১৯৭১
সালের ৬ ডিসেম্বর ভারত
আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয়। এই স্বীকৃতির মধ্যে
দিয়েই স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশের অস্তিত্ব বিশ্বদরবারে উদ্ভাসিত হয়ে ওঠে। তখন নিশ্চিত হয়ে যায় মুক্ত স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ আত্মপ্রকাশ করতে যাচ্ছে, এটির সময়ের ব্যাপার মাত্র। বাংলাদেশের অভ্যুদয়ে ভারতের অবদান অনস্বীকার্য। বিশেষ করে ২৫শে মার্চের কাল রাত্রিতে পাকিস্তান হানাদার বাহিনীর নির্যাতন, ধর্ষণ, লুণ্ঠন, অগ্নিসংযোগের পরও বাংলাদেশ যে স্বাধীন-সার্বভৌম
দেশ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে সেক্ষেত্রে ভারতের একটি বড় ধরনের ভূমিকা রয়েছে। বাংলাদেশে পাকিস্তানিদের এই গণহত্যার পর
পরই লাখ লাখ বাংলাদেশি ভারতে আশ্রয় গ্রহণ করে এবং দীর্ঘদিন ভারতের শরণার্থী হিসেবে থেকেছিল বিপুলসংখ্যক বাঙালি। শুধু তাই নয়, বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্ধাদেরকে প্রশিক্ষণ, অস্ত্র এবং নানারকম সহযোগিতা দিয়ে আমাদের মুক্তিযুদ্ধকে জিয়িয়ে রেখেছিল ভারত।
এসময়
ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর অবদান অনস্বীকার্য। কেবল শরণার্থীদের আশ্রয় দেননি, মুক্তি বাহিনীদেরকে প্রশিক্ষণ দেননি, আন্তর্জাতিক মহলে বাংলাদেশের স্বীকৃতির পক্ষে তিনি কাজ করেছেন। মূলত ইন্দিরা গান্ধীর জন্যই বাংলাদেশ স্বাধীনতা যুদ্ধে এত তড়িৎ সময়ে
বিজয়ী হয়েছিল, এটি ইতিহাসে সকলেই স্বীকার করেন। কিন্তু স্বাধীনতার পরপরই বাংলাদেশে এক ধরনের ভারত
বিরোধী আবহ তৈরি হয়। বাংলাদেশের স্বাধীনতার পরপরই বঙ্গবন্ধুর অনুরোধে ভারতীয় সৈন্যরা তাদের দেশে ফিরে যায়। এটি যেকোন দেশের মুক্তি সংগ্রামের ক্ষেত্রে অবিস্মরণীয় ঘটনা। ভারতীয় সৈন্যরা ফিরে যাওয়ার পরও বাংলাদেশে ভারতবিরোধী মনোভাব কমেনি। বরং কিছু কিছু জনগণ পরিকল্পিতভাবে ভারত বিদ্বেষ ছড়ানোর চেষ্টা করেছে।
পঁচাত্তরের
পর ভারতবিদ্বেষ রাষ্ট্রীয় মর্যাদা পায় এবং সরকারই ভারত বিরোধী এক ধরনের জিকির
শুরু করে। ভারতের আধিপত্য, বাংলাদেশকে শক্তিশালী করতে চায় না কিংবা ভারত
বাংলাদেশের সব বিষয়ে হস্তক্ষেপ
করে ইত্যাদি নানা রকম জিকির তুলে এক ধরনের ভারত
বিরোধী আবহ তৈরি করা হয়। যেহেতু ভারত বাংলাদেশের নিকটতম প্রতিবেশী এবং একমাত্র মিয়ানমারের অংশ ছাড়া পুরো বাংলাদেশই ভারতের সীমান্ত দ্বারা পরিবেষ্টিত, সেজন্য বাংলাদেশে ভারত বিরোধিতা করতে, ভারত বিরোধিতার স্লোগান জনপ্রিয় করতে বেগ পেতে হয়নি। আর এই শ্লোগান
তৈরি করা হয়েছে পরিকল্পিতভাবে। যারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী, যারা বাংলাদেশের স্বাধীনতা চায়নি, যারা একাত্তরের বাংলাদেশের বিজয়কে কখনো মেনে নিতে পারেনি, তারাই পরিকল্পিতভাবে বাংলাদেশে ভারতবিরোধী এক জিকির তুলেছিল।
এই
জিকিরের এর মূল উদ্দেশ্য
ছিল পাকিস্তানিদেরকে পুনর্বাসন করা এবং বাংলাদেশ যেন আবার উল্টো পথে যাত্রা করে সেরকম একটি আবহ তৈরি করা। ভারত বিরোধিতার মাধ্যমে আওয়ামী লীগকে নিঃশেষ করা এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ভূলুণ্ঠিত করার একটি নীরব প্রচেষ্টা বাংলাদেশে দৃশ্যমান হয়েছে পঁচাত্তরের পর থেকে। সেই
ধারা এখনো রয়েছে। এখনও যেকোন বিষয়ে ভারত বিরোধীতা করার একটা মানসিকতা কারো কারো মধ্যে দেখা যায়। খুব পরিকল্পিতভাবে ভারত বাংলাদেশের বৈরীতাকে জাগিয়ে রাখার একটা প্রচেষ্টা লক্ষ্যনীয়। এটি করা হয় মূলত বাংলাদেশকে পিছিয়ে রাখার জন্য এবং পাকিস্তানপন্থীদেরকে সহায়তা করার জন্য। একাত্তরে ভারতের যে অবদান সেই
অবদান কখনো ভুলার নয়। বিশেষ করে ৫ ডিসেম্বর ভারতের
স্বীকৃতি বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে সুনিশ্চিত করেছিল।
বাংলাদেশের
মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ে ভারতের অবদান অনস্বীকার্য। আর সেই ভারত
বিরোধিতার নানারকম গুজব এবং মিথ্যাচার ছড়িয়ে যখন বাংলাদেশের মানুষকে বিভ্রান্ত করা হয় তখন এটা
মনে করা অবাস্তব নয় যে ভারত
বিরোধিতার আড়ালে রয়েছে পাকিস্তানপ্রীতি। পাকিস্তানপন্থীরাই পরিকল্পিতভাবে এই ষড়যন্ত্র করছে
বলেও কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করেন। তাই যেকোনো কারণে ভারত বিরোধিতা নয়, বরং দুইদেশের একটি সম্মানজনক ও বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কই
বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে। ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের ভিত্তি যে মুক্তিযুদ্ধ এবং
এই মুক্তিযুদ্ধের চেতনার মধ্যে দিয়ে দুই দেশ একটি চমৎকার সম্পর্কের জায়গায় উন্নীত হতে পারে বলে বিশ্লেষকরা মনে করেন।
বাংলাদেশ ভারত মুক্তিযুদ্ধ স্বীকৃতি
মন্তব্য করুন
শেখ হাসিনা স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস
মন্তব্য করুন
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় সাঈদ মাহমুদ বেলাল হায়দার
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়লাভ করে পুনরায় নির্বাচিত হওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী এন্থনি এলবানিজ। সম্প্রতি এক শুভেচ্ছা বার্তায় এ অভিনন্দন জানান তিনি।
অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী জানান, আগামী বছরগুলোতে অস্ট্রেলিয়া ও বাংলাদেশের মধ্যে সম্পর্ক আরও জোরদার করার লক্ষে তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে কাজ চালিয়ে যাওয়ার জন্য উন্মুখ।
বাংলাদেশের সাথে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও জোরদার করার মাধ্যমে আঞ্চলিক শান্তি, উন্নয়ন ও নিরাপত্তা বজায় রাখতে কাজ করতে চান উল্লেখ করেন এন্থনি এলবানিজ।
প্রধানমন্ত্রী এন্থনি এলবানিজ চিঠিতে আরও উল্লেখ করেন, ভারত মহাসাগরের দেশ হিসেবে জলবায়ু পরিবর্তন, অভিবাসন এবং সংশ্লিষ্ট বিষয়ে উভয় দেশের একই ধরনের স্বার্থ নিয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে সহযোগিতা করতে অস্ট্রেলিয়া প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
অস্ট্রেলিয়া এন্থনি এলবানিজ বাংলাদেশ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
মন্তব্য করুন
নির্বাচনের আগে ডোনাল্ড লু’র সফর আর নির্বাচনের পরে তার সাম্প্রতিক বাংলাদেশ সফর, দুটোর মধ্যে আকাশ পাতাল তফাত। ডোনাল্ড লু নিজেই স্বীকার করেছেন। বাংলাদেশ সফর শেষে যাওয়ার পথে তিনি তার বিদায়ী সংবাদ সম্মেলনে পরিষ্কার বলেছেন, অতীতের মতপার্থক্যকে সরিয়ে যুক্তরাষ্ট্র সামনের দিকে এগিয়ে যেতে চাই। আর এই বক্তব্যের মধ্য দিয়ে একটি বিষয় স্পষ্ট হয়েছে আগের অবস্থানে নেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।
কীভাবে সম্ভব হল, কীভাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইউটার্ন নিল? কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, এটি সম্ভব হয়েছে শেখ হাসিনার পার্সোনাল ডিপ্লোমেসির কারণে। এটি ‘দ্য শেখ হাসিনা ইনিশিয়েটিভ’ এর আরেকটি অংশ। ২০১৮ সালের পর থেকেই বাংলাদেশ নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র একটি নেতিবাচক অবস্থান গ্রহণ করতে শুরু করে। বিশেষ করে জো বাইডেন প্রশাসন ক্ষমতায় আসার পর থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশ নীতি বদলাতে থাকে। এসময় একের পর এক চাপ প্রয়োগ করা হতে থাকে বাংলাদেশের উপর।
বিশেষ করে ২০২২ সালের ১৫ মার্চ পিটার ডি হাস বাংলাদেশে আসার পর সরকারের সঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র প্রায় মুখোমুখি একটি অবস্থানে চলে যায়। দুই দেশের মধ্যে নানা রকম ভুল বোঝাবোঝি সৃষ্টি হয়েছিল। এর একটি বড় কারণ ছিল যে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরে বাংলাদেশ সম্পর্কে ভুল তথ্য দেওয়া হচ্ছিল। আর এই সমস্ত ভুল তথ্যের কারণেই যুক্তরাষ্ট্র একটি ভিন্নরকম অবস্থান গ্রহণ করেছিল বাংলাদেশের ব্যাপারে।
কিন্তু ৭ জানুয়ারির নির্বাচনের পর আস্তে আস্তে পরিস্থিতি পাল্টাতে থাকে। কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা অবশ্য মনে করেন যে, নির্বাচনের আগে থেকেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান পরিবর্তন ঘটে থাকে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র অবস্থান পরিবর্তনের ক্ষেত্রে একাধিক ভূমিকা কাজ করেছে বলেই অনেকে মনে করে যেটি ডোনাল্ড লু’র সফরে স্পষ্ট প্রতিভাত হয়েছে।
প্রথমত ভারতের প্রভাব। ভারত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে বাংলাদেশের ব্যাপারে নেতিবাচক অবস্থান থেকে সরে আসার জন্য চেষ্টা করেছে এবং সফল হয়েছে। ভারতের এই অবস্থানের প্রধান কারণ ছিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ভারত বিশ্বাস করে তার উপর আস্থা রাখে এবং শেখ হাসিনার কোনো বিকল্প বাংলাদেশে নেই, এই উপলব্ধি থেকেই নরেন্দ্র মোদী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশ নিয়ে কথা বলেছেন বলে কূটনৈতিক মহল মনে করে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কৌশলগত কারণে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্কের অবনতি ঘটাতে চাইনি।
দ্বিতীয়ত, প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত উদ্যোগ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে সম্পর্ক উন্নয়নে ব্যক্তিগত উদ্যোগ গ্রহণ করেছিলেন। জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগ দেওয়ার পর তিনি সেখানে নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এছাড়াও ভারত সফরের সময় তিনি অ্যান্থনি ব্লিনকেন এবং জো বাইডেনের সঙ্গেও কথা বলেন। সবকিছু মিলিয়ে তার উদ্যোগ সফল হয়েছে। শুধু তাই নয়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের জন্য সালমান এফ রহমানকেও দায়িত্ব দিয়েছিলেন এবং সালমান এফ রহমান মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের ক্ষেত্রে যথেষ্ট ভূমিকা রেখেছেন।
তৃতীয়ত, বিরোধী দলের ভুল রাজনীতি। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র প্রত্যাশা করেছিল যে, বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলো নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে এবং এই কারণেই নির্বাচনের আগে ডোনাল্ড লু শর্তহীন সংলাপের উপর জোর দিয়েছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত যখন বিএনপি নির্বাচনে যায়নি, তখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বিষয়টিকে ইতিবাচকভাবে গ্রহণ করেনি। আর সবকিছু মিলিয়ে এখন নতুন সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এখানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিনিয়োগ আছে, মার্কিন স্বার্থ আছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশে ব্যবসার পরিধি বাড়াতে চায়, চীনের আগ্রাসন কমাতে চায়। সবকিছু মিলিয়ে তাদের সামনে বর্তমান সরকারই একমাত্র বিকল্প। আর তাই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তার অবস্থান পরিবর্তন করেছে, রীতিমতো ইউটার্ন নিয়েছে।
বাংলাদেশ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জো বাইডেন ডোনাল্ড লু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র
মন্তব্য করুন
ছাগলনাইয়া উপজেলা মেজবাউল হায়দার চৌধুরী সোহেল
মন্তব্য করুন
১৭ মে ১৯৮১, শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস। এক প্রতিকূল পরিস্থিতিতে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা দেশে ফিরেছিলেন। পিতার রক্তে ভেজা মাটিতে কপাল স্পর্শ করে তিনি কান্নায় ভেঙে পড়েছিলেন। তাঁর কান্নার সঙ্গে যোগ দিয়েছিল প্রকৃতিও। আর সে কারণেই ঢাকার আকাশ জুড়ে নেমেছিল মুষলধারে বৃষ্টি। সেই বৃষ্টি উপেক্ষা করে লাখো মানুষ শেখ হাসিনাকে বরণ করে নিয়েছিল।
নির্বাচনের আগে ডোনাল্ড লু’র সফর আর নির্বাচনের পরে তার সাম্প্রতিক বাংলাদেশ সফর, দুটোর মধ্যে আকাশ পাতাল তফাত। ডোনাল্ড লু নিজেই স্বীকার করেছেন। বাংলাদেশ সফর শেষে যাওয়ার পথে তিনি তার বিদায়ী সংবাদ সম্মেলনে পরিষ্কার বলেছেন, অতীতের মতপার্থক্যকে সরিয়ে যুক্তরাষ্ট্র সামনের দিকে এগিয়ে যেতে চাই। আর এই বক্তব্যের মধ্য দিয়ে একটি বিষয় স্পষ্ট হয়েছে আগের অবস্থানে নেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।
ফেনীর ছাগলনাইয়ায় ২০১৯ সালে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত মেজবাউল হায়দার চৌধুরী সোহেলের উপজেলা চেয়ারম্যান পদ অবৈধ ঘোষণা করেছেন হাইকোর্ট। সেইসঙ্গে ২০১৯ সাল থেকে এ পর্যন্ত তিনি উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে যত বেতন-ভাতা ও সুবিধাদি গ্রহণ করেছেন তা ৩০ দিনের মধ্যে ফেরত দিতে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। এই সময়ের মধ্যে ফেরত না দিলে ফেনীর জেলা প্রশাসককে তার থেকে আদায় করতে বলা হয়েছে।