ইনসাইড বাংলাদেশ

ইউএন পাবলিক সার্ভিস অ্যাওয়ার্ড গ্রহণ করলেন ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী

প্রকাশ: ০৩:২০ পিএম, ১৩ ডিসেম্বর, ২০২১


Thumbnail ইউএন পাবলিক সার্ভিস অ্যাওয়ার্ড গ্রহণ করলেন ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী

ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী ভূমি মন্ত্রণালয়ের পক্ষে জাতিসংঘ পাবলিক সার্ভিস অ্যাওয়ার্ড-২০২০ গ্রহণ করেছেন। ভূমি মন্ত্রণালয় জাতিসংঘ পাবলিক সার্ভিস অ্যাওয়ার্ড প্রাপ্ত যেকোনো পর্যায়ে বাংলাদেশের প্রথম সংস্থা।

সোমবার (১৩ ডিসেম্বর) সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে স্থানীয় সময় সকাল ১০:৩০টায় মদিনাত জুমেইরাহ সম্মেলন কেন্দ্রে সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং জাতিসংঘের অর্থনৈতিক ও সামাজিক বিষয়ক বিভাগ কর্তৃক যৌথভাবে আয়োজিত ‘ইউনাইটেড ন্যাশনস পাবলিক সার্ভিস অ্যাওয়ার্ড’ প্রদান অনুষ্ঠানে ভূমিমন্ত্রী অ্যাওয়ার্ড গ্রহণ করেন। এই সময় ভূমি সচিব মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান পিএএ উপস্থিত ছিলেন।

অ্যাওয়ার্ড গ্রহণের পর এক প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে ভূমিমন্ত্রী বলেন জাতিসংঘ পুরস্কার প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে দেশ ও জাতির সম্মিলিত অর্জন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ উদ্যোগ ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’-এর অধীনে ই-নামজারি ব্যবস্থা বাস্তবায়িত হয়েছে।

সাইফুজ্জামান চৌধুরী আরও বলেন, “ইউনাইটেড ন্যাশনস পাবলিক সার্ভিস অ্যাওয়ার্ড বাংলাদেশের সমগ্র ভূমি ব্যবস্থাপনাকে অটোমেটশন করার উদ্যোগকে আরও প্রাণবন্তভাবে সম্পন্ন করতে উৎসাহিত করবে"।

উল্লেখ করা যেতে পারে, ভূমিসেবা গ্রহীতাদের সহজে সেবা প্রদানে, নারী ও প্রতিবন্ধীদের ভূমি ব্যবস্থাপনায় অধিকতর অন্তর্ভুক্ত করতে, বাংলাদেশের টেকসই উন্নয়নের অভীষ্ট বাস্তবায়নে, সর্বোপরি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক গৃহীত রূপকল্প ২০৪১ বাস্তবায়নে ই-নামজারি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। 

অ্যাওয়ার্ড প্রদান অনুষ্ঠানটি ১৩ থেকে ১৫ ডিসেম্বর ২০২১ পর্যন্ত ‘আগামীর জনসেবা উদ্ভাবন: টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট অর্জনে নব যুগের জন্য নতুন সরকারী মডেল’ (Innovating the Future Public Service: New Government Models for a New Era to Reach the Sustainable Development Goals) প্রতিপাদ্যে ৩দিন ব্যাপী আয়োজিত ‘ইউনাইটেড ন্যাশনস পাবলিক সার্ভিস ফোরাম’-এর একটি অংশ।

সংযুক্ত আরব আমিরাতের মন্ত্রিপরিষদ বিষয়ক মন্ত্রী মোহাম্মদ আল গেরগাওয়ি, রাষ্ট্রীয় উন্নয়ন ও ভবিষ্যৎ প্রতিমন্ত্রী ওহুদ আল রুমি, জাতিসংঘের ম্যানেজমেন্ট, পলিসি, স্ট্র্যাটেজি ও কমপ্লায়েন্স বিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল ক্যাথরিন পোলার্ড সহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নেতৃবৃন্দ, মন্ত্রী, ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তা, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, গবেষক, বেসরকারি খাত এবং আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক সংস্থার প্রতিনিধিরা এবং পুরস্কার বিজয়ী বিভিন্ন উদ্যোগের উদ্যোক্তারা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, গত ১৬ জুন, ২০২০ তারিখে জাতিসংঘ আনুষ্ঠানিকভাবে জাতিসংঘ পাবলিক সার্ভিস অ্যাওয়ার্ড-২০২০ বিজয়ী উদ্যোগের নাম ঘোষণা করে। বাংলাদেশের ভূমি মন্ত্রণালয় ‘স্বচ্ছ ও জবাবদিহিমূলক সরকারি প্রতিষ্ঠানের বিকাশ’ (Developing Transparent and Accountable Public Institutions) ক্যাটাগরিতে জাতিসংঘের মর্যাদাপূর্ণ ইউনাইটেড ন্যাশনস পাবলিক সার্ভিস অ্যাওয়ার্ড-২০২০ (United Nations Public Service Award 2020/ জাতিসংঘ জনসেবা পুরস্কার ২০২০) অর্জন করে।

২৩ জুন ২০২০ তারিখে ইউনাইটেড ন্যাশনস পাবলিক সার্ভিস দিবস ভার্চুয়াল ইভেন্টে জাতিসংঘের অর্থনৈতিক ও সামাজিক বিভাগের আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল লিউ জেনমিন 'ইউএন পাবলিক সার্ভিস অ্যাওয়ার্ড-২০২০' অর্জন করার জন্য বাংলাদেশ সহ বিজয়ী দেশসমূহকে অভিনন্দন জানান। ২০২০ সালে দক্ষিণ কোরিয়ার বুসানে 'ইউনাইটেড ন্যাশনস পাবলিক সার্ভিস ফোরাম' ও ‘পাবলিক সার্ভিস অ্যাওয়ার্ড’ বিতরণ অনুষ্ঠান হওয়ার কথা ছিল, যা বিশ্বব্যাপী কোভিড-১৯ মহামারীর প্রাদুর্ভাবের প্রেক্ষাপটে পরবর্তী ঘোষণা না দেওয়া পর্যন্ত স্থগিত করেছিল জাতিসংঘ। এই বছর ২০২১ সালে জাতিসংঘ ২০২০ ও ২০২১ সালের ইউনাইটেড ন্যাশনস পাবলিক সার্ভিস অ্যাওয়ার্ড প্রদান অনুষ্ঠান একই সাথে দুবাইয়ে আয়োজন করল। এবার এই দুই বছরের জন্য ১৫টি দেশের ১৭টি উদ্যোগকে অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয়।

ভূমিমন্ত্রী  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

জয়পুরহাটে আন্তর্জাতিক নার্স দিবস-২০২৪ পালিত

প্রকাশ: ০১:৪৪ পিএম, ১২ মে, ২০২৪


Thumbnail জয়পুরহাটে আন্তজার্তিক নার্স দিবস-২০২৪ উপলক্ষ্যে আয়োজিত শোভাযাত্রা

জয়পুরহাটে নানা আয়োজনে আন্তর্জাতিক নার্স দিবস-২০২৪ পালিত হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে আজ রবিবার (১২ মে) বেলা ১১ টায় শহরের প্রধান সড়কে শোভাযাত্রা বের করা হয়।

জয়পুরহাট নার্সিং ইন্সটিটিউটের আয়োজনে শোভাযাত্রা শেষে নার্সিং হল রুমে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয় এতে সভাপতিত্ব করেন জয়পুরহাট নার্সিং ইন্সট্রাক্টর ইনচার্জ প্রভাষক আকলিমা খাতুন।

এসময় বক্তব্য রাখেন ইন্সট্রাক্টর ফারজানা খাতুন, শাহানারা বেগম, আয়েশা সিদ্দিকা ও জয়পুরহাট জেনারেল হাসপাতালে সহকারি স্টাফ নার্স সুফিয়া বেগম প্রমুখ। এসময় অন্যান্য বেসরকারি নার্সিং ইন্সটিটিউটের শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন। 

আলোচনা সভায় নার্সিং শিক্ষা ও নার্সিং পেশায় জড়িত সকল সম্মানিত সদস্যকে নৈতিকতা ও সামাজিক মূল্যবোধ ধারণ করে সামনে এগিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানানো হয়।


আন্তর্জাতিক নার্স দিবস   শোভাযাত্রা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

ফেনীর পরশুরামে শ্রমিক সংকটে দিশেহারা কৃষকরা

প্রকাশ: ০১:২৮ পিএম, ১২ মে, ২০২৪


Thumbnail

ফেনীর পরশুরাম উপজেলার মাঠে-মাঠে এখন পাকা ধান। তবে শ্রমিক সংকটে সময় মতো ধান কাটাতে পারছেন না কৃষকরা। এক মণ ধানের দামেও মিলছে না একজন শ্রমিক। শ্রমিক মিললেও জনপ্রতি মজুরি দিতে হচ্ছে ১২০০ থেকে ১২৫০ টাকা। সঙ্গে দুই বেলা খাবার। এতে শুধু ধান কাটতেই প্রতি মণ ধানের জন্য খরচ পড়ছে দেড় হাজার টাকার মতো। এদিকে বাজারে প্রতি মণ ধান বিক্রি হচ্ছে ৮২০-৮৫০ টাকা। উপজেলার তিনটি ইউনিয়ন ও পৌর এলাকায় একই চিত্র দেখা গেছে।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, চলতি বোরো মৌসুমে উপজেলায় ৩ হাজার ৩২৯ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদ হয়েছে। হেক্টর প্রতি গড়ে ৫ থেকে সাত টন করে ফলন পাওয়া যাচ্ছে।

সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, এ বছর শ্রমিকের মজুরি বৃদ্ধি থাকায় কৃষকরা অনেকে নিজেরা ধান কাটার কাজ করছেন। প্রতিটি এলাকায় কমবেশি বোরো ধান কাটা শুরু হয়েছে। কিন্তু শ্রমিকের দাম বেশি হওয়ায় কৃষকরা অনেকটা দিশেহারা হয়ে পড়েছে।

পরশুরাম উপজেলার মির্জানগর ইউনিয়নের সত্যনগর গ্রামের কৃষক আবদুল খালেক জানান, তিনি এবার আড়াইশ শতক জমিতে বোরো ধান আবাদ করেছেন। চলতি বোরো মৌসুমে ঝড়, শিলাবৃষ্টি, পোকামাকড়, রোগবালাই নিয়ে দুশ্চিন্তায় থাকলেও ফলন ভালো হয়েছে কিন্তু বাজারে ধানের চাহিদা ও বাজারমূল্য অনেক কম থাকায় লোকসান গুনতে হচ্ছে।

পরশুরাম  উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. আমজাদ হোসেন চৌধুরী বলেন, চলতি বোরো মৌসুমে শ্রমিকের দাম বেশি। কিন্তু তার বিপরীতে ধানের বাজার দাম কম হওয়ায় কৃষকরা লোকসান গুনছেন। কৃষি কর্মকর্তা আরও বলেন, পরশুরামে বিভিন্ন এলাকায় কম্ভাইন্ড হারভেস্টার মেশিন দেওয়া হয়েছে কৃষকদের প্রতি পরামর্শ থাকবে কম্ভাইন্ড হারভেস্টার যন্ত্রের মাধ্যমে ধান কাটলে কৃষকদের খরচ বাঁচবে।


ফেনী   পরশুরাম   শ্রমিক   কৃষক  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

নিক্সন চৌধুরীর বাসায় গেলেন প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশ: ০১:০৪ পিএম, ১২ মে, ২০২৪


Thumbnail

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিক্সন চৌধুরীর বাসায় গিয়েছিলেন। শনিবার (১১ মে) রাতে ফরিদপুর-৪ (ভাঙ্গা, সদরপুর, চরভদ্রাসন) আসনের সংসদ সদস্য মুজিবুর রহমান চৌধুরী ওরফে নিক্সন চৌধুরীর বনানীর বাসায় যান প্রধানমন্ত্রী। এ সময় সঙ্গে ছিলেন তার ছোট বোন শেখ রেহানা।

নিক্সন চৌধুরী তার ফেসবুকে শেখ হাসিনা এবং শেখ রেহানার বেড়াতে যাওয়ার বিষয়টি জানিয়েছেন। রোববার (১২ মে) সকালে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে তিনি লেখেন, ‘বঙ্গবন্ধুকন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানার সাথে গতকাল শনিবার রাতে আমাদের বনানীর বাসায়.......’

ফেসবুকে সাতটি ছবিও পোস্ট করেছেন নিক্সন। ছবিতে নিক্সন চৌধুরীর মা, স্ত্রী এবং ছেলেকে দেখা যাচ্ছে। এ ছাড়া তাদের সঙ্গে ছিলেন যুবলীগের সভাপতি শেখ ফজলে শামস পরশ।

নিক্সন চৌধুরীর দাদি ছিলেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বড় বোন। ২০১৬ সালে আনোয়ার হোসেন মঞ্জুর মেয়ে দৈনিক ইত্তেফাকের প্রকাশক তারিন হোসেনকে বিয়ে করেন নিক্সন চৌধুরী। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণাবিষয়ক উপকমিটির সদস্য তারিন হোসেন।


নিক্সন চৌধুরী   প্রধানমন্ত্রী  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

সিরাজগঞ্জে জিনের বাদশা চক্রের ৫ সদস্য গ্রেপ্তার

প্রকাশ: ১২:৪৩ পিএম, ১২ মে, ২০২৪


Thumbnail

সিরাজগঞ্জের সলঙ্গায় জিনের বাদশা প্রতারক চক্রের ৫ সদস্যকে গ্রেপ্তার ও ৬টি সোনালী রংয়ের মূর্তি উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার (১১ মে) দুপুরে তাদেরকে জেলার সলঙ্গা থানার হাটিকুমরুল এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

 

গ্রেপ্তারকৃতরা হলো, ঠাকুগাঁ জেলার জগন্নাথপুর বানিয়াপুর গ্রামের আব্দুল কাদেরের ছেলে মোঃ শফিউল আলম ও তার স্ত্রী মোছাঃ ফাতেমা খাতুন, দিনাজপুর জেলার বীরগঞ্জ থানার টেরীপাড়া গ্রামের মনোয়ার হোসেন, পাবনা আমিনপুর থানার সৈয়দপুর দক্ষিনপাড়া গ্রামের সাহেব আলী শেখের ছেলে মজিবর রহমান ও বন্দের আলী সরদারের ছেলে আকাশ সরদার।

 

শনিবার (১১ মে) বিকেলে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রায়গঞ্জ সার্কেল বিনয় কুমার ও সলঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি') এনামুল হক এক প্রেস রিলিজের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

 

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ রয়েছে, সলঙ্গা থানা পুলিশের একটি আভিযানিক দল হাটিকুমরুল এলাকায় অভিযান পরিচালনা করছিল। এসময় উত্তরবঙ্গ হতে আসা একটি বাস হতে ৫ জন যাত্রী হাটিকুমরুল গোলচত্ত্বরে নেমে পাবনা যাওয়ার উদ্দেশ্যে সিএনজিতে উঠে। সে সময় তাদের নিকটে থাকা ব্যাগ তল্লাশী করে ৬টি সোনারী রংয়ের মুর্তি ও বিভিন্ন ধরনের আয়ুর্বেদীক ঔষধ উদ্ধারসহ তাদেরকে গ্রেপ্তার করে। প্রাথমিক তদন্তে জানা যায় যে, আসামীরা জিনের বাদশা প্রতারক চক্রের সক্রিয় সদস্য। তারা গ্রামের সহজ সরল লোকদের গুপ্তধন পায়ে দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে অর্থ হাতিয়ে নিয়ে থাকে।

 

অনুমান ১০ দিন পূর্বে প্রতারক চক্রের সদস্যরা পাবনা জেলার আমিনপুর থানাধীন ভাটিকয়া গ্রামে জনৈক মোঃ রেজাউল হকের বাড়ীর পাশে মাটির নীচ হতে একটি পিতলের পাতিল উদ্ধার করে তাতে স্বর্ণ মুদ্রা রয়েছে উল্লেখ করে রেজাউলের বাবার হাতে দেয়। কিন্তু পূর্ব হতেই পাতিলে রাসায়নিক পদার্থ থাকায় উত্তপ্ত পাতিল হাতে নেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে রেজাউলের পিতার হাত পুড়ে যায়। সেই সময় প্রতারক চক্রের সদস্যরা প্রতারনার আশ্রয় নিয়ে জানায় যে, গুপ্তধন এখনো কাচা রয়েছে, যাদু মন্ত্র দিয়ে পাকা করতে হবে। প্রতারকরা রেজাউল ইসলামকে পাতিলটিতে পানি দিয়ে ঠান্ডা করে পুতে রাখতে বলে। পাকা করার পর গুপ্তধন ব্যবহার উপযোগী হবে।

 

এছাড়া প্রতারকরা আরো জানায় যে, তাদের বাড়ীতে আরো গুপ্তধন রয়েছে, এগুলো জিনের মাধ্যম দিয়ে উদ্ধার করতে হবে। গুপধনে ১৮টি স্বর্ণ মুদ্রা রয়েছে যার অনুমান মুল্য ৩৬ লক্ষ টাকা। আপনারা যদি আমাকে ৫ লক্ষ টাকার বিনিময়ে আমাকে দিয়ে দেন আমি নিয়ে যাবো। কিন্তু সহজ সরল রেজাউল ইসলাম প্রতারকদের প্রতারনা বুঝতে না পেরে তাদেরকে নগদ ৪০ হাজার টাকা দিয়ে কথিত গুপ্ত ধনের পাতিলটি নিজেদের কাছে রাখে এবং ১০ দিন পরে উক্ত কাচা গুপ্ত ধন পাকা করা সহ আরো গুপ্তধন উদ্ধারের জন্য ৫০ হাজার টাকা চুক্তিতে আসতে বলে। প্রতারক চক্ররা সেদিন রেজাউলের নিকট হতে ৪০ হাজার টাকা নিয়ে চলে যায়।

পরবর্তী আরো বাকি ৫০ হাজার টাকা নেয়ার জন্য শনিবার দুপুরে প্রতারনার উদ্দেশ্যে পাবনা আমিনপুর যাওয়ার পথে হাটিকুমরুল গোলচত্ত্বর এলাকায় প্রতারক চক্রের ৫ সদস্যদের গ্রেপ্তার করা হয়। এ ব্যাপারে সলঙ্গা থানায় প্রতারক চক্রের সদস্যদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।


জিনের বাদশা   প্রতারক  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

আমে সয়লাব সাতক্ষীরার বাজার

প্রকাশ: ১২:০৬ পিএম, ১২ মে, ২০২৪


Thumbnail

মধুমাস জ্যৈষ্ঠ আসার আগেই সাতক্ষীরার বাজারে উঠতে শুরু করেছে সুস্বাদু বিষমুক্ত আম। গোবিন্দভোগ, গোলাপখাস, সরিখাস, গোপালভোগ ও বোম্বাইসহ দেশি জাতের নানান পাকা আম। ভৌগলিক অবস্থানের কারণে প্রতি বছর আগেভাগেই সাতক্ষীরার আম বাজারে আসে।

বর্তমানে শহরের সুলতানপুর বড় বাজার আম চাষি ও ব্যবসায়ীদের পদচারণায় মুখর। আম কেনাবেচায় যেন চাঙ্গা হয়ে উঠছে গ্রামীণ আর্থনীতি।

এদিকে, মান হিসেবে ও শ্রেণিভেদে প্রতি মণ এই আম বিক্রি হচ্ছে ১৫০০ থেকে ২ হাজার ৪০০ টাকায়। ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন ফলন কম হওয়ায় গত বছরের তুলনায় এবার দাম দ্বিগুণ।

অপরদিকে, অপরিপক্ক আম বাজারজাতকরণ প্রতিরোধে আম ক্যালেন্ডার ঘোষণা করেছে জেলা প্রশাসন। সে অনুযায়ী, ২২ মে হিমসাগর, ২৯ মে ল্যাংড়া এবং ১০ জুন থেকে আম্রপালি আম সংগ্রহ ও বাজারজাত করা যাবে।

সাতক্ষীরা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর থেকে জানা গেছে, জেলায় এবার আম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৫০ হাজার মেট্রিক টন। এরমধ্যে সদর উপজেলায় এক হাজার ২৩৫ হেক্টর, কলারোয়ায় ৬৫৮ হেক্টর, তালায় ৭১৫ হেক্টর, দেবহাটায় ৩৮০ হেক্টর, কালিগঞ্জে ৮২৫ হেক্টর, আশাশুনিতে ১৪৫ হেক্টর ও শ্যামনগরের ১৬০ হেক্টর জমিতে আম চাষ হয়েছে। জেলায় সরকারি তালিকাভুক্ত ৫ হাজার ২৯৯টি আমবাগান ও ১৩ হাজার ১০০ চাষি রয়েছেন। সব মিলিয়ে ৪ হাজার ১১৮ হেক্টর জমিতে আবাদ হয়েছে।


আম   সাতক্ষীরা  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন