বাংলাদেশে
বিরোধী তৎপরতার জন্য একাধিক লবিস্ট ফার্ম নিযুক্ত করেছে বিএনপি-জামাতগোষ্ঠী। এই লবিস্ট ফার্মগুলো
কোনটা প্রকাশ্য, কোনটা গোপন। কোনো কোনো ক্ষেত্রে লবিস্ট ফার্ম ছাড়াও কিছু ব্যক্তিকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে এবং অর্থের বিনিময়ে তারা সরকার ও বাংলাদেশবিরোধী নানারকম
তৎপরতায় লিপ্ত থাকে। তবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের তিনটি প্রভাবশালী অডিট ফার্মের বার্ষিক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, তারা বাংলাদেশের মানবাধিকার, গণতন্ত্র, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা এবং বিরোধী মত দমন ইত্যাদি
বিষয়ে মার্কিন প্রশাসনকে সঠিক তথ্য দেওয়ার জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত এবং এজন্য তারা অর্থ পান।
এসমস্ত
অর্থ প্রদান করা হচ্ছে বিভিন্ন ব্যক্তি, চ্যারিটি এবং সমাজসেবা প্রতিষ্ঠান থেকে বলেও অডিট রিপোর্টে এই সমস্ত লবিস্ট
ফার্ম উল্লেখ করেছে। যে তিনটি লবিস্ট
ফার্ম তাদের অডিট রিপোর্টে বাংলাদেশ বিষয়ক জনসংযোগ থেকে প্রাপ্ত আয়ের কথা উল্লেখ করেছে তাদের মধ্যে রয়েছে কেসিডি এ্যান্ড এ্যাসোসিয়েটস, ক্যাপিটল কাউন্সিল, পলিসি রেজুলেশন গ্রুপ। এ তিনটি প্রতিষ্ঠানই
জনসংযোগ প্রতিষ্ঠান এবং এই প্রতিষ্ঠানগুলোর কাজ হলো
বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত দিয়ে মার্কিন প্রশাসনকে কোন নীতি-কৌশলের প্রতি আকৃষ্ট করা বা নীতি প্রকৌশল
গ্রহণে প্ররোচিত করা।
কেসিডি
এ্যান্ড এ্যাসোসিয়েটস ২০২০ সালে বাংলাদেশ বিষয়ক জনসংযোগের দায়িত্বপ্রাপ্ত হয়। তবে কারা তাকে দায়িত্ব দিয়েছে এই সম্পর্কে অস্পষ্টতা
রয়েছে। দুটি সংস্থার কথা বলা হয়েছে। যে দুটি সংস্থার
সঙ্গে বাংলাদেশের কোন সম্পর্ক নেই। ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ডেমোক্রেসি সাপোর্ট গ্রুপ এবং হিউম্যান রাইটস ফর অল নামক
দুটি মার্কিন প্রতিষ্ঠান কেসিডি এ্যান্ড এ্যাসোসিয়েটসের সাথে বাংলাদেশে মানবাধিকার ও গণতন্ত্র বিষয়ে
তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করে এ বিষয়ে মার্কিন
প্রশাসনের সঙ্গে জনসংযোগের জন্য দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এজন্য এ পর্যন্ত এই
প্রতিষ্ঠানকে দেওয়া হয়েছে বাংলাদেশি টাকায় ৩৫২ কোটি টাকা।
যে
দুটি প্রতিষ্ঠান কেসিডি এ্যান্ড এ্যাসোসিয়েটসকে টাকা দিয়েছে এই দুটি প্রতিষ্ঠানের
ব্যাপারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মীর কাসেমের পুত্ররা এই দুটি প্রতিষ্ঠানের
পৃষ্ঠপোষক এবং তাদের উদ্যোগে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এ দুটি চ্যারিটি
হয়েছে। তারা তাদের নিবন্ধনেও উল্লেখ করেছে যে, বিভিন্ন দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা, মানবাধিকারের পক্ষে সোচ্চার হওয়া এবং গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত করাই প্রতিষ্ঠানটির লক্ষ্য। আর এজন্য তারা
বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত এই কেসিডি এ্যান্ড
এ্যাসোসিয়েটসকে দিচ্ছে। কেসিডি এ্যান্ড এ্যাসোসিয়েটসের কাজ হলো মার্কিন সিনেটের কংগ্রেসম্যান এবং প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের কাছে এ সংক্রান্ত বিষয়ে
তথ্য দেওয়া।
ক্যাপিটল
কাউন্সিলও একই ধরনের কাজ করে আসছে এবং এজন্য তারা অর্থ পাচ্ছে। ক্যাপিটল কাউন্সিল তাদের অডিট রিপোর্টে বলেছে, বাংলাদেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে মার্কিন প্রশাসনকে উদ্বুদ্ধ করা। এই কাজ করার
জন্য তাদেরকে কারা অর্থায়ন করছে সে ব্যাপারে কোন
কিছু উল্লেখ করেনি। তবে কেসিডির মতোই ক্যাপিটল কাউন্সিলও যে জামাত এবং
বিএনপি নিয়ন্ত্রিত বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে অর্থ পাচ্ছে সে নিয়ে কোনো
সন্দেহই নেই।
তৃতীয়
প্রতিষ্ঠানটি হল পলিসি রেজুলেশন
গ্রুপ। পলিসি রেজুলেশন গ্রুপ একটি প্রভাবশালী পাবলিকেশন্স রিলেশনস ফার্ম, যার অন্যতম কাজ হলো বিভিন্ন দেশে গণতন্ত্র সংহতকরণ এবং জনগণের ভোটের অধিকার নিশ্চিতকরণ। এই প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে
গত মার্চেই চুক্তি হয়েছে দুটি প্রতিষ্ঠানের। যে দুটি প্রতিষ্ঠান
সম্পর্কে তেমন কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে পলিসি রেজুলেশন গ্রুপ বাংলাদেশে নির্বাচন ব্যবস্থা ঢেলে সাজানো এবং অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের ব্যাপারে মার্কিন কংগ্রেসম্যানদের একটি স্বাক্ষর সংগ্রহ করছেন বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে।
এ
ধরনের প্রতিষ্ঠানগুলোর মাধ্যমে বাংলাদেশকে গণতন্ত্র সম্মেলনে আমন্ত্রণ না জানানো, বাংলাদেশের
ঊর্ধ্বতন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনীর কর্মকর্তাদের নিষেধাজ্ঞা আরোপের মত ঘটনাগুলো ঘটেছে
বলে বিভিন্ন মহল মনে করছেন।
কেসিডি এ্যান্ড এ্যাসোসিয়েটস ক্যাপিটল কাউন্সিল পলিসি রেজুলেশন গ্রুপ বিএনপি জামাত
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
নতুন সরকার বাজেট ঘোষণা জাতীয় সংসদ
মন্তব্য করুন