ইনসাইড বাংলাদেশ

‘শিগগিরই সারাদেশে সম্প্রসারিত হবে ৫-জি নেটওয়ার্ক’

প্রকাশ: ০৮:১৪ এএম, ১৩ ডিসেম্বর, ২০২১


Thumbnail ‘শিগগিরই সারাদেশে সম্প্রসারিত হবে ৫-জি নেটওয়ার্ক’

খুব শিগগিরই সারা দেশে বাণিজ্যিকভাবে ৫-জি নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গতকাল রোববার (১২ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানীর হোটেল রেডিসনে টেলিটকের মাধ্যমে দেশে প্রথমবারের মতো পরীক্ষামূলক ৫-জি নেটওয়ার্ক উদ্বোধন অনুষ্ঠানে দেওয়া ভিডিও বার্তায় এ কথা বলেন শেখ হাসিনা।

প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় পঞ্চম ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবসে রোববার রেডিসন ব্লুতে আয়োজিত ‘নিউ ইরা উইথ ফাইভ-জি’ অনুষ্ঠানে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে এই সেবার উদ্বোধন করেন।

টেলিটকের মাধ্যমে প্রাথমিকভাবে ঢাকায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, ধানমন্ডি-৩২, বাংলাদেশ সচিবালয়, মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ এবং ঢাকার বাইরে সাভার ও টুঙ্গিপাড়ায় এই সেবা পাওয়া যাবে। হুয়াওয়ে এবং নোকিয়ার সহযোগিতায় এই সেবা চালু করা হচ্ছে। বিশ্বের নবম দেশ হিসেবে বাংলাদেশে ফাইভ-জি সেবা চালু হলো বলে অনুষ্ঠানে জানানো হয়।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, টেলিটক বাংলাদেশ লিমিটেডের মাধ্যমে এখন সীমিত আকারে ৫-জি চালু হলেও খুব শিগগিরই বাণিজ্যিকভাবে সারাদেশে সম্প্রসারিত হবে। এসময় বিশ্বের সর্বাধুনিক মোবাইল নেটওয়ার্ক ৫-জি প্রযুক্তি পরীক্ষামূলকভাবে চালুর জন্য ডাক ও টেলিযোগ বিভাগ এবং টেলিটককে ধন্যবাদ দেন প্রধানমন্ত্রী।

এ উপলক্ষে দেশবাসীকেও আন্তরিক অভিনন্দন ও ধন্যবাদ জানান শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যে সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্ন দেখতেন সেই সোনার বাংলার আধুনিক রূপ হলো বর্তমান সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ। এই উদ্যোগের সুফল জনগণ পাচ্ছে।

তিনি বলেন, ইতোমধ্যে সারা দেশে ৪জি নেটওয়ার্ক চালু হয়েছে। প্রতিটি গ্রাম থেকে শুরু করে পার্বত্য এলাকা, সুন্দরবন, গহীন অরণ্য, হাওড়-বাওড় এলাকা, সমস্ত এলাকাতে ৪জি নেটওয়ার্ক পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। ফলে সব শ্রেণি-পেশার মানুষ ডিজিটাল সেবা গ্রহণ করতে পারছেন। এটি কৃষি-শিল্প-বাণিজ্য, শিক্ষা, স্বাস্থ্য সেবা সর্বত্রই অভাবনীয় সাড়া ফেলেছে।

শেখ হাসিনা বলেন, উচ্চগতির নেটওয়ার্কের বদলতে দেশে প্রচুর ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা তৈরি হয়েছে। দেশের যুব সমাজের একটি বিরাট অংশ ফ্রিল্যান্সিংয়ের মাধ্যমে ঘরে বসে আয়ের সুযোগ পাচ্ছে। ফলে দেশের আর্ত-সামাজিক উন্নয়ন আরও বেগবান হবে।

ফাইভ-জি প্রযুক্তির মাধ্যমে চতুর্থ শিল্প বিপ্লব বাস্তবায়নে বাংলাদেশ অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে পারবে বলেও আশা প্রকাশ করেন সরকার প্রধান। তিনি বলেন, দেশের যোগাযোগ প্রযুক্তির উন্নয়নের মাধ্যমে মানুষের জীবনযাত্রা ও জীবন মান আরও উন্নত করতে সক্ষম হবে।

ফাইভ-জি প্রযুক্তি সেবা কেবল গ্রাহকদের জন্য মোবাইল ব্রডব্যান্ড ও ভয়েস কলের প্রযুক্তি নয়। এই প্রযুক্তির মাধ্যমে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, আইওটি, রোবোটিক্স, বিগডাটা, ব্লকচেইন, আইওটি প্রযুক্তির আইওটি, হিউম্যান টু মেশিন, মেশিন টু মেশিন, ইত্যাদি প্রযুক্তি ও ডিজিটাল ডিভাইস ব্যবহার করে ক্রিটিক্যাল মিশন সার্ভিস, স্মার্ট গ্রিড, স্মার্ট সিটি, স্মার্ট হোম, স্মার্ট ফ্যাক্টরি সুবিধা পাওয়া যাবে।

এই প্রযুক্তির মাধ্যমে মোবাইল গ্রাহকরা অধিকতর উন্নত গুণগত মানের ভয়েস কল ও ফোরজি থেকে বহুগুণ দ্রুত মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহারে সক্ষম হবে। এই প্রযুক্তির মাধ্যমে ঢাকায় বসে প্রত্যন্ত অঞ্চলে রোগীর রোবট সার্জারি করা যাবে। ড্রাইভার বিহীন গাড়ি চালানো যাবে, স্মার্ট ফ্যাক্টরি স্থাপনের মাধ্যমে অটোনোমাস উৎপাদন সক্ষমতা অর্জন করে উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি করা যাবে।  

অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার, ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি একেএম রহমতুল্লাহ, টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব মো. খলিলুর রহমান, বিটিআরসির চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদার, টেলিটকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সাহাব উদ্দিন। এছাড়া হুয়াওয়ের এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের প্রেসিডেন্ট সাইমন লিন এবং হুয়াওয়ে টেকনোলজিস (বাংলাদেশ) লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী ঝ্যাং ঝেংজুন অনুষ্ঠানে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হন। বাংলাদেশ ও ফাইভ-জি উন্মোচনের সঙ্গে সম্পৃক্ত সবাইকে অভিনন্দন জানান তারা।

প্রধানমন্ত্রী   ৫-জি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

ছাগলনাইয়া উপজেলা চেয়ারম্যানের বেতন-ভাতা ফেরতের নির্দেশ

প্রকাশ: ০৬:৪১ পিএম, ১৬ মে, ২০২৪


Thumbnail

ফেনীর ছাগলনাইয়ায় ২০১৯ সালে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত মেজবাউল হায়দার চৌধুরী সোহেলের উপজেলা চেয়ারম্যান পদ অবৈধ ঘোষণা করেছেন হাইকোর্ট। সেইসঙ্গে ২০১৯ সাল থেকে এ পর্যন্ত তিনি উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে যত বেতন-ভাতা ও সুবিধাদি গ্রহণ করেছেন তা ৩০ দিনের মধ্যে ফেরত দিতে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। এই সময়ের মধ্যে ফেরত না দিলে ফেনীর জেলা প্রশাসককে তার থেকে আদায় করতে বলা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন। 

রায়ে ওই সময়ের উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী আব্দুল হালিমের প্রার্থিতা বৈধ ঘোষণা করেছেন আদালত। অপর প্রার্থী এ এস এম শহিদুল্লাহ মজুমদারের প্রার্থিতা বাতিলের সিদ্ধান্ত বহাল রেখেছেন হাইকোর্ট।

আদালতে আব্দুল হালিম ও শহিদুল্লাহ মজুমদারের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন ও ব্যারিস্টার এস এম কফিল উদ্দিন। সোহেল চৌধুরীর পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ এফ হাসান আরিফ ও মো. অজি উল্লাহ। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কাজী মাঈনুল হাসান।

ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কাজী মাঈনুল হাসান বলেন, ‘২০১৯ সালে ফেনীর ছাগলনাইয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আব্দুল হালিম ও শহিদুল্লাহ মজুমদারের প্রার্থিতা বাতিল হয়। এর ফলে মেজবাউল হায়দার চৌধুরী সোহেল বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ছাগলনাইয়ার উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। এর মধ্যে প্রার্থিতা ফেরত চেয়ে হাইকোর্টে রিট করেন বাতিল হওয়া দুই প্রার্থী। একইসঙ্গে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সোহেলকে চেয়ারম্যান নির্বাচিত ঘোষণার বৈধতা চ্যা্লেঞ্জ করা হয়।’

তিনি বলেন, ‘২০১৯ সালেই হাইকোর্ট এসব বিষয়ে রুল জারি করেন। একইসঙ্গে ছাগলনাইয়ার উপজেলা চেয়ারম্যানের গেজেট স্থগিত করেন। পরে চেম্বার আদালত হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করেন। তবে আইনি জটিলতায় মেজবাউল হায়দার চৌধুরী সোহেল উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে শপথ নিতে পারেননি। শপথ না নিয়ে তিনি উপজেলা চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন।’

ছাগলনাইয়া উপজেলা   মেজবাউল হায়দার চৌধুরী সোহেল  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

গোপালগঞ্জ নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় জেরে মহাসড়ক অবরোধ

প্রকাশ: ০৬:৪২ পিএম, ১৬ মে, ২০২৪


Thumbnail

নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার চন্দদিঘলিয়া গ্রামে বিজয়ী প্রার্থী কামরুজ্জামান ভূইয়ার সমর্থকদের ছোড়া গুলিতে ওসিকুর ভূইয়া নামে এক যুবক নিহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনার পর থেকে গোপালগঞ্জ জেলা সদর সহ উপজেলার সর্বত্র উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। দোষীদের ফাঁসির দাবীতে মাঠে নামে হাজার হাজার লোক।

আজ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১১ টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার চন্দ্রদিঘলিয়া বাজার এলাকায় গাছের গুড়ি ফেলে, টায়ারে আগুন ধরিয়ে রাস্তার উপর বসে আন্দোলন করতে থাকে। এতে রাস্তায় যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।ড়ক অবরোধ চলাকালে রাস্তার উভয় পাশে ৫শতাধিক বাস, ট্রাক ও অন্যান্য যানবাহন আটকা পড়ে।

পরে পুলিশের অনুরোধে বেলা ১টায় যানবাহন চলাচল শুরু হয়।এলাকায় শান্তি শৃংখলা বজায় রাখতে পুলিশ, র‌্যাব ও বিজিবি নামানো হয়েছে।

আগামী রোববার (১৯ মে) ডিসি অফিস ঘেরাও কর্মসূচী গ্রহন ও চলমান আন্দোলন অব্যাহতের ঘোষনার মধ্য দিয়ে আজ বৃহস্পতিবার (১৫ মে) মহাসড়ক অবরোধ কর্মসূচী প্রত্যাহার করেছেন আন্দোলনকারীরা।

গতকাল মঙ্গলবারও (১৪ মে) তারা নিহতের লাশ নিয়ে জেলা সদরের চেচানিয়াকান্দি এলাকায় ঘন্টাব্যাপী ঢাকা-খুলনা মহাসড়ক অবরোধ করে রাখে।


নির্বাচনী সহিংসতা   সড়ক অবরোধ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

কোরবানিতে চাহিদার চেয়ে পশু বেশি আছে প্রায় ২৩ লাখ: প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী

প্রকাশ: ০৬:০৭ পিএম, ১৬ মে, ২০২৪


Thumbnail

আসন্ন পবিত্র ঈদ-উল-আযহায় কোরবানির জন্য চাহিদার চেয়ে চেয়ে ২২ লক্ষ ৭৭ হাজার ৯৭৩ টি অতিরিক্ত গবাদিপশু প্রস্তুত রয়েছে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী মোঃ আব্দুর রহমান।
 
বৃহস্পতিবার (১৬ মে) প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে তাঁর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আসন্ন ঈদ-উল-আযহা উপলক্ষ্যে কোরবানির পশুর চাহিদা নিরূপণ, সরবরাহ ও অবাধ পরিবহন নিশ্চিতকরণ সংক্রান্ত আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় মন্ত্রী এ কথা জানান।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য বীরমুক্তিযোদ্ধা মোঃ আব্দুর রহমান বলেন, অন্যান্য বছরের মত এবারও কোরবানির পশুর চাহিদা নিরুপন করা হয়েছে। কোরবানির চাহিদার চেয়ে ২২ লক্ষ ৭৭ হাজার ৯৭৩ টি অতিরিক্ত গবাদিপশু প্রস্তুত রয়েছে। এবার কোরবানিযোগ্য পশুর সংখ্যা ১ কোটি ২৯ লক্ষ ৮০ হাজার ৩৬৭টি যা গতবারের চেয়ে ৪ লক্ষ ৪৪ হাজার ৩৪ টি বেশি। ফলে কোরবানির পশু নিয়ে কোনরকম সংশয়, সংকট বা আশঙ্কার কারণ নেই। 

আমরা সুন্দরভাবে আসন্ন ঈদ উল আযহা উদযাপন করতে চাই উল্লেখ করে মন্ত্রী আরও বলেন, মুসলিম সম্প্রদায়ের জন্য ঈদ-উল-আযহা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। এটি যাতে স্বাচ্ছন্দ্যের সঙ্গে এবং পরিপূর্ণ প্রস্তুতি নিয়ে উদযাপন করা যায় সে লক্ষ্যে মৎস ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় ও সরকারের অন্যান্য দপ্তর-সংস্থা কাজ করছে। কোরবানির পশুর জন্য অতীতে পর মুখাপেক্ষী হয়ে থাকতে হতো। কিন্তু আমরা এখন দেশে উৎপাদিত পশু দিয়েই কোরবানি সম্পন্ন করতে পারছি বলে তিনি মন্তব্য করেন।

মন্ত্রী বলেন, দেশে অবৈধ উপায়ে গবাদিপশুর অনুপ্রবেশ যেন না ঘটতে পারে সেজন্য সীমান্তবর্তী জেলাসমূহে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদান করা হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে আমাদের প্রাণিসম্পদ বিভাগের কর্মকর্তা, খামারি ও উদ্যোক্তারা সম্মিলিতভাবে কাজ করায় প্রাণিসম্পদ খাতে বৈপ্লবিক পরিবর্তন এসেছে। এ খাতে আমাদের উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে। 

কোরবানির হাটে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করার আহবান জানিয়ে প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী বলেন, রোগাক্রান্ত পশু হাটে বিক্রি করতে দেওয়া হবে না। ক্রেতা-বিক্রেতা কেউ যেন অযথা হয়রানির শিকার না হয় সেদিকে বিশেষ লক্ষ্য রাখা হবে। হাটে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য পর্যাপ্ত সদস্য নিয়োজিত থাকবেন।

মন্ত্রী আরও বলেন, বিগত বছরের ধারাবাহিকতায় এবারও কোন খামারি নিজ বাড়ি থেকে পশু বিক্রি করলে তাকে হাসিল দিতে হবে না। কোন খামারি তার পশু দূরবর্তী হাটে নিতে চাইলে, রাস্তাঘাটে জোর করে নামাতে বাধ্য করা যাবে না। এক্ষেত্রে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, স্থানীয় সরকারের ইউনিট তথা পৌরসভা, উপজেলা বা ইউনিয়ন পরিষদ, সিটি কর্পোরেশন এ বিষয়টি নিশ্চিত করবে। হাটে আনার পথে কেউ প্রাণী বিক্রি করলে তার কাছ থেকে ইজারা গ্রাহক জোর করে চাঁদা বা হাসিল গ্রহণ করতে পাবে না। এটা আমরা নিশ্চিত করতে চাই। নগদ টাকা বহন না করে যথাসম্ভব বিকল্প উপায়ে স্মার্ট পদ্ধতিতে আর্থিক লেনদেন করার জন্য তিনি খামারিদের পরামর্শ প্রদান করেন।  

মন্ত্রী বলেন, গতবছরের ন্যায় এবছরও অনলাইন প্লাটফর্মে সারাদেশে কোরবানির পশু বিক্রয়ের ব্যবস্থা চালু থাকবে। যা ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়ের জন্য সুখকর অবস্থা তৈরি করবে। তিনি আরও বলেন, লাভের আশায় কোরবানির অনুপযুক্ত পশু বা রোগাক্রান্ত পশু যাতে কেউ বিক্রির চেষ্টা না করে। প্রতিটি নির্ধারিত কোরবানির পশুর হাটে ভেটেরিনারি মেডিকেল টিম থাকবে। কোরবানির পশু নিরাপদ ও কোরবানি উপযোগী কিনা বা তাদের শরীরে দূষিত পদার্থ প্রবেশ করানো হয়েছে কিনা তারা সেবিষয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করবে বলে মন্ত্রী এসময় জানান।

মন্ত্রী আরও যোগ করেন, মহাসড়কে বা যেখানে হাট বসালে যান চলাচল ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে এমন কিছু যাতে না হয় এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ জানানো হবে। সড়কে বা সেতুতে কোরবানির পশুবাহী গাড়িকে প্রাধান্য দেওয়া হবে, যাতে রাস্তায় পশু আটকে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি না হয়। এক্ষেত্রে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরে একটি নিয়ন্ত্রণ কক্ষ (হট লাইন-১৬৩৫৮) চালু থাকবে। পশুর হাটে কোন রকম সমস্য হলে হট নম্বরে কল করলে প্রতিকারের ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে মন্ত্রী জানান।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাং সেলিম উদ্দিন, অতিরিক্ত সচিব এ.টি.এম মোস্তফা কামাল এবং প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডাঃ মোহাম্মদ রেয়াজুল হক, মন্ত্রী পরিষদ বিভাগ, রেলপথ ও নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ, ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন, বাংলাদেশ ডেইরি ফার্মারস এসোসিয়েশনের প্রতিনিধি প্রমুখ সভায় অংশগ্রহণ করেন।

কোরবানি   মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী   মোঃ আব্দুর রহমান   প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

সিরাজগঞ্জে হিটস্ট্রোকে ২ কৃষকের মৃত্যু

প্রকাশ: ০৩:১৪ পিএম, ১৬ মে, ২০২৪


Thumbnail

উল্লাপাড়ায় ধান কাটতে গিয়ে হিট স্ট্রোকে দুই কৃষকের মৃত্যু হয়েছে । এরা হলেন, উপজেলার বাঙ্গালা ইউনিয়নের রহিমপুর গ্রামের কৃষক বিষ্ণুপদ মজুমদার (৫১) ও বিনায়েকপুর গ্রামের ছাইদুল ইসলাম লাবলু (৫৭) । এরা দুইজনই তাদের গ্রামের পাশের মাঠে প্রচন্ড রোদ ও তাপদাহের মধ্যে ধান কাটছিলেন।

 

নিহতদের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার ভোর বেলা থেকে উভয় ব্যক্তি একই মাঠে তাদের নিজেদের জমিতে অপর শ্রমিকদের সঙ্গে ধান কাটছিলেন। বেলা ১২ টার দিকে এরা তাপদাহের কারণে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। স্থানীয়রা তাদেরকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যায়। তবে হাসপাতালে পৌঁছার আগেই তারা মারা যান। 

বাঙ্গালা ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ সোহেল রানা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, প্রচন্ড রোদ গরমে ধান কাটার সময় বিষ্ণুপদ মজুমদার ও ছাইদুল ইসলাম লাবলু হিটস্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাদেরকে হাসপাতালে নেবার পথে দুজনই মারা যান। 


হিটস্ট্রোক   কৃষক  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

প্রকল্প পরিচালকদের আলাদা প্রশিক্ষণের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

প্রকাশ: ০৩:০২ পিএম, ১৬ মে, ২০২৪


Thumbnail

উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নে প্রকল্প পরিচালকদের আলাদা প্রশিক্ষণ দিতে নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বৃহস্পতিবার (১৬ মে) রাজধানীর শেরে বাংলা নগরের জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের (এনইসি) সভায় নির্দেশনা দেন প্রধানমন্ত্রী। সভায় সভাপতিত্ব করেন এনইসি চেয়ারপারসন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

২০২৪-২৫ অর্থবছরে জন্য লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকা বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) অনুমোদন দিয়েছে এনইসি। এর মধ্যে সরকারি তহবিল থেকে লাখ ৬৫ হাজার কোটি এবং বৈদেশিক ঋণ থেকে লাখ কোটি টাকা ব্যয়ের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। এর আগে, গত মে পরিকল্পনা কমিশনের বর্ধিত সভায় এডিপির খসড়া চূড়ান্ত করা হয়। সভা শেষে পরিকল্পনা বিভাগের সিনিয়র সচিব সত্যজিৎ কর্মকার বিস্তারিত জানান।

পরিকল্পনামন্ত্রী প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা তুলে ধরে বলেন, যেসব সরকারি কর্মকর্তা নানা সময়ে বিদেশে প্রশিক্ষণে যান। সেখান থেকে ফেরার পর তাদের প্রশিক্ষণের ধরন অনুযায়ী প্রকল্পে নিয়োগ দিতে বলেছেন। এছাড়া যাদের প্রকল্প পরিচালক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হবে তাদের আলাদাভাবে প্রশিক্ষণ দিতে নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।

মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা দিয়ে বলেছেন বৈদেশিক ঋণের প্রকল্প দ্রুত শেষ করতে হবে। বৈদেশিক ঋণের প্রকল্পে তিন মাস অন্তর অন্তর পর্যালোচনা করতে বলেছেন। এছাড়া উন্নয়ন প্রকল্পে মানসম্পন্ন প্রতিষ্ঠান দিয়ে সমীক্ষা করার নির্দেশনা দিয়েছেন সরকার প্রধান।

পরিকল্পনামন্ত্রী জানান, আগামীতে উপজেলাভিত্তিক প্রকল্প থেকে সরে এসে জেলাভিত্তিক প্রকল্প প্রণয়নে গুরুত্ব দেওয়ার বিষয়ে এনইসি সভায় আলোচনা করা হয়েছে। কারণ উপজেলা পর্যায়ে প্রকল্প নিলে সেগুলোর সমন্বয় থাকে না। এর ফলে উপজেলাগুলোতে সম উন্নয়ন হয় না। এজন্য এখন থেকে জেলাভিত্তিক উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ করা হবে। বিশেষ করে গ্রামীণ অবকাঠামো, স্বাস্থ্য খাতের উন্নয়নকে গুরুত্ব দিতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী।


প্রকল্প   পরিচালক   প্রধানমন্ত্রী  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন