ইনসাইড বাংলাদেশ

দূতাবাস-পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কি করলো?

প্রকাশ: ০৯:০০ পিএম, ১১ ডিসেম্বর, ২০২১


Thumbnail দূতাবাস-পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কি করলো?

সম্প্রতি আচমকা বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ৭ কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবসে পৃথকভাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দুটি বিভাগ এই নিষেধাজ্ঞা জারি করে। একটি হলো ট্রেজারি ডিপার্টমেন্ট, অন্যটি পররাষ্ট্র দপ্তর। এই নিষেধাজ্ঞা এমনভাবে আসে যা ছিলো আচমকা এবং বাংলাদেশে অনেকেই বিস্মিত হয়ে যায়। শুক্রবার সন্ধ্যায় যখন এই নিষেধাজ্ঞা জারির খবর প্রকাশিত হয় তখন অনেকেই এটা বিশ্বাস করতে পারেনি, অনেক মনে করেছিল এটি একটি ফেইক নিউজ। কিন্তু পরবর্তীতে যাচাই-বাছাই করে দেখা যায় যে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সত্যি সত্যি ৭ জন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্মকর্তার ওপর এই নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। এ ধরনের নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয় একটি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর যে ঘোষণা দিয়েছে সেই ঘোষণায় তারা এই নিষেধাজ্ঞা জারির প্রক্রিয়াগুলো বলেছে। প্রথমত, একটি অভিযোগ আসে। অভিযোগ প্রাথমিকভাবে তদন্ত করা হয়। স্থানীয় এনজিওরা এই অভিযোগগুলোকে যাচাই-বাছাই করে এবং এসব যাচাই বাছাইয়ের চূড়ান্ত পরিণতি হিসেবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এ ধরনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। এই দীর্ঘ প্রক্রিয়া সময়ে, বিশেষ করে যে ঘটনাটি কথা বলা হয়েছে যে, ২০১৮ সালের মে মাসে কক্সবাজারের টেকনাফে পৌর কাউন্সিলর একরামুল হককে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের জন্য এই মানবাধিকার বিরোধী তৎপরতার অভিযোগ এসেছে। ২০১৮ সালের ঘটনাটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র দু’বছরের বেশি সময় তদন্ত করার পর এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনে বাংলাদেশের একটি দূতাবাস করেছে এবং সেখানে একজন সিনিয়র ডিপ্লোম্যাট রাষ্ট্রদূতের দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি হলেন, এম শহিদুল ইসলাম যিনি পররাষ্ট্র ক্যাডারের একজন কর্মকর্তা এবং বিভিন্ন দেশে তিনি কূটনীতিক চাকরি করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত হয়েছেন।

প্রশ্ন উঠলো যে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত বাংলাদেশের দূতাবাস এই ঘটনার সময় কি করলো? এই বিভিন্ন ধাপ অতিক্রম করার সময় তারা কি ভূমিকাহীন ছিলো? তারা কি বাংলাদেশ সরকারকে কিছু জানিয়েছিল? তারা কি বলেছিল যে, এরকম একটি প্রক্রিয়া চলছে, এ ব্যাপারে বাংলাদেশ সরকারের ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত। বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী কিছুদিন আগে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সফরে এসেছিলেন। তিনি বিভিন্ন সময় বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের অত্যন্ত মধুর সম্পর্ক রয়েছে। তাই যদি হবে তাহলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এরকম একটি সিদ্ধান্ত নিলো, এ ব্যাপারে কি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আগাম কোন সতর্কবার্তা পেয়েছিল কিংবা বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এই প্রক্রিয়াগুলো সম্পর্কে কোন কিছু জানতো? আমরা এর আগে দেখেছি যে, আল-জাজিরায় বাংলাদেশ সম্পর্কে অসম্মানজনক, ভিত্তিহীন, বানোয়াট প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছিল। সেই প্রতিবেদনের ব্যাপারেও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অন্ধকার ছিলো। এখন যখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র একটির পর একটি বাংলাদেশবিরোধী পদক্ষেপ গ্রহণ করছে, তখন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় রীতিমতো অন্ধকারে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় যদি প্রজ্ঞাপন থেকে বা আনুষ্ঠানিক ঘোষণা থেকে সিদ্ধান্ত জানে তাহলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দরকার কতটুকু, সে প্রশ্ন উঠেছে।

বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে একজন মন্ত্রী, একজন প্রতিমন্ত্রী রয়েছেন। দক্ষ, মেধাবী কর্মকর্তাবৃন্দ রয়েছেন। কিন্তু বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা কতটুকু দেশের স্বার্থে কাজ করছেন এ নিয়ে প্রশ্ন উঠতেই পারে। বিভিন্ন সময়ে আমরা দেখি, বাংলাদেশ সম্পর্কে যখন ভুল প্রচারণা করা হয়, অপপ্রচার করা হয়, মিথ্যাচার করা হয় তখন বাংলাদেশের মিশনগুলো ভূমিকাহীন থাকে, অনেকটা দর্শকের ভূমিকায় থাকে। সর্বশেষ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ঘটনাতেও আমাদের হাইকমিশনের ভূমিকা এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ভূমিকা ছিলো দর্শকের। এরপরে বিবৃতি-বক্তৃতা দিয়ে কোন লাভ নেই। আমরা কি তাহলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের সঙ্গে নিবিড় ভাবে কাজ করছি না? আমাদের সঙ্গে কি তাদের সম্পর্কটা সুখকর নয়? পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রধান কাজ হলো দু’দেশের সম্পর্ক স্বাভাবিক রাখা, দু’দেশের ছোটখাটো টানাপোড়ন গুলোকে মীমাংসা করা। জনগণের ট্যাক্সের টাকায় কোটি কোটি টাকা খরচ করে দূতাবাস রাখা হয়, কর্মচারীদের বেতন দেওয়া হয় আমাদের স্বার্থ রক্ষার জন্য। কিন্তু বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং হাইকমিশন যদি মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে বাংলাদেশবিরোধী তথ্য জানে তাহলে এই পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশের দূতাবাস কি করলো সেই প্রশ্ন অনেকের।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী   যুক্তরাষ্ট্র  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

মার্কিন নিষেধাজ্ঞা: যা যা করতে পারবেন না সাবেক সেনাপ্রধান

প্রকাশ: ০৫:০০ পিএম, ২১ মে, ২০২৪


Thumbnail

সাবেক সেনাপ্রধান আজিজ আহমেদের বিরুদ্ধে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। গতকাল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্ট্রেট ডিপার্টমেন্ট থেকে মুখপাত্র ম্যাথু মিলার এক বিবৃতিতে সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদের বিরুদ্ধে এই নিষেধাজ্ঞাদেশ জারি করেন। এই নিষেধাজ্ঞার ফলে সাবেক সেনাপ্রধান অনেকগুলো সুযোগ সুবিধা হারাবেন। আসুন, দেখে নেয়া যাক মার্কিন নিষেধাজ্ঞার প্রভাবের কারণে তিনি কি কি হারাবেন। 

১. মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ভ্রমণ: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে জেনারেল আজিজ আহমেদ এখন আর ভ্রমণ করতে পারবেন না। শুধু তিনি নন, তাঁর পরিবারের সদস্যরাও প্রবেশের ক্ষেত্রে অযোগ্য বলে বিবেচিত হবেন। তাঁর যদি মার্কিন কোন ভিসা থেকে থাকে তাহলে সেটি বাতিল হবে। একইভাবে তাঁর পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের মার্কিন ভিসাও বাতিল করা হবে। 

২. স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে তাঁর স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হবে। মার্কিন নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়া যেকোন ব্যক্তির মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে যেসব স্থাবর অস্থাবর সম্পত্তি থাকে তা বাজেয়াপ্ত করা হবে। তাঁর যদি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে কোন বাসা, ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান ইত্যাদি থেকে থাকে তাহলে তা বাজেয়াপ্ত করা হবে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে যদি তাঁর ব্যাংক হিসাব থাকে তাহলে তা জব্দ করা হবে এবং সেটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাজেয়াপ্ত করবে। এছাড়াও তাঁর পরিবারের কোন সদস্যদের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট বা আর্থিক সংশ্লিষ্টতা থাকলে সেগুলো তাৎক্ষণিকভাবে বাজেয়াপ্ত করা হবে। 

৩. বাণিজ্য করতে পারবেন না: জেনারেল আজিজ আহমেদ এবং তাঁর পরিবারের সদস্যরা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে কোন বাণিজ্য করতে পারবে না। আজিজ আহমেদের কোন ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান যদি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে কোন পণ্য রপ্তানি করতে চায় তাহলে তা নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়বে এবং তা বারিত হবে। একইভাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে তিনি কোন পণ্য আমদানি করারও সুযোগ পাবেন না। 

৪. মার্কিন বন্ধু রাষ্ট্রে ভিসা বিড়ম্বনা: এর ফলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যারা বিভিন্ন সামরিক এবং অর্থনৈতিক জোটে আছে সেসমস্ত দেশগুলোতেও জেনারেল আজিজ আহমেদ এবং তাঁর পরিবারের সদস্যদের প্রবেশে বিড়ম্বনার শিকার হতে পারে। কারণ মার্কিন ভিসা নিষেধাজ্ঞা থাকার ফলে যেসব দেশগুলো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বিভিন্ন রকম জোটে আছে সেমস্ত দেশগুলো তাকে ভিসা দিতে অস্বীকৃতি জানাতে পারে। এর ফলে বিশ্বের অর্ধেকেরও বেশি রাষ্ট্রে যাওয়ার ক্ষেত্রে তিনি বিড়ম্বনায় পড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। যদিও সরাসরি ভাবে এ দেশগুলো মার্কিন ভিসা নিষেধাজ্ঞা প্রতিপালনে বাধ্য নয়। কিন্তু অতীতে দেখা গেছে যাদের ওপর মার্কিন ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছিল তারা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থক রাষ্ট্রগুলো যেমন, কানাডা, যুক্তরাজ্য, সিঙ্গাপুর, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়ার মতো রাষ্ট্রগুলোতে প্রবেশ করতে পারেননি। 

৫. আর্থিক লেনদেনের ক্ষেত্রে কার্ড ব্যবহারে জটিলতা: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত যেসমস্ত ক্রেডিট বা ডেবিট কার্ড রয়েছে যেমন, ভিসা, মাস্টার কার্ড ইত্যাদি ব্যবহারের ক্ষেত্রে তিনি জটিলতার মুখে পড়তে পারেন। কারণ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মাধ্যমে বৈশ্বিক লেনদেন হয়। এইসমস্ত ক্রেডিট বা ডেবিট কার্ডগুলো নিষেধাজ্ঞার আওতায় আসবে। ফলে এসমস্ত ক্রেডিট বা ডেবিট কার্ড ব্যবহারে সমস্যার মুখে পড়তে পারেন সাবেক সেনাপ্রধান এবং তাঁর পরিবারের সদস্যরা। 

এছাড়াও মার্কিন নিষেধাজ্ঞা থাকার ফলে অন্যান্য দেশে যাওয়া ভিসা প্রাপ্তি এমনকি ঐ সমস্ত দেশে আর্থিক বা অন্য কোন বিনিয়োগ করার ক্ষেত্রেও তিনি প্রশ্নের মুখোমুখি হতে পারেন, হয়রানির শিকার হতে পারেন।  

সাবেক সেনাপ্রধান   আজিজ আহমেদ   মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

রাইসির মৃত্যুতে বাংলাদেশে রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা

প্রকাশ: ০৩:৪১ পিএম, ২১ মে, ২০২৪


Thumbnail

ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির মৃত্যুতে এক দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ সরকার। বৃহস্পতিবার (২৩ মে) এই শোক পালন করা হবে।

মঙ্গলবার (২১ মে) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। 

এতে বলা হয়, সরকার এই মর্মে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে যে, গত ১৯ মে ইরানের পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের জোলফা এলাকার কাছে মর্মান্তিক হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় ইরানের রাষ্ট্রপতি ইব্রাহিম রাইসি এবং অন্যদের মৃত্যুতে আগামী ২৩ মে বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রীয়ভাবে শোক পালন করা হবে। 

এ উপলক্ষ্যে বৃহস্পতিবার বাংলাদেশের সব সরকারি, আধাসরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ সব সরকারি ও বেসরকারি ভবন এবং বিদেশে বাংলাদেশ মিশনগুলোতে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত থাকবে বলেও এতে জানানো হয়।

প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়, বৃহস্পতিবার নিহতদের বিদেহী আত্মার শান্তি কামনার জন্য বাংলাদেশের সব মসজিদে বিশেষ দোয়া অনুষ্ঠিত হবে। অন্যান্য ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে বিশেষ প্রার্থনার আয়োজন করা হবে।

ইব্রাহিম রাইসি   বাংলাদেশ   রাষ্ট্রীয় শোক  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

উপজেলা নির্বাচন: ১১১ জেলায় সাধারণ ছুটি ঘোষণা

প্রকাশ: ০৩:৪১ পিএম, ২১ মে, ২০২৪


Thumbnail

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তৃতীয় ধাপের নির্বাচন উপলক্ষ্যে দেশের ১১১ টি উপজেলায় সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী এলাকায় আগামী ২৯ মে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।

সোমবার (২০ মে) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের চাহিদা মোতাবেক ১১১টি উপজেলা পরিষদের সাধারণ নির্বাচন উপলক্ষ্যে ভোটগ্রহণের দিন অর্থাৎ ২৯ মে সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী এলাকায় সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হলো।

এর আগে তৃতীয় ধাপের নির্বাচনে ১১১ উপজেলায় সাধারণ ছুটি ঘোষণার জন্য জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়কে সম্প্রতি নির্দেশ দেয় নির্বাচন কমিশন। 

এতে বলা হয়, ২৯ মে ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের ৩য় ধাপের নির্বাচন ১১১ উপজেলায় অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচন উপলক্ষ্যে ভোটগ্রহণের দিন অর্থাৎ ২৯ মে সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী এলাকায় সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা প্রয়োজন।

বর্ণিতাবস্থায়, উপজেলা পরিষদের নির্বাচন উপলক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী এলাকায় ভোটগ্রহণের দিন অর্থাৎ ২৯ মে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আদিষ্ট হয়ে অনুরোধ করা হলো।


উপজেলা নির্বাচন   সাধারণ ছুটি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

ময়মনসিংহে নির্বাচন পরিস্থিতি পরিদর্শনে ডিসি ও এসপি


Thumbnail

আজ ২১ শে মে ষষ্ঠ তম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে ময়মনসিংহের ৬ টি উপজেলায় সকাল ৮ টায় ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে,যা বিরতহীনভাবে বিকাল ৪ পর্যন্ত চলবে।   উপজেলা নির্বাচন স্বচ্ছ, অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করার লক্ষ্যে নির্বাচনের সার্বিক পরিস্থিতি পরিদর্শনে আসেন জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা,জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট দিদারে আলম মোহাম্মদ মাকসুদ চৌধুরী এবং পুলিশ সুপার মাছুম আহাম্মদ ভূঞা। 

 

মঙ্গলবার (২১ মে) সকাল থেকে ময়মনসিংহ সদর উপজেলাসহ মুক্তাগাছার বিভিন্ন নির্বাচনী কেন্দ্র ঘুরেফিরে দেখেন ডিসি এবং এসপি। তারা ভোট কেন্দ্রে দ্বায়িত্বরত প্রিজাইডিং ও সহকারী প্রিজাইডিং অফিসারদের সঙ্গে কথা বলেন এবং নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে তাদেরকে দিকনির্দেশনামূলক নানা পরামর্শ দেন ডিসি ও এসপি। 

 

এ সময় অন্যান্যদের মাঝে জেলা আনসার কমান্ডার ড.মোস্তারী জাহান ফেরদৌস, সহকারী পুলিশ সুপার হালুয়াঘাট (সার্কেল)সাগর সরকার ও সদর সার্কেল শাহিনুল ইসলাম ফকির,সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও ইউএনও মাহামুদা হাসান, সহকারী কমিশনার (ভূমি) থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফারুক আহমেদসহ নির্বাচন সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। 

 

বিভিন্ন কেন্দ্র ঘুরে রিটার্নিং কর্মকর্তা, জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট দিদারে আলম মোহাম্মদ মাকসুদ চৌধুরী বলেন, ‘উৎসবমুখর পরিবেশে নির্বিঘ্নে ভোটারগণ তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করছেন। কোন ধরনের সহিংসতার খবর এখনো পর্যন্ত পাওয়া যায়নি।’

নির্বাচনের সার্বিক পরিস্থিতি প্রসঙ্গে পুলিশ সুপার মাছুম আহাম্মদ ভূঞা বলেন, ‘একটি স্বচ্ছ,অবাধ,সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের লক্ষ্যে প্রতিটি কেন্দ্র এবং কেন্দ্রের বাহিরে প্রর্যাপ্ত পুলিশ সদস্য মোতায়েন রয়েছে। এছাড়া পুলিশের একাধিক টহল টিম ভোটের মাঠে রয়েছে। পাশাপাশি নির্বাচন নির্বিঘ্ন করতে বিজিপি,আনসার র‌্যাব ও ডিবির সদস্যরা সহায়তা করছে।’


উপজেলা নির্বাচন   ভোটকেন্দ্র   কেন্দ্র পরিদর্শন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

পটুয়াখালীতে ৩ উপজেলায় চলছে ভোটগ্রহণ, ভোটার উপস্থিতি কম


Thumbnail

পটুয়াখালী জেলার গলাচিপা, দশমিনা ও বাউফল এই তিনটি উপজেলায় একযোগে চলছে ষষ্ঠ ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ।

 

মঙ্গলবার (২১ মে) সকাল ৮.০০ টা থেকে শুরু হয়েছে ভোট গ্রহণ। বিরতিহীনভাবে ভোট গ্রহণ চলবে বিকেল ৪.০০ টা পর্যন্ত। তবে ভোটার উপস্থিতি অনেকটাই কম। পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলাটিতে মোট ভোটার সংখ্যা ২,৯৭৬০৭ জন। তবে উপজলাটির বিভিন্ন ভোটকেন্দ্রে ঘুরে দেখা গিয়েছে, বেশির ভাগ কেন্দ্র গুলোতে ৫ থেকে ১০ জনের বেশি ভোটার উপস্থিতি নেই। কেন্দ্র গুলোর বেশির ভাগ বুথ রয়েছে ভোটার শূন্য অবস্থায়।

 

বাউফল উপজেলার কনকদিয়া ইউনিয়নের বীরপাশা মাধ্যমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রেটির মোট ভোটার সংখ্যা ১৯৯২ জন। মোট পাঁচটি বুথে বেলা ১০টা পর্যন্ত মোট ৬৩ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন। আয়লা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ২৩৭৭ জন ভোটারের মধ্যে সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী ভোট প্রদান করেছেন ২০৯ জন ভোটার। এদিকে দশমিনা  উপজেলার পূর্ব দশমিনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রটিতে মোট ভোটার ২৬৬৫ সকাল ৮টা থেকে সকাল সাড়ে ৯ টার পর্যন্ত মোট ভোট প্রদান করেছেন মাত্র ১৮৯ জন ভোটার। অপরদিকে গলাচিপা উপজেলার গলাচিপা সরকারি ডিগ্রি কলেজ ভোট কেন্দ্রটিতে ১২৩৪ জন ভোটারের মধ্যে ভোট প্রদান শুরুর প্রথম দুই ঘন্টায় ৫৬ জন ভোটার ভোট প্রদান করেছেন। পটুয়াখালী জেলায় অনুষ্ঠিত তিনটি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বেশির ভাগ ভোট কেন্দ্রগুলোতে একই চিত্র দেখা গিয়েছে ।

 

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে পটুয়াখালীতে প্রথম ধাপে অনুষ্ঠিত তিনটি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বাউফল উপজেলায় মোট ২৯৭৬৯৭ জন ভোটারের বিপরীতে চেয়ারম্যান পদে ৪ জন, ভাইস-চেয়ারম্যান পদে ২ জন ও নারী ভাইস-চেয়ারম্যান পদে ২ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন। এছাড়া দশমিনা উপজেলায় ১১৬০৪৪ জন ভোটারের বিপরীতে চেয়ারম্যান পদে ৭ জন, ভাইস-চেয়ারম্যান পদে ৩ জন ও নারী ভাইস-চেয়ারম্যান পদে ২ জন প্রার্থী ও গলাচিপা উপজেলাটিতে ২৪১৮৭০ জন ভোটারের বিপরীতে চ্যেয়ারম্যান পদে ২ জন, ৪ জন পুরুষ ভাইস-চেয়ারম্যান পদে ও ৩ জন মহিলা ভাইস-চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

 

তিনটি উপজেলায় মোট ২৪৭ টি ভোট কেন্দ্রে ৩৯ জন ম্যাজিস্ট্রেট, ১০ প্লাটুন বিজিবি, এছাড়া পুলিশ আনসার র‌্যাবের টিম এবং পুলিশের স্ট্রাইকিং ফোর্স সহ সাদা পোশাকধারী আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কাজ করছে। সুষ্ঠু শান্তিপূর্ণ নির্বাচন চলছে। যেকোনো ধরনের অপৃতিকর ঘটনা রোধে সকল ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন পটুয়াখালী জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা খান শাহানুর আবি খান।

ভোট গ্রহণ শুরু হওয়া থেকে এখন পর্যন্ত শান্ত ও সুষ্ঠু পরিবেশে তিনটি উপজেলাতেই ভোট গ্রহণ চলছে।


উপজেলা নির্বাচন   ভোট গ্রহণ   ভোটার উপস্থিতি  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন