রাম। যশোর সদরের আরবপুরে ‘বাঁচতে শেখা নামে’ আরেকটি উন্নয়ন সংস্থার কার্যালয়ে বসে কথা হচ্ছিল ওর সঙ্গে। প্রায় ৩০ কিলোমিটার পথ ভেঙে মেয়েটি এসেছিল নিজের জীবনের গল্প শোনাতে। জানাল, বাড়ি থেকে বের হয়ে পায়ে হেঁটে, গণপরিবহনে এসে আবার শেয়ারের অটোতে করে পৌঁছেছে। কিন্তু নিজের জীবনের গল্পটা সে বলতে চায় অন্যদের জন্য।

বাড়ি ফেরার পর আশপাশের মানুষ প্রায় একঘরে করেছিল পুরো পরিবারকে। দুই মেয়েকে হারিয়ে তত দিনে সচেতন হয়েছেন ওদের বাবা। ভেবেছিলেন আর দেখা হবে না মেয়েদের সঙ্গে। দুই মেয়েকেই অল্প বয়সে বিয়ে দিতে চেয়ে প্রথম ভুলটা তিনিই করেছেন বলে মুঠোফোনে স্বীকার করলেন এই পিতা। দেশে ফেরার পর বড় মেয়েকে পাঠিয়ে দেওয়া হলো নড়াইলে নানাবাড়িতে। কিছুদিন ঘর থেকে বের হতো না লাবণী। এরপর আস্তে আস্তে শুরু হলো ওর ঘুরে দাঁড়ানোর গল্প।

অষ্টম শ্রেণিতে পড়ার সময় পাচারকারীর হাতে পড়েছিল লাবণী আক্তার। এরপর এসএসসি, এইচএসসি পাস করেছে ভালো ফল নিয়ে। এখন অনার্স পড়ছে সে। কম্পিউটার শিখেছে। শখ করে পুঁতি দিয়ে গয়না বানানো ওর শখ। নিজের জামায় নিজেই নকশা তোলে। মাঝেমধ্যে পুকুরের পাশে গিয়ে বসে। পুরোনো দিনের কথা মনে করে না।

যশোর   পাচার   ভারত  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

হাসপাতালের লিফটে আটকা ৪৫ মিনিট, রোগীর মৃত্যু

প্রকাশ: ০৬:১৪ পিএম, ১২ মে, ২০২৪


Thumbnail

গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের লিফটে আটকে পড়ে এক নারী রোগীর মৃত্যু হয়েছে। 

রোববার (১২ মে) সকালে হাসপাতালের ৩ নম্বর লিফটে এ ঘটনা ঘটে।

এ ব্যাপারে নিহতের স্বজনরা সাংবাদিকদের কাছে লিফট অপারেটরদের দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগ করেছেন। 

মৃত মমতাজ বেগম (৫০) গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলার রাণীগঞ্জ ইউনিয়নের বাড়িগাঁও গ্রামের শারফুদ্দিন বিএসসি'র স্ত্রী। 

মৃতের ভাগ্নে খন্দকার শাহদত হোসেন সেলিম বলেন, আমার মামি মমতাজ বেগম শ্বাসকষ্ট ও হৃদরোগ নিয়ে রোববার সকাল সাড়ে ৬টার দিকে ওই হাসপাতালের ১১ তলার মেডিসিন বিভাগে ভর্তি হন। চিকিৎসকরা তাকে একই ভবনের ৪র্থ তলায় থাকা কার্ডিওলজি বিভাগে ট্রান্সফার করেন। মামি হাঁটাচলা করতে পারলেও দ্রুত হৃদরোগ বিভাগে নেওয়ার জন্য ট্রলিতে ওঠানো হয়। পরে মামি, তার ছেলে আব্দুল মান্নান, মেয়ে শারমিন ও আমি হাসপাতালের ৩নং লিফটে উঠি। ৯ম ও ১০ তলার মাঝমাঝি থাকা অবস্থায় লিফটি হঠাৎ ঝাঁকুনি দিয়ে থেমে যায়। তখন আমি লিফটে থাকা মোবাইল নম্বরে একাধিক ব্যক্তিকে বার বার ফোন করলেও তারা কোনো কর্ণপাত করেননি। উল্টো আমাদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেছেন।

এমতাবস্থায় রোগী ছটফট করতে থাকলে ৯৯৯ নম্বরে ফোন করি। প্রায় ৪৫ মিনিট পর এক পর্যায়ে কয়েকজন অপারেটর দরজা কিছুটা ফাঁক করে আবার বন্ধ করে চলে যায়। এসময় অনেক কষ্টে আমরা তিনজন বেরিয়ে আসতে পারলেও মামীকে বের করা সম্ভব হয়নি। পরে ৯৯৯ নম্বরের কলের মাধ্যমে পুলিশের কাছ থেকে খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা  ঘটনাস্থল যান। কিন্তু ততক্ষণে লিফটের ভেতরেই আমার মামি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন।

পরে জয়দেবপুর ফায়ার স্টেশনের কর্মীরা দরজা খুলে মমতাজ বেগমের মরদেহ উদ্ধার করে। যদি সঠিক সময়ে তাকে উদ্ধার করা হতো তাহলে হয়তো বাঁচানো যেত।

এর আগে গত ৪ মে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দায়িত্বে অবহেলার কারণে ১২ তলার ভেতরের দেয়াল ও মেঝের মধ্যে থাকা ফাঁকা স্থান দিয়ে এক রোগী ১০ তলায় পড়ে গিয়ে মারা যান। এসব অবহেলায় জড়িতদের উপযুক্ত শাস্তি দাবি করেছেন রোগীর স্বজনরা।

লিফটে আটকা পড়ে রোগীর মৃত্যুর খবরের সত্যতা স্বীকার করে হাসপাতালের উপ-পরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, প্রাথমিকভাবে জানা গেছে হাসপাতালে সকাল সাড়ে ৯টার দিকে হঠাৎ বিদ্যুৎ চলে গেলে লিফটে যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দেয়। এতে রোগী মমতাজ বেগম ও তার কয়েকজন স্বজনসহ লিফটে আটকা পড়েন। লিফটের অপারেটর ও জয়দেবপুর ফায়ার স্টেশনের কর্মীরা ঘটনার ১৫/২০ মিনিটের মধ্যে মমতাজের লাশ ও তার স্বজনদের উদ্ধার করে।

বিষয়টি খতিয়ে দেখতে তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। তদন্তের পর প্রকৃত ঘটনা বেরিয়ে আসবে। এ ঘটনায় কারো গাফিলতি থাকলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


হাসপাতাল   লিফট   মৃত্যু  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

সিটি টোলের নামে চাঁদাবাজি উন্নয়নকে মলিন করে দিচ্ছে: সাঈদ খোকন

প্রকাশ: ০৬:০০ পিএম, ১২ মে, ২০২৪


Thumbnail

ঢাকা শহরে সিটি টোলের নামে চাঁদাবাজি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়ন-অগ্রযাত্রা মলিন করে দিচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা-৬ আসনের সংসদ সদস্য মোহাম্মদ সাঈদ খোকন। 

রোববার (১২ মে) দুপুর ১২টায় পুরান ঢাকার নর্থ-সাউথ রোডের সুরিটোলা সরকারি মডেল প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে তিন হাজার পরিবারকে ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহারের’ খাদ্যসামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এই মন্তব্য করেন। সরকারের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় এই খাদ্যসামগ্রী ঢাকা-৬ আসনে বরাদ্দ দিয়েছে।

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সাবেক এই মেয়র বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে দেশের প্রতিটি ক্ষেত্রে আমরা উন্নতি করার চেষ্টা করছি। এই উন্নয়ন, পরিশ্রম ও বদলে যাওয়া বাংলাদেশ কিছু আচরণে প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে। এখন পুরান ঢাকার রাস্তার মোড়ে মোড়ে সিটি টোলের নামে চাঁদাবাজি চলছে। হাতে লাঠি আর মুখে বাঁশি বাজিয়ে রিকশা, ভ্যান, ট্রাক, বাস থামিয়ে টাকা নিচ্ছে। এই চাঁদাবাজিতে জনগণ আতঙ্কিত। কোমলমতি শিক্ষার্থীরা রিকশায় স্কুলে যাতায়াতের সময় হাতে লাঠি নিয়ে কেউ আসলে ভয় পেয়ে যায়, তাদের সঙ্গে থাকা মায়েরাও ভয় পেয়ে যায়। এই কাজ নেত্রীর উন্নয়ন-অগ্রযাত্রাকে মলিন করে দিচ্ছে।’

টোলের নামে যারা চাঁদাবাজি করে তারা সরকারের ভালো চায় না জানিয়ে মোহাম্মদ সাঈদ খোকন বলেন, ‘চাঁদাবাজরা দল এবং নেত্রীর ভালো চায় না। তারা নেত্রীর ভালো চাইলে এসব কাজ থেকে বিরত থাকত এবং জনগণের সেবায় কাজ করত। আমি আশা করব অনতিবিলম্বে এই ধরণের কর্মকাণ্ড বন্ধ করে নেত্রীর নির্দেশে জনগণের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত করুন, জনগণের কাতারে আসুন।’

সাঈদ খোকন আরও বলেন, ‘সিটি টোলের নামে চাঁদাবাজি বিষয়টি সম্প্রতি সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে উপস্থাপন করেছি। স্থানীয় সরকার মন্ত্রীকে বলেছি আমার নেত্রীর অর্জন মলিন হয়ে যাচ্ছে। আপনি অনতিবিলম্বে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিন। তিনি ব্যবস্থা নিবেন বলে আমাকে আশ্বস্ত করেছেন।’

খাদ্যসামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের উদ্দেশে ঢাকা-৬ আসনের সংসদ সদস্য বলেন, ‘এই ধরণের অরাজকতা এবং চাঁদাবাজি অনতিবিলম্বে বন্ধ করতে হবে। আমরা শেখ হাসিনার কর্মী হিসেবে জনগণের পাশে আছি, পাশে থাকব ইনশাআল্লাহ। আপনারা (পুলিশ) এবং আমরা জনগণ হাতে হাত রেখে, কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে এই দেশের উন্নয়নে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে কাজ করে যাব ইনশাআল্লাহ।’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে বদলে দিয়েছেন জানিয়ে সাঈদ খোকন বলেন, ‘ভারতের চেয়েও বাংলাদেশ অর্থনৈতিক ও সামাজিক সূচকে অনেক দূর এগিয়ে গেছে। এই সরকারের আমলে প্রায় একশোর ওপরে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি চলমান রয়েছে। যার মাধ্যমে গরীব-দুঃখী মানুষ খেতে পারে, চলতে পারে। ইউনিয়ন লেভেলে কমিউনিটি হেলথ কেয়ার সেন্টারের মাধ্যমে মানুষকে চিকিৎসাসেবা দেওয়া হচ্ছে। কোটি মানুষকে বিনামূল্যে-স্বল্পমূল্যে খাদ্যসামগ্রী দেওয়া হচ্ছে। ঢাকা শহরের প্রতি ওয়ার্ডে হাজারো গরীব-দুঃখী মানুষকে চাল, ডাল, তেল, লবণ দেওয়া হচ্ছে।’

মোহাম্মদ সাঈদ খোকন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

সুবর্ণচরে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের বাড়িঘরে হামলা-ভাঙচুরের অভিযোগ

প্রকাশ: ০৫:২৫ পিএম, ১২ মে, ২০২৪


Thumbnail

নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের বাড়ি ঘরে হামলা-ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে। গত ৮ মে অনুষ্ঠিত উপজেলা নির্বাচনে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি খায়রুল আনম সেলিমের ভোট করায় এমপি পুত্র সাবাব চৌধুরীর লোকজন এ হামলা করে।

রোববার (১২ মে) সকালে নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে দলের নেতারা এমন অভিযোগ করেন। 

এ সময় বক্তব্য রাখেন সদ্য শেষ হওয়া সুবর্ণচর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যক্ষ এএইচএম খায়রুল আনম চৌধুরী সেলিম, সাধারণ সম্পাদক ও নোয়াখালী পৌর মেয়র সহিদ উল্যাহ খান সোহেল, শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আবদুল ওয়াদুদ পিন্টুসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।

সংবাদ সম্মেলনে নেতারা বলেন, গত ৮মে অনুষ্ঠিত সুবর্ণচর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে কেন্দ্রে ভোটারদের আসতে বাধা দেয় আনারস প্রতীকের কর্মীরা। কুপিয়ে আহত করে দোয়াত কলমের কর্মীদের। সন্ধ্যায় চারটি কেন্দ্রের ভোট উলটপালটও করা হয়। চরমহি উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়, চরমহি উদ্দিন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, চরমহি উদ্দিন এনএ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, হাজীপুর বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও বহুমুখী আশ্রয় কেন্দ্রের ফলাফল স্থগিত রেখে পুনঃভোট দেয়া এবং বাতিল হওয়া ১৯১৪টি ভোট পুনঃগননা করার পর চুড়ান্ত ফলাফল ঘোষণার দাবী জানান তারা।

নেতৃবৃন্দ অভিযোগ করে বলেন, নির্বাচনী ফলাফল ঘোষণার পর থেকে প্রতিদিন সুবর্ণচরের বিভিন্ন উপজেলায় হামলা চালানো হচ্ছে। সবচেয়ে বেশি হামলা, ভাঙচুর ও লুটের ঘটনা ঘটেছে চরজব্বার ইউনিয়নে। সেখানকার চাউয়াখালী বাজারে অন্তত ১৫টি দোকানপাট, আশপাশে অন্তত ২০টি বসত বাড়িতে হামলা-ভাঙচুর ও লুটপাট চালানো হয়। এ সময় পিটিয়ে আহত করা হয় অর্ধশত কর্মী ও তাদের স্বজনদের। বিয়ে বাড়িতে হামলা চালিয়ে বিয়ে বন্ধ করে দেয়া হয়। সংবাদ সম্মেলনে এসব ঘটনার একটি ভিডিও উপস্থাপন করা হয়। অভিযোগকারীরা, ঘটনার বিষয়ে খতিয়ে দেখে অভিযুক্তদের বিচারের আওতায় আনার দাবি জানান।

সুবর্ণচর   আওয়ামী লীগ   সাবাব চৌধুরী   নোয়াখালী  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

উপজেলা নির্বাচনে প্রভাব বিস্তারের অভিযোগ, নির্বাচন থেকে সড়ে দাড়ালেন চেয়ারম্যান প্রার্থী

প্রকাশ: ০৪:৫৯ পিএম, ১২ মে, ২০২৪


Thumbnail

পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিলেন চেয়ারম্যান প্রার্থী বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান বাকিবিল্লাহ। পাবনা- আসনের এমপি মকবুল হোসেন তার ছেলে চেয়ারম্যান প্রার্থী গোলাম হাসনাইন রাসেলের পক্ষে প্রভাব বিস্তার করছেন এবং এতে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন সম্ভব নয় বলে অভিযোগ করেন তিনি। এতে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন তিনি।

রোববার (১২ মে) দুপুরে পাবনা প্রেসক্লাবের ভিআইপি মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে ঘোষণা দেন বাকিবিল্লাহ। তিনি জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘উপজেলা নির্বাচনে পাবনা- আসনের সংসদ সদস্য মকবুল হোসেনের ছেলে গোলাম হাসনাইন রাসেল উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী হয়ে আমার কর্মী-সমর্থকদের উপর বিভিন্ন ধরনের অত্যাচার নির্যাতন ভয়-ভীতি প্রদর্শন করে আসছেন। যে কারণে নির্বাচনে ব্যাপক প্রভাব পড়েছে। আমার কর্মী সমর্থকরা ঘর থেকে বের হতে পারছে না।’

বাকিবিল্লাহ বলেন, ‘এমপিপুত্র রাসেল ভাঙ্গুড়া পৌরসভার মেয়র পদ থেকে পদত্যাগ করে উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী হয়েছেন। বাবা এমপি আর ছেলে উপজেলা চেয়ারম্যান উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হলে আমাদের মত দীর্ঘ দিনের বঙ্গবন্ধুর আদর্শের পরিক্ষিত ব্যক্তির জন্য জায়গা কোথায়? তাদের লক্ষ্য বর্তমান এমপি মকবুল আগামীতে নির্বাচন করতে পারবেন না। তাই নিজের ছেলেকে আগামী নির্বাচনে এমপি প্রার্থী করতে এবার উপজেলা চেয়ারম্যান বানানোর পরিকল্পনা নিয়েছেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার চাইতে এগিয়ে গ্রেপ্তার হয়ে জেল খেটেছি, বারবার লাঞ্ছিত হয়েছি, তখন এমপি মকবুল তার পুত্র রাসেলের রাজনীতির কি পরিচয় ছিল? মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা দিয়েছেন এমপির স্ত্রী-সন্তানরা উপজেলা নির্বাচন করতে পারবে না, তারপরও সেই ঘোষণা উপেক্ষা করে নির্বাচন করছে এমপির ছেলে রাসেল।’

নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়ে বাকিবিল্লাহ বলেন, ‘গত সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী নির্বাচন করায় কিছু আওয়ামী লীগ নেতা কর্মীর উপরে ব্যাপক নির্যাতন করা হয়েছে, থানায় এসবের অভিযোগ দিয়েও কোন লাভ হয় নাই। আমার উপজেলা নির্বাচনে আমার কর্মী সমর্থকদের উপর হামলা মামলার ভয় ভীতি প্রদর্শনের কারণে আমার কর্মীরা হতাশাগ্রস্থ। কোথাও কোনো প্রতিকার মিলছে না। এমন পরিস্থিতিতে আমার নির্বাচন করা মোটেও সম্ভব নয়, তাই নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালাম।’

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ভাঙ্গুড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি লোকমান হোসেন, উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা গোলাম মোস্তফা, হাসিনুর ইসলাম, নুরুল ইসলাম প্রমুখ।

সংবাদ সম্মেলনে ভাঙ্গুড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি লোকমান হোসেন বলেন, এমপি সাহেব তার ছেলে অর্থের দাপটে আমাদের নেতাকর্মীকে ভয় দেখিয়ে, লোভ লালসা দিয়ে, টাকা দিয়ে উপজেলা নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ প্রভাবিত করছেন। এমপির ছেলে ঘোষণা করছেন নির্বাচন করতে কত টাকা লাগবে। তাই দেওয়া হবে। এত টাকা কোথায় পাচ্ছেন তা জানি না। ১৫ বছর এমপির দায়িত্বে আছেন মকবুল সাহেব, অথচ তিনি উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতির সাথে ১৫টি কথাও বলেননি। ভাঙ্গুড়া উপজেলা আওয়ামী লীগে তার কোনো সহযোগিতা পাইনা।’

এসব অভিযোগের বিষয়ে চেয়ারম্যান প্রার্থী এমপির ছেলে গোলাম হাসনায়েন রাসেল বলেন, 'নির্বাচনের শেষ সময়ে এসে নির্বাচন থেকে সড়ে দাঁড়ানো অসাংবিধানিক। তিনি (বাকিবিল্লাহ) ইতোমধ্যে কর্মী শূণ্য হয়ে পড়েছেন। আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ সঠিক নয়। অভিযোগ করলে তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন নির্বাচন কমিশন তথা সংশ্লিষ্ট দপ্তর। তিনি সরেজমিনে এলাকা ঘুরে যাওয়ার দাবি জানিয়ে বলেন, মিথ্যাচারের কিছু সীমা থাকে, সেটা তিনি অতিক্রম করে গেছেন। গত জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিপক্ষে কাজ করে নিজেই দল থেকে ছুটে গেছেন।'

বিষয়ে কথা বলার জন্য পাবনা- আসনের এমপি মকবুল হোসেনের সাথে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি। তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

উল্লেখ্য, ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দ্বিতীয় ধাপে আগামী ২১ মে পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন বর্তমান চেয়ারম্যান জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য আলহাজ মো. বাকী বিল্লাহ (আনারস), উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক সাবেক মেয়র আলহাজ গোলাম হাসনাইন রাসেল (মোটরসাইকেল) তিনি পাবনা- এর সাংসদ আলহাজ্ব মো. মকবুল হোসেনের বড় ছেলে। অপর প্রার্থী হলেন, পাবনা জেলা কৃষক লীগের সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মেজবাহুর রহমান রোজ (ঘোড়া)


উপজেলা নির্বাচন   চেয়ারম্যান প্রার্থী   প্রভাব বিস্তার   এমপি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

চাকরির বয়সসীমা নিয়ে আমার করা সুপারিশের কার্যকারিতা নেই: শিক্ষামন্ত্রী

প্রকাশ: ০৪:৩৫ পিএম, ১২ মে, ২০২৪


Thumbnail

জনপ্রশাসনমন্ত্রী জাতীয় সংসদে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ বছর করার বিষয়ে সরকারের নীতিগত সিদ্ধান্তের বিষয়টি স্পষ্ট করায় সেই সুপারিশের আর কার্যকারিতা নেই বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী।

রোববার (১২ মে) সচিবালয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার প্রকাশিত ফলের বিষয়ে বিস্তারিত জানাতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেন, কিছু চাকরিপ্রার্থী বিষয়টি নিয়ে অনুরোধ করেছিলেন। আমি কিছু কিছু বিষয়ে তাদের সঙ্গে আলোচনাকালে মনে হয়েছিল, এ বিষয়ে একটা সুপারিশ করা যেতে পারে।

তিনি বলেন, এরই মধ্যে এ বিষয়ে জনপ্রশাসনমন্ত্রী সংসদে পরিষ্কার করে বলেছেন, সরকারের বা রাষ্ট্রের নীতিগত সিদ্ধান্ত কী। এ বয়সসীমা বৃদ্ধির বিষয়ে এই মুহূর্তে কোনো সিদ্ধান্ত নেই, সেটি তিনি বলে দিয়েছেন।

তিনি আরও বলেন, কিন্তু সেই সুপারিশপত্রকে পুঁজি করে একটি পক্ষ সংঘাতমূলক পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে চাচ্ছে। সেখানে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে চাচ্ছে। আমি তাদের বলব, তারা একটি খারাপ কাজ করার চেষ্টা করছেন। এখানেই বিষয়টির সমাপ্তি ঘটেছে।

মন্ত্রী বলেন, আমার সুপারিশপত্রের কার্যকারিতা এখন আর নেই। এটি নিয়ে জলঘোলা করে নানা জায়গায় দাঁড়িয়ে আন্দোলনের নামে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করা কখনোই কাম্য না। আমি আলোচনা করে জানতে পেরেছি, মাত্র এক শতাংশ শিক্ষার্থী ৩০ বছর বয়সে চাকরি পাচ্ছেন। যেখানে এক শতাংশ মাত্র, সেখানে ৩৫ করলে আর কতই-বা বাড়বে? সেটি পরিষ্কার বোঝা যাচ্ছে।

চাকরির বয়সসীমা   শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী   জনপ্রশাসন মন্ত্রী  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন